সর্বশেষ:-
দৃষ্টি প্রতিবন্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপনা করলেন না’গঞ্জের নবনিযুক্ত ডিসি ভ্যাটের কারণেই নতুন করে দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের নতুন করে আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে সাবেক বন-পরিবেশ মন্ত্রী ও ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  দায়িত্বে অবহেলায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত জুড়ী উপজেলাবাসী কুষ্টিয়ায় আ’লীগ নেতার দখলে থাকা ৫০ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার হাকালুকি হাওর পাড়ের চাষিরা সরিষা চাষে এবার বাজিমাত নারায়ণগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নবনিযুক্ত ডিসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে কুন প্রস্তুতকারী কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড  মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের কিংশুক ও বিচ ভ্যালিসহ ৩টি ইকো রিসোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বিএনপি নেতাকর্মীদের বলব আপনারা অসহায়দের পাশে দাঁড়ান: সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন  কুষ্টিয়ায় ৬ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশি পিস্তল উদ্ধার  ঈশ্বরদীর পাকশীতে রেলওয়ের বিভাগীয় অফিস চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ  মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে অবৈধ মাটিকাটা বন্ধে মানববন্ধন  কলাপাড়ার বিদ্যুৎ প্লান্টে চুরি: বিএনপি নেতাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বাউফলে টমটম উল্টে চালক নিহত, আহত-২ মানবিক জেলা প্রশাসক খ্যাত জাহিদুল ইসলাম মিঞার নারায়ণগঞ্জে যোগদান অনাড়ম্বর আয়োজনে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেরপুরে দুই’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমী মাছের মেলা  পাবনায় জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ: মামলা নথিভুক্ত না হওয়ার সংবাদ সম্মেলন গফরগাঁওয়ে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন  পিবিআই এসপির সক্রিয়তায় এসআই শফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ ফের ডিসির বদলিতে নাজির হতে মরিয়া দুর্নীতির বরপুত্র কে এই সিকদার? মিরপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই ছুরিকাঘাতে খুন হলেন কিশোর আলামিন বাউফলে স্কুলে হাজিরা দিয়েই শেষ, প্রভাবশালী কর্মকর্তার শ্যালিকা পরিচয়ে অনিয়ম দোয়ারাবাজারে দ্রুত গতিতে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত সিদ্ধিরগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতি ছেলেসহ গ্রেপ্তার ভালুকায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সংখ্যালুগুদের জমি দখলের পায়তারা  অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: মুন্সীগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন কমলগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা বাউফল ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এলিফ্যান্ট রোডে ২ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা তারেক রহমানের নির্দেশে সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ  না’গঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ  জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ফতুল্লা থানার আয়োজনে দোয়া মাহফিল বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে গাজীপুর মহাসড়ক অবরোধ কুষ্টিয়ায় ড্রাম ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১ ভেড়ামারায় ফুলকপির বাম্পার ফলনেও মুখে নেই হাসি অবৈধপথে ৪০ হাজার শলাকা সিগারেটসহ আটক-২ ভালুকায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত অস্থির চালের বাজার কোনো উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না   সীতাকুন্ডে প্রেমিকাকে হারিয়ে স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা বাবার সাথে ঘুরতে গিয়ে কর্ণফুলীতে ট্রাকের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু শ্রীমঙ্গলে বর্ণিল আয়োজনে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’এর উদ্বোধন  মাটি ও মানুষের দল বিএনপি, চিহ্নিত অপরাধীদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না: মামুন মাহমুদ  সকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে:  জোসেফ আমি তো কোনো অপরাধ করিনি, আটক হবো কেন’-চিত্রনায়িকা নিপুন  কক্সবাজার গোল্ডেন হিলে এক নারীসহ দুই কাউন্সিলর, অতঃপর গুলিতে ১ জনের মৃত্যু নেত্রকোনায় সড়কে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা নারায়ণগঞ্জের ডিসি মাহমুদুল হককে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক পদে পদায়ন ফের তিন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ খুলনার সাবেক কাউন্সিলর টিপুকে কক্সবাজার সৈকতে গুলি করে হত্যা উত্তরা পূর্বথানা থেকে পালালেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ওসি শাহ আলম রহস্যেঘেরা টোপে সুন্দরী অভিনেত্রী রেখা বলিউড কাঁপিয়ে কোটি মানুষের হৃদস্পন্দন না’গঞ্জে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে জাবালে নূর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শীতবস্ত্র বিতরণ মৌলভীবাজারে ছোট ভাইয়ের হাতের কব্জি কেটে নিলো বড় ভাই  বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শিক্ষক-সাংবাদিকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদীতে অবৈধ ঝোঁপ ফেলে মাছ শিকারের হিড়িক ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারকচক্রের কোটি টাকা আত্মসাৎ  তিন দিনের মাথায় ফের না’গঞ্জের ডিসি বদলি নতুন দায়িত্বে জাহিদুল ইসলাম আইনি সহায়তা: বাংলাদেশ-ভারতসহ ডেনমার্কের তুলনামূলক বিশ্লেষণ মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া  দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর মা-ছেলের মহাপুনর্মিলন ঘটতে যাচ্ছে আজ পূর্ণ উৎপাদনে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট পবিপ্রবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইকতিয়ার সাতক্ষীরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড  কাচ্চি ডাইনের ফুটেজ ধারন করতে গিয়ে স্টাফদের হাতে হামলার শিকার ৩ সাংবাদিক ফরিদপুরে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত- ৫, গুরুতর আহত-৩ না’গঞ্জে দিগুবাবুর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক গনধর্ষণের পর মেয়েকে বিক্রির খবর শুনে পিতার মৃত্যু স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও পাঁচ মাস ধরে বেতন তুলছেন প্রধান শিক্ষক রেলে নিয়োগ বানিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতি দায়ে পাকশি শ্রমিক লীগ নেতা আটক বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ও কুফল হাতকড়া পরিয়ে অর্থ নেওয়া সেই এসআই কুদ্দুস প্রত্যাহার ফের ৭.১ মাত্রার ভূ-কম্পনে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ না’গঞ্জে যুবদলকর্মী হত্যা মামলা: ডিবির সাবেক এসআই কনক ৫ দিনের রিমান্ডে সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দুদকের অভিযান কুলাউড়ায় অবৈধভাবে টিলা কেটে শ্রীঘরে ডিলারকে জিম্মি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল মাসুদের বাউফলে অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু বণিককে উদ্ধার মিরপুরে বিজিবির অভিযানে পরিত্যক্ত ভবন থেকে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা জব্দ শ্রীমঙ্গলে ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান  না’গঞ্জের ডিসি মাহমুদুল হকের বদলির আদেশ বাতিল করলো সরকার এবার নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী জজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতকড়া পরিয়ে ব্যবসায়ীয় কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ এসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ নগরকান্দায় গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা: পুলিশি অভিযানে উদ্ধার  কিংবদন্তি শক্তিমান অভিনেতা খ্যাত প্রবীর মিত্র মারা গেছেন আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রারসহ দলিল লেখক কর্তৃক গ্রহীতা হয়রানির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে ফুলকপি, ক্ষতির মুখে চাষিরা নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের আনন্দ র‍্যালি ভেড়ামারায় শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত সালামকে আটক করেছে পুলিশ কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি ও বোমা উদ্ধার বাউফলে ব্যবসায়ীকে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ অপহরণ মৌলভীবাজারে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র লেপ বিতরন চরভদ্রাসনে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো জাতীয় সমাজসেবা দিবস প্রশাসন নির্বিকার,পদ্মার চরে নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪ ৮৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সীগঞ্জের ধবল‌ গরু খামারেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে 

আপডেট সময়- ১২:০২:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ জুন ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
এক সময় কোরবানির ঈদে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গনি মিয়ার হাটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলো মুন্সীগঞ্জের মীরকাদিমের ধবল (সাদা)গরু।কিন্তু কালের বিবর্তনে এখন এই গরুর চাহিদা এতো বৃদ্ধি পেয়েছে যে,হাটে তোলার আগেই খামার হতে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এ সমস্ত গরুগুলো। আগে শুধু পুরান ঢাকায় চাহিদা থাকলেও এখন এ সমস্ত গরুর চাহিদা বেড়েছে সমগ্র দেশ জুড়ে তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্তের গরু ক্রেতারা এ সমস্ত গরুগুলো খামারেই এসে কিনে নিয়ে যান।পুরান ঢাকার খানদানি লোকেরাও খামারে এসে অনেক দাম দিয়ে এ সমস্ত গরু কিনে নিয়ে যান।ইতিমধ্যে মিরকাদিমের খামারগুলো হতে গরু বিক্রি শুরু হয়ে গেছে।ক্রেতারা গরু কিনে খামারেই রেখে যাচ্ছে ঈদের দু-একদিন আগে নিয়ে যাবেন বাড়িতে।
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মিরকাদিমের এই গরুর খামারগুলোর পাশেই রয়েছে বিশাল বিশাল চাল, কুড়া,ভূষি,খৈলের আড়ৎ।এ সমস্ত আড়ত মালিকরাই আড়তের আশে পাশে গড়ে তুলেছেন গরুর খামার।নিজস্ব খামারের মীরকাদিমের ভুসি, কুঁড়াসহ বিভিন্ন উন্নতমানের গোখাদ্য মিনিকেট চালের খুদ,এক নম্বর খৈল,ভাতের মার,সিদ্ধ ভাত, খেসারির ভুসি,গমের ভুসি,বুটের ভুসি খাওয়ানো হয় গরুগুলোকে।এছাড়া গরু পালনে প্রশিক্ষিত লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরুগুলো পালন করা হয়।
খামারিরা জানান,এই গরু পালনে কোনো রকম ইনজেকশন বা গরু মোটাতাজাকরণের ওষুধ ব্যবহার করা হয় না।খামারিদের নিজস্ব মিলে ভাঙানো খৈল,বিভিন্ন প্রকার ভুসি,কুঁড়া,চালের গুঁড়া খাইয়ে পরম মমতায় লালনপালন করা হয় এই গরুগুলোকে।খামারের ভেতরের পরিবেশ বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা হয়।বাইরের কাউকে খামারের ভেতর ঢুকতে দেওয়া হয় না।মিরকাদিমের ধবল গরুর বৈশিস্ট হলো এ সমস্ত গরুর চোখের পাপড়ি সাদা,নাকের সামনের অংশ সাদা,পায়ের খুর সাদা,লেজের পশম সাদা,আর সারা শরীরও সাদা হয়ে থাকে।এই সমস্ত ধবল গরুগুলো দেখতে একদিকে সুন্দর এবং অন্যদিকে এই সমস্ত গরু গুলোর মাংস খুব সুস্বাদু হওয়ায় এগুলো এখন খামার থেকেই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ক্রেতারা।এই সাদা গরুগুলো সাধারণত ১ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত দামে হয়ে থাকে।মুন্সীগঞ্জের কোনো হাটে এই গরু বিক্রি হয় না।আগে পুরান ঢাকার হাটে নিয়ে এ সমস্ত গরু বিক্রি করতো খামাড়িরা।এখন পুরান ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন মীরকাদিমে এসে এ সমস্ত খামার হতে গরুগুলো ক্রয় করে নিয়ে যান।সরেজমিনে মিরকাদিমের বেশ কিছু খামার ঘুরে দেখা যায় বেশ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন পরিবেশে খামারগুলোতে লালন পালন করা হচ্ছে গরু।মিরকাদিমের মজিবুরের খামার গিয়ে দেখা যায় ওই খামারে মোট ৫১ টি গরু আছে।এর মধ্যে ধবল জাতের গুরু রয়েছে অর্ধেকের বেশি।গত বছর এই খামারে অবিক্রিত গরু ছিল ৬টি।বাকি গরুগুলো গত কুরবানি ঈদের পরে কিনে এনে খামারে লালন পালন করছেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে আছেন তিনজন।এর মধ্যে জিয়াউর হক বলেন,কয়দিন আগে যে গরম গেলো ওই সময় গরুগুলোর খুব কষ্ট হচ্ছিল।গরমে বেশ কিছু গরু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল।সে সময় গরুগুলোকে চিকিৎসা করাতে হয়েছে।এখন গরম কমার সাথে সাথে গরুগুলো ভালো আছে।ইতিমধ্যে খামার হতে ১১টি বিক্রি হয়ে গেছে।যারা কুরবানী দেয় তারাই এখান থেকে গরু কিনে খামারে রেখে গেছেন।পরে কুরবানীর দ্-ুএকদিন আগে এসে নিয়ে যাবেন।ওই খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা রাশেদ বলেন,আমাদের খামারের গরুগুলোকে সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক খাবার খাওয়াই।খামারে বিভিন্ন জাতের গরু আছে তবে এগুলোর মধ্যে ধবল গরু বিখ্যাত।আমাদের খামারে সর্বনিম্ন ১ লক্ষ ২০ হাজার হতে ৩ লক্ষ টাকা দাম পর্যন্ত গরু আছে।
মীর কাদিম শাহিনের খামার মোট ৫১টি গরুর মধ্যে অন্য জাতের আছে মাত্র ৫টা।৪৬ টায় সাদা ধবল জাতের বলে জানালেন খামাড়িরা।ওই খামারের শ্রমিক রফিক মিয়া বলেন,গত বছর কুরবানীর পর এই গরুগুলো আমরা ফরিদপুর জেলার টেপাখোলা বাজার হতে কিনে এনেছি।প্রায় গরুই এক লাখ টাকার উপরে দাম দিয়ে কিনে এনে লালন পালন শুরু করি।সামনের কুরবানীতে গরুগুলো বিক্রি করবো।এ পর্যন্ত খামারের ছয়টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।যে গরুগুলো বিক্রি করছেন সেগুলো দুই লক্ষ থেকে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে বিক্রি করেছেন তারা।ঈদের আগে বাকি গরুগুলো খামার হতে বিক্রি হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।এ ব্যাপারে ওই এলাকার মজিবুর রহমান বলেন, আমাদের নিজেদের মিল আছে।আবার খামারও আছে।আমরা আমাদের নিজেদের মেইলের খৈল, কুড়া,বিভিন্ন ধরনের ভূসি,ভুট্টা উন্নত মানের খাবার খাইয়ে আমাদের খামারের গরুগুলো লালন পালন করে থাকি।আমরা কোন ইনজেকশন দেই না কোন ভেজাল খাবার খাওয়াই না যার কারণে আমাদের গরুর মাংসগুলো খুব সুস্বাদু হয় এবং এগুলো চাহিদা খুব বেশি।আগে ঢাকায় নিয়ে বেচঁতাম এখন এই সমস্ত গরু খামার হতে কিনে নিয়ে যায়।ঢাকার পাশাপাশি নারায়নগঞ্জ,কুমিল্লা চাদঁপুরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পাইকার আশে আমাদের এখানে গরু কিনতে।মীর কাদিম এগ্রো খামারের দেখবালের দায়িত্বে থাকা মিন্টু মিয়া বলেন,আমাদের খামারে গরু আছে ১৩০টা। এর মধ্যে ৬০টা কোরবানীর ঈদে বিক্রি করা হবে।আমরা মূলত খামারে দুগ্ধ উৎপাদন করি সেই সাথে বিক্রির জন্যও গরু মোটাতাজাকরণ করে থাকি।আমরা যে সমস্ত গরু মোটাতাজাকরণ করি ওগুলো মূলত আমাদের খামারেই উৎপাদন হয়।আমরা মা গরুগুলোকে উন্নত মানের বীজ দিয়ে এখানে গরুর বাচ্চা উৎপাদন করি মা গরুর দুধ বাজারে বিক্রি করি এবং বাছুরগুলোকে লালন পালনের মাধ্যমে বড় করে বিক্রি করে থাকি। আমাদের খামরে প্রায় ১০টি গুরু আছে যেগুলোর ওজন ৭০০ থেকে ৮০০ কেজি।এ গরু বাছুর গুলো আমরা খামারেই উৎপাদন করেছি।অপর শ্রমিক আরিফ বলেন,আমরা নিজ সন্তানের মতো পরম যন্তে এখানে গরু লালন পালন করি।পুরো দিন ওদের সেবা করি।প্রতিদিন গোসল করাই এবং এগুলোর শরীর মুছে দেই।আমরা একদিকে যেমন শুকানো খাবার খৈল,কুড়া,ভূসি খুদ খাওয়াই
অন্যদিকে আবার কাচাঁ ঘাস ভূট্টার সেরালেক খাওয়াই।আমাদের খামার হতে ইতিমধ্যে ৫টা গরু বিক্রি হয়ে গেছে।তবে ওই এলাকার খামাড়িদের সাথে কথা বলেজানাগেছে,মীরকাদিম পৌরসভার কুলুপাড়ার ধবল গরু লালনপালন করার যে ঐতিহ্য ছিল তা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে।খামারে গরুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কালের বিবর্তনে মীরকাদিমের বিখ্যাত ধবল গরুর ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। ভেজালযুক্ত খাবার দিয়ে গরু মোটাতাজা করে দ্রুত আঙল ফুলে কলাগাছ হচ্ছে কিছু অসাধু খামারি। ১০ মাস দীর্ঘ পরিশ্রম করে লাভবান না হওয়ায় এ ব্যবসা থেকে সরে আসছেন মীরকাদিমের ধবল গরুর অনেক ব্যবসায়ী।ভেজাল খাদ্যের যোগান দিয়ে গরু বড় করে দ্রুত লাভবান হওয়ার হাতিয়ারকে এখন কাজে লাগাচ্ছে অনেকেই।ফলে ২০০ জনের বেশি ধবল গরুর খামার মালিক থেকে এখন ১৫/২০ জনে নেমে এসেছে।এ সমস্ত ধবল গরুগুলো মূলত কুড়িগ্রাম জেলার ভূরাঙ্গামারীসহ বিভিন্ন হাট ও এলাকা থেকে ভারত ও ভুটানের আবাল-পশ্চিমা সাদা ষাঁড় ও সাদা গাভীর বাচ্চা কিনে আনেন মীরকাদিমের খামারিরা।নিজের বাচ্চার মতো লালন করেন।নতুন গামছা দিয়ে গোসল করানো হয়।সব সময় চোখে চোখে রাখা হয়।লাভ লোকসানের কথা চিন্তা না করেই পুরোনো ঐতিহ্য ধরে রেখে গরু পালন করেন।বাবা-দাদাদের ধবল গরু পালনের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন খামাড়িরা।এ ব্যাপারে মুন্সীগঞ্জ প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ নজরুল ইসলাম বলেন, মুন্সীগঞ্জের খামারগুলোতে মূলত দেশি গরু বেশি দেখা যায়।এ জেলায় মোট ৫ হাজারের মতো খামার রয়েছে।এর মধ্যে মিরকাদিমের গরুগুলোর চাহিদা বেশি।কোরবানীর আগের ৬ মাস হতে এই গরুগুলোকে মোটাতাজা করতে শুরু করে খামারিরা।এই মোটাতাজাকরণ কাজে তারা গরু গুলোকে সবচেয়ে বেশি সবুজ ঘাস খাইয়ে থাকে। খৈল নানা ধরনের ভূষি,চালের খুদ খাওয়ায় এবং পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখে।মূলত স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে তারা গরু মোটা তাজাকরণ করায় এগুলো দেখাতে সুন্দর আকর্ষনীয় ও মাংস সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর চাহিদা বেশি।তিনি আরো বলেন,দেশি গরুতে চবির্র হার খুব কম থাকায় মাংসের পরিমান বেশি থাকে এবং সুস্বাদু হয়।মিরকাদিমের খামাড়িরা কখনোই মোটাতাজাকরণ ট্যাবলেড.ইনজেকসুন,হরমন ঔষধ ব্যবহার করেনা।যার কারনে এগুলো স্বাস্থ্য সম্মত ও সুস্বাদু হয়।