সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, ক্যাম্পাস নিউজ, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, টুঙ্গীবাড়ী, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ, শিক্ষাঙ্গন
দিঘীরপাড়ের ৩/৯নং ওয়ার্ডে নেই কোন সরকারি প্রাথমিক স্কুল
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:৪১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ী উপজেলা দিঘীরপাড় ইউনিয়নের পদ্মা ছোট শাখা নদীর দক্ষিণ পাড়ের ৩ ও ৯ নং ওয়ার্ড অতি দুর্গম এ গ্রামে নেই পাকা রাস্তাঘাট।চলাচলের জন্য এখনও একটি মাত্র নৌকার ভরসা।নদী ভাঙন কবলিত এ গ্রামটিতে শিশু শিক্ষার জন্য নেই কোনও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।ফলে দূরের স্কুলে গিয়ে কেউ কেউ পড়তে গেলেও কদিন বাদে ঝরে পড়ছে তারা।দুর্গম এ গ্রামে স্কুল না থাকায় ৪/৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে কোমলমতি শিশুদের যেতে হয় স্কুলে।দীর্ঘ এ পথ পেরোনো তাদের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য।কাদামাটির রাস্তা আর নৌকা পার হয়ে যেতে হয় তাদের।ফলে ভয়ে অনেক শিশুই এখন বিদ্যালয়বিমুখ। অভিভাবকরাও থাকেন বেশ শঙ্কায়।এর ফলে বাড়ছে শিশুদের ঝরে পড়ার হার।দিঘীরপাড়ের সাথে শরীয়তপুরের উপজেলা নড়িয়ার,সখিপুর, কাঁচিকাটা নওপাড়া কিছু গ্রাম মুন্সীগঞ্জের সাথে লাগোয়া।গ্রামগুলো কোমল শিক্ষার্থীরা দীর্ঘ পথ হেঁটে লেখাপড়া করতে হয়।গ্রামের মধ্যবর্তী সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর। সেখানে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলেও অন্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত এর বাসিন্দারা।গ্রামের কৃষক মোতালেব মোল্লা বলেন, ১০০টি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দা ছাড়া আমাদের এ গ্রামে বসবাস করছেন আরও প্রায় হাজার পরিবার।প্রতি ঘরেই দুই থেকে তিনটি করে শিশু আছে।এ গ্রাম থেকে ৪/৫ কিলোমিটার দূরে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল। দূরত্বের কারণেই গ্রামের শিশুরা ঝরে পড়ে স্কুল থেকে।শিশুদের নিরাপত্তার স্বাথে একটি স্কুল এখানে জরুরি হয়ে পড়েছে।আশ্রয়ণের বাসিন্দা বৃদ্ধা খাদিজা বেগম বলেন,আমাদের একটা নিজস্ব ঠিকানা হয়েছে।এখন একটি স্কুল হলেই শিশুদের লেখাপড়া নিয়ে আমরা নিশ্চিন্ত হতে পারি। টংঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,আমি আপাতত নতুন জয়েন করেছি।এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ