সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, ক্যাম্পাস নিউজ, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, শিক্ষাঙ্গন
সুন্দরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: জাপা নেতা ও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৫৩:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি।।
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় জাতীয় পার্টির (জাপা) স্থানীয় নেতা ও ধর্মপুর আব্দুল জব্বার ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত ১৪ এপ্রিল ঘটলেও ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে ১৫ এপ্রিল সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। বর্তমানে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা চালাচ্ছে।
মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার এক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ১৪ বছর বয়সী এক ছাত্রী নিজ বাড়ি থেকে দাদার বাড়ি যাচ্ছিল। পথে ধর্মপুর গ্রামের মিজানুর রহমান মিলনের বাড়ির কাজের লোক শফিউল ইসলাম (৩৮) তাকে জোর করে থামান। পরে মুখ চেপে ধরে মিলনের বাড়ির পাকাঘরে নিয়ে যায়। সেখানে শফিউল ইসলাম ছাত্রীটির কাপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় ছাত্রীটি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে এবং তার পরিবারের হাতে সোপর্দ করে।
ঘটনার পর শফিউল ইসলাম পালিয়ে যায়।
অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধর্মপুর কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান মিলনকে এই ঘটনায় সহযোগিতার অভিযোগে আনা হয়েছে। মামলায় দাবি করা হয়, তিনি শফিউল ইসলামকে তার তালাবদ্ধ ঘর খুলে দিয়ে ধর্ষণচেষ্টায় সহায়তা করেছেন।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ঘটনার পর মিজানুর রহমান বিষয়টি গোপন করতে চাপ প্রয়োগ করেছিলেন।
১৫ এপ্রিল ভুক্তভোগী ছাত্রীটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাকিম আজাদ নিশ্চিত করেছেন যে, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। তিনি বলেন, “আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। তদন্ত দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।”
ঘটনাটি এলাকায় তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। স্থানীয়রা বিচার দাবি করে বিক্ষোভ করেছে এবং দ্রুত অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়েছে। শিশু অধিকার সংগঠনগুলোও ঘটনাটির নিন্দা জানিয়ে তদন্তের তদারকির অনুরোধ করেছে।
জাতীয় পার্টির স্থানীয় নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেয়নি। তবে, দলীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মিজানুর রহমান মিলনের বিরুদ্ধে দলীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
পুলিশ জানিয়েছে, শফিউল ইসলাম ও মিজানুর রহমান মিলনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া, ভুক্তভোগী পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ