সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ, লৌহজং, শ্রীনগর
মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে যেনো এখন মৃত্যুফাঁদ
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৫:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
চলছে শীতকাল।এই সময়ে ঘন কুয়াশার কারণে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে যেনো এক মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।তবে,কুয়াশার মাঝেও চালকদের বেপরোয়া গতিতে ঘটছে দুর্ঘটনা।একমুখী রাস্তায় ধীরগতির বা থেমে থাকা যানবাহনে পেছন থেকে ধাক্কা দিচ্ছে দ্রুতগতির বাস-ট্রাক।এক্সপ্রেসওয়েতে গত এক বছরে ৬৩টি দুর্ঘটনার ১০টিই ঘটেছে গত দুই দিনে।এতে দুইজনের প্রাণহানিসহ আহত হয় ১০ জন।এমন পরিস্থিতিতে ঘন কুয়াশায় প্রয়োজনে যান চলাচল বন্ধ রাখার পরামর্শ বিশেষজ্ঞের।কুয়াশা বেশি ঘন হলে সড়কবাতি বা হেডলাইটেও কাজ হয় না।আর এতে করে গত দুই দিনে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে ঘন কুয়াশার মাঝে একাধিক স্থানে অন্তত দশটি দুর্ঘটনা ঘটে।সবগুলো দুর্ঘটনার ধরন প্রায় এক রকম।ঘন কুয়াশায় দেখতে না পেয়ে সড়কের ধীরগতির বা থেমে থাকা গাড়িতে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় অন্য গাড়ি।তবে চালকদের দাবি,অতিরিক্ত গতি নয়,পর্যাপ্ত সড়ক বাতি না থাকাতেই কুয়াশায় থেমে থাকা গাড়ি দেখতে না পেয়ে দুর্ঘটনা।পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস বলছে, ট্রাফিক আইন অমান্য করে চালকের বেপরোয়া গতি,কুয়াশায় গাড়ি চালানোর নিয়ম না মানা এবং অদক্ষতার কারণেই দুর্ঘটনা।মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের হাঁসাড়া হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: আব্দুল কাদির জিলানী বলেন,শীতের মধ্যে কুয়াশা পড়ছে এবং জায়গায় জায়গায় ফাঁকা থাকার কারণে গাড়ি চালকেরা কুয়াশার মধ্যে কিছুটা গতি নিয়ন্ত্রণ করা না চালিয়ে বেপরোয়াভাবে চালাচ্ছে। আর এতেই দুর্ঘটনা বেশি হচ্ছে।মুন্সীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান,ট্রাফিক নিয়ম মেনে চলতে হবে,ঘন কুয়াশায় নিয়ন্ত্রিতভাবে গাড়ি চালাতে হবে,সড়কবাতিগুলো অনুসরণ করতে হবে,ওভার ট্রেকিং করা যাবেনা তাহলে এ ধরণের দুর্ঘটনা রোধ করা সম্ভব।ঘন কুয়াশায় পরিস্থিতি অনুকূল না থাকলে সাময়িক সময়ের জন্য মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধের পরামর্শ সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তার।
মুন্সীগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ সুমন বলেন,চালকদের দৃষ্টিসীমা দেখা যাচ্ছে না বলে সেক্ষেত্রে আমরা অনেক সময় ট্রোল প্লাজার আগে গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখি।যাতে গাড়ি এসে যেনো কোনো দুর্ঘটনায় না পড়ে।ফায়ার সার্ভিস বলছে,ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে গত এক বছরে ৬৩ টি দুর্ঘটনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত ৮০ জন।এর মধ্যে গত দুই দিনেই ১০টি দুর্ঘটনায় ২ জনের প্রাণহানি,আর আহত ১০ জন।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ