ঢাকা ০৫:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৩ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
আমরা নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবো কিন্তু আজীবন নয়: সরকারকে মির্জা আব্বাস অতিদ্রুত সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে বাধ্য করবো’-মামুন মাহমুদের হুঁশিয়ারি অতিদ্রুত নির্বাচন দেয়া ছাড়া সরকারের হাতে আর কোনো বিকল্প নেই- দিপু ভুঁইয়া  স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে জিয়াউর রহমান দেশ ও জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়ে ছিলেন-গিয়াস উদ্দিন নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর কুষ্টিয়ায় কবর খুঁড়ে দুই কঙ্কাল চুরি অন্তর্বর্তী সরকারের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন নাহিদ ইসলাম কার্ড ঝুলিয়ে নয় সংবাদের পিছনের সংবাদ চাই জনগণ  সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় দেশসেরা হলেন ববি’র সাদিয়া কুয়েট ছাত্রদলের নেতাদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ  দশম-একাদশ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা ২২ ডিসি বাধ্যতামূলক অবসরে  কুলাউড়ায় ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার  কুষ্টিয়ার দৌলতপুর পদ্মার চরে ফের বেপরোয়া লালচাঁদ বাহিনী শ্রীমঙ্গলে রিসোর্টে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে মানববন্ধন শামীম ওসমানের শ্যালক টিটুর সহযোগী বহু অপকর্মে হোতা রানা গ্রেপ্তার সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আলোচনা সভা  কমলগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অবৈধ ব্রিকস ফিল্ডে জরিমানা  গাইবান্ধায় গাঁজাসহ এএসআই গ্রেপ্তার কুমারখালীতে বালুরঘাটের ম্যানেজারকে গুলি করে টাকা ছিনতাই এইপিজেড’এ অসুস্থ শ্রমিককে ছুটি না দেয়ায় কারখানাতেই মৃত্যু কোলে ঢলে পড়ে নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নতুন পরিচালনা পর্ষদ ঘোষণা নারায়ণগঞ্জ মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে আটক-২ কুষ্টিয়ায় অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধের দাবিতে মহাসড়কে মানববন্ধন ইডেনে সার্টিফিকেট নিতে এসে আটক হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী বৈশাখী স্বাধীন মত প্রকাশে বস্তুনিষ্টতা বিচারের দায়ভার আপনাদের ওপর দিচ্ছি: সেনা সদর উত্তরায় প্রকাশ্যে দম্পতিকে রামদা দিয়ে কোপালো কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী পরকিয়ার জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা: স্ত্রীসহ ছোট ভাই আটক কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা বিছানায় মলত্যাগের কারনে ৭ বছরের শিশুকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন পিতা না’গঞ্জে বহুজাতিক রপ্তানিমূখী প্রতিষ্ঠান ইউরোটেক্সের শ্রমিক অসন্তোষ চাষাড়া শহীদ মিনার চত্বরে জেলা প্রশাসনের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: ফখরুল ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়া পার্বতীপুরের ইউএনওকে অবশেষে বদলি না’গঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দাদীর সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রলীর ধাক্কায় প্রান গেল শিশু ইব্রাহিমের শেষরক্ষা হলো না! অবশেষে গ্রেপ্তার কলাগাছিয়ার দেলোয়ার চেয়ারম্যান কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার না ফেরার দেশে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় কারওয়ান বাজারে একুশে টিভি ভবনে আগুন কুমারখালী প্রেস ক্লাবের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত গফরগাঁওয়ে মারপিটের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদীর পরিবার রূপগঞ্জে প্রাইভেটকারের ভিতরে পুড়ে শিশু জিসানের মর্মান্তিক মৃত্যু ডিসি সম্মেলন শুরু ১৬ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে বিধবা নারীর অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ ‘বসন্ত উৎসব’ শ্রীমঙ্গলে মিলন মেলায় পরিণত ‘যত দ্রুততম সম্ভব, এমনকি ডিসেম্বরেও হতে পারে নির্বাচন’- ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঈদের পর দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া না’গঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে পত্রিকা অফিসে হামলাসহ ভাঙচুরের অভিযোগ বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার তোপের মুখে অফিস ছাড়লেন পার্বতীপুরের ইউএনও রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়ার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় রূপগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট সহ পুলিশি অভিযান গ্রেপ্তার-৬ নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন  পটুয়াখালীতে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ মিরপুরে ট্রেনের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু  ঈশ্বরদীতে খোকনকে হারিয়ে গভীর ভাবে শোকাহত; জানাজায় জাকারিয়া পিন্টু মেহেরপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে তিনটি ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত,জরিমানাসহ মোটরসাইকেল জব্দ সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাসের অভিযানে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ রাইজার জব্দ নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচনে বদিউজ্জামান বদু প্যানেল বিজয়ী আমাদের লক্ষ্য এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা: রাজীব না’গঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টসহ পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-৪০ ভেড়ামারায় ৪ দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব মেলা শুরু  কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে তরুণ নিহত জুড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুন নূর গ্রেপ্তার  না’গঞ্জে কারাবন্দীদের সুস্থ বিনোদনে ব্যতিক্রমী আয়োজন  না’গঞ্জে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’র প্রকল্প পরিচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার  না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান ভেড়ামারায় লালন শাহ সেতুর ওপর ভয়াবহ ট্রাক দূর্ঘটনায় নিহত-১ সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় আ’লীগ নেতা নূর কামালের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার-২ না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত  না’গঞ্জ শহরের মীরজুমলা সড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে: এ্যাড. সাখাওয়াত কুষ্টিয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী নারী হত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ বড়লেখায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা কাদির গ্রেপ্তার আতঙ্কে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর এলাকা শ্রীরামপুর নারী-পুরুষশূন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক পুলিশ বাহিনীকে স্বচ্ছ,জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব করতে সংস্কারে ১৩ সুপারিশ পুলিশের এক ডিআইজি’সহ তিন পুলিশ সুপার (এসপি) গ্রেপ্তার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ডিবি হেফাজতে  বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মায়ের আঁচল’ সংগঠনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দৌলতপুরে বাক-প্রতিবন্ধী নারীর ঝুলন্ত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার  মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে  বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিব ইয়াবাসহ আটক  বিএনপির না’গঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণায় রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়া অনাড়ম্বর সংবর্ধিত বন্দরে বেপরোয়া আজমীর ওসমানের টি’বয় সন্ত্রাসী রাসেল কোথায় হাসিনা? কোথায় শামীম ওসমান? পালাব না বলেও পালিয়ে যায়: ডাঃ শফিকুর রহমান   শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ নিশ্চিহ্ন  নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা টেকনাফে বিজিবি-২’র বিশেষ অভিযানে চার লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার মৌলভীবাজারে ভেঙ্গে ফেলা হলো শেখ মুজিবের ম্যুরাল  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না’গঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নির্বাচিত হলেন যারা না’গঞ্জের আদালতপাড়ায় শেখ মুজিব কর্ণার-ম্যুরালসহ ভাস্কর্য ভাঙল বিএনপি আ’লীগের ঘোষিত কর্মসূচি’র প্রতিবাদে না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির  ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির বৈঠক ঈশ্বরদীতে হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ আসামি খালাস শ্রীমঙ্গল বাইপাস সড়কের ৩৫৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন বন্দরে আ’লীগের লিফলেট বিতরনের প্রতিবাদে বিএনপির মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ সীমান্তে ভারতীয়দের দ্বারা খুন হওয়া পরিবারটি আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া বাউফলে ছাত্রদল নেতার হাতে হেনস্তার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা

নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১৬ বার পড়া হয়েছে

 

ফেরদৌস আলম।।

 

গত কয়েক মাসে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের তদন্ত, বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু ব্যক্তির জীবনই ধ্বংস করে না, বরং সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নিরাপত্তাবোধকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার বিচার কঠোর থেকে কঠোরতর করা এবং দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা এখন সময়ের দাবি।

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান ও সমাজের বিরূপ প্রভাব:
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সমাজে বৈষম্য ও লজ্জার শিকার হন, যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা পরিবার ও সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে।

আইনি দুর্বলতা ও বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি:
ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রতা এবং আইনি দুর্বলতা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতা অপরাধীদের শাস্তি এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, সামাজিক stigma এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়:
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

কঠোর বিচার ও সামাজিক আন্দোলন জরুরি:
ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে ধর্ষকের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত:
এটি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক যন্ত্রণা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে একজন নারীর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। একজন ধর্ষিতা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক। এই শাস্তি তার জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে এবং অপরাধীকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করবে।
২. মৃত্যুদণ্ড: বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন গংগ রেপ বা ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা, একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হোক। এটি তার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. আর্থিক ক্ষতিপূরণ: ধর্ষকের কাছ থেকে উচ্চমাত্রার আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত, যা ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার অপরাধের জন্য আর্থিকভাবেও দায়বদ্ধ হোক।
৪. সামাজিক বর্জন: ধর্ষকের সামাজিক মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা উচিত। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং তার অপরাধের জন্য সর্বত্র নিন্দিত হয়।
৫. মানসিক নির্যাতনের শাস্তি: ধর্ষকের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া উচিত, যেমন তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা বা তার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার কষ্ট অনুভব করুক।
৬. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মামলার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হোক, যাতে অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে শাস্তি এড়াতে না পারে। দীর্ঘসূত্রিত বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষিতা ও তার পরিবারের জন্য অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা বয়ে আনে।
৭. ধর্ষকের পুনর্বাসন নয়, শাস্তিই প্রধান: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের পুনর্বাসন বা সংশোধনের চেয়ে শাস্তিই প্রাধান্য পাক। তার মতে, এমন অপরাধের জন্য কোনো রকম ছাড় বা সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।
৮. ধর্ষকের নাম প্রকাশ: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক, যাতে সমাজ তাকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারে।
৯. মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য ধর্ষকের শাস্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।
১০. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে সমাজ ও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াক এবং ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করুক।
একজন ধর্ষিতা নারীর কষ্ট ও রাগ অপরিসীম। তার দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত, যাতে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষকের শাস্তি:
ইসলামে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ধর্ষকের শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত, যাতে সমাজে শান

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

নারীদের নিরাপত্তায় ধর্ষণের বিচার হতে হবে কঠোর থেকে কঠোরতর

আপডেট সময়- ০৪:৫৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

ফেরদৌস আলম।।

 

গত কয়েক মাসে ধর্ষণ মামলার সংখ্যা চক্রবৃদ্ধি আকারে বেড়েছে, যা সমাজের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। গণধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের তদন্ত, বিচার ও দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে কঠোর আইনি পদক্ষেপ জরুরি হয়ে পড়েছে। ধর্ষণের মতো অপরাধ শুধু ব্যক্তির জীবনই ধ্বংস করে না, বরং সমাজের মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও নিরাপত্তাবোধকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার বিচার কঠোর থেকে কঠোরতর করা এবং দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করা এখন সময়ের দাবি।

ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর পরিসংখ্যান ও সমাজের বিরূপ প্রভাব:
সম্প্রতি প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্ষণ ও যৌন সহিংসতার মামলার সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বেড়েছে। বিশেষ করে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধের ঘটনা সমাজে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিরা শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হন। অনেক ক্ষেত্রে তারা সমাজে বৈষম্য ও লজ্জার শিকার হন, যা তাদের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। এছাড়া, ধর্ষণের ঘটনা পরিবার ও সমাজের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করে, যা সামাজিক শান্তি ও সম্প্রীতিকে ব্যাহত করে।

আইনি দুর্বলতা ও বিচার প্রক্রিয়ার ধীরগতি:
ধর্ষণ মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘ সূত্রতা এবং আইনি দুর্বলতা অপরাধীদের উৎসাহিত করে। অনেক ক্ষেত্রে তদন্তে অবহেলা, সাক্ষ্য-প্রমাণ সংরক্ষণের অভাব এবং বিচারিক প্রক্রিয়ার জটিলতা অপরাধীদের শাস্তি এড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, সামাজিক stigma এবং ভুক্তভোগীদের প্রতি সমাজের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অনেক সময় মামলা দায়ের করতে নিরুৎসাহিত করে। এ অবস্থায় ধর্ষণ মামলার দ্রুত তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন এবং আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

ধর্ষণ প্রতিরোধ ও প্রতিকারের উপায়:
ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধ প্রতিরোধে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পরিবার ও সামাজিক সংগঠনের মাধ্যমে নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা প্রচার করতে হবে। এছাড়া, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আরও দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক করতে হবে। ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের জন্য মানসিক ও সামাজিক সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে তারা পুনর্বাসিত হতে পারেন।

কঠোর বিচার ও সামাজিক আন্দোলন জরুরি:
ধর্ষণের মতো অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর বিচারিক পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা প্রয়োজন। নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে। ধর্ষণের মামলায় দ্রুত ও কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে অপরাধীদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হবে এবং এ ধরনের অপরাধ কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।

একজন ধর্ষিতা নারীর কাছে ধর্ষকের শাস্তি কেমন হওয়া উচিত:
এটি তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, মানসিক যন্ত্রণা এবং ন্যায়বিচারের আকাঙ্ক্ষার উপর নির্ভর করে। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ অপরাধ, যা শারীরিক, মানসিক এবং সামাজিকভাবে একজন নারীর জীবনকে ধ্বংস করে দেয়। একজন ধর্ষিতা নারীর দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
১. যাবজ্জীবন কারাদণ্ড: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করুক। এই শাস্তি তার জন্য ন্যায়বিচারের প্রতীক হবে এবং অপরাধীকে সমাজ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন করবে।
২. মৃত্যুদণ্ড: বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন গংগ রেপ বা ধর্ষণের পর হত্যার চেষ্টা, একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড হোক। এটি তার জন্য সর্বোচ্চ ন্যায়বিচার হিসেবে বিবেচিত হবে।
৩. আর্থিক ক্ষতিপূরণ: ধর্ষকের কাছ থেকে উচ্চমাত্রার আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায় করা উচিত, যা ধর্ষিতা নারীর চিকিৎসা, পুনর্বাসন এবং ভবিষ্যৎ গঠনে ব্যবহার করা যেতে পারে। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার অপরাধের জন্য আর্থিকভাবেও দায়বদ্ধ হোক।
৪. সামাজিক বর্জন: ধর্ষকের সামাজিক মর্যাদা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করা উচিত। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী সমাজে মুখ দেখাতে না পারে এবং তার অপরাধের জন্য সর্বত্র নিন্দিত হয়।
৫. মানসিক নির্যাতনের শাস্তি: ধর্ষকের মানসিকভাবে ভেঙে দেওয়া উচিত, যেমন তাকে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রম করতে বাধ্য করা বা তার অপরাধের কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া। একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে অপরাধী তার কষ্ট অনুভব করুক।
৬. দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মামলার বিচার দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হোক, যাতে অপরাধী দীর্ঘ সময় ধরে শাস্তি এড়াতে না পারে। দীর্ঘসূত্রিত বিচার প্রক্রিয়া ধর্ষিতা ও তার পরিবারের জন্য অতিরিক্ত মানসিক যন্ত্রণা বয়ে আনে।
৭. ধর্ষকের পুনর্বাসন নয়, শাস্তিই প্রধান: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের পুনর্বাসন বা সংশোধনের চেয়ে শাস্তিই প্রাধান্য পাক। তার মতে, এমন অপরাধের জন্য কোনো রকম ছাড় বা সহানুভূতি প্রদর্শন করা উচিত নয়।
৮. ধর্ষকের নাম প্রকাশ: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে ধর্ষকের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক, যাতে সমাজ তাকে চিনতে পারে এবং ভবিষ্যতে সতর্ক থাকতে পারে।
৯. মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে তার মানসিক ও শারীরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। এর জন্য ধর্ষকের শাস্তি এমন হওয়া উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন অপরাধ করতে সাহস না পায়।
১০. সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা: একজন ধর্ষিতা নারী চাইবেন যে সমাজ ও রাষ্ট্র তার পাশে দাঁড়াক এবং ধর্ষকের শাস্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি তার পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করুক।
একজন ধর্ষিতা নারীর কষ্ট ও রাগ অপরিসীম। তার দৃষ্টিকোণ থেকে ধর্ষকের শাস্তি কঠোর ও ন্যায়সঙ্গত হওয়া উচিত, যাতে তার জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয় এবং ভবিষ্যতে এমন অপরাধ প্রতিরোধ করা যায়।

ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্ষকের শাস্তি:
ইসলামে ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়, এবং এর জন্য কঠোর শাস্তির বিধান রয়েছে। ইসলামী শরীয়াহ অনুযায়ী, ধর্ষকের শাস্তি কঠোর হওয়া উচিত, যাতে সমাজে শান