ঢাকা ০৮:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

জুড়ীতে বারবার লোকালয়ে চলে আসছে অসুস্থ একটি বন্য হাতি 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪ ৪৬ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল লাঠিটিলা ঘুরে বেড়াচ্ছে অসুস্থ একটি বন্য হাতি। বারবার লোকালয়ে এসে জানান দিচ্ছে, তার চিকিৎসার খুব প্রয়োজন। পরে চিকিৎসা না পেয়ে হাতিটি আবার চলে যায় বনের গভীরে। এমনটাই জানান স্থানীয় বসবাসকারী বাসিন্দারা।
তারা আরও জানান, এই হাতিটি দীর্ঘ প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস ধরে অসুস্থ। হাতিটির শরীর রোগা হয়ে হাড় বেরিয়ে গেছে। এটা দেখে কিছুটা অনুভব করা যাচ্ছে সে মারাত্মক রকমের অসুস্থ অবস্থায় আছে। হাতিটি যা খায়, তাই মল ত্যাগ করে। প্রায় দুই মাস আগে হাতিটির অসুস্থতার খবর বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। বন বিভাগ হাতিটির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি-না জানি না।
জানা যায়, সিলেট বিভাগে একমাত্র বন লাঠিটিলা। পাঁচ হাজার ৬৩১ দশমিক ৩০ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চল। এটি ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র্য হটস্পটের একটি অংশ। যেখানে এখনো প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে টিকে আছে চারটি মা বন্য হাতি। বনটি রক্ষায় হাতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই হাতিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেলে বনের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বনে এমনিতেই পুরুষ হাতি নেই। ফলে হাতির বংশ বিস্তার হচ্ছে না। আর বংশ বিস্তার না হলে বন থেকে হাতি এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই অসুস্থ হাতিটির দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা গেলে মারা যাবে। আবাসস্থল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন হাতি এমনিতেই কমে যাচ্ছে। হাতি রক্ষায় আমাদের সোচ্চার হতে হবে। পাথারিয়া বনের লাঠিটিলা বিটের সুরমা বাঁশ মহাল অংশে বেশি সময় পার করত এই হাতিগুলো। পাথারিয়ায় কয়েকটি বিট থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত খাবার থাকায় লাঠিটিলায় বিচরণ করে সবচেয়ে বেশি। বনে হাতিগুলোর প্রধান খাদ্য মুলিবাঁশ।
স্থানীয় বাসিন্দা তাহিদ রহমান বলেন, ‘হাতিটি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। হাতিটির শরীরে বেশ কয়েকটি ক্ষত দেখা গেছে, তার শরীর শুকিয়ে হাড় বের হয়ে গেছে। হাতিটিকে তাড়িয়ে দিলেও বারবার লোকালয়ে চলে আসে, হয়তো বনে খাদ্যের অভাব থাকার কারণে চলে আসে।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন বলেন, ‘হাতিটি অসুস্থ আমরা জেনেছি। এটার চিকিৎসা দিতে হলে বন্যপ্রাণী বিভাগের সহায়তা প্রয়োজন। ট্রাংকুলায়জারের মাধ্যমে হাতিটির শরীরে ওষুধ পুশ করতে হবে, এই ব্যবস্থা আমাদের নেই। বন্যপ্রাণী বিভাগ চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে আমরা সহযোগিতা করব।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (মৌলভীবাজার) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম  বলেন, ‘হাতি অসুস্থ আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে হাতিটিকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটাকে ট্রাংকুলায়জারের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হবে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জুড়ীতে বারবার লোকালয়ে চলে আসছে অসুস্থ একটি বন্য হাতি 

আপডেট সময় : ০৮:৩৫:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সংরক্ষিত বনাঞ্চল লাঠিটিলা ঘুরে বেড়াচ্ছে অসুস্থ একটি বন্য হাতি। বারবার লোকালয়ে এসে জানান দিচ্ছে, তার চিকিৎসার খুব প্রয়োজন। পরে চিকিৎসা না পেয়ে হাতিটি আবার চলে যায় বনের গভীরে। এমনটাই জানান স্থানীয় বসবাসকারী বাসিন্দারা।
তারা আরও জানান, এই হাতিটি দীর্ঘ প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস ধরে অসুস্থ। হাতিটির শরীর রোগা হয়ে হাড় বেরিয়ে গেছে। এটা দেখে কিছুটা অনুভব করা যাচ্ছে সে মারাত্মক রকমের অসুস্থ অবস্থায় আছে। হাতিটি যা খায়, তাই মল ত্যাগ করে। প্রায় দুই মাস আগে হাতিটির অসুস্থতার খবর বন বিভাগকে জানানো হয়েছে। বন বিভাগ হাতিটির বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি-না জানি না।
জানা যায়, সিলেট বিভাগে একমাত্র বন লাঠিটিলা। পাঁচ হাজার ৬৩১ দশমিক ৩০ একর জায়গা নিয়ে বিস্তৃত এই বনাঞ্চল। এটি ইন্দো-বার্মা জীববৈচিত্র্য হটস্পটের একটি অংশ। যেখানে এখনো প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে টিকে আছে চারটি মা বন্য হাতি। বনটি রক্ষায় হাতিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এই হাতিগুলো বিলুপ্ত হয়ে গেলে বনের বড় একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়বে।
বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের মতে, এই বনে এমনিতেই পুরুষ হাতি নেই। ফলে হাতির বংশ বিস্তার হচ্ছে না। আর বংশ বিস্তার না হলে বন থেকে হাতি এমনিতেই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এই অসুস্থ হাতিটির দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা গেলে মারা যাবে। আবাসস্থল সংকটসহ বিভিন্ন কারণে দিন দিন হাতি এমনিতেই কমে যাচ্ছে। হাতি রক্ষায় আমাদের সোচ্চার হতে হবে। পাথারিয়া বনের লাঠিটিলা বিটের সুরমা বাঁশ মহাল অংশে বেশি সময় পার করত এই হাতিগুলো। পাথারিয়ায় কয়েকটি বিট থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত খাবার থাকায় লাঠিটিলায় বিচরণ করে সবচেয়ে বেশি। বনে হাতিগুলোর প্রধান খাদ্য মুলিবাঁশ।
স্থানীয় বাসিন্দা তাহিদ রহমান বলেন, ‘হাতিটি দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। হাতিটির শরীরে বেশ কয়েকটি ক্ষত দেখা গেছে, তার শরীর শুকিয়ে হাড় বের হয়ে গেছে। হাতিটিকে তাড়িয়ে দিলেও বারবার লোকালয়ে চলে আসে, হয়তো বনে খাদ্যের অভাব থাকার কারণে চলে আসে।’
জুড়ী রেঞ্জ কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন বলেন, ‘হাতিটি অসুস্থ আমরা জেনেছি। এটার চিকিৎসা দিতে হলে বন্যপ্রাণী বিভাগের সহায়তা প্রয়োজন। ট্রাংকুলায়জারের মাধ্যমে হাতিটির শরীরে ওষুধ পুশ করতে হবে, এই ব্যবস্থা আমাদের নেই। বন্যপ্রাণী বিভাগ চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে আমরা সহযোগিতা করব।’
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (মৌলভীবাজার) ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম  বলেন, ‘হাতি অসুস্থ আমরা খবর পেয়েছি। ইতিমধ্যে হাতিটিকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। এটাকে ট্রাংকুলায়জারের মাধ্যমে চিকিৎসা করতে হবে।’