ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

সাজার ৩ মাস পেরোলেও রহস্যজনক অধরা হেলেনা জাহাঙ্গীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩ ৯৬ বার পড়া হয়েছে

ডেস্ক রিপোর্ট।।

 

 

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ৩ মাস আগে প্রতারণার মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত। মামলা চলাকালে কয়েকদিন আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

এর ফলে রায় ঘোষণার দিন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত। তবে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও এখনো রহস্যজনক কারনে অধরা হেলেনা জাহাঙ্গীর। যদিও পুলিশ বলছে, হেলেনা জাহাঙ্গীকে খুঁজছে তারা। পেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের গ্রেফতারি পরোয়ানা গত ২ এপ্রিল আদালত থেকে গুলশান থানায় পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানার নম্বর- ৩৮২৬।

এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিএম ফরমান আলী জানান, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আমাদের থানায় একটা গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তাকে পেলেই ধরে ফেলবো।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে প্রতারক হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সবাইকে দুই হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন,জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।
আদালতে রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় কারনে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেদিন অন্য ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সংবাদকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ সংগ্রহ করে রাষ্ট্রকে সহায়তা করে চলেছেন। এই পেশায় নিয়োজিত মফস্বল শহরের সাংবাদিকরা অনেক ক্ষেত্রে কম পারিশ্রমিকে কাজ করে থাকেন।
অনেক ক্ষেত্রেই তারা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ ও পেশার প্রতি ভালোবাসা থেকে এই কাজ করেন। এ অবস্থায় সম্প্রচারের অনুমোদন ছাড়াই ‘জয়যাত্রা টিভি’ নিজেদের আইপি বা স্যাটেলাইট টিভি উল্লেখ করে সংবাদকর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর সংবাদকর্মী নিয়োগ করে এবং তাদের থেকে যে জামানত ও মাসিক চাঁদা আদায় করেছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞ বিচারক আরও বলেন, জয়যাত্রা টিভি বাংলাদেশ সরকার থেকে সম্প্রচারের অনুমোদন না নিয়েই স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিসেবে প্রচার করে সংবাদকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়।যা আইন বিরোধী।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্থানীয় সংবাদকর্মী ও বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে তাদের থেকে জামানত ও চাঁদা আদায় করেছে। সম্প্রচারের অনুমোদন ছাড়া ‘জয়যাত্রা’ টেলিভিশন হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে তিনি কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাজার ৩ মাস পেরোলেও রহস্যজনক অধরা হেলেনা জাহাঙ্গীর

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্ট।।

 

 

আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হেলেনা জাহাঙ্গীরকে ৩ মাস আগে প্রতারণার মামলায় দুই বছরের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিজ্ঞ আদালত। মামলা চলাকালে কয়েকদিন আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার দিন তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

এর ফলে রায় ঘোষণার দিন তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত। তবে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি থাকলেও এখনো রহস্যজনক কারনে অধরা হেলেনা জাহাঙ্গীর। যদিও পুলিশ বলছে, হেলেনা জাহাঙ্গীকে খুঁজছে তারা। পেলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।

বিতর্কিত হেলেনা জাহাঙ্গীরের গ্রেফতারি পরোয়ানা গত ২ এপ্রিল আদালত থেকে গুলশান থানায় পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারি পরোয়ানার নম্বর- ৩৮২৬।

এ বিষয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিএম ফরমান আলী জানান, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আমাদের থানায় একটা গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে, তাকে পেলেই ধরে ফেলবো।

প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে প্রতারক হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের দুই বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি সবাইকে দুই হাজার টাকা করে অর্থদন্ড করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাদের আরও দুই মাসের কারাভোগ করতে হবে।

দণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন,জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।
আদালতে রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় কারনে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। সেদিন অন্য ৩ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেন, সংবাদকর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ সংগ্রহ করে রাষ্ট্রকে সহায়তা করে চলেছেন। এই পেশায় নিয়োজিত মফস্বল শহরের সাংবাদিকরা অনেক ক্ষেত্রে কম পারিশ্রমিকে কাজ করে থাকেন।
অনেক ক্ষেত্রেই তারা রাষ্ট্রের প্রতি দায়িত্ববোধ ও পেশার প্রতি ভালোবাসা থেকে এই কাজ করেন। এ অবস্থায় সম্প্রচারের অনুমোদন ছাড়াই ‘জয়যাত্রা টিভি’ নিজেদের আইপি বা স্যাটেলাইট টিভি উল্লেখ করে সংবাদকর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরপর সংবাদকর্মী নিয়োগ করে এবং তাদের থেকে যে জামানত ও মাসিক চাঁদা আদায় করেছেন তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রায়ের পর্যবেক্ষণে বিজ্ঞ বিচারক আরও বলেন, জয়যাত্রা টিভি বাংলাদেশ সরকার থেকে সম্প্রচারের অনুমোদন না নিয়েই স্যাটেলাইট টেলিভিশন হিসেবে প্রচার করে সংবাদকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয়।যা আইন বিরোধী।
একই সঙ্গে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার স্থানীয় সংবাদকর্মী ও বিদেশে প্রতিনিধি নিয়োগ দিয়ে তাদের থেকে জামানত ও চাঁদা আদায় করেছে। সম্প্রচারের অনুমোদন ছাড়া ‘জয়যাত্রা’ টেলিভিশন হিসেবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা খাতুন, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০/১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে তিনি কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এরপর ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন দণ্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।