সর্বশেষ:-
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে বিধবা নারীর অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ ‘বসন্ত উৎসব’ শ্রীমঙ্গলে মিলন মেলায় পরিণত ‘যত দ্রুততম সম্ভব, এমনকি ডিসেম্বরেও হতে পারে নির্বাচন’- ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঈদের পর দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া না’গঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে পত্রিকা অফিসে হামলাসহ ভাঙচুরের অভিযোগ বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার তোপের মুখে অফিস ছাড়লেন পার্বতীপুরের ইউএনও রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়ার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় রূপগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট সহ পুলিশি অভিযান গ্রেপ্তার-৬ নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন  পটুয়াখালীতে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ মিরপুরে ট্রেনের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু  ঈশ্বরদীতে খোকনকে হারিয়ে গভীর ভাবে শোকাহত; জানাজায় জাকারিয়া পিন্টু মেহেরপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে তিনটি ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত,জরিমানাসহ মোটরসাইকেল জব্দ সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাসের অভিযানে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ রাইজার জব্দ নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচনে বদিউজ্জামান বদু প্যানেল বিজয়ী আমাদের লক্ষ্য এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা: রাজীব না’গঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টসহ পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-৪০ ভেড়ামারায় ৪ দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব মেলা শুরু  কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে তরুণ নিহত জুড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুন নূর গ্রেপ্তার  না’গঞ্জে কারাবন্দীদের সুস্থ বিনোদনে ব্যতিক্রমী আয়োজন  না’গঞ্জে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’র প্রকল্প পরিচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার  না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান ভেড়ামারায় লালন শাহ সেতুর ওপর ভয়াবহ ট্রাক দূর্ঘটনায় নিহত-১ সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় আ’লীগ নেতা নূর কামালের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার-২ না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত  না’গঞ্জ শহরের মীরজুমলা সড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে: এ্যাড. সাখাওয়াত কুষ্টিয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী নারী হত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ বড়লেখায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা কাদির গ্রেপ্তার আতঙ্কে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর এলাকা শ্রীরামপুর নারী-পুরুষশূন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক পুলিশ বাহিনীকে স্বচ্ছ,জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব করতে সংস্কারে ১৩ সুপারিশ পুলিশের এক ডিআইজি’সহ তিন পুলিশ সুপার (এসপি) গ্রেপ্তার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ডিবি হেফাজতে  বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মায়ের আঁচল’ সংগঠনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দৌলতপুরে বাক-প্রতিবন্ধী নারীর ঝুলন্ত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার  মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে  বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিব ইয়াবাসহ আটক  বিএনপির না’গঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণায় রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়া অনাড়ম্বর সংবর্ধিত বন্দরে বেপরোয়া আজমীর ওসমানের টি’বয় সন্ত্রাসী রাসেল কোথায় হাসিনা? কোথায় শামীম ওসমান? পালাব না বলেও পালিয়ে যায়: ডাঃ শফিকুর রহমান   শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ নিশ্চিহ্ন  নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা টেকনাফে বিজিবি-২’র বিশেষ অভিযানে চার লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার মৌলভীবাজারে ভেঙ্গে ফেলা হলো শেখ মুজিবের ম্যুরাল  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না’গঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নির্বাচিত হলেন যারা না’গঞ্জের আদালতপাড়ায় শেখ মুজিব কর্ণার-ম্যুরালসহ ভাস্কর্য ভাঙল বিএনপি আ’লীগের ঘোষিত কর্মসূচি’র প্রতিবাদে না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির  ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির বৈঠক ঈশ্বরদীতে হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ আসামি খালাস শ্রীমঙ্গল বাইপাস সড়কের ৩৫৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন বন্দরে আ’লীগের লিফলেট বিতরনের প্রতিবাদে বিএনপির মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ সীমান্তে ভারতীয়দের দ্বারা খুন হওয়া পরিবারটি আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া বাউফলে ছাত্রদল নেতার হাতে হেনস্তার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা না’গঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের অভিযান না’গঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকের দূর্নীতি তদন্তে দুদকের অভিযান রূপগঞ্জে তারুণ্যর উচ্ছ্বাসের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের না’গঞ্জ কমিটির মুখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন পটুয়াখালী মেডিকেলে চান্স পাওয়া তামান্নার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে বদু প্যানেল বিজয়ী কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে ছুড়িকাঘাতে যুবককে হত্যা  সরস্বতী দেবীকে বিদায়ের মধ্যে দিয়ে পঞ্চমী তিথি পূর্ন হলো না’গঞ্জে আ’লীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে ওয়ার্ড সভাপতিসহ গ্রেপ্তার-৪ কথিত প্রেমিকের প্রতিবেশির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সুবা’সহ প্রেমিককে ঝাউদিয়া থানার দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ টেকনাফে বিজিবি-২’র অভিযানে এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার শরীয়তপুরে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪ সাংবাদিক সিদ্ধিরগঞ্জে ”নীট কনসার্ন” কাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভসূচনা  সিদ্ধিরগঞ্জে বাইক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী বশির ডাকাত গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাসহ ফ্যামিলি স্পোর্টস ডে অনুষ্ঠিত শীতে প্রশান্তিতে ঘুরতে মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মা নদী শুকিয়ে চৌচির হয়ে হারিয়েছে জৌলুস  বক্তাবলীতে ইটের ভাটায় জেলা প্রশাসনের অভিযান; ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বাউফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কুষ্টিয়ায় নিষিদ্ধ সেই চার ইটের ভাটা ফের গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে মামুন মাহমুদকে আহবায়ক করে না’গঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৫ সদস্য কমিটি ঘোষণা বিশ্বের বয়স্ক পুরুষ রাম সিং শ্রীমঙ্গলে তারুন্যের পিঠা উৎসবে রকমারি পিঠা গ্রামবাংলা ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়: ডিসি তাদের স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে: জেলা প্রশাসক  আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ বাউফলে যুবদল নেতার বাধায় ৭২ ঘণ্টা পর লাশ দাফন মধ্যরাতে চট্টগ্রামের নেভি হল ঘেরাও, আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল আটক মাদারীপুরে আওয়ামীলীগ কর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জের শীতলক্ষ্যায় বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি রূপগঞ্জে নব-কিশোলয় স্কুল এন্ড কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন শ্রীমঙ্গলে রেস্ট হাউসে পুলিশের অভিযান; নগদ অর্থসহ ৯ জুয়াড়ি আটক  শ্রীমঙ্গলে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বাজিমাত রায়হানের  বাউফলে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পর্দা নামলো জুমার নামাজ ঘিরে ইজতেমা ময়দানমুখী লাখো মুসল্লির ঢল কুষ্টিয়ায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা নারীসহ নিহত-২ ধান-বেগুন-ঢেরস ও গমকে পঞ্চব্রীহি জাতের ধানে রুপান্তরিত  শ্রীমঙ্গলে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার জনস্বার্থে যানজট নিরসনসহ নির্মল চলাচলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের গণবিজ্ঞপ্তি জারি কুষ্টিয়ায় ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় তিন বখাটেকে পুলিশে দিল শিক্ষক

বাঙালিকে ধর্মের আফিম খাইয়ে দূর্বল ও ধ্বংস করা হয়েছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
~প্রতিকী ছবি>>
তারই ধারাবাহিকতায় বারবার বাংলাকে টুকরো করা হয়েছে..!
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অবিভক্ত ভারতের অর্ধেক জুড়েই ছিল বাঙালির বিস্তীর্ণ ভূমি। আজকের দুই বাংলা, বিহার,আসাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাঙালির প্রগতি, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে প্রথম ব্রিটিশ শাসক বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে  চিহ্নিত। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বিস্তীর্ণ প্রদেশে শাসন ব্যবস্থার উন্নতির একটি উপায় হিসেবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন। ১৭৬৫  সাল থেকে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যা একটি ঐক্যবদ্ধ অঞ্চল ছিল, কিন্তু ১৯০০ সাল নাগাদ এর আয়তন নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
বঙ্গভঙ্গের পটভূমি>>
বাংলা, প্রদেশের মধ্যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, বাংলাদেশ এবং আসাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিশাল বাংলা ১৭৬৫ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।
প্রদেশটি তার বৃহৎ আকার এবং দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
বাংলার পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকাগুলি শিল্প, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ উন্নয়ন ছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে।
লর্ড কার্জন ভারতে আসার আগেই প্রশাসনিক সুবিধার জন্য প্রদেশটিকে বিভক্ত করার ধারণাটি বিদ্যমান ছিল। ১৮৭৪  সালে আসামকে পৃথক করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, কার্জন একটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসাবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু পরে এটিকে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করার একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে দেখেছিলেন।
তার প্রস্তাবিত বিভাজনের ফলে দুটি প্রদেশ হবে: বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহার সহ) এবং দ্বিতীয়টি পূর্ববঙ্গ ও আসাম।
বাংলা কেন্দ্রীয় প্রদেশের কাছে পাঁচটি হিন্দি-ভাষী রাজ্য হারাবে কিন্তু একই অঞ্চল থেকে ওড়িয়া-ভাষী রাজ্যগুলি পাবে।
পূর্ব বাংলায় পার্বত্য ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং ঢাকা বিভাগ থাকবে যার রাজধানী হবে ঢাকা।
বাংলায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, আর পূর্ব বাংলা এবং আসামে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। কলকাতা থাকবে  বাংলার রাজধানী। পূর্ব বাংলার রাজধানী হবে ঢাকা।
লর্ড কার্জনের ফর্মুলা অনুযায়ী গায়ের জোরে বাংলাকে প্রথম দু টুকরো করা হলো।
বঙ্গভঙ্গের কারণ>>
১৯০৫  সালে, ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসক লর্ড কার্জন ১৬  অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করেন। এই বিভাজনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান অশান্তির ফলে বাঙালিকে দুর্বল করা। যদিও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থার সুবিধার কথা।  বাংলা, একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার একটি বিশাল প্রদেশ হওয়ায়, পূর্বাঞ্চলে আরও সুগম ও দক্ষ শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য বিভক্ত করা হয়েছিল।এই বিভাজনের ফলে তীব্র বিক্ষোভের সূচনা হয়।
বাংলা বিভাগ সমগ্র অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল।
বাঙালিরা বিভক্তিকে তাদের দেশের অপমান হিসেবে দেখে এবং বাংলার পুনর্মিলনের আহ্বান জানায়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, সেই সময়ের একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠন, জাতিগত ভিত্তিতে বিভাজনের নিন্দা করেছিল।
প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিল কারণ এটি তাদের প্রদেশের মধ্যে একটি ভাষাগত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।
অনেক বাঙালি মুসলমান দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন , কারণ তারা বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি নতুন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তাদের শিক্ষাগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লর্ড কার্জনের প্রতিশ্রুতি মুসলমানদের জন্য তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
বঙ্গভঙ্গকে ব্রিটিশ সরকার তাদের “ভাগ করো এবং শাসন করো”  অর্থাৎ ” Divide  and Rule” কৌশল বাস্তবায়নের জন্য নিযুক্ত একটি কৌশল হিসাবে গ্রহণ করেছিল, যা বাঙালি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে দেশপ্রেমিক অনুভূতিকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
 তারপর থেকেই বাঙালিকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এক স্থান থেকে ভিন্ন স্থানে ধাক্কা দিতে দিতে দুর্বল ও আরো বিভাজনের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে। শুধু আসাম,বিহার, ত্রিপুরা ওড়িশাই নয়, এর বাইরেও ছোট্ট অবিভক্ত বাংলাকে ব্রিটিশের পদ লেহানকারী  জওহারলাল নেহরু, কায়েদি আজম জিন্নাহ ও গান্ধী ধারালো ধর্মের করাত দিয়ে দুটুকরো করলেন। বাঙালির মেরুদন্ডকে ভেঙে দেওয়া হলো। বাঙালির পরিচয় আর বাঙালি হিসাবে রইলো না। বাঙালি হিন্দু,বাঙালি মুসলমান। রাম এবং রহিমের মধ্যে লড়াই। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যেন একটা প্রাচীর ঘেরা হলো।
ছোট বেলায় যে চাচার কোলে বসে আম খেয়েছি, যে চাচা আমাদের বাড়িতে এসে ঢেঁকি শাক, লাউ শাক দিয়ে গেছেন। অঙ্গনে বসে দৈ চিড়া খেয়ে গেছেন,সেই মুসলিম চাচা ও হিন্দু ভাতিজার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। গ্রামের হাটখোলার অদূরে বিকালের স্তব্ধ পরিবেশকে প্রাঞ্জল করে যখন আজানের শব্দ কানে আসতো, তখন মসজিদের আসে পাশে রোহন, আসিফের সঙ্গে আমরা ঘুরতাম। আমাদের চা বাগানের দুর্গা ও কালী মূর্তি তৈরি করতেন রহমত আলী চাচা। পুজোয় আসতেন পরিবার নিয়ে।কেউ আপত্তি তোলেনি। কিন্তু ক্রমশ একশ্রেনীর ব্রাহ্মণ ও মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এমন নেশাগ্রস্ত করে দিলেন,যার জন্য আজো ফেলে আসা নিজের মাটির জন্য চোখ ফেলা হিন্দু বাঙালিকে শুনতে হচ্ছে, জমি গেছে,ভিটে গেছে,  বিভক্ত বাঙালি হিন্দুর পুরোহিতের গলা কাটা হচ্ছে। মহিলাদের গনিমতের মাল করা হচ্ছে। মন্দির পুড়ছে,মূর্তি ভাঙচুর হচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে বাঙালি শুধু দু টুকরোই হয়নি, নিজেরাও একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে।
দুই বাংলা যদি ভাগ না হতো তাহলে জনসংখ্যার এবং আয়তনের বিচারে ভারতে বাংলার লোকসভা আসনের সংখ্যা ১০০ হয়ে যেতো। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা ৮০ টি। তাই ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের আসল চাবিকাঠি। এটা অবিভক্ত ভারত হলে বাঙালি ভারতে প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হতেন। আর সেটিকে চিরকালের জন্য রুখে দিতে  উত্তর প্রদেশের জওহরলাল নেহরু বাঙালিকে কেটেছিলেন। হায়রে বাঙালি সেই চক্রান্ত ধরতে পারে নি ধর্মের কালো চশমা পড়ায়। ঠিক পাকিস্তানও একই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্বেও শাসন ক্ষমতা তুলে দেয় নি। নির্মম অত্যাচার করে ইসলামকে কলুষিত করেছে।
বাঙালি তবুও জাগবে না। হিন্দু ,মুসলীম বাঙালির পরিচয়ে স্বত্বা ও আসল অস্তিত্ব হারাতে চলেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাঙালিকে ধর্মের আফিম খাইয়ে দূর্বল ও ধ্বংস করা হয়েছে

আপডেট সময়- ০৬:৫৮:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
~প্রতিকী ছবি>>
তারই ধারাবাহিকতায় বারবার বাংলাকে টুকরো করা হয়েছে..!
মানস বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
অতীতের ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় অবিভক্ত ভারতের অর্ধেক জুড়েই ছিল বাঙালির বিস্তীর্ণ ভূমি। আজকের দুই বাংলা, বিহার,আসাম, ওড়িশা, ত্রিপুরা বাংলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। বাঙালির প্রগতি, বুদ্ধিমত্তার পরিচয় পেয়ে প্রথম ব্রিটিশ শাসক বাঙালির বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গ চক্রান্ত ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের তীব্র বিরোধিতার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে  চিহ্নিত। ব্রিটিশ ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন বিস্তীর্ণ প্রদেশে শাসন ব্যবস্থার উন্নতির একটি উপায় হিসেবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন। ১৭৬৫  সাল থেকে বাংলা, বিহার এবং উড়িষ্যা একটি ঐক্যবদ্ধ অঞ্চল ছিল, কিন্তু ১৯০০ সাল নাগাদ এর আয়তন নিয়ন্ত্রণের অযোগ্য হয়ে পড়ে।
বঙ্গভঙ্গের পটভূমি>>
বাংলা, প্রদেশের মধ্যে বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, বাংলাদেশ এবং আসাম অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই বিশাল বাংলা ১৭৬৫ সাল থেকে ব্রিটিশ শাসনের অধীনে ছিল।
প্রদেশটি তার বৃহৎ আকার এবং দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার কারণে প্রশাসনের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে।
বাংলার পূর্বাঞ্চলের গ্রামীণ এলাকাগুলি শিল্প, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থানের দিক থেকে অবহেলিত ছিল। কিন্তু বেশির ভাগ উন্নয়ন ছিল কলকাতাকে কেন্দ্র করে।
লর্ড কার্জন ভারতে আসার আগেই প্রশাসনিক সুবিধার জন্য প্রদেশটিকে বিভক্ত করার ধারণাটি বিদ্যমান ছিল। ১৮৭৪  সালে আসামকে পৃথক করা হয়েছিল।
প্রাথমিকভাবে, কার্জন একটি সম্পূর্ণ প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসাবে বিভাজনের প্রস্তাব করেছিলেন কিন্তু পরে এটিকে ক্রমবর্ধমান জাতীয়তাবাদকে দুর্বল করার একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসাবে দেখেছিলেন।
তার প্রস্তাবিত বিভাজনের ফলে দুটি প্রদেশ হবে: বাংলা (পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং বিহার সহ) এবং দ্বিতীয়টি পূর্ববঙ্গ ও আসাম।
বাংলা কেন্দ্রীয় প্রদেশের কাছে পাঁচটি হিন্দি-ভাষী রাজ্য হারাবে কিন্তু একই অঞ্চল থেকে ওড়িয়া-ভাষী রাজ্যগুলি পাবে।
পূর্ব বাংলায় পার্বত্য ত্রিপুরা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী এবং ঢাকা বিভাগ থাকবে যার রাজধানী হবে ঢাকা।
বাংলায় হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে, আর পূর্ব বাংলা এবং আসামে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। কলকাতা থাকবে  বাংলার রাজধানী। পূর্ব বাংলার রাজধানী হবে ঢাকা।
লর্ড কার্জনের ফর্মুলা অনুযায়ী গায়ের জোরে বাংলাকে প্রথম দু টুকরো করা হলো।
বঙ্গভঙ্গের কারণ>>
১৯০৫  সালে, ভারতে ব্রিটিশ প্রশাসক লর্ড কার্জন ১৬  অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করেন। এই বিভাজনের পিছনে মূল উদ্দেশ্য ছিল বাঙালির নেতৃত্বে ক্রমবর্ধমান অশান্তির ফলে বাঙালিকে দুর্বল করা। যদিও প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছে প্রশাসনিক শাসন ব্যবস্থার সুবিধার কথা।  বাংলা, একটি উল্লেখযোগ্য জনসংখ্যার একটি বিশাল প্রদেশ হওয়ায়, পূর্বাঞ্চলে আরও সুগম ও দক্ষ শাসন কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য বিভক্ত করা হয়েছিল।এই বিভাজনের ফলে তীব্র বিক্ষোভের সূচনা হয়।
বাংলা বিভাগ সমগ্র অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বিরোধিতার সম্মুখীন হয়েছিল।
বাঙালিরা বিভক্তিকে তাদের দেশের অপমান হিসেবে দেখে এবং বাংলার পুনর্মিলনের আহ্বান জানায়।
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, সেই সময়ের একটি বিশিষ্ট রাজনৈতিক সংগঠন, জাতিগত ভিত্তিতে বিভাজনের নিন্দা করেছিল।
প্রদেশের পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাঙালিরা এই পরিবর্তনের বিরোধিতা করেছিল কারণ এটি তাদের প্রদেশের মধ্যে একটি ভাষাগত সংখ্যালঘুতে পরিণত হবে।
অনেক বাঙালি মুসলমান দেশভাগকে সমর্থন করেছিলেন , কারণ তারা বিশ্বাস করেছিলেন যে এটি নতুন প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে তাদের শিক্ষাগত, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক স্বার্থকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।
ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য লর্ড কার্জনের প্রতিশ্রুতি মুসলমানদের জন্য তাদের শিক্ষা ও জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের একটি সুযোগ হিসেবে দেখা হয়েছিল।
বঙ্গভঙ্গকে ব্রিটিশ সরকার তাদের “ভাগ করো এবং শাসন করো”  অর্থাৎ ” Divide  and Rule” কৌশল বাস্তবায়নের জন্য নিযুক্ত একটি কৌশল হিসাবে গ্রহণ করেছিল, যা বাঙালি এবং জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে দেশপ্রেমিক অনুভূতিকে দুর্বল করে দিয়েছিল।
 তারপর থেকেই বাঙালিকে বিভিন্ন জাতি গোষ্ঠী এক স্থান থেকে ভিন্ন স্থানে ধাক্কা দিতে দিতে দুর্বল ও আরো বিভাজনের দিকে ঠেলে নিয়ে গেছে। শুধু আসাম,বিহার, ত্রিপুরা ওড়িশাই নয়, এর বাইরেও ছোট্ট অবিভক্ত বাংলাকে ব্রিটিশের পদ লেহানকারী  জওহারলাল নেহরু, কায়েদি আজম জিন্নাহ ও গান্ধী ধারালো ধর্মের করাত দিয়ে দুটুকরো করলেন। বাঙালির মেরুদন্ডকে ভেঙে দেওয়া হলো। বাঙালির পরিচয় আর বাঙালি হিসাবে রইলো না। বাঙালি হিন্দু,বাঙালি মুসলমান। রাম এবং রহিমের মধ্যে লড়াই। বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলাম এবং বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্যে যেন একটা প্রাচীর ঘেরা হলো।
ছোট বেলায় যে চাচার কোলে বসে আম খেয়েছি, যে চাচা আমাদের বাড়িতে এসে ঢেঁকি শাক, লাউ শাক দিয়ে গেছেন। অঙ্গনে বসে দৈ চিড়া খেয়ে গেছেন,সেই মুসলিম চাচা ও হিন্দু ভাতিজার সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। গ্রামের হাটখোলার অদূরে বিকালের স্তব্ধ পরিবেশকে প্রাঞ্জল করে যখন আজানের শব্দ কানে আসতো, তখন মসজিদের আসে পাশে রোহন, আসিফের সঙ্গে আমরা ঘুরতাম। আমাদের চা বাগানের দুর্গা ও কালী মূর্তি তৈরি করতেন রহমত আলী চাচা। পুজোয় আসতেন পরিবার নিয়ে।কেউ আপত্তি তোলেনি। কিন্তু ক্রমশ একশ্রেনীর ব্রাহ্মণ ও মোল্লারা ধর্মের অপব্যাখ্যা করে এমন নেশাগ্রস্ত করে দিলেন,যার জন্য আজো ফেলে আসা নিজের মাটির জন্য চোখ ফেলা হিন্দু বাঙালিকে শুনতে হচ্ছে, জমি গেছে,ভিটে গেছে,  বিভক্ত বাঙালি হিন্দুর পুরোহিতের গলা কাটা হচ্ছে। মহিলাদের গনিমতের মাল করা হচ্ছে। মন্দির পুড়ছে,মূর্তি ভাঙচুর হচ্ছে। তাই মনে হচ্ছে বাঙালি শুধু দু টুকরোই হয়নি, নিজেরাও একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে।
দুই বাংলা যদি ভাগ না হতো তাহলে জনসংখ্যার এবং আয়তনের বিচারে ভারতে বাংলার লোকসভা আসনের সংখ্যা ১০০ হয়ে যেতো। বর্তমানে উত্তর প্রদেশের আসন সংখ্যা ৮০ টি। তাই ভারতীয় রাজনীতিতে উত্তর প্রদেশের আসল চাবিকাঠি। এটা অবিভক্ত ভারত হলে বাঙালি ভারতে প্রধান মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হতেন। আর সেটিকে চিরকালের জন্য রুখে দিতে  উত্তর প্রদেশের জওহরলাল নেহরু বাঙালিকে কেটেছিলেন। হায়রে বাঙালি সেই চক্রান্ত ধরতে পারে নি ধর্মের কালো চশমা পড়ায়। ঠিক পাকিস্তানও একই ফর্মুলা অনুযায়ী কাজ করেছিল। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাকিস্তানের সংসদে সংখ্যা গরিষ্ঠ সদস্য নির্বাচনে জয়ী হওয়া সত্বেও শাসন ক্ষমতা তুলে দেয় নি। নির্মম অত্যাচার করে ইসলামকে কলুষিত করেছে।
বাঙালি তবুও জাগবে না। হিন্দু ,মুসলীম বাঙালির পরিচয়ে স্বত্বা ও আসল অস্তিত্ব হারাতে চলেছে।