ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
নারায়ণগঞ্জে র‍্যাব সদস্যকে ছোড়া গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে নারী গুলিবিদ্ধ সব ভূলে অসুস্থ টিপুকে দেখতে ছুটে গেলেন বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান ’প্রাইজ পোস্টিং’ পেয়ে আবেগাপ্লুত বিদায় নিলেন ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা  কুষ্টিয়া-২ আসন শহিদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে মানববন্ধন গাইবান্ধায় মাদ্রাসা সুপারের অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন টেকনাফ ভুমি অফিস পরিদর্শনে ভুমি মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ‘আমাকে খুঁইজেন না, বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে আছি, ভালো আছি’ পুলিশকে নিখোঁজ তরুণীর বার্তা নান্দাইলে ৪’শ বছরের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে অনুষ্ঠিত হলো পারিবারিক মেলবন্ধন তৃতীয় লিঙ্গের মডেল জারার বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার,থানায় জিডি চকরিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে শীর্ষ ডাকাত সাইফুলের বসত ঘরে থেকে অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার না’গঞ্জে তুচ্ছ ঘটনায় কৃষকদল নেতার ওপর হামলা ও গুলি ছোড়ার অভিযোগ প্রার্থী বারবার ছুটে গেলেও, দলীয় সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করলেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা পঞ্চমীঘাটে স্কুল শিক্ষক লাঞ্ছনাসহ হামলার ঘটনায় প্রতিবাদ সভা টেকনাফে পৃথক অভিযানে চিহ্নিত ২ আসামি গ্রেপ্তার ফরিদপুরে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ভাংচুর মামলায় গ্রেপ্তার-২২ ত্রিভুজ প্রেমের বলি আশরাফুল, হত্যার দুদিন পর মরদেহ ২৬ খন্ড করে ফেলে যায় ধানমন্ডি ৩২’এ মারধরের শিকার নারীকে জুলাইয়ে হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মামুন হত্যা মামলার আসামি সুমন গ্রেপ্তার ১০ হাজার কর্মীসমর্থকদের নিয়ে মাসুদুজ্জামানের আনন্দ শোভাযাত্রা-গনমিছিল  নির্বাচিত হলে সরকারী বরাদ্দের অর্থের ৫ টাকাও দূর্নীতি করতে দিবো না: কাসেমী বিবিসিতে দেয়া সাক্ষৎকারে হাসিনা মানবতাবিরোধী অপরাধ সুস্পষ্টভাবে অস্বীকার করেন মাত্র ২৯ দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রামের নতুন ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা একদিনে ২৩ জেলায় নতুন ডিসি, ঢাকা-গাজীপুরে ফের বদল টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযানে বিপুল পরিমাণে ইয়াবাসহ আটক-১ টেকনাফে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ নারী শ্রমিক নিহত বদলি হয়ে গেলেন নারায়ণগঞ্জের ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা মাত্র একদিনেই ঐক্যের বার্তা নিয়ে চমক দেখালেন মাসুদুজ্জামান ঐক্যের বার্তায় এক সূত্রে মেলবন্ধনে গাঁথলেন টিপু ও মাসুদ সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদকে পাশে নিয়ে মাসুদুজ্জামানের গণসংযোগ বন্দরবাসীর যৌক্তিক চাহিদা পূরনে পাশে থাকার আশ্বাস মাসুদুজ্জামানের বর্ণাঢ্য আয়োজনে নারায়ণগঞ্জে মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত উখিয়ায় ১৯ কেজি গাঁজাসহ আটক-১ টেকনাফে অস্ত্রসহ ২ রোহিঙ্গা ডাকাত আটক ফতুল্লায় নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে ৫ আ’লীগ কর্মী গ্রেপ্তার  ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রীমহল পরিকল্পিতভাবে ভয়েজ এডিট করে ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে: মান্নান নারায়ণগঞ্জে  সাপ্তাহিক ‘ক্লিনিং ডে’ কার্যক্রমের উদ্বোধন করলেন জেলা প্রশাসক মিট দ্যা প্রেস’এ তার বিরুদ্ধে সকল অপপ্রচারের উপযুক্ত জবাব দিলেন মাসুদুজ্জামান বিদেশ থেকে ফিরেই সাবেক এমপি কালামের বাড়িতে ছুটে গেলেন মাসুদুজ্জামান তোলারাম কলেজে তোপের মুখে বিকেএমইএ সভাপতি হাতেম নাসিক সিইও জাকির হোসেনের বদলি আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন টেকনাফ এসিল্যান্ডের অভিযান রঙ্গিখালী খাল উদ্ধার  কক্সবাজারে র‍্যাবের অভিযানে গাঁজা ও ফেন্সিডিলসহ আটক-১ না ফেরার দেশে বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র না’গঞ্জে যুবলীগ কর্মীকে গ্রেপ্তারের ৩ দিনের মাথায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর মৃত্যু, প্যারোলে জানাজায় টেকনাফে কোস্টগার্ডের অভিযান: সিএনজিসহ ১০ হাজার ইয়াবা জব্দ আটক-১ রায়পুরায় এক হাজার পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার-১ কুষ্টিয়ায় শহিদুল ইসলামকে বিএনপির প্রার্থী করার দাবিতে মহাসড়কে বিক্ষোভ টঙ্গীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলার শিকার হয়ে চার আঙুল হারালো যুবক ইসলামী দল মানুষের অধিকার নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে না: মাও. মিজানুর রহমান দেশের ২৯ জেলায় ডিসি নিয়োগ; এদের মধ্যে ২১ জনই নতুন মুখ রাজধানীতে পৃথক স্থানে দুটি বাসে আগুন মৌলভীবাজারে বিএনপি’র বৈঠকে “জয় বাংলা”শ্লোগানে তোলপাড়  গাইবান্ধায় বিএনপির ‘দুই নেতার সংঘর্ষের আভাসে ১৪৪ ধারা জারি  ফের ১৪ জেলায় নতুন ডিসি নন-এমপিও শিক্ষকদের ঘেরাও কর্মসূচীতে পুলিশের লাঠিচার্জ-জলকামান আইভীর ৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন লাভ, কারামুক্তিতে আর বাঁধা থাকলো না অবশেষে গিয়াসউদ্দিনের কাছে দোয়া নিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ এর বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মান্নান বিজয় ও রাশমিকা মান্দানার বিয়ের গুঞ্জন বিশ্বজুড়ে চাউর ৮ ডিসিকে যুগ্মসচিব হিসেবে পদায়ন ঈশ্বরদীতে শাহ্ সুফি কালাচাঁদ ফকিরের ১৪তম ওফাত দিবসে ওরশ মোবারক মোংলার পশুর নদীতে ইঞ্জিন চালিত বোট উল্টে  আমেরিকা প্রবাসী নারী পর্যটক নিখোঁজ সেন্টমার্টিনের ছেড়া দ্বীপে কোস্ট গার্ডের অভিযান: ট্রলিং বোট ও থাই জালসহ ১৯ জেলে আটক চকরিয়ায় হাইয়েস গাড়ি নিয়ে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ৪ ডাকাত গ্রেফতার দেশের ১৫ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দিয়ে মধ্যরাতে প্রজ্ঞাপন জারি শীতলক্ষ্যা নদীতে নিখোঁজের ১২ ঘন্টা পর যুবকের মরদেহ উদ্ধার অঘোষিত নারায়ণগঞ্জ-৪, আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিতে মরিয়া শাহ্ আলম সোনারগাঁয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: এটি পারিবারিক বিবাদ,এর দায় বিএনপি নিবেনা: মান্নান “এআই যুগে মানুষের সৃজনশীলতার নতুন সংজ্ঞা”–সাদিয়া ইসলাম ইরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত ইয়াবা ডন হারুন টেকনাফে প্রকাশ্যে দেদারসে ঘুরে বেড়াচ্ছে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে সাবেক এমপি কালামপুত্র আশা’র নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য র‍্যালী জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে মাসুদুজ্জামানের পক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত শরণখোলায় শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিএনপি নেতা ড.ওবায়দুল ইসলাম বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ফরিদপুর জেলা পশ্চিমের শাখা প্রতিনিধি বৈঠক অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় নিজ বাড়ি থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার সেনাপ্রধান ও নির্বাচন নিয়ে বিভ্রান্তিকর অপপ্রচার, যা জানালো সেনাবাহিনী সেনাপ্রধানকে ঘিরে মিথ্যা অপপ্রচারণা: সতর্ক করলো সেনাবাহিনী শিক্ষা আলো ছড়িয়ে দিতে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীকে ল্যাপটপ উপহার দিলেন জেলা প্রশাসক  বাইউস্টে অনুষ্ঠিত হলো “সি.এস.ই ফল ফেস্ট  পানির ট্যাঙ্কে লুকিয়েও রক্ষা হলো না সাবেক ছাত্রদল নেতা এনামুল হক মোল্লার স্বপ্ন পূরণে দুই প্রমিলা ফুটবলারের পাশে ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা  বন্দরের মুছাপুরে ধানের শীষের পক্ষে মাসুদুজ্জামানের জনসংযোগে জনতার ঢল নারায়ণগঞ্জে ছাত্রদল নেতা ও বাবার নেতৃত্বে সংবাদকর্মীর ওপর হামলা জনসংযোগে হামলা: চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, নিহত-১ অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে দেশ স্থিতিশীল হবে: সেনাসদরের বার্তা না’গঞ্জ জেলা প্রশাসকের তথ্য ব্যবহার করে প্রতারণার দায়ে যুবক আটক টেকনাফে সাবেক ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধার ৫টি আসনে ধানের শীষ নিয়ে লড়বেন যারা নরসিংদীর পাঁচ আসনের ৪টিতে বিএনপি’র মনোনয়ন পেলেন যারা টেকনাফের গহীন পাহাড়ে নারী-শিশুসহ ২৫ জন উদ্ধার,২ পাচারকারী আটক ভাঙ্গায় স্কুল পড়ুয়া মেয়ে পালিয়ে যাওয়ায় মায়ের ট্রেনে নিচে আত্মহনন কুষ্টিয়ার রেলসেতুর নিচ থেকে দ্বিখণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার আমার মনোনয়ন আপাতত ‘অন হোল্ড’ রয়েছে: রুমিন ফারহানা বেগম জিয়াসহ ধানের শীষের মনোনয়ন পেলেন ১০ নারী বিএনপির প্রার্থী তালিকায় নাম নেই যেসব আলোচিত হেভিওয়েট নেতাদের মনোনয়ন ঘোষণার পর সহিংসতা, মধ্যরাতে বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার নারায়ণগঞ্জে পাঁচটির আসনের মধ্যে ৪টিতে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন যারা নারায়ণগঞ্জ-৫’এ বিএনপির চুড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন মাসুদুজ্জামান মীরসরাইয়ে শিশুধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি উখিয়া থেকে গ্রেফতার আজ দুপুরে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে অন্তর্বর্তী সরকার

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ২১৪ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।