সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, উপজেলা প্রশাসন, গজারিয়া, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা নদীতে অবৈধ ঝোঁপ ফেলে মাছ শিকারের হিড়িক
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় মেঘনা নদীতে ঝোঁপঝাড় ফেলে মাছ শিকার করছে এক শ্রেণির লোক।এভাবে নির্বিচারে শিকার করায় বিলুপ্তির পথে দেশি মাছ।এ কারণে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ জেলেরা।হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র্য।স্থানীয়দের অভিযোগ,মেঘনা নদীতে ঝোপঝাড় পেতে মাছ শিকারে জড়িত স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি।খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে,গজারিয়া উপজেলার বালুয়াকান্দি ইউনিয়নের বড় রায়পাড়া ও মুদারকান্দি গ্রাম-সংলগ্ন মেঘনা নদীর বিভিন্ন অংশে ঝোপঝাড় পেতে চলছে মাছ শিকার।ঝোপ তৈরির শুরুতে নদীতে গাছের ডালপালা ফেলা হয়। পরে চারদিকে বাঁশের বেড়া ও কচুরিপানা দেওয়া হয়।এরপর ঝোপের ভেতরে মাছের খাবার দিয়ে চারদিকে সূক্ষ্ম জাল দিয়ে ঘের দেওয়া হয়।এতে নিরাপদ ভেবে ঝোপের ভেতরে আশ্রয় নেয় সব ধরনের মাছ।পরে সেগুলো শিকার করে কতিপয় ব্যক্তি।গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্যমতে,মেঘনা নদীর বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক ঝোপ আছে।এলাকাবাসী ও মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুযায়ী,মেঘনায় কমপক্ষে দুই শতাধিক ঝোপ রয়েছে।উপজেলার বড় রায়পাড়া গ্রামের আলমাস মিয়াসহ কয়েকজন জানান,বড় রায়পাড়া গ্রামের মতিউর রহমান মতি ও আব্দুল হামিদ নামে দুই ব্যক্তি সারাবছরই মেঘনা নদীতে ঝোপ দিয়ে থাকেন।একটি বড় ঝোপ থেকে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার মাছ বিক্রি হয়। আর এটি সম্ভব হয় অবৈধ ঝোপঝাড়ের সঙ্গে জড়িত এলাকার প্রভাবশালীদের কারণে।তারা আরও জানান,কয়েক বছর ধরেই মেঘনা নদীতে ঝোপ দিয়ে মাছ শিকার হচ্ছে।এগুলো দেখার কেউ নেই।এতে মৎস্যসম্পদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালালে নদীতে ঝোপ দেওয়া বন্ধ হতে পারে।স্থানীয় জেলেরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,জেলেদের নেই কোনো অভিযোগ দেওয়ার জায়গা।অভিযোগ দিলেও কর্ণপাত করার নেই কেউ।কারণ নদীর ঝোপের বড় সুস্বাদু মাছ যায় বড় বড় কর্তাব্যক্তিদের বাসায়।শুধু মাছ নয়,সঙ্গে টাকার বান্ডিলও যায়। এসব অন্যায় দেখার কেউ না থাকায় মাছের অবাধ বিচরণ ও প্রজনন বিঘ্নিত হয়ে উপজেলার মৎস্যসম্পদ হুমকির মুখে।ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে জীববৈচিত্র্যও।এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়।কিন্তু কল রিসিভ করেননি তারা। তাদের মোবাইল ফোনে মেসেজ পাঠালেও কোনো উত্তর দেননি।গজারিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কোহিনূর আক্তারের ভাষ্য,নদীতে অবৈধ ঝোপঝাড়ের সমস্যাটি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।খুব শিগগিরই অবৈধ ঝোপগুলো অপসারণে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ