ঢাকা ০২:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন পুলিশের কাজের অগ্রগতি ফেরাতে ১০ থানায় ৫০ গাড়ি হস্তান্তর  এবার সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের জামিন মঞ্জুর  বিঘ্নে পূজা উৎযাপনের লক্ষ্যে র‍্যাব সচেষ্ট রয়েছে: র‍্যাব ডিজি সাতক্ষীরায় আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু ও মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উৎযাপিত টংঙ্গীবাড়ীতে বালু দস্যুদের অস্ত্রের মহড়ায় আতংকে এলাকাবাসী  চলছে ষষ্ঠী পূজা; শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ সদরপুরের চরবিষ্ণুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ হাজারো মানুষের হৃদয়ের মনিকোঠায় বেঁচে আছেন নাজমুল হক হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব শুরু আজ মহাষষ্ঠী শারদীয় দুর্গাপূজার ছুটি বাড়লো আরও একদিন হাজত থেকেই মুক্ত সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরী ফতুল্লার যুবলীগ নেতা আজমত উল্লাহ্ গ্রেপ্তার ঈশ্বরদী ইউএনও অফিস লুটপাট ও ভাঙচুর মৌলভীবাজারে ৮ম গ্রেডে স্কেল উন্নীতকরণের দাবিতে প্রধান শিক্ষকদের মানববন্ধন দাঁতের ব্যথা উপশমে সচেতনতা কয়েক শতকের মধ্যে মানুষসহ সকল সৃষ্টির অবসান ঘটবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম হোতা, অবৈধ চিনি কারবারি মতিন গ্রেপ্তার  সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী সমাবেশ  বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের ৫ম শাহাদাত বার্ষিকী পালিত গফরগাঁওয়ে বসতবাড়ি ভাংচুর-লুটপাট করে চলছে রমরমা জুয়ার আসর চট্টগ্রামে আলোচিত গানের তালে পিটিয়ে হত্যাকান্ডের ঘটনায় আটক-২  এইচএসসির ফল প্রকাশের চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় না’গঞ্জে স্ত্রী’র পরকিয়ায় দিশোহারা স্বামী নিরঞ্জন বর্মন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম বিরুদ্ধে সরকারি সিদ্ধান্তে রনির প্রশ্ন? তারেক জিয়ার নেতৃত্বেই আগামীর বাংলাদেশকে গড়ে তুলব :গিয়াসউদ্দিন একনেকে পাশ হলো বহুল প্রতিক্ষিত কালুরঘাট সেতু মুন্সীগঞ্জে প্রতিমা শিল্পীরা রং-তুলির আঁচড়ে ব্যস্ত সময় পার করছে মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগ-স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতিসহ গ্রেপ্তার-৪ ভেড়ামারায় খালে গোসল করতে নেমে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রের মৃত্যু এবার মাটিতে নয়, হাওয়াতে দৌড়াবে ট্রেন মাকে বিয়েতে রাজি করতে ব্যর্থ হয়েই মেয়েকে অপহরণ নারায়ণগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩০ দোকান ভস্মীভূত,আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে  প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পোস্টে, ওএসডি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ‘কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে’ স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাবেক পরিবেশও বন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী গ্রেপ্তার খুলনা-৫ আসনের সাবেক এমপি-ভূমিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র আটক মুন্নী সাহার ব্যাংক হিসাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে বিএফআইইউ শেখ হাসিনার প্রশাসনিক এজেন্টরা ইউনূস সরকারকে সফল হতে দিবেনা: রিজভী আসন্ন দূর্গোৎসব উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  টেকনাফের বাহার ছড়ায় অপহরণ চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার সাতক্ষীরার সার্বিক উন্নয়নে জেলা সমিতির পাঁচ দাবি বেসরকারী গার্ডদের বেতন বৃদ্ধি সহ বোনাস নিয়ে টাল বাহানা করছে কৃষি ব‍্যাংক রূপপুর পরমানবিক প্রকল্পের চোরাই লোহা-তামা আটকের নামে বিক্রির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবার টাকায়ও থাকছে না বঙ্গবন্ধুর ছবি হাঁসের মাংস রান্না করলেন ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা পরীমণি হৃদরোগ থেকে বাঁচতে ব্যায়ামের বিকল্প নেই ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম গ্রেপ্তার মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়, তদন্তে দোষী হলে আইনানুগ ব্যবস্থা: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আমরা মাঠে আছি, নির্ভয়ে মণ্ডপে যান দূর্গোৎসব উৎযাপন করুন: সেনাপ্রধান দেশ ছেড়ে পালানোর আর কারও সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা টংঙ্গীবাড়ীতে ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে প্রধান প্রধান সড়ক জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালেন কারামুক্ত বিএনপি নেতারা অনেকেরই অজানা সিরাজুদ্দৌলার শেষ বংশধর কোথায়? রাজনগর আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ গ্রেপ্তার-২ দাম্ভিক শামীম ওসমান কাপুরুষের মতো বোরকা পরে পালিয়েছেন: গিয়াসউদ্দিন সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা.একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী আর নেই লাগামহীন নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা দেশের মানুষ: সিপিবি সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবির হাতে আটক-৫ দুর্গোৎসব উপলক্ষে মৌলভীবাজার পৌর বিএনপি’র মতবিনিময় সভা শেখ হাসিনা বিচলিত ও হতাশ: নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন কি-না জানালেন জয় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ৭ দিনের রিমান্ডে সাতক্ষীরায় ১১২ বোতল ফেনন্সিডিলসহ আটক-২ এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করলো জেলা প্রশাসন নওগাঁ-১ এর সাবেক এমপি ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার গ্রেপ্তার আ’লীগসহ ১৪ দলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ নির্বিঘ্নে দুর্গাপূজা সম্পন্ন করতে নীলডুমুর বিজিবি-১৭’র নিয়মিত টহল জোরদার মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা সাফারি পার্কের প্রকল্প বাতিলের সুপারিশ  কুলাউড়ায় দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি দেখতে পুলিশ সুপারের মন্দির পরিদর্শন টেকনাফে অপহরণ বাণিজ্য বন্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি ডৌবাডি ইউপি চেয়ারম্যান নিজামউদ্দিন র‍্যাবের জালে  সাতক্ষীরার শ্রেষ্ঠ শিক্ষা কর্মকর্তা রোকনুজ্জামানের জীবনগাথা  শ্যামনগরে শিশুদের হাতের ছোঁয়ায় চিত্রায়িত হলো জলবায়ু পরিবর্তন  বড়লেখায় মাদ্রাসার শ্রেনীকক্ষে ধুমপানের অপরাধে ৪ শিক্ষার্থী বহিষ্কার টংঙ্গীবাড়ী থানা পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার আসামী ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রাজনগরে চাঞ্চল্যকর ছানা চেয়ারম্যান হত্যার মূলহোতা সিলেটে গ্রেপ্তার মৌলভীবাজারে শিক্ষিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আটক বকশীগঞ্জে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত  ঢাকাসহ ১৭ অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস রূপগঞ্জ শীতলক্ষ্যায় চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদককারবারী কে এই শাহীন? রূপগঞ্জে ছাত্রদল নেতা জাইদুল হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জ শহরের প্রধান সড়কগুলোর অধিকাংশরই বেহাল দশা ঈশ্বরদীতে কমরেড জসিম উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত  বড়লেখায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার-২ খলিশাখালির মৎস্যঘের দখল-লুঠপাটের হুমকিদাতা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি সাতক্ষীরায় মহালয়ার মধ্য দিয়ে দূর্গার আর্বিভাব মৌলভীবাজারে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস পালিত আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বসত বাড়ির দখল করে প্রাচীর নির্মাণ মহালয়ার মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুরু হলো আজ জুড়ী উপজেলা যুবলীগের সেক্রেটারি শেখরুল গ্রেপ্তার স্বাস্থ্য সচেতন ব্যক্তিদের জন্য অপরিহার্য উপাদান মধু বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেনকে চসিক’র মেয়র ঘোষণা  খাগড়াছড়িতে পিটিয়ে শিক্ষক হত্যা, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি ময়মনসিংহ জেলা সার্ভে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের অবস্থান ধর্মঘট  শারদীয় দুর্গোৎসবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন মডেল গ্রুপের কর্ণধার মাসুদুজ্জামানের প্রচেষ্টায় চাঁদার ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার  সিদ্ধিগঞ্জে শামীম ওসমান ও মেয়র আইভীসহ ৪০১ জনের বিরুদ্ধে ফের হত্যা মামলা সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনি গ্রেপ্তার গাজীপুরে ফের শ্রমিক বিক্ষোভ,মহাসড়কে তীব্র যানজট

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ৬০ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।