সর্বশেষ:-
তিন দিনের মাথায় ফের না’গঞ্জের ডিসি বদলি নতুন দায়িত্বে জাহিদুল ইসলাম আইনি সহায়তা: বাংলাদেশ-ভারতসহ ডেনমার্কের তুলনামূলক বিশ্লেষণ মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া  দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর মা-ছেলের মহাপুনর্মিলন ঘটতে যাচ্ছে আজ পূর্ণ উৎপাদনে পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট পবিপ্রবির নতুন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইকতিয়ার সাতক্ষীরায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই প্রতিষ্ঠানকে অর্থদন্ড  কাচ্চি ডাইনের ফুটেজ ধারন করতে গিয়ে স্টাফদের হাতে হামলার শিকার ৩ সাংবাদিক ফরিদপুরে ট্রেন-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহত- ৫, গুরুতর আহত-৩ না’গঞ্জে দিগুবাবুর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সংস্থার কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক গনধর্ষণের পর মেয়েকে বিক্রির খবর শুনে পিতার মৃত্যু স্কুলে অনুপস্থিত থেকেও পাঁচ মাস ধরে বেতন তুলছেন প্রধান শিক্ষক রেলে নিয়োগ বানিজ্যসহ অনিয়ম-দুর্নীতি দায়ে পাকশি শ্রমিক লীগ নেতা আটক বাংলাদেশে অনলাইন জুয়ার বর্তমান পরিস্থিতি ও কুফল হাতকড়া পরিয়ে অর্থ নেওয়া সেই এসআই কুদ্দুস প্রত্যাহার ফের ৭.১ মাত্রার ভূ-কম্পনে কেঁপে উঠলো বাংলাদেশ না’গঞ্জে যুবদলকর্মী হত্যা মামলা: ডিবির সাবেক এসআই কনক ৫ দিনের রিমান্ডে সিদ্ধিরগঞ্জে ডিপিডিসি’র নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে দুদকের অভিযান কুলাউড়ায় অবৈধভাবে টিলা কেটে শ্রীঘরে ডিলারকে জিম্মি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন ছিল মাসুদের বাউফলে অপহৃত ব্যবসায়ী শিবু বণিককে উদ্ধার মিরপুরে বিজিবির অভিযানে পরিত্যক্ত ভবন থেকে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা জব্দ শ্রীমঙ্গলে ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান  না’গঞ্জের ডিসি মাহমুদুল হকের বদলির আদেশ বাতিল করলো সরকার এবার নীলফামারীর সিনিয়র সহকারী জজের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতকড়া পরিয়ে ব্যবসায়ীয় কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ এসআই কুদ্দুসের বিরুদ্ধে আরও ২১ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বিএফআইইউ নগরকান্দায় গলা কেটে হত্যার পর লাশ মাটিচাপা: পুলিশি অভিযানে উদ্ধার  কিংবদন্তি শক্তিমান অভিনেতা খ্যাত প্রবীর মিত্র মারা গেছেন আলফাডাঙ্গা সাব-রেজিস্ট্রারসহ দলিল লেখক কর্তৃক গ্রহীতা হয়রানির অভিযোগ মুন্সীগঞ্জে ঘন কুয়াশায় নষ্ট হচ্ছে ফুলকপি, ক্ষতির মুখে চাষিরা নারায়ণগঞ্জ জাতীয়তাবাদী জিয়া সৈনিক দলের আনন্দ র‍্যালি ভেড়ামারায় শিশু ধর্ষণে অভিযুক্ত সালামকে আটক করেছে পুলিশ কুষ্টিয়ায় বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-গুলি ও বোমা উদ্ধার বাউফলে ব্যবসায়ীকে ‘ফিল্মি স্টাইলে’ অপহরণ মৌলভীবাজারে দরিদ্র শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র লেপ বিতরন চরভদ্রাসনে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হলো জাতীয় সমাজসেবা দিবস প্রশাসন নির্বিকার,পদ্মার চরে নির্বিচারে অতিথি পাখি শিকার মুন্সীগঞ্জে প্রাথমিকে নতুন বই দিতে ১’শ টাকা করে আদায়ের অভিযোগ রাষ্ট্র বিনির্মাণে সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা ভালুকায় হিন্দু পরিবারের জমি জোরপূর্বক দখলের অভিযোগ  নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী নিয়াজ হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি সালাউদ্দিন গ্রেপ্তার  কুষ্টিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন সমবায় ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান মহির স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা মুন্সীগঞ্জে আলুগাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত শ্রমিক বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের গ্রুপিং চরমে মুন্সীগঞ্জে নদী তীরবর্তী পরিবেশ দূষণ করছে ৬ সিমেন্ট কারখানা ডিবি পরিচয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে অপহরণ মৌলভীবাজারে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর সেবাশ্রমের মূর্তি ভাংচুর লুটপাট  বাউফলে পদত্যাগে বাধ্য করতে প্রধান শিক্ষিকাকে লাঞ্ছিত  দোকানে ঝুলছিল ব্যবসায়ীর লাশ,পরিবারের দাবি পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যা পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি,স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা গ্রেফতার ডিসি নিজেই গাড়ি চালিয়ে চালককে বিদায়বেলায় বাড়ি পৌঁছে দিলেন  জমি সংক্রান্ত বিরোধ, ভাইয়ের হামলায় কৃষকের মৃত্যু দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ,অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা না’গঞ্জে থার্টি ফার্স্ট নাইটে প্রতিপক্ষের হামলায় যুবকের মৃত্যু, আহত-২ রাজধানীসহ আশপাশের জেলাজুড়ে আতশবাজি, মিরপুর-ধানমন্ডি- না’গঞ্জসহ একাধিক স্থানে আগুন আজ নারায়ণগঞ্জ আসছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মামলায় ঘুষের বিনিময়ে পাল্টে গেল সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট কুষ্টিয়ায় অস্ত্র গুলিসহ শীর্ষ সন্ত্রাসী রেজা আটক গফরগাঁওয়ে শহীদ জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত  সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের কাভার্ড ভ্যানের চাপায় নিহত-২ চরভদ্রাসনে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত ৩১ দফা দাবি জনতার কাছে পৌঁছে দিতে মুন্সীগঞ্জে ছাত্রদলের লিফলেট বিতরণ ভৈরবে তুচ্ছ ঘটনায় নিজ ছেলের হাতে বাবা আহত নারায়ণগঞ্জে নতুন ডিসি তৌফিকুর রহমানকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার ফের আরও ১২ সাংবাদিকের ব্যাংক হিসাব তলব রূপগঞ্জে গহবধূকে হত্যাচেষ্টাকারীকে ছেড়ে দিল থানা পুলিশ রূপগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত যৌক্তিক সময়ে এদেশের মানুষ নির্বাচন দেখতে চায়: শামা ওবায়েদ  নারায়ণগঞ্জসহ দুই জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ চার জেলায় নতুন পুলিশ সুপার কুষ্টিয়ায় গড়াই নদের পাড় থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার আগামী ২৫ জানুয়ারি পটুয়াখালীতে মিজানুর রহমান আজহারীর পরবর্তী মাহফিল  রেমিট্যান্স যোদ্ধার স্বীকৃতিস্বরূপ সিআইপি সম্মাননায় রাজনগরের কামাল  ভালুকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীকে মারধরের অভিযোগ  অ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় সিএনজির যাত্রী নিহত, আহত-৫ মৌলভীবাজারে ভারতীয় চিনিসহ এক চোরাকারবারী আটক কূটনৈতিক রিপোর্টিংয়ে ১ম অ্যাওয়ার্ড পেলেন মৌলভীবাজারের মিজানুর চার জেলা জজ ও সমমর্যাদার কর্মকর্তা বদলি নগরকান্দায় মহেন্দ্র নারায়ণ একাডেমির ‘কন্যা সাহসিকা’ কক্ষের উদ্বোধন  অপসাংবাদিকতা মানব সভ্যতাকে কলুষিত করে: মুন্সীগঞ্জে কাদের গনি  গাইবান্ধায় প্রিপেইড মিটার স্থাপন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন  সহায়তা পেয়েও দুর্বল ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট কাটছেই না মাওয়া টোলপ্লাজায় ৬ জন নিহতের ঘটনায় এবার বাস মালিক গ্রেপ্তার না’গঞ্জে পানকৌড়ি ট্রেনিং সেন্টারের ১’শ প্রশিক্ষণার্থীদের সার্টিফিকেট প্রদান কুষ্টিয়ায় সমিতির অর্থ চাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতের কব্জি কর্তনের অভিযোগ ভালুকায় হাতেম খানের অর্থায়নে ছিন্নমূল শীতার্তদের কম্বল বিতরণ  মাওয়া টোল প্লাজায় বাসচাপার ঘটনায় ঘাতক চালক না’গঞ্জে গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় চোরা কারবারীদের হামলায় আহত এপিবিএন ও পুলিশ সদস্য ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল পবিপ্রবির উপপরিচালকের ফের গ্রেপ্তার এড়াতে দেয়াল টপকে পালালেন কনকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মৌলভীবাজারে জাসাস’র ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত সচিবালয়ে প্রবেশের অস্থায়ী সব পাস বাতিল, সাংবাদিকরাও ঢুকতে পারবে না দেশের জনগণ গণতান্ত্রিক সরকার চায়: সিদ্ধিরগঞ্জে আজাদ  ভালুকা ইউনিয়ন শ্রমিকদলের আহ্বায়ক কমিটির অনুমোদন  সিদ্ধিরগঞ্জ যুব সমাজের উদ্যোগে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল অনুষ্ঠিত  সমাজ উন্নয়নে স্বীকৃতিস্বরুপ সম্মাননা স্মারক পেলেন সাংবাদিক সুজন ‘হায়রে রাজনীতি’ মৃত্যুর পরেও বানু খানের বিরুদ্ধে ঝুলছে মামলা

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫ ৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

মুন্সিগঞ্জের বেদে সম্প্রদায় বছরের পর বছর নাগরিক সেবা হতে বঞ্চিত

আপডেট সময়- ০৩:৫৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৫
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
দারিদ্র জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো বেদেঁ সম্প্রদায়।সাধারণত মাছ ধরে ও বিভিন্ন মেলামাইন সামগ্রী চুরি,ফিতা বিক্রি করে সংসার চলে তাদের। দারিদ্র এ জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিকেরও বেশি পরিবার বাস করে মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার সরকারি ডাক বাংলোর সংগস্নগ্ন খালে।
জলে ভাসা পদ্ম আমি শুধু পেলাম ছলনা।কালজয়ী এই বাংলা গানের মতই এই বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।নাগরিক অধিকার থাকলে নেই নাগরিক সুুবিধা।বিগত কয়েকে বছরে দেশ জুড়ে অনেক হতদরিদ্র মানুষের আবাসন ব্যবস্থা হলেও এই এলাকার একটি বেদেঁ পরিবারও পাননি কোন আবাসন সুবিধা।তাছাড়া তারা বঞ্চিত শিড়্গা ও সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা হতেও।সাধারণ অসুখে এ বেদেদের ভরসা তালতলা বাজারের ফার্মেসী । ফার্মেসী হতে ওষুধ কিনে খেয়েই সাধারণ রোগের চিকিৎসা চলে তাদের। আর একটু অসুস্থ কিংবা সন্তান প্রস্রাবের সময় তারা চিকিৎসা নেন বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্লিনিকে।সরেজমিনে ওই বেদেঁ পলিস্নতে গেলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোতে না যাওয়ার বিভিন্ন কারণ তুলে ধরেন তারা।এর মধ্যে অবহেলা আর অযত্নের কথাই তুলে ধরেন তারা।তাছাড়া সরকারি হাসপাতালে কিছু ঔষধ পাওয়া গেলেও ওই হাসাপাতালে গেলে বাইরে থেকেই ঔষধ কিনে খেতে বলেন দেন না কোন স্বাস্থ্য পরীক্ষা বলেও তাদের অভিযোগ।ওই বেদেঁ পলিস্নর সকলে জানেন সিরাজদিখান উপজেলার ইছাপুরা এলাকায় সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রয়েছে। তবে ওই স্থানে বসবাস করা বেদেঁ সম্প্রদায়ের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠী কখনো জীবনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে যাননি বলে জানান।এদের মধ্যে অনেকে গেলেও যথাযথ স্বাস্থ্য সেবা না পাওয়ায় একবারের পর আর জাননি বলে জানান অনেকে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় তালতলা বাজার সংগস্নগ্ন খালে এখনো নৌকায় বসবাস করছেন প্রায় অর্ধশত বেদে পরিবার।বিগত কয়েক বছর আগেও ওই স্থানে কয়েকশত বেদেঁ পরিবার বসবাস করতো বলে জানান ওই স্থানের বেদেঁরা।তবে বর্তমানে জলাশয়ের পরিমাণ কমে যাওয়ায় এবং খাল বিলে আগের মতো মাছ পাওয়া না যাওয়ায় তার উঠে আসছেন ডাঙায়।বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বসবাস করতে শুরম্ন করেছেন। যুগের পর যুগ ধরে ওই তালতলা বজারসহ মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে রয়েছে তাদের বসবাস।গ্রামে গ্রামে ঘুরে চুড়ি ফিতা ফেরি করে বিক্রি আর নদীতে মাছ ধরে কোনো রকম ভাবে সামান্য উপার্জন দিয়ে চলছে বেদে পলিস্নর বেদেদের জীবন।মূলত স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই।তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘদিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতো তারা।তাদের সত্মানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মত মৌলিক চাহিদা পূরণে সক্ষম হতো।জানাগেছে,মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নের মধ্যে প্রায় ৮টি ইউনিয়নেই রয়েছে বেদেদের বসবাস।উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের তালতলা বাজার ডাক বাংলোর পার্শ্ববর্তী ইছামতি নদীর তীর ঘেঁষে বেদে পলিস্ন বা বাইদ্যা পট্টি অবস্থিত।প্রায় ৫০/৫৫ টি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠা এই পলিস্নতে বসবাস করে ৩ শতাধিক বেদে।জানা যায়,তারা এই এলাকায় প্রায় অর্ধশত বছরের বেশি সময় ধরে এই এলাকায় বসবাস করে আসছে।তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচনে ভোট প্রদান করে আসছে।আর তাদের ভোটাধিকার দেওয়া হলেও দেওয়া হয়নি কোন নাগরিক সুবিধা।আকেফ নিয়ে অনেকেই বলেন আমরা ভোট দিতে পারলেও সরকার ভূমিহীনদের জায়গা ও ঘর দিলেও আমরা কেউ পাইনি ।স্থায়ী আবাসনের অভাবে বেদে সন্তানদের পড়ালেখার তেমন কোনো সুযোগ নেই। তাই বেদে বহরের সদস্যরা স্থায়ী আবাসনের দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।স্থায়ী আবাসন হলে দীর্ঘ দিনের ভাসমান জীবন থেকে বেরিয়ে এসে স্বাভাবিক ও স্থায়ী জীবনযাপনে যুক্ত হতে পারবে তারা।তাদের সন্তানরা শিক্ষা,স্বাস্থ্যের মতো মৌলিক চাহিদা পূরণে সড়্গম হবে।হতদরিদ্র এই পরিবারগুলো যখন নিজেরা আর্থিক দীনতায় ভুগছেন তখন সরকারি স্বাস্থ্যসেবা থেকে পুরোপুরি বঞ্চিত তারা।তাদের অভিযোগ সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা পান না তারা।তাই তাদের বহরের পাশের তালতলা বাজারের ঔষধ আর সিজার সহ অন্যান্য চিকিৎসা সেবানীতে তারা ছুটেন সিরাজদিখানের হোসনেয়ারাসহ কয়েকটি ক্লিনিকে।বেদে পলিস্নতে নারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় এখনো তাদের অধিকাংশ সন্তানই সিজারের মাধ্যমে জন্ম গ্রহণ করে।আর অন্যান্য রোগ বালাইতো রয়েছেই।সিজাররের মতো জটিল এই অপারেশনের জন্য তাদের প্রয়োজন হয় ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা।আর এ টাকা জোগাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।সিরাজদিখানের আরাফাত আর হোসনেয়ারা ক্লিনিকে সিজার করেন তারা।সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হয় তাদের।সিজারের অর্থের যোগানের বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,বেদেঁ পরিবারের স্বামী স্ত্রী উভয়ই কাজ করে থাকেন।এর মধ্যে বেদে পরিবারের স্বামীরা সাধারণত মাছ ধরার কাজ করেন আর স্ত্রীরা গায়ে গায়ে হেঁটে থালা-বাসন বিক্রি করে থাকেন।তবে বর্তমানে খাল বিলে যেমন কমেছে মাছের সংখ্যা অন্যদিকে তেমনি থালা-বাসন বিক্রিও কমে যাওয়ায় পরিবারগুলো চরম হতাশায় রয়েছে।এরমধ্যে রোগবালাই পড়লে নিতে হচ্ছে তাদের স্বাস্থ্যসেবা আর তা নিচ্ছেন তারা মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে।এ ব্যাপারেই বেদে পলিস্নর লাকি বলেন,জীবনে কোনোদিন সরকারি হাসপাতালেই যাই নাই।আমিসহ আমার সত্মানদের তালতলা বাজারের পাশে চৌধুরি বাড়িতে ডাক্তার দেখাই।ঢাকা থেকে ডাক্তার আসে।সরকারি হাসপাতাল কোথায় তা চিনি না।চারটি সন্তান আছে তাদেরকেও টাকা দিয়ে ডাক্তার দেখাই।তিনি বলেন আমরা ছোটবেলা হতেই নৌকায় বড় হয়েছি।এখনো আমার ৪ সন্তান মিলে আমার পরিবারের ৬ সদস্য। দিন দিন আমাদের পরিবারের সদস্য বাড়ছে অথচ আমরা পানিতে বসবাস করলেও খাল বিল শুকিয়ে পানির স্থান অনেক কমে গেছে।এখন আমার চার সন্তান নৌকায় রাখতে হলে কয়েকটি নৌকার প্রয়োজন।এতো নৌকা রাখার মত জায়গা নাই।তাই নৌকা ছেড়ে অন্য বাড়িতে ভাড়া থাকি। ২০০০ টাকা মাসে ভাড়া দিতে হয়।আমার স্বামী লাবু মাছ ধরে বছরে ৮-৯ মাস মাছ পায় ওই মাছ বিক্রি করে প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা পাওয়া যায় আর আমি গ্রামে গ্রামে কাঁচের মেলামাইন জিনিস বিক্রি করি।কিন্তু এখন মানুষ আর জিনিসপত্র কিনতে চায় না।কত আর কিনব ২০ বছর যাবত জিনিসপত্র বিক্রি করতেছি মানুষ আমাদের কাছ থেকে কিনতে কিনতে শোকজ ভরে গেছে এখন কিনা আর রাখবো কোথায়।এ ব্যাপারে রূপালী বেগম বলেন, আমরা বেদে পলিস্নর বাসিন্দা আমরা অসুস্থ হলে সাধারণত আমাদের পাশের তালতলা বাজার হতেই ওষুধ কিনে খাই।তবে আমাদের বেদেঁ পলিস্নর সন্তান এখনো সিজারের মাধ্যমেই জন্ম গ্রহণ করে। এ জন্য আমরা সিরাজদিখানের আরাফত ও হোসনেয়ারা ক্লিনিকে যাই।গ্রাম ঘুরে চুড়ি ফিতা পেস্নট বিক্রি করে সিরাজরের জন্য আগেই টাকা জোগাড় করে রাখি।স্বাস্থ্য কমপেস্নক্রে ডাক্তাররা ঠিকমতো কেয়ার নেয়না।তাই সরকারি হাসপাতালে যাই না।একটি সšত্মান সিজার করাতে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়।সোনা মিয়া বলেন আমরা অসুস্থ হলে পাশেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা সরকারি হাসপাতালে যাই না স্থানীয় তালতলা বাজারেতেই চিকিৎসা নিয়ে আমরা।আবুল হোসেন বলেন,আগে অনেক পরিবার এখানে বসবাস করতাম।এখন সবাই ওপরে উঠে গেছে।আমরা ৫০ টার মত পরিবার পানিতেই বসবাস করছি।অসুখ হলে আমরা তালতলা বাজার হতে ওষুধ কিনে খাই। শুনছি ইছাপুরা সরকারি স্বাস্থ্য হাসপাতাল আছে ওখানে কোনোদিন যাই নাই।বেদে পল্লির মোহাম্মদ আব্বাস বলেন অসুস্থ হলে মাঝেমধ্যে সরকারি হাসপাতালে যাই।গেলে লম্বা ছিড়িয়ালে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।লম্বা সিরিয়ালে দাঁড়িয়ে থাকার পর হাসপাতাল হতে দু-একটি ঔষধ পেলেও অধিকাংশ কিনে খেতে হয়।যার কারণে এত ঝামেলা হওয়াতে যাই না।আমি ছেলেকে নিয়ে মুসলমানি করার জন্য গিয়েছিলাম ডাক্তার বলছে এখানে হয় না।বেবি আক্তার বলেন,আমি মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি। পাঁচ বছর আগে অটো হতে পরে ব্যথা পেয়েছিলাম । আমার হাত ভেঙ্গে গিয়েছিল পড়ে আমাকে চার-পাঁচজন ধরে ইছাপুরা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স হাসপাতালে নিয়ে যায়।নিয়ে যাওয়ার পরে আমাকে কয়েকটা ওষুধ লিখে দিয়া বলে এগুলি খান গিয়ে।কোন এক্ররেও করলো না।আমরা এখন আর সরকারি হাসপাতালে যাই না অসুস্থ হলে বাড়ির পাশ হতে ওষুধ কিনে খাই।এ ব্যাপারে সিরাজদিখান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা.জামশেদ ফরিদি বলেন,আমাদের সরকারি হাসপাতালে সিজার এবং নরমালি ডেলিভারি করানো হয়।আমরা নভেম্বর মাসে ১৬টি এবং ডিসেম্বর চলতি মাসে এ পর্যšত্ম ১৫টি সিজার ও ৩৬টি নরমাল ডেলিভারি করিয়েছি।আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে বরাদ্দ দেওয়া হয় তার আলোকে আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিতে চেষ্টা করছি।সমাজকল্যাণ এর অর্থায়নে রোগী কল্যাণ সমিতি নামের একটি সংস্থা রয়েছে আমরা তার সাথে সমৃক্ত হওয়ার চেষ্টা করছি।সমৃক্ত হতে পারলে সিজারের সব ধরনের ঔষধ আমরা এখান হতে দিতে পারবো।মার্চ মাসের দিকে সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় সিরাজদিখানে আরো কয়েকটি প্রজেক্ট যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে ওগুলো যুক্ত হলে ব্যাপক আকারে সিজার করানো সম্ভব হবে।