সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, কলকাতা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, প্রেসক্রিপশন, ফিচার, বাংলাদেশ, স্বাস্থ্য কথা
‘আমারে এ দেহখানি তুলে ধরো তোমার ওই দেবালয়ে প্রদীপ করো’

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৩:৩৬:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ মে ২০২৫ ৩২ বার পড়া হয়েছে

ঋতম্ভরা ব্যানার্জি,কলকাতা।।
আমাদের এই দেহটিকে সবার মাঝে আকর্ষণীয় ভাবে ধরে রাখার জন্য কিছু চটজলদি উপায় জানতে চান ? কারণ দেহ সুস্থ থাকলে মনও সুস্থ থাকবে । দেহ আর মন একের অন্যের পরিপূরক । মাত্র এক মাসের মধ্যে মেদ ঝরিয়ে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা সমাধানের কয়েকটা সহজ উপায় জানাচ্ছি:
(a)সকালে উঠে নিয়ম মতো যোগাসন করে সীমিত লাঞ্চ খেয়ে তেল মশলা তৈলাক্ত খাবার বর্জন করে প্রচুর দৌড়ঝাঁপ করেও ওজন আর গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তো ? তবে শুনুন কয়েকটা নিয়ম :
(১) খাবার খাওয়ার পদ্ধতি :
খাবার খাওয়ার সময় ধীরে চিবিয়ে চিবিয়ে খেতে হবে । তখন কথা বলা , মোবাইল , টিভি করা নৈব নৈব চ । তাড়াতাড়ি খাবার খেলে শরীরের হরমোন ঠিকমতো কাজ করে না। ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্য হয় ।
(২) প্রোটিন যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যাবশ্যক : খাদ্য তালিকার মধ্যে মাছ , মাংস , ডিম থাকতেই হবে । যদি আমিষ খাবার না খান তাহলে ডাল,সোয়াবিন জাতীয় উদ্ভিজ প্রোটিন খেতে হবে । প্রোটিনকে অবহেলা করলে শরীরে ক্ষতি হবে ।
(৩) শরীরকে সচল রাখুন :
সকালে উঠে মর্নিং ওয়াক বা যোগব্যায়াম করলে ও একটানা বসে থাকবেন না । সারাদিন ছোটখাটো কাজ করতে হবে । এতে শরীরের মেটাবোলিজম সক্রিয় থাকবে । কাজের মধ্যেই আনন্দ পাবেন । সেটা ঘরের কাজ হতে পারে বা বাইরের কাজ হতে পারে ।
(৪) চিনি এড়িয়ে চলুন :
চিনির পরিবর্তে মধু ও গুড় ব্যবহার করুন । এরা যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী তেমন ওজন কমাতে সাহায্য করে ।
(৫) ঘুমের সঠিক সময় ধরে রাখুন :
শরীরকে যথাযথ বিশ্রাম না দিলে কাজ করার এনার্জি থাকে না । এটা মেটাবোলিজম এর গতি ও ধির হয়ে যায় বা কমে যায় । দিনে সাত আট ঘণ্টা জরুরী । বেশি রাত জাগলে শরীরের একাধিক সমস্যা দেখা যায় যেমন গ্যাস্ট্রিক সমস্যা । তাই তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ুন এবং সুন্দর ভাবে ঘুমান । তাই আমাদের নজর দিতে হবে স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইলের দিকে ।
ওজন কমাতে গেলে জেনে নিন কয়েকটা সহজ টোটকা :
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে সামান্য ১ কাপ গরম জলে এক চামচ মেথি পাউডার গুলে খান । তারপরে সামান্য গরম জলে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খান । প্রতিদিনের ডায়েটে ব্রকোলি , বিনস , আমন্ড জাতীয় ডায়েটারি ফাইবার ব্যাবহার করুন।কার্বোহাইড্রেট খাবার একেবারেই চলবে না , যেমন পেস্ট্রি , ময়দা , প্রসেসড ফুড ইত্যাদি । রেস্তোরার খাবার আর ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে কারণ এতে আমাদের মেদ বৃদ্ধি করে এবং অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়ায় । রোজ সকালে ওটস, ব্রাউন ব্রেড ও দুধের মতো খাবার খেতে হবে । প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ লিটার জল খেতে হবে এবং এতে শরীরের ওয়াটার ব্যালান্স ঠিক থাকবে। মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। ওজনের আরেকটা মারাত্মক সমস্যা হলো মানসিক দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস । এই স্ট্রেস থেকে শরীরে বাসা বাঁধছে একাধিক রোগ । সঙ্গে বাড়ছে ওজন । তাই সবার আগে স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখুন । রোজ মেডিটেশন করুন । এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
কুমড়ো জুস মেদ ও ওজন কমাতে সাহায্য করে । কুমড়োতে প্রচুর ফাইবার ও কম ক্যালোরি থাকে । কুমড়ো গ্রেট করে ও রস বার করে ফিল্টার করে নিতে হবে । সকালে খালি পেটে সেই রস খেতে হবে । কুমড়ো জুসে ভিটামিন ডি , তামা ও আয়রন থাকে । কুমড়ো জুস দিনে দু তিনবার পান করলে কিডনি স্টোন ও হার্ট সংক্রান্ত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় । মেদ কমানো ছাড়াও কুমড়ো অনেক রোগকে দূরে রাখে ।
এবার শুনুন চিকেন গাথা :
প্রোটিন সমৃদ্ধ চিকেন অতীব জনপ্রিয়। চিকেন মেদ কমায় কারণ চিকেনে ফ্যাট নেই । স্যুপ আকারে মুরগির মাংস খাওয়া বেশির ভাগ সংক্রমণ এবং সর্দি থেকে পুনরুদ্ধারে সেরা উপায়। চিকেনের মধ্যে থাকে ট্রিপটোফ্যান , ভিটামিন বি ৫ এবং ম্যাগনেসিয়াম যা স্ট্রেসের থেকে ও মুক্তি দেয় ।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ