ঢাকা ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৭ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
মৌলভীবাজারে আইনজীবী সুজন মিসকিলিং’র শিকার; চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫ প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ পুলিশি হেফাজতে কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উত্তরায় মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানের সময় তিন সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রেপ্তার-১ বাউফলে মেয়েকে কেন্দ্রে নেওয়ার পথে বাবার মৃত্যু,পরীক্ষার হলে মেয়ে ট্রানজিট সুবিধা বাতিলের ফলে বেনাপোল বন্দর থেকে ফেরত যাচ্ছে পণ্যবাহী ট্রাক পানাম নগরীর স্থাপত্য শৈলী ও নান্দনিক কারুকার্য দেখে মুগ্ধ কোরিয়ান প্রতিনিধি দল ভৈরবে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক,কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা শ্যামনগরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র কমিটি নিয়ে বিতর্ক: একযোগে ৪৮ সদস্যের পদত্যাগ রায়পুরায় ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন ইসি আনোয়ারুল ইসলাম  ফেসবুকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নৌকায় ধর্ষণ, ধৃত যুবক কাল থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু, অংশ নেবে ১৯ লাখ ২৮ হাজার পরীক্ষার্থী টংঙ্গীবাড়ীতে সড়ক জনপদসহ গ্রামীণ সরকারী সড়কের জমি দখল পটুয়াখালীতে অবৈধ ট্রলি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধনসহ বিক্ষোভ কর্মসূচী রায়পুরায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ কুলাউড়ায় পুলিশের ওপর হামলা করে আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার-৪ শ্রীনগরে বিপুল পরিমাণ সরকারি বই চোরাই ভাবে পিকআপ ভর্তি করে বিক্রি ভেড়ামারায় গাজর চাষে বাম্পার ফলনে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা গাঁজায় গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল ঈশ্বরদী,ইসরায়েলী সকল পণ্য বর্জনের ঢাক কক্সবাজারে সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে মারধর করে ২ লাখ টাকা লুট নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারের পুকুর হতে অজ্ঞাত কিশোরের মরদেহ উদ্ধার  বাংলাদেশে কয়েকটি আউটলেটে হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় যে বিবৃতি দিলো বাটা ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় ফুটেজ দেখে দায়ীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ মুন্সীগঞ্জে শীঘ্রই মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গাইবান্ধার রাজপথে ফিলিস্তিনের পক্ষে জ্বলে উঠল গণজাগরণ  সাতক্ষীরায় বিপুল পরিমাণ ভেজাল দুধ ও ঘি’সহ  আটক-২ ইসরায়েল-বিরোধী বিক্ষোভ করায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল না ফেরার দেশে, আলী আহাম্মদ চুনকার ছেলে আহাম্মদ আলী রেজা রিপন আজ ৭ এপ্রিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস শেষ রক্ষা হলো না, আ’লীগপন্থি ৭১ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ ৯ দিন বন্ধের পর আজ শুরু ভোমরা স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি ভোটকেন্দ্রে জামায়াত নেতার ছেলেকে গুলি, ৬ বছর পর মামলা বাউফলে ৯ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বৃদ্ধ গ্রেপ্তার আ’লীগ পন্থী  ৯৩ আইনজীবী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন গজারিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-৯ মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীর তীরে অষ্টমী স্নানোৎসব পালিত গাইবান্ধায় লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর অষ্টমী স্নানোৎসব, ব্রহ্মপুত্র-যমুনায় ভেসেছে ভক্তির ঢেউ ভৈরবে পল্লী জাগরণী সংঘের সভাপতি হামিদ ও সাধারন সম্পাদক আমিনুল নির্বাচিত ঈদের ছুটিতে গাইবান্ধায় তিন দিনে ৪ শতাধিক বিয়ে সম্পন্ন ঈশ্বরদীতে পুলিশের বিশেষ শাখার ডিআইজির রুপপুর প্রকল্প পরিদর্শন প্রকৃতি কন্যা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়  লৌহজংয়ের পদ্মা সেতু এলাকায় পলিথিন-স্কচটেপে প্যাঁচানো খণ্ডিত মৃতদেহ উদ্ধার মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ধলেশ্বরী নদীতে দেশি অস্ত্রসহ আটক-১৫ শহরের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বন্ধে চাষাড়ায় সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন মুন্সীগঞ্জে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত-৮ সিদ্ধিরগঞ্জে ফার্নিচার মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড: ১৪টি দোকান ভস্মীভূত হবিগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধ শতাধিক চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত-৭ হিংসা-বিদ্বেষ ভূলে কাঁদে কাঁধ মিলিয়ে না’গঞ্জের উন্নয়নে কাজ করতে চাই: জেলা প্রশাসক  চট্টগ্রামে দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৫ শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা গেছে, সোমবার ঈদুল ফিতর বাউফলে কলেজ ছাত্রী হেনস্তার শিকার  সাতক্ষীরায় দরদীর উদ্যোগে ইফতার পুনর্মিলনী ও কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত এক টাকায় ঈদের হাসি: ‘আমাদের গাইবান্ধার’ অসামান্য উদ্যোগ ঈশ্বরদীতে মটর শ্রমিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরন শ্রীনগরে ছিনতাইয়ের সময় গণপিটুনিতে নিহত-১, আহত-২ মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে এক দিনে প্রায় সোয়া ৪ কোটি টাকার টোল আদায় ঈশ্বরদীতে হাবিবুর রহমানের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  ঈশ্বরদীতে রেল ইঞ্জিনের ধাক্কায়  নানা-নাতনী নিহত জাগরণ সংস্থা’র উদ্দ্যোগে অসহায় পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরন জেলা প্রশাসকদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার ১২ নির্দেশনা নারায়ণগঞ্জে সুবিধাবঞ্চিত ৫ শতাধিক শিশু পেল ঈদের নতুন পোশাক কুষ্টিয়ায় ট্রাকচাপায় মা-ছেলের মৃ*ত্যু  ৬৬৮১ রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ কমিটির মুন্সীগঞ্জে পদ্মা সেতুতে ১২ঘন্টায় ১ কোটি ৪৬ লাখ টাকা টোল আদায় গাইবান্ধার মরিচের হাট: লাল সোনার বাণিজ্যে জমজমাট  কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত-২ হতদরিদ্রের মাঝে খাবার বিতরণ করলেন মানবিক জেলা প্রশাসক বিজ্ঞ আদালতের রায়ে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ঘোষণা কাল থেকে টানা ৯ দিনের ছুটিতে সরকারি চাকরিজীবীরা আজ পবিত্র ‘লাইলাতুল কদর’ মেট্রোর আদলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে যুক্ত হলো দেশে তৈরি কমিউটার ট্রেন নারায়ণগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় বীর শহীদদের স্মরণে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত  মুন্সীগঞ্জের ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে নির্বিঘ্নে ঈদযাত্রা সিদ্ধিরগঞ্জে জিয়া সৈনিক দলের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  মুন্সীগঞ্জে বর্ণিল আয়োজনে মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন পথশিশু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে ঈদ উপহার যথাযথ মর্যাদায় ঈশ্বরদীতে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন  মৌলভীবাজারে রণাঙ্গন’র অভিষেকসহ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত  চল্লিশ বছরেও অসম্পূর্ণ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল: ৭ দফা দিয়ে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ আজ ২৬শে মার্চ, মহান স্বাধীনতা দিবস ঈশ্বরদীতে যুবদলের উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল মুন্সীগঞ্জে স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে নৈশপ্রহরীকে গণপিটুনি রূপগঞ্জে তারেক রহমানের পক্ষে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ঈদের ছুটিতে পাহাড়ি পথ চা-বাগানের স্নিগ্ধতায় বেড়াতে ভ্রমণপিপাসুদের হাতছানি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দায়িত্বে শপথ নিলেন নতুন দুই বিচারপতি কক্সবাজারে আরাকান আর্মির শতাধিক পোশাকসহ আটক-৩ বড়লেখায় বিষপানে তরুণীর আত্মহত্যা  শহীদ আবু সাঈদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দিলেন সেনাপ্রধান জেলা পরিষদ’র উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে আর্থিক অনুদানের চেক প্রদান ঈশ্বরদীর রূপপুরে আলোচিত মানিক হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামিসহ গ্রেপ্তার-৩ কুলাউড়া সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র হাতে গ্রেপ্তার-৫ টংঙ্গীবাড়ীতে ৩ কসমেটিক্সের দোকানকে ভোক্তার ২০ হাজার টাকা জরিমানা মুন্সীগঞ্জে ১৭৩ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ কুলাউড়ায় শুরু হচ্ছে অভিযান, অবৈধ কাজে সুপারিশ না করার আহ্বান  না’গঞ্জ জেলা সাউন্ড মালিক সমিতির ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্ঠিত শ্রীমঙ্গলে চুরি হওয়া পিকআপসহ চোর আটক জেলা প্রশাসক ও প্রাণীসম্পদের সহায়তা সূলভ মূল্যে পন্য পাবে স্বল্প আয়ের ভোক্তা  পুণ্যময় রজনী শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৭৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।