আদালত অবমাননার দায়ে পটুয়াখালীর ডিসিকে তলব
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৮:১৪:০৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪ ২৬ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
ছবি/সংগৃহীত: পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নূর কুতুবুল আলম
হাইকোর্টের আদেশ প্রতিপালন না করা সহ গড়িমসি করায় পটুয়াখালীর ডিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনে তলব..!
অনলাইন ডেস্ক।।
বিজ্ঞ আদালত অবমাননার অভিযোগে পটুয়াখালীর দায়িত্বরত জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নূর কুতুবুল আলমকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৭ মে তাকে সশরীরে বিজ্ঞ আদালতে উপস্থিত হয়ে সঠিক এবং উপযুক্ত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বিজ্ঞ আদালত অবমাননা সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি নিয়ে রবিবার (১২ মে) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বজলুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আবেদনের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট পীরজাদা সৈয়দ আবু হানিফা ইবনে জামাল মো. আলম। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এম এম জি সারোয়ার (পায়েল)।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, পটুয়াখালী সদরের চরজৈনকাঠী মৌজায় (খ) তফসিলভুক্ত ২১.৭৪ একর জমি নিয়ে ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিচারিক আদালতের রায়ের পর ২১ নভেম্বর ডিক্রিতে স্বাক্ষর করা হয়।
এ রায় ও ডিক্রির নথিপত্র দিয়ে ভূমি অফিসের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে গেলে ওই কর্মকর্তা জানান, জেলা প্রশাসকের (ডিসি) অনুমোদন ছাড়া জমা খারিজ খতিয়ান খুলতে পারবেন না বলে অস্বীকৃতি জানান।
এর পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৩০ মার্চ পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) বরাবর জমা খারিজ অনুমোদন চেয়ে আবেদন করা হয়। তবে জেলা প্রশাসক সেই আবেদন নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে আবেদন জানানো হয়।
ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট ২০২৩ সালের ৮ নভেম্বর আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে ডিসিকে ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয় এবং রুলও জারি করা হয়।
তবে সেই আবেদন নিষ্পত্তির বিষয়ে জেলা প্রশাসক গড়িমসি করলে প্রীতম মুখার্জী ও অন্যরা হাইকোর্টে পৃথক আরেকটি আবেদন জানান।
পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর হাইকোর্ট তার আদেশে ডিসিকে আবেদন নিষ্পত্তির জন্য পুনরায় আদেশ দেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়। পাশাপাশি রুলও জারি করেন আদালত।
এদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গত ৮ মে জেলা প্রশাসককে আদেশের বিষয়টি অবগত করেন। তবে জেলা প্রশাসক বলেন, পরে এ আবেদন নিষ্পত্তি করা হবে।
এরপরও বিজ্ঞ আদালতের আদেশ প্রতিপালন না করে গড়িমসি করায় ডিসির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি নিয়েই পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক (ডিসি) কে তলব করলেন হাইকোর্ট।