সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ক্যাম্পাস নিউজ, গাইবান্ধা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, রংপুর, র্যাব, শিক্ষাঙ্গন
গাইবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে আ.লীগ কার্যালয়ে আগুন, আহত-১২
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৭:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ জুলাই ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে
ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর ও আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে ১১টি মোটরসাইকেল। আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগের ১২ জন নেতাকর্মী।
বুধবার বেলা ১১ টার দিকে শহরের ডিবি রোড থেকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন । এ সময় বিভিন্ন স্কুল কলেজের হাজার হাজার শিক্ষার্থী দলে দলে আন্দোলনে যোগদান করেন। অনেক অভিভাবকরাও এই আন্দোলনে অংশ নেন। পরে তারা শহরের ১নং ট্রাফিক মোড়সহ ১নং রেলগেট ও ২নং রেলগেট দখলে নেন। এরপর বন্ধ করে দেন রেলপথ ও সড়ক যোগাযোগ। এতে করে শহরে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
এক পর্যায়ে কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে। এর মাঝেই আন্দোলনকারীরা আওয়ামী লীগে কার্যালয় চত্বরে গিয়ে নেতাকর্মীদের ১১ টি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। একই সাথে বিক্ষোভকারীদের ইট পাটকেল ও লাঠির আঘাতে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলবুর রহমান, আ.লীগ নেতা ও কাউন্সিলর কামাল হোসেন সহ অন্তত আওয়ামী লীগের ১২ জন নেত-কর্মী আহত হয়। হামলার মুখে আ.লীগ নেতাকর্মীরা অফিস থেকে সরিয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা আ.লীগ অফিস কার্যালয়েও ভাঙ্গচুর চালায়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ছত্র-ভঙ্গ করে দেয়।
জেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, গাইবান্ধার এই আন্দোলনে শুধু ছাত্র নয়, সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নিয়েছে শিবির, ছাত্রদল ও জামাতের নেতাকর্মীরা। তাদের উস্কানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারমুখী হয়ে ওঠেন এবং আ.লীগ কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে কার্যালয়ের সামনে থাকা ১১টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয় ।ঘটনার প্রায় এক ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভায়।
গাইবান্ধার সহকারি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল ও স্লোগানের এক পর্যায়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, রেল লাইন থেকে পাথর ছুড়ে মারতে থাকে। তারা দোকানপাটে ভাঙ্গচুর চালায়। অগ্নিসংযোগ করতে থাকে। এসময় পাথরের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করা হয়। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা ও সব ধরণের পরিস্থিস্থিত মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে।