সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, রংপুর
হাওয়া ভবন থেকে ফাঁকা ঘর: দুদকের চোখে ফুলছড়ির ভূতূরে প্রকল্প

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০১:৪২:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ ৭০ বার পড়া হয়েছে

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় সরকারি কোটি টাকার প্রকল্পের নামে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা উদঘাটিত হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাম্প্রতিক অভিযানে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য, যেখানে বরাদ্দকৃত অর্থের বিনিময়ে প্রকল্পের বাস্তব অস্তিত্বই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত রংপুর সমন্বিত দুদকের একটি বিশেষ টিম ফুলছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ে অভিযান চালায়। টিমের নেতৃত্বে ছিলেন দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা, সহকারী পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম ও ফেরদৌস রায়হান বকশী। অভিযানের সময় উপজেলা প্রকৌশলী খাইরুল ইসলাম কার্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।
দুদকের তদন্তে উল্লেখযোগ্য অনিয়মগুলো হলো- চৌধুরীপাড়া গণপাঠাগার প্রকল্পে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও প্রকল্পের জায়গায় শুধু একটি আধাপাকা নামাজঘর পাওয়া গেছে। পাঠাগারের কোনো চিহ্ন নেই। স্থানীয়রা জানান, এখানে কখনো পাঠাগার নির্মাণের কাজ হয়নি।
হাওয়া ভবন একতা যুব সংঘ প্রকল্পে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও সংঘের সদস্যদের দাবি, তারা নিজেদের টাকায় ঘর বানিয়েছেন। সরকারি টাকার কোনো ব্যবহার হয়নি। দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প ফাইলেই শুধু কাগজে-কলমে বিদ্যমান।
উদাখালী ইউনিয়নের যাত্রী ছাউনি প্রকল্পে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও মাঠে মাত্র ছয়টি খুঁটির ওপর টিনের ছাউনি দেখা গেছে। কোনো বেড়া, বসার বেঞ্চ বা প্রাথমিক সুবিধা নেই। দুদকের ধারণা, প্রকৃত খরচ ২০ হাজার টাকার বেশি নয়।
দুদকের সহকারী পরিচালক ফেরদৌস রায়হান বকশী বলেন, অভিযোগ পেয়ে তারা অভিযান চালান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক প্রকল্পের অস্তিত্বই নেই। আবার কিছু প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থের সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। তারা প্রতিবেদন তৈরি করে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবেন। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২০২০-২০২৩ অর্থবছরে ফুলছড়ি উপজেলার ৭ ইউনিয়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৮ হাজার টাকার প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি নিয়মিত তদারকি না করায় এ ধরনের অনিয়ম ঘটেছে বলে মনে করছে দুদক।
দুদক ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলোর তদন্ত জোরদার করেছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি, উপজেলা প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের অনিয়ম রোধে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
ফুলছড়ির স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের নামে টাকা লুট হয়, কিন্তু তাদের এলাকার উন্নয়ন হয় না। দুদকের এই অভিযান তাদের আশা জাগিয়েছে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ