সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, আবহাওয়া ও জলবায়ু, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, ফিচার, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জে ৬ টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে বিপাকে কৃষক

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ১২:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫ ৫৮ বার পড়া হয়েছে

মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
এ বছর মুন্সীগঞ্জে উৎপাদিত ৫ লাখ ৯৩ হাজার টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।ফলে আলুগুলো বিকল্প পদ্ধতিতে বাঁশের মাচায় সংরক্ষণ করতে হচ্ছে কৃষককে।
জেলায় সচল থাকা ৫৮টি হিমাগারে ধারণক্ষমতা না থাকায় বিপুল পরিমাণের আলু সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না।এর মধ্যে সিন্ডিকেটের কব্জায় হিমাগারগুলোতে আলু সংরক্ষণ করতে গিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ছেন কৃষক।অন্যদিকে মুন্সীগঞ্জে এবার আলুর বাম্পার ফলনের পর মূল্য কম হওয়ায় উৎপাদন খরচ উঠাতে পারবেন কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তায় কৃষক।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,এবার জেলার ছয়টি উপজেলায় ৩৪ হাজার ৭৫৮ হেক্টর জমিতে আলু আবাদ হয়।আলু উৎপাদন হয়েছে ১০ লাখ ৬০ হাজার ১১৯ টন,যা গত বছরের তুলনায় ১৯ হাজার ৬৯ টন বেশি।উৎপাদিত আলু সংরক্ষণে জেলার ৭৪টি হিমাগারের মধ্যে এবার সচল আছে ৫৮টি।এসব হিমাগারে আলু সংরক্ষণের ক্ষমতা রয়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন।এর মধ্যে জেলার বাইরে থেকে আসা প্রায় ২৫ শতাংশ আলু সংরক্ষণ করা হয়।জেলায় উৎপাদিত আলুর মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে পেরেছেন কৃষক।বাকি ৫ লাখ ৯৩ হাজার টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায়নি।চরাঞ্চলের আধারা ইউনিয়নের মোবারক মিয়াসহ অন্য কৃষকরা জানান,তাদের হাজার হাজার টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করার জায়গা পাননি।তাই কিছু আলু জমিতে স্তূপাকারে ও বাড়িতে ঘরের ভেতর মাচা তৈরি করে সংরক্ষণ করছেন।অনেক আলু ঘরে-বাইরে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রাখা হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,কৃষক মোবারকের মতো সদরের মহাকালী,চরাঞ্চলের শিলই,বাংলাবাজার ইউনিয়ন ও টংঙ্গীবাড়ী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় উৎপাদিত আলু নিয়েও কৃষকরা একই পরিস্থিতির শিকার।জেলার সিরাজদীখান,শ্রীনগর,লৌহজং ও গজারিয়া উপজেলায় উৎপাদিত আলু নিয়েও কৃষকরা বিপাকে রয়েছেন।সদরের চরাঞ্চলের কৃষক জাকির বেপারি বলেন,প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে ২০ টাকা খরচ পড়েছে।বিক্রি করা হচ্ছে ১২ টাকা কেজি।কিছু আলু হিমাগারে রেখেছেন। সেখানে কেজি প্রতি ৫ টাকা ভাড়া দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন।কৃষক সায়েদ দেওয়ান বলেন,হিমাগারে আলু উত্তোলনের আগেই কোটা বিক্রি হয়ে যায়। বড় ব্যবসায়ীরা আগেই কোটা কিনে ফেলেন। ওইসব কোটা বেশি দামে কৃষকদের কিনতে হয়। এতে আলু সংরক্ষণে আরও বেশি টাকা গুনতে হয়।
সিরাজদীখানের চন্দনধুল গ্রামের কৃষক স্বপন মৃধা বলেন,হিমাগারে কিছু আলু রেখেছেন।বাকি দুই হাজার মণ আলু বাড়িতে(গোলা)রেখেছেন।এবার গরমে আলু পচে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে।হিমাগারে কোটা রেখেছেন এমন একজন ব্যবসায়ী শুভ শাহা বলেন,আমি প্রতি বছর কোটা কিনে রাখি।পড়তা পড়লে আলু রাখি,না হয় কোঠা বিক্রি করে দিই। আগে কোটা রাখায় হিমাগারগুলো অগ্রিম টাকা পেয়ে যায়।আমরাও কিছু কমে পাই।মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন,জেলায় ৫৮টি হিমাগারে ৫ লাখ ৪০ হাজার টন আলু সংরক্ষণ করা যায়।এর মধ্যে ৪ লাখ ৬৭ হাজার টন আলু হিমাগারে রাখা হয়েছে। বাকি আলু স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে বলা হয়েছে।