সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, রংপুর
গাইবান্ধায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর অষ্টমী স্নানোৎসব, ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় ভেসেছে ভক্তির ঢেউ

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৩১:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৩ বার পড়া হয়েছে

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধা জেলার ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরে শনিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান অষ্টমী স্নান পালিত হয়েছে। পাপমোচন ও পুণ্যলাভের আশায় জেলার সাত উপজেলা থেকে হাজার হাজার ভক্ত নদীতীরে সমবেত হন।
গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি, সাদুল্যাপুর, গোবিন্দগঞ্জ, সুন্দরগঞ্জ, পলাশবাড়ী ও সাঘাটা উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে অষ্টমী স্নান অনুষ্ঠিত হয়। ফুলছড়ির বালাসীঘাট ও পুরাতন ফুলছড়ি ঘাট, সদরের কামারজানি ঘাট, সুন্দরগঞ্জের উজান বুড়াইল চর এবং সাঘাটার ব্রহ্মপুত্র তীরে ভক্তদের প্রধান সমাগম ঘটে। পানির স্তর কম থাকায় অনেক স্থানে হাঁটু পানিতে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা।
হিন্দু শাস্ত্রমতে, অষ্টমী তিথিতে ব্রহ্মপুত্রে স্নান করলে সকল পাপ মুক্ত হয়। মহাভারতের কাহিনী অনুযায়ী পরশুরামের পাপমোচনের স্মরণে এই রীতি চলে আসছে। ভক্তরা ফুল, বেলপাতা, ডাব, ধান-দুর্বা ও পূজার সামগ্রী নিয়ে নদীতে অবগাহন করেন। বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিতরা পূজা-অর্চনায় সহযোগিতা করেন।
স্নানকে ঘিরে ফুলছড়ি, বালাসীঘাট, কামারজানি ও সাঘাটায় বড় ধরনের মেলা বসে। মেলায় মাটির পুতুল, হস্তশিল্প, চিনির মিষ্টি, নাগরদোলা ও স্থানীয় কৃষিপণ্যের সমারোহে মুখরিত হয় নদীতীর। গোবিন্দগঞ্জ ও সুন্দরগঞ্জের মেলাগুলোতে মাছ ও কৃষি উপকরণের বিশেষ আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। পুলিশ, আনসার ও ভিজিল্যান্স টিম সারাদিন তত্ত্বাবধান করে। গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়া হয়।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ