ঢাকা ১০:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫, ২০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে: মোস্তফা জামান কুষ্টিয়ায় পাউবোর জমি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না’গঞ্জে অটোরিকশার স্ট্যান্ড দখল নিতেই বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ, নিহত-২ আমাকে অপহরণ করা হয়েছিল, গ্রেপ্তার নয়: মেঘনা আলম  এডিসির সঙ্গেও অনৈতিক সম্পর্ক ছিল বিশ্বপ্রেমিক ডিসি আশরাফের নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে জোড়া খুন দুই মাসেও ডিবি প্রধানের শূন্য পদ পূর্ণ হয়নি কর্মস্থলে অনুপস্থিত শরীয়তপুরের বিতর্কিত ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ভিডিও বার্তায় প্রেমিকাকে যা বললেন শরীয়তপুরের সমালোচিত ডিসি আইআরজিসির কাছে যুদ্ধকালীন ক্ষমতা হস্তান্তর করেছেন খামেনি পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ইকবাল বাহার ডিবি হেফাজতে পরিবেশ সংরক্ষণে জেলা প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপের ভূয়সী প্রশংসা করেন: জনপ্রশাসন সচিব বঙ্গোপসাগরে বৈরী আবহাওয়ায় মাছ ধরতে পারছে না জেলেরা: নিরাপদ আশ্রয় ফিশিং ট্রলার শরীয়তপুর জেলা প্রশাসকের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল না’গঞ্জে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় মাদক-ছিনতাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ নারায়ণগঞ্জে মাদকাসক্ত ছেলের নির্যাতনের শিকার বাবা-মার হাতেই পুত্র খুন সেনা অভিযানে তিন সপ্তাহে ৫৬ অবৈধ অস্ত্রসহ ৯৯৬ অপরাধী গ্রেপ্তার কমলগঞ্জে ৩ কেজি গাঁজাসহ দুই কারবারি পুলিশের জালে আদমজী বিহারি ক্যাম্পে সেনা অভিযান, অস্ত্রসহ ২ নারী আটক কুষ্টিয়ায় পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ছাত্রাবাসে কলেজ ছাত্রের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের ধূম্রজাল শরণখোলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সেনাবাহিনীর হাতে আটক হওয়ায় পিতার সংবাদ সম্মেলন কমলগঞ্জে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা কুলাউড়ায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার দেশজুড়ে থেমে থেমে বজ্রসহ বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ট্রাম্পের হুমকির পর আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ির পাল্টা জবাব ‘যুদ্ধ শুরু হলো’ নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এন্ড কলেজে দুর্ধর্ষ চুরি সোনারগাঁয়ে খালপাড় বেড়িবাঁধ থেকে যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৫১ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।