ঢাকা ১২:৫১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১০২ কি.মি. বেগে পটুয়াখালীতে আঁছড়ে পড়ল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে

 

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখন পর্যন্ত বরিশালে পটুয়াখালীর উপকূলে সর্বোচ্চ ১০২ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় এর গতি ঘন্টায় ৯০ থেকে ১১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে।

সোমবার (২৭ মে) রাত ২টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এসকল তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আশা করছি ১০২ কিলোমিটার ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ক্রমান্বয়ে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। রেমাল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম শুরু করে। বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগুচ্ছে।

এদিকে সোমবার (২৭ মে) রাতে আবহাওয়ার ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ (৪৪-৬৮ মিমি/২৪ ঘণ্টায়) থেকে অতি ভারী (১৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টায়) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঘূর্ণিঝড় রেমাল ১০২ কি.মি. বেগে পটুয়াখালীতে আঁছড়ে পড়ল

আপডেট সময় : ০৫:২০:৩৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

 

সমকালীন কাগজ ডেস্ক।।

 

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এখন পর্যন্ত বরিশালে পটুয়াখালীর উপকূলে সর্বোচ্চ ১০২ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে, এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হওয়ায় এর গতি ঘন্টায় ৯০ থেকে ১১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠানামা করতে পারে।

সোমবার (২৭ মে) রাত ২টায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ ব্রিফিংয়ে আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক এসকল তথ্য জানান।

তিনি বলেন, আশা করছি ১০২ কিলোমিটার ঘূর্ণিঝড় রেমালের সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে। ঘূর্ণিঝড় রেমাল প্রবল শক্তি নিয়ে উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রে ক্রমান্বয়ে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। রেমাল কেন্দ্র রাত ৯টায় উপকূল অতিক্রম শুরু করে। বাগেরহাটের মোংলা ও পটুয়াখালীর খেপুপড়া এবং পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ১৮ কিলোমিটার গতিতে এগুচ্ছে।

এদিকে সোমবার (২৭ মে) রাতে আবহাওয়ার ১৬ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এছাড়াও খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরগুলোকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ (৪৪-৬৮ মিমি/২৪ ঘণ্টায়) থেকে অতি ভারী (১৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টায়) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।