ঢাকা ০৮:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুলাউড়ার ওসির তৃতীয় দফায় বদলির পর ডিআইজির হস্তক্ষেপ মৌলভীবাজারে শেখ মুজিবের ম‍্যুরাল ভেঙে দিল ছাত্র-জনতা কুষ্টিয়ায় অটোরিকশাচালকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ রাজধানীর মিটফোর্ডের সামনে নৃশংস হত্যার ঘটনায় মূলহোতাসহ গ্রেপ্তার-৪ রাজধানীতে নৃশংস হত্যাযজ্ঞ: মৃত্যু নিশ্চিতের পর লাশের ওপর লাফায় ঘাতকরা বিসিএমএ’র নতুন সভাপতি প্রিমিয়ার সিমেন্টের কর্ণধার আমিরুল হক দেওভোগে স্কুলের উন্নয়নে এগিয়ে এলেন মাসুদুজ্জামান বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের ১৮ বিচারক’কে অবসরে পাঠাল সরকার ‘হয়রানিমূলক মামলা ও গ্রেপ্তার ঠেকাতে’ ফৌজদারি কার্যবিধি সংশোধনের অধ্যাদেশ জারি যে কারনে পদায়নের ৭২ ঘন্টার মাথায় সোনারগাঁয়ের ওসি ক্লোজড শ্রীমঙ্গলে গৃহবধুর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ’জুয়াড়ি শাহজাহান’ খ্যাত কয়েদির মৃত্যু গাইবান্ধায় এসএসসিতে অকৃতকার্য: অভিমানে তিন ছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা, ২ জন প্রাণ হারালেন সুন্দরবনে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মাছ ধরার সময় ৩ ট্রলারসহ আটক ২৭ জেলে পলাশবাড়ীতে এসএসসিতে ফেলের শোকে ১৬ বছরের লাবণ্যের আত্মহত্যা গাইবান্ধার দুই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষায় শূন্য পাসের রেকর্ড শরণখোলায় সিএসও নেটওয়ার্কের সেবা মূল্যায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত টঙ্গীর শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকতসহ ৬ সহযোগী র‍্যাবের জালে পাকশীতে স্কুলছাত্রী রুপাকে অপহরণচেষ্টা ব্যর্থ, অভিযুক্ত নাইম পলাতক সুন্দরগঞ্জে ওএমএস ডিলার নিয়োগে অনিয়ম: বিক্ষোভে উত্তাল উপজেলা  কমলগঞ্জে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেটসহ আটক-২  সেফটিক ট্যাংকিতে ঢুকে ৪ জনের মৃত্যু,একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক নির্বাচনের আগে ডিসি-এসপিদের রদবদল হবে আজ এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ, যেভাবে রেজাল্ট দেখা যাবে ফের পুলিশের পাঁচ অতিরিক্ত ডিআইজিসহ ১৬ কর্মকর্তাকে বদলি সিদ্ধিরগঞ্জে ধনু হাজী খালের উভয় পাশে ৩’শ চারা রোপণ করলেন ডিসি রূপগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকান্ডের ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামী রাসেল র‍্যাবের জালে ফতুল্লায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরনসহ ৩ প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড কুলাউড়ার হাকালুকি হাওরে অবৈধ জাল ধ্বংস ও জরিমানা কুমারখালিতে সন্তানকে হত্যার হুমকি দিয়ে ভাবিকে ‘ধর্ষণ’, দেবর কারাগারে চাঁদপুরে ১৩৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড, দুর্ভোগ চরমে মৌলভীবাজারে অর্ধকোটি টাকার ভারতীয় পন্যসহ আটক-২ ভুল করে স্টেশনে নেমে ধর্ষণের শিকার কিশোরী, যুবক গ্রেপ্তার কুলাউড়া ট্রেন স্টেশনে ভূলবশত নেমে ধর্ষণের শিকার কিশোরী দীর্ঘ ৫১ বছরেও নামফলক নেই মুন্সীগঞ্জ জেলা স্টেডিয়ামের শরণখোলা বিএনপির কমিটির নির্বাচন নিয়ে বিরোধ এখন তুঙ্গে আবরার ফাহাদের দেখানো পথেই রাজনীতি করছে এনসিপি-নাহিদ কুতুবপুরে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ’সহ নবায়ন কর্মসূচীর উদ্বোধন লোকসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীনের মৃত্যুর গুজব, যা জানালেন স্বামী যেভাবে দেখা যাবে এসএসসি সমমানের পরীক্ষার ফল শরীয়তপুরের নবনিযুক্ত জেলা প্রশাসক তাহসিনা বেগম মিডিয়ার প্রতি হুমকি: জাতীয় প্রেস ক্লাবের উদ্বেগ সাংবাদিকদের হুমকি প্রদর্শন অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য: বিএফইউজে-ডিইউজের ‘গ্রিন এন্ড ক্লিন’ কর্মসূচির আওতায় ১ দিনে দেড় হাজার বৃক্ষরোপণ করলেন ডিসি নারায়ণগঞ্জ-০৫’র এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামানের মায়ের মৃত্যু বার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত সুন্দরবনে ১’শ ফুট মালা ফাঁদ উদ্ধার, হরিণ শিকারের চেষ্টা ব্যর্থ শ্রীমঙ্গলে চা বাগানে গাছে বাঁধা অবস্থা যুবকের মরদেহ উদ্ধার কমলগঞ্জে ব্যাটারীচালিত অটোরিক্সা চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক কুলাউড়ায় ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে যুবকের আ/ত্ম/হ/ত্যা মৌলভীবাজারে কিশোর গ্যাংয়ের ছয় সদস্য ছুরিসহ গ্রেপ্তার ২৪’র গণঅভ্যুত্থানকে কোনোভাবেই বেহাত হতে দেব না : নওগাঁয় নাহিদ ইসলাম গাজীপুরে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপির চার নেতা বহিষ্কার সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  বিএনপিতে অপকর্মকারীদের তালিকাসহ শুদ্ধি অভিযান শুরু আজ ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা জুড়িতে চা শ্রমিক দম্পতির বিষপানে আত্মহত্যা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অসুস্থ জামালউদ্দিন কালুর পাশে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রিয়া গোপের পরিবারের পাশে মাসুদুজ্জামান শরণখোলায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান উল্টে কিশোর জিহাদের করুণ মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কালেক্টরেট স্কুল তানজিন তিশার সন্তান দাবি করে ছবি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর ফের বড়লেখা সীমান্তে আটক-১০ শ্রীমঙ্গলে ডিবির অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক-১ বন্দরে মাসুদুজ্জামানের পক্ষ থেকে জুলাই আহত ও শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত বড়লেখা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক-২ কুষ্টিয়ায় গোরস্থা‌নে নেয়ার প‌থে গৃহবধূর লাশ আট‌কে দিল পু‌লিশ সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ মৌলভীবাজারে ডিবির পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ চাঁদপুরে ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেষ্টুরেন্ট, প্রশাসন রহস্যজনক নিশ্চুপ ফতুল্লায় ১৩ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি আজিম গ্রেপ্তার একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে: মোশারফ হোসেন আ’লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালো জনতা এসএসসির ফল প্রস্তুত: জানা গেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী চাকরিচ্যুত না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪ ১৪৪ বার পড়া হয়েছে

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ:

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

ভারতের গণতন্ত্র কোন পথে..?

আপডেট সময়- ০৫:৪৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪

 

দ্বিতীয় পর্ব:
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,দিল্লি
এর আগে বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের গণতন্ত্রের কাছে তিনটি বড় রকমের চ্যালেঞ্জের কথা লিখেছিলাম। আজ গণতন্ত্রের চতুর্থ এবং অন্যান্য কিছু সংকট তুলে ধরছি।
প্রথমটি হলো নির্বাচন শুরু হওয়ার ৬ মাস আগে থেকেই চাঁদা তোলার হিড়িক।
শুধু বৃহৎ শিল্পপতি,ব্যবসায়ীরাই নয়, পাইকারি এবং খুচরো বিক্রেতাদের কাছ থেকেও ভয় দেখিয়ে মোটা টাকা আদায় করা হয় সবকটি দলের পক্ষ থেকে। ফলে সেই চাঁদার অংক সাধারণ ক্রেতাদের কাছ থেকে সুদে আসলে তুলতে গিয়ে সমস্ত বাজারে বস্তুর দাম আঁকাশ ছোঁয়া হয়ে যায়। কলকাতায় দেখেছি নির্বাচনের দুমাস আগে যে সব্জির দাম ছিল কিলো প্রতি ২০ টাকা, নির্বাচনের সময় এবং পরে তারই দাম ১২০ টাকা। বেগুন ৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, আলু ২২ টাকা থেকে ৩০ টাকা, পেয়াঁজ ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকা, টমেটো ২০ টাকা থেকে ১২০ টাকা, ক্যাপ্সিকাম ৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা ছাড়াও আটা ময়দা,সুজি, ছাতু সহ ২০০ বস্তুর অগ্নিমূল্য মধ্যবিত্তের মাথায় হাত। মাথা থেকে হাত নামবেনা আগামী ৬ মাসেও।
এটাও গণতন্ত্রের অভিশাপ। রাজ্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থা নির্বাচারের আগে শাসক দলকে ৪৯০ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। ফলে বিদ্যুতের মাশুল ইউনিট প্রতি ৯.৫০ টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকেই।
ওদিকে কেন্দ্রের বিজেপির নেতৃত্বে এনডিএ সরকার অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করে এবং ব্যাপক হিন্দু ধর্মের প্রচার করেও ভোটারদের কাছে থেকে বড় রকমের প্রত্যাঘাত খেয়েছে। অযোধ্যাতেই বিজেপি প্রার্থী ভোটে হেরেছে। প্রায় ২০ টি তীর্থস্থানে বিজেপির প্রার্থী মুখ থুবড়ে পড়েছে। হিন্দু ধর্ম নিয়ে মোদি যতোটা আশাবাদী ছিলেন বাস্তব চিত্রটি ছিল উল্টো।
মুসলিমদের ৯৮ শতাংশ ভোটার ভোট দিতে ভিড় করেছেন এবারে। অপরদিকে হিন্দুদের ভোটাররা ভোটের কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন মাত্র ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ। মুসলিম ভোটাররা পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। মুর্শিদাবাদ এবং বহরমপুরে বরাবর কংগ্রেসের ঘাঁটিতে তৃনমূল জয়ী হয়েছে। কংগ্রেসের দীর্ঘ দিনের বাহুবলী ও জনপ্রিয় নেতা অধীর চৌধুরী এবারে পরাজিত হয়েছেন।
মুসলিমদের রণনীতি হলো একেক রাজ্যে একেকটি পার্টিকে ঢালাও ভোট শুধু বিজেপিকে হারানোর জন্য। উত্তর প্রদেশে  অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি, এবং রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস পার্টিকে, বিহারে লালু প্রসাদ যাদবের আর জে ডি দলকে, অসমে কংগ্রেসকে, মধ্যপ্রদেশে ও ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে, পাঞ্জাবে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টিকে ভোট ,দিয়েছেন তারা।
মিডিয়ার ভূমিকা: গণতন্ত্রের আরো একটি অভিশাপ হলো মিডিয়া। ভারতের অধিকাংশ মিডিয়া দ্বিধাবিভক্ত। কেন্দ্রে এবং বিভিন্ন রাজ্যে মিডিয়াকে ক্রীতদাস বানানোর চেষ্টা চলেছে। মিডিয়াকে ভিক্ষা দেওয়ার প্রতিযোগিতা চলেছে।টাকার জোরে ,বিজ্ঞাপনের জোরে, ও ভয় দেখিয়ে মিডিয়াকে বিক্রিত ও বিকৃত করা হয়েছে। নির্বাচনকালে মিথ্যা প্রচারের ফুলঝুড়ি ছুটেছে। ভোটারদের বিভিন্নভাবে বিভ্রান্ত করেছে এই মিডিয়া।
এই পাঁচটি ছাড়াও গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক আরো ঘটনা রয়েছে। ফলে এবারে ভোটের ফলাফলে আমূল পরিবর্তন এসেছে। কেন্দ্রে সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২ টি আসন। গতবার বিজেপি একাই সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়ে ৩০০ পার করেছিল।কার্যত অসম্ভব অহংকার ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে এবারে মোদি ঘোষনা করেছিলেন এই বার ৪০০ পার। কিন্তু বিজেপিকে থামতে হয়েছে মাত্র ২৪০ টি আসন নিয়ে। সহযোগী দলগুলি নিয়ে অবশ্যই এনডিএ সংখ্যা গরিষ্ঠ। কিন্তু সরকার গড়লেও মোদি কিন্তু এবারে স্থিতিশীল অবস্থায় থাকছেন না। সরকার চালাতে তাকে নির্ভর করতে হবে জনতা দল ইউনাইটেডের নেতা বিহারের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের তেলেগু দেশম পার্টির চন্দ্রবাবু নাইডুর উপর। মোদির আগের সেই বিষদাঁত ভেঙে গেছে। ইচ্ছেমত কাজ তিনি করতে পারবেন না। পদে পদে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ইতিমধ্যেই নীতিশ কুমার ও চন্দ্রবাবু নাইডু এক কথায় সর্ত আরোপ করে চলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক গুলির ওপর হাত বাড়িয়েছেন।
তবে যারা প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে জানেন তারা হতাশ হন নি। কারণ ভারতের গণতন্ত্রে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। যে গোষ্ঠীই সরকার গঠন করে পর্দার আড়ালে থাকা অন্যান্য দলগুলি মন্ত্রী মণ্ডলিতে স্থান পাওয়ার আশায় তাদের নিজেদের ভোটারদের আশা আকাঙ্ক্ষাকে জলাঞ্জলি দিয়ে উচ্ছিষ্ট নিতে এগিয়ে আসেন। নির্বাচনে বিজেপি বিরোধীতা করে ভোট নিয়েও শাসক দলে ভিড়ে যান। কোটি কোটি টাকার খেলাও চলে এসেছে দীর্ঘ বছর ধরে।
সামনেই লোকসভার অধিবেশন। জুলাইয়ের তৃতীয় সপ্তাহে। এবারে প্রায় অবলুপ্ত কংগ্রেস সঞ্জীবনী সুধা পান করে অনেক শক্তি অর্জন করেছে। কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর সঙ্গে রয়েছেন সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, বিহারের আর জে ডি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃনমূল কংগ্রেস। কাজেই অধিবেশনের শুরু থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠবে সংসদ। বিনা যুদ্ধে নাহি দিব সুচাগ্র মেদিনী ,এই মনোভাব নিয়েই এগোচ্ছে বিরোধীরা।
ক্রমশ: