ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ

- আপডেট সময়- ০২:০৬:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫ ৮২ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় একটি বহুমুখী রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা আবির ফ্যাশনের ২০২ শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা।বিক্ষোভে ফতুল্লাস্থ কুতুবাইল ও কাঠেরপুল এলাকায় অন্তত ৮টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
সোমবার (৩০ জুন) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ফতুল্লা, বিসিকের পুরো শিল্পাঞ্চলজুড়ে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে।
আন্দোলনরত বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, রোববার সন্ধ্যায় আবির ফ্যাশনের প্রোডাকশন ইউনিটের ১০ শ্রমিকের সঙ্গে এক কর্মকর্তার বিরোধের জেরে ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ পুলিশ ও বহিরাগতদের নিয়ে এসে কারখানা কর্মরত শ্রমিকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে অভিযোগ ওঠে।
এ ঘটনার পরদিন সোমবার(৩০জুন) সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কাজে এসে শ্রমিকরা কারখানার সামনে ছাঁটাইয়ের নোটিশ দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এতে প্রায় এক হাজার শ্রমিক জড়ো হয়ে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন।
একপর্যায়ে তারা আশপাশের মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ, মেট্রো নিটিং, ক্যাট টেক্স, পলমল গ্রুপ, টাইম সোয়েটার, আজাদ-রিফাত ফ্যাশনসহ অন্তত ৮টি কারখানায় ভাঙচুরসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, ফলশ্রুতিতে কারখানাগুলো নিরাপত্তার সার্থে সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে দেয় মালিকপক্ষ।
পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী মোতায়েন এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এর পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শ্রমিক ও মালিক পক্ষকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সমাধান কল্পে আলোচনায় বসানো হয়। এসময় শ্রমিকদের দাবি পূরণ না হওয়ায় পর্যন্ত তারা আলোচনার টেবিল ছেড়ে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা জানান, মালিক পক্ষের একতরফা সিদ্ধান্ত বাতিল, চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালসহ মোট ৮ দফা দাবি জানানো হয়েছে। তাদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে আবির ফ্যাশনের ব্যবস্থাপক সাগর মল্লিক জানান, “আমাদের কারখানায় মোট ৩ হাজার শ্রমিক কর্মরত, এর মধ্যে গার্মেন্টস ইউনিটে রয়েছে ২ হাজার ৪’শ জন। এদের মধ্যে ২০২ জনকে চিহ্নিত করেছি, যারা বারবার বিশৃঙ্খলা করে আসছিল। এই চক্রটি পোশাক খাতকে অস্থিতিশীল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের অলসতার কারণে কিছু উত্তেজনা তৈরি হয়। কারখানা কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।” তিনি আরও জানান,গত রোববার রাতে ঘটে যাওয়া ঘটনার ভিত্তিতে একটি এজাহার দায়ের হয়েছে এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।