ঢাকা ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাতের শঙ্কা, ঝুঁকিতে উপকূলীয় অঞ্চল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:২৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রতীকী ছবি:–

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যা দ্রুত ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই এটি ঘনীভূত হয়ে এই ঝড়ে রুপ নিতে পারে, যা ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলে মারাত্মকভাবে আঘাতে হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানতে পারে তা এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না, নিম্নচাপে রূপ নিলে তারপর বলা যাবে কোনদিকে যাবে। আজকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম ও আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিরঅনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের বরাত দিয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে যে কোন সময় বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে মারাত্মক ভাবে  আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পিছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থল ভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরবর্তীতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। ওই ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। ২০২০ সালের ২০ মে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বেশ বিধ্বংসী ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। তবে বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের এই মে মাসের ২৫ তারিখে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আইলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাতের শঙ্কা, ঝুঁকিতে উপকূলীয় অঞ্চল

আপডেট সময় : ০৭:২৪:৩১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

প্রতীকী ছবি:–

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হচ্ছে। যা দ্রুত ঘনীভূত হয়ে ধাপে ধাপে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে বলে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে।

ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে এর নাম হবে ‘রেমাল’। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, দু-এক দিনের মধ্যেই এটি ঘনীভূত হয়ে এই ঝড়ে রুপ নিতে পারে, যা ২৬ মে বাংলাদেশের উপকূলে মারাত্মকভাবে আঘাতে হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কোথায় আঘাত হানতে পারে তা এখনো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাচ্ছে না, নিম্নচাপে রূপ নিলে তারপর বলা যাবে কোনদিকে যাবে। আজকের মধ্যে বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম ও আশেপাশের এলাকায় একটি লঘুচাপ তৈরি হতে পারে।

অন্যদিকে ভারতের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, সাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টিরঅনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।

বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া মডেলের বরাত দিয়ে কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ে আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইডি গবেষক মোস্তফা কামাল বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ ২৬ মে সকাল ৬টার পর থেকে রাত ১২টার মধ্যে যে কোন সময় বরিশাল বিভাগের বরগুনা জেলা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজার জেলার মধ্যবর্তী উপকূলীয় এলাকার উপর দিয়ে স্থল ভাগে মারাত্মক ভাবে  আঘাত হানতে পারে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের অগ্রবর্তী অংশ উপকূলীয় এলাকায় প্রবেশ করা শুরু করতে পারে সকাল ৬টার পর থেকে। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করার সম্ভব্য সময় ২৬ মে দুপুর ১২টার পর থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে। ঘূর্ণিঝড় বৃত্তের পিছন দিকের অর্ধেক অংশ পুরোপুরি স্থল ভাগে প্রবেশ করতে রাত ১২টা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টি যদি জোয়ারের সময় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানা শুরু করে তবে বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় এলাকাগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে ৫ থেকে ১০ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় জেলাগুলোর উপকূলে আঘাতের সময় ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ একটানা গতিবেগ থাকতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার; যা দমকা হাওয়াসহ ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রসঙ্গে, সর্বশেষ ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছিল ঘূর্ণিঝড় মিগযাউম, যা পরবর্তীতে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ দিয়ে উপকূল অতিক্রম করে। ওই ঝড়ের তেমন কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি। ২০২০ সালের ২০ মে দেশের উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। বেশ বিধ্বংসী ছিল ঘূর্ণিঝড়টি। তবে বৃহত্তর ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিল দেশের উপকূল। এর আগে ২০০৯ সালের এই মে মাসের ২৫ তারিখে সুন্দরবনে আঘাত হেনেছিল প্রলয়ঙ্করী ঘুর্নিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস আইলা।