ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সীগঞ্জে দুটি ইউনিয়নে সারাবছরই বাঁশের সাঁকোতে হাজারো মানুষের যাতায়াত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ২৫ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সরাটি ব্রীজ।সেই ব্রীজের পূর্বপাশ ঘেঁষে খাড়া ঢালু পেরুলেই পূর্ব দিকে চলে গেছে কাঁচা মাটির একটি চিকন সড়ক।পশ্চিম দিকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর,মুন্সীকান্দি গ্রাম।আধারা সড়কের কাছে
ডুপসা ব্রীজের নিচ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকো।ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন সাঁকোটি পাড়ি দিয়ে দু”টি ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।এই এলাকার আধারা খালে ব্রীজ না থাকায় মানুষ সারাবছরই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।প্রথমে পায়ে হাঁটা তারপর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে ওঠা।এরপর প্রায় ১ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পর মানুষ আনন্দপুর গ্রামে পৌঁছাতে পারে।অপরদিকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পাড়ি দিয়েই ডুপসা উত্তর মহল্লার মানুষকে আরেকটি সাঁকো পাড়ি দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানান,আশপাশ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও আজও আনন্দ-
পুর,ঢালীকান্দিসহ পশ্চিমাঞ্চলের ৭/৮টি গ্রামে যাতায়াত ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। শুধুমাত্র আধারা খালে ছোট্ট একটি ব্রীজ নির্মাণ আর আনন্দপুর গ্রাম পর্যন্ত সড়কটি গাড়ী চলাচলের উপযোগী করা হলে এসব এলাকার মানুষ শত বছরের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতো বলেও জানান ভুক্তভোগী।
পথচারিরা।আনন্দপুর টু আধারা গামী মানুষের পশ্চিম-পূর্বে যাতায়াতে আধারা,ডুপসাসহ বহু গ্রামের মানুষকে প্রায় ৬/৭ টি বাঁশের সাঁকোর উপর নির্বর করতে হচ্ছে।তাছাড়া পায়ে হাঁটার পথ তো আছেই।ভূপসা,সরাটি থেকে আনন্দপুর গ্রামে
যাতায়াতে নেই কোন যান চলাচলের উপযোগী কোন সড়ক ব্যবস্থা।স্থানীয়দের অভিযোগ,জরুরি প্রয়োজনে এই সড়কটি পাড়ি দিয়ে আধারা ইউনিয়ন এবং মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে পাড়ি দিচ্ছে হচ্ছে একের পর এক সাঁকো।সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বছরের পর বছর এভাবেই যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার আনন্দপুর সড়কেসযাতায়াতকারী হাজারো মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ডুপসা গ্রাম পেরিয়ে পশ্চিম দিকের কাঁচা মাটির সড়কটির শেষ
মাথায় সরাটি ব্রীজ।সেই ব্রীজটির নিচ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো।সাঁকোটিতে উঠতে আবার নামতে ব্রীজের নিচের অংশটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।শিশু বৃদ্ধসহ সকল বয়সী মানুষ সাঁকোটি পাড়ি দিয়ে যাচ্ছে।শুধুমাত্র ২টি ছোট্ট ব্রীজ আর মাত্র ২ কিলোমিটারের রাস্তা পাকা করণে প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি কমে যেতো।তবে স্থানীয়রা বলছে,নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার কারণে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার কাংখিত উন্নয়ন হয়নি।যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষি,স্বাস্থ্য,শিক্ষাসহ আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে এই এলাকার হাজারো মানুষ।সাঁকো পাড়ি বৃদ্ধ আমজাদ মোল্লা
জানান,এই খালটি আগে নৌকায় পাড়ি দিতাম। খালটিতে ছিলো প্রচুর যোত।শিলই যেতে ব্রীজ হয়েছে।কিন্তু আধারা ইউনিয়নের এই অংশ থেকে আনন্দপুরসহ প্রায় ৬/৭ টি গ্রামে যাতায়াত করতে
সাঁকো পাড়ি দিতে হয়।তাছাড়া পায়ে হাঁটার রাস্তা তো আছেই।তিনি আরো জানান,বৃষ্টির সময় ব্রীজের নিচের ক্লাবগুলো ভেজা আর পিছলা থাকে।অনেক সময় সাঁকোতে উঠতে গিয়ে বহু লোক পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে।সাঁকো পাড়ি দিতে দিতে জীবনটাই
যেনো সাঁকোময় হয়ে গেছে।আধারা ইউনিয়ন থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে যাওয়া আসা করার জন্য এই খালে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা খুবই জরুরি। শুধু তাই নয় মাত্র ২/৩ টা ছোট্ট বিশ্বে আর কয়েক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এসব এলাকার মানুষের চলার পথের ভোগান্তি দূর করতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মুন্সীগঞ্জে দুটি ইউনিয়নে সারাবছরই বাঁশের সাঁকোতে হাজারো মানুষের যাতায়াত

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলার আধারা ইউনিয়নের সরাটি ব্রীজ।সেই ব্রীজের পূর্বপাশ ঘেঁষে খাড়া ঢালু পেরুলেই পূর্ব দিকে চলে গেছে কাঁচা মাটির একটি চিকন সড়ক।পশ্চিম দিকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের আনন্দপুর,মুন্সীকান্দি গ্রাম।আধারা সড়কের কাছে
ডুপসা ব্রীজের নিচ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ একটি বাঁশের সাঁকো।ঝুঁকি নিয়েই প্রতিদিন সাঁকোটি পাড়ি দিয়ে দু”টি ইউনিয়নের ১০ টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে।এই এলাকার আধারা খালে ব্রীজ না থাকায় মানুষ সারাবছরই বাঁশের সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করে আসছে।প্রথমে পায়ে হাঁটা তারপর ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোতে ওঠা।এরপর প্রায় ১ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পর মানুষ আনন্দপুর গ্রামে পৌঁছাতে পারে।অপরদিকে ঝুঁকিপূর্ণ সাঁকোটি পাড়ি দিয়েই ডুপসা উত্তর মহল্লার মানুষকে আরেকটি সাঁকো পাড়ি দিতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।স্থানীয়রা জানান,আশপাশ এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হলেও আজও আনন্দ-
পুর,ঢালীকান্দিসহ পশ্চিমাঞ্চলের ৭/৮টি গ্রামে যাতায়াত ব্যবস্থার তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। শুধুমাত্র আধারা খালে ছোট্ট একটি ব্রীজ নির্মাণ আর আনন্দপুর গ্রাম পর্যন্ত সড়কটি গাড়ী চলাচলের উপযোগী করা হলে এসব এলাকার মানুষ শত বছরের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা থেকে মুক্তি পেতো বলেও জানান ভুক্তভোগী।
পথচারিরা।আনন্দপুর টু আধারা গামী মানুষের পশ্চিম-পূর্বে যাতায়াতে আধারা,ডুপসাসহ বহু গ্রামের মানুষকে প্রায় ৬/৭ টি বাঁশের সাঁকোর উপর নির্বর করতে হচ্ছে।তাছাড়া পায়ে হাঁটার পথ তো আছেই।ভূপসা,সরাটি থেকে আনন্দপুর গ্রামে
যাতায়াতে নেই কোন যান চলাচলের উপযোগী কোন সড়ক ব্যবস্থা।স্থানীয়দের অভিযোগ,জরুরি প্রয়োজনে এই সড়কটি পাড়ি দিয়ে আধারা ইউনিয়ন এবং মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে পাড়ি দিচ্ছে হচ্ছে একের পর এক সাঁকো।সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় বছরের পর বছর এভাবেই যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার আনন্দপুর সড়কেসযাতায়াতকারী হাজারো মানুষ।সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে,ডুপসা গ্রাম পেরিয়ে পশ্চিম দিকের কাঁচা মাটির সড়কটির শেষ
মাথায় সরাটি ব্রীজ।সেই ব্রীজটির নিচ দিয়ে তৈরী করা হয়েছে একটি বাঁশের সাঁকো।সাঁকোটিতে উঠতে আবার নামতে ব্রীজের নিচের অংশটি বেশ ঝুঁকিপূর্ণ।শিশু বৃদ্ধসহ সকল বয়সী মানুষ সাঁকোটি পাড়ি দিয়ে যাচ্ছে।শুধুমাত্র ২টি ছোট্ট ব্রীজ আর মাত্র ২ কিলোমিটারের রাস্তা পাকা করণে প্রায় ১০ হাজার মানুষের ভোগান্তি কমে যেতো।তবে স্থানীয়রা বলছে,নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অবহেলার কারণে এসব এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার কাংখিত উন্নয়ন হয়নি।যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে কৃষি,স্বাস্থ্য,শিক্ষাসহ আধুনিকতার ছোঁয়া থেকে অনেকটা পিছিয়ে আছে এই এলাকার হাজারো মানুষ।সাঁকো পাড়ি বৃদ্ধ আমজাদ মোল্লা
জানান,এই খালটি আগে নৌকায় পাড়ি দিতাম। খালটিতে ছিলো প্রচুর যোত।শিলই যেতে ব্রীজ হয়েছে।কিন্তু আধারা ইউনিয়নের এই অংশ থেকে আনন্দপুরসহ প্রায় ৬/৭ টি গ্রামে যাতায়াত করতে
সাঁকো পাড়ি দিতে হয়।তাছাড়া পায়ে হাঁটার রাস্তা তো আছেই।তিনি আরো জানান,বৃষ্টির সময় ব্রীজের নিচের ক্লাবগুলো ভেজা আর পিছলা থাকে।অনেক সময় সাঁকোতে উঠতে গিয়ে বহু লোক পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে।সাঁকো পাড়ি দিতে দিতে জীবনটাই
যেনো সাঁকোময় হয়ে গেছে।আধারা ইউনিয়ন থেকে মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে যাওয়া আসা করার জন্য এই খালে একটি ব্রীজ নির্মাণ করা খুবই জরুরি। শুধু তাই নয় মাত্র ২/৩ টা ছোট্ট বিশ্বে আর কয়েক কিলোমিটার সড়ক নির্মাণ এসব এলাকার মানুষের চলার পথের ভোগান্তি দূর করতে পারে।