এশিয়ার একমাত্র ক্ষমতাশীল লৌহমানবী শেখ হাসিনা: দ্য ইকোনমিস্ট
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৫:২৪:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ মে ২০২৩ ১১৩ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এশিয়ার লৌহমানবী হিসেবে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ ‘দ্য ইকোনমিস্ট’ নামে একটি সাময়িকী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একান্ত একটি সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে গণমাধ্যমটি। এসময় মার্গারেট থ্যাচার ও ভারতের ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে তাকে তুলনা করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ক্ষমতায় থাকা একমাত্র নারী সরকার প্রধান।
প্রায় দুই দশক সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকে তিনি বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের দারিদ্র্য বিমোচনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ৭৫ বছর বয়সি শেখ হাসিনার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরপর তিন নির্বাচনে নিরংকুশ জয়লাভ করেছে। সব মিলিয়ে চারটি, যা ইন্দিরা গান্ধী বা মার্গারেট থ্যাচারের চেয়েও বেশি। আগামী বছরের শুরুর দিকে নির্বাচনে জয়ী হবেন বলেও আশা করছেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এ দেশটিকে একটি ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ হিসেবে গড়তে বদ্ধ পরিকর।
দুর্নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন,হয়তো নিচের স্তরে কিছুটা দূর্নীতি আছে। তবে তা এখন খুব একটা নেই। কেউ যদি এমনটা করার সাহস করে,তবে আমি ব্যবস্থা নেব।
সাক্ষাৎকারে বিএনপিকে অবৈধভাবে সামরিক শাসক দিয়ে গঠিত দল হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাকিস্তানের সাবেক মিত্র ও দেশের বড় ইসলামী দলটিকে যুদ্ধাপরাধী বলেছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন,সত্যিকার অর্থে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো কোনো দল আছে বলে আমরা মনে করি না।
সাময়িকী ইকোনমিস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,আসন্ন নির্বাচনেও বিএনপির ঘুরে দাঁড়াবার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা নেই। একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি শেখ হাসিনা বলেছেন,শুধু প্রকৃত রাজনৈতিক দলকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত। বিরোধী দলের এই যোগ্যতাই নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শক্তহাতে শেখ হাসিনার ক্ষমতা ধরে রাখায় লাভবান হয়েছে বাংলাদেশ। অবকাঠামোগত বিনিয়োগসহ এমন কিছু নীতি তিনি প্রণয়ন করেছেন, যার মাধ্যমে প্রবৃদ্ধির গতি বজায় ছিল। দুর্বল কোনো সরকারের পক্ষে এটা করা হয় তো সম্ভবই হতো না।
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্কের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক তাদের নিজস্ব বিষয়,সেখানে আমি কেন নাক গলাতে যাব।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেছেন,‘নিজেদের গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দাবী করলেও আমাদের দেশের ক্ষেত্রে তাদের সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন একটুও দেখা যায় না। কেন তারা আমাকে সমর্থন করে না?’
শেখ হাসিনা বলেছেন,অদূর ভবিষ্যতে অবসরে যাওয়ার আপাতত কোনো পরিকল্পনা করছেন না তিনি। আওয়ামী লীগ সরকারের‘ভিশন-২০৪১’ পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শেষ পর্যন্ত দেখতে পাবেন না সেটাও স্বীকার করে দলে তার উত্তরসূরির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি যদি না থাকি, তাহলে জানি না ক্ষমতায় কে আসবে।’