সর্বশেষ:-
ভ্যাটের কারণেই নতুন করে দাম বাড়লো এলপি গ্যাসের নতুন করে আরও ১৪ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে সাবেক বন-পরিবেশ মন্ত্রী ও ছেলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা  দায়িত্বে অবহেলায় চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত জুড়ী উপজেলাবাসী কুষ্টিয়ায় আ’লীগ নেতার দখলে থাকা ৫০ কোটি টাকার সরকারি জমি উদ্ধার হাকালুকি হাওর পাড়ের চাষিরা সরিষা চাষে এবার বাজিমাত নারায়ণগঞ্জে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে নবনিযুক্ত ডিসির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে কুন প্রস্তুতকারী কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড  মধ্যরাতে সেন্টমার্টিনের কিংশুক ও বিচ ভ্যালিসহ ৩টি ইকো রিসোর্টে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড বিএনপি নেতাকর্মীদের বলব আপনারা অসহায়দের পাশে দাঁড়ান: সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন  কুষ্টিয়ায় ৬ রাউন্ড গুলিসহ বিদেশি পিস্তল উদ্ধার  ঈশ্বরদীর পাকশীতে রেলওয়ের বিভাগীয় অফিস চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ  মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে অবৈধ মাটিকাটা বন্ধে মানববন্ধন  কলাপাড়ার বিদ্যুৎ প্লান্টে চুরি: বিএনপি নেতাসহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা বাউফলে টমটম উল্টে চালক নিহত, আহত-২ মানবিক জেলা প্রশাসক খ্যাত জাহিদুল ইসলাম মিঞার নারায়ণগঞ্জে যোগদান অনাড়ম্বর আয়োজনে কুলাউড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবীন বরণ অনুষ্ঠান শেরপুরে দুই’শ বছরের ঐতিহ্যবাহী ব্যতিক্রমী মাছের মেলা  পাবনায় জেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের ক্ষোভ: মামলা নথিভুক্ত না হওয়ার সংবাদ সম্মেলন গফরগাঁওয়ে দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন  পিবিআই এসপির সক্রিয়তায় এসআই শফিকুল হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার-২ ফের ডিসির বদলিতে নাজির হতে মরিয়া দুর্নীতির বরপুত্র কে এই সিকদার? মিরপুরে পাওনা টাকা চাইতে গিয়েই ছুরিকাঘাতে খুন হলেন কিশোর আলামিন বাউফলে স্কুলে হাজিরা দিয়েই শেষ, প্রভাবশালী কর্মকর্তার শ্যালিকা পরিচয়ে অনিয়ম দোয়ারাবাজারে দ্রুত গতিতে চলছে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, অভিযুক্ত বাঁধে বালু অপসারণ সিদ্ধিরগঞ্জে ট্রাক চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী যুবক নিহত সিদ্ধিরগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা মতি ছেলেসহ গ্রেপ্তার ভালুকায় চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে সংখ্যালুগুদের জমি দখলের পায়তারা  অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না: মুন্সীগঞ্জে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পায়রা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন কমলগঞ্জে পরকীয়ার জেরে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা বাউফল ধুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ এলিফ্যান্ট রোডে ২ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে কুপিয়েছে দূর্বৃত্তরা তারেক রহমানের নির্দেশে সদর থানা বিএনপির উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ  না’গঞ্জের প্রশাসন তাদের নিজ স্বার্থের জন্য কাজ করে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ  জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম ফতুল্লা থানার আয়োজনে দোয়া মাহফিল বিএনপি নেতা নুরুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে গাজীপুর মহাসড়ক অবরোধ কুষ্টিয়ায় ড্রাম ট্রাক ও ভ্যানের সংঘর্ষে নিহত ১ ভেড়ামারায় ফুলকপির বাম্পার ফলনেও মুখে নেই হাসি অবৈধপথে ৪০ হাজার শলাকা সিগারেটসহ আটক-২ ভালুকায় কৃষকদলের উদ্যোগে কৃষক সমাবেশ ও দোয়া অনুষ্ঠিত অস্থির চালের বাজার কোনো উদ্যোগেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না   সীতাকুন্ডে প্রেমিকাকে হারিয়ে স্কুল ছাত্রের আত্মহত্যা বাবার সাথে ঘুরতে গিয়ে কর্ণফুলীতে ট্রাকের ধাক্কায় কিশোরের মৃত্যু শ্রীমঙ্গলে বর্ণিল আয়োজনে ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’এর উদ্বোধন  মাটি ও মানুষের দল বিএনপি, চিহ্নিত অপরাধীদের অনুপ্রবেশের সুযোগ দেওয়া হবে না: মামুন মাহমুদ  সকল শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে:  জোসেফ আমি তো কোনো অপরাধ করিনি, আটক হবো কেন’-চিত্রনায়িকা নিপুন  কক্সবাজার গোল্ডেন হিলে এক নারীসহ দুই কাউন্সিলর, অতঃপর গুলিতে ১ জনের মৃত্যু নেত্রকোনায় সড়কে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে হত্যা নারায়ণগঞ্জের ডিসি মাহমুদুল হককে বিআইডব্লিউটিসির পরিচালক পদে পদায়ন ফের তিন জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ খুলনার সাবেক কাউন্সিলর টিপুকে কক্সবাজার সৈকতে গুলি করে হত্যা উত্তরা পূর্বথানা থেকে পালালেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক ওসি শাহ আলম রহস্যেঘেরা টোপে সুন্দরী অভিনেত্রী রেখা বলিউড কাঁপিয়ে কোটি মানুষের হৃদস্পন্দন না’গঞ্জে অসহায়-দুঃস্থদের মাঝে জাবালে নূর ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের শীতবস্ত্র বিতরণ মৌলভীবাজারে ছোট ভাইয়ের হাতের কব্জি কেটে নিলো বড় ভাই  বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধে শিক্ষক-সাংবাদিকসহ ৫ জনকে কুপিয়ে জখম মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদীতে অবৈধ ঝোঁপ ফেলে মাছ শিকারের হিড়িক ইউরোপে পাঠানোর প্রলোভনে প্রতারকচক্রের কোটি টাকা আত্মসাৎ  তিন দিনের মাথায় ফের না’গঞ্জের ডিসি বদলি নতুন দায়িত্বে জাহিদুল ইসলাম আইনি সহায়তা: বাংলাদেশ-ভারতসহ ডেনমার্কের তুলনামূলক বিশ্লেষণ মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া  দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর মা-ছেলের মহাপুনর্মিলন ঘটতে যাচ্ছে আজ পূর্ণ উৎপাদনে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট পবিপ্রবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইকতিয়ার সাতক্ষীরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড  কাচ্চি ডাইনের ফুটেজ ধারন করতে গিয়ে স্টাফদের হাতে হামলার শিকার ৩ সাংবাদিক ফরিদপুরে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত- ৫, গুরুতর আহত-৩ না’গঞ্জে দিগুবাবুর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক গনধর্ষণের পর মেয়েকে বিক্রির খবর শুনে পিতার মৃত্যু স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও পাঁচ মাস ধরে বেতন তুলছেন প্রধান শিক্ষক রেলে নিয়োগ বানিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতি দায়ে পাকশি শ্রমিক লীগ নেতা আটক বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ও কুফল হাতকড়া পরিয়ে অর্থ নেওয়া সেই এসআই কুদ্দুস প্রত্যাহার ফের ৭.১ মাত্রার ভূ-কম্পনে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ না’গঞ্জে যুবদলকর্মী হত্যা মামলা: ডিবির সাবেক এসআই কনক ৫ দিনের রিমান্ডে সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দুদকের অভিযান কুলাউড়ায় অবৈধভাবে টিলা কেটে শ্রীঘরে ডিলারকে জিম্মি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল মাসুদের বাউফলে অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু বণিককে উদ্ধার মিরপুরে বিজিবির অভিযানে পরিত্যক্ত ভবন থেকে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা জব্দ শ্রীমঙ্গলে ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান  না’গঞ্জের ডিসি মাহমুদুল হকের বদলির আদেশ বাতিল করলো সরকার এবার নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী জজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতকড়া পরিয়ে ব্যবসায়ীয় কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ এসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ নগরকান্দায় গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা: পুলিশি অভিযানে উদ্ধার  কিংবদন্তি শক্তিমান অভিনেতা খ্যাত প্রবীর মিত্র মারা গেছেন আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রারসহ দলিল লেখক কর্তৃক গ্রহীতা হয়রানির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে ফুলকপি, ক্ষতির মুখে চাষিরা নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের আনন্দ র‍্যালি ভেড়ামারায় শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত সালামকে আটক করেছে পুলিশ কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি ও বোমা উদ্ধার বাউফলে ব্যবসায়ীকে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ অপহরণ মৌলভীবাজারে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র লেপ বিতরন চরভদ্রাসনে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো জাতীয় সমাজসেবা দিবস প্রশাসন নির্বিকার,পদ্মার চরে নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার মুন্সীগঞ্জে প্রাথমিকে নতুন বই দিতে ১’শ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ৭৯ বার পড়া হয়েছে

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ:

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ: