সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, রংপুর
চল্লিশ বছরেও অসম্পূর্ণ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল: ৭ দফা দিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৪:৪৬:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫ ৩০ বার পড়া হয়েছে

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার প্রাণকেন্দ্রে এক ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠস্বর আজ ক্ষোভের রূপ নিল। জেলার ২৬ লাখ মানুষের চিকিৎসাসেবার দুর্গতির প্রতিবাদে “গাইবান্ধার সাধারণ ছাত্র-জনতা”-এর নেতৃত্বে ‘মার্চ ফর সলিডারিটি’ অনুষ্ঠিত হলো। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে গানাসাসের সামনে থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি শহরের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে পৌরপার্কের বিজয়স্তম্ভে গিয়ে মিলিত হয়ে এক জোরালো সমাবেশের সৃষ্টি করে।
প্রতিষ্ঠার ৪০ বছর পার হলেও গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল এখনও যেন এক “অসম্পূর্ণ শরীর”। বক্তারা উল্লেখ করেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতালটিতে নেই পর্যাপ্ত শয্যা, নেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক-নার্স, নেই স্বাস্থ্যকর পরিবেশ। রোগীদের বেসরকারি ক্লিনিকে ঠেলে দেওয়া, নোংরা ওডি, ওষুধের ঘাটতি—এসব যেন নিত্যদিনের চিত্র। “এখানে চিকিৎসা নিতে এসে রোগীকে আরও অসুস্থ হয়ে ফিরতে হয়,” বলেন শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান মুন্না।
৭ দফায় ফুটে উঠেছে বঞ্চনার ইতিহাস:
সমাবেশে উত্থাপিত দাবিগুলো যেন হাসপাতালের ক্রনিক অসুস্থতার প্রতিষেধক:
১. দায়িত্বহীন তত্ত্বাবধায়কের অপসারণ।
২. শতভাগ জনবল পূরণ (চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান)।
৩. আধুনিক অবকাঠামো নির্মাণ (ভেঙে পড়া ওডি, অপর্যাপ্ত ওয়ার্ড)।
৪. রোগীর পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিতকরণ।
৫. ওষুধ কেলেঙ্কারি বন্ধ ও স্বচ্ছ বিতরণ।
৬. সিন্ডিকেট-দালালদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স।
৭. জরুরি ১০ আইসিইউ শয্যা স্থাপন।
বক্তারা অভিযোগ করেন, হাসপাতাল প্রশাসনই যেন দুর্নীতির আখড়া। সিমান্ত প্রামাণিক বলেন, “ওষুধের বিল্ডিং আছে, কিন্তু ওষুধ নেই। ডাক্তারদের পদ আছে, কিন্তু ডাক্তার নেই। এখানে শুধু টেন্ডারবাজি আর ফাইলের ঘূর্ণিঝড় চলছে।”
আন্দোলনকারীরা সতর্ক করেছেন, দাবি পূরণ না হলে আগামীতে বড় ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা প্রশাসনের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
জেলাবাসীর প্রশ্ন—”এই হাসপাতাল কি কখনও ‘জেনারেল’ হবে, নাকি শুধু নামেই থেকে যাবে?”