ঢাকা ১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৮ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই.!  গাইবান্ধায় দুই শতাধিক শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে ডিসি-এসপি সিদ্ধিরগঞ্জে সাত কেজি গাঁজাসহ এক কারবারি গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক নিহত  মহেশখালীতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ তিন সন্ত্রাসী আটক টেকনাফে গহীন পাহাড়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ২ট্রাক চালক নিহত এনসিপি নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনা, বয়কট সংবাদ সম্মেলন আজ বিজয়া দশমী, দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব উত্তাল সাগর, দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কক্সবাজারে ১৬ হাজার ৪০০ ইয়াবাসহ তিন তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা আটক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই আসামি র‍্যাবের জালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট ১৯ কি: মি: মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট না’গঞ্জে র‍্যাবের হাতে আটক আসামীকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা, র‍্যাব সদস্যসহ আহত-৪ শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা জানালেন পুলিশ প্রধান আমরা কোনো ধরণের দলীয় পদ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চাই না: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে ২৪ হাজার ইয়াবা ও সিএনজিসহ পাচারকারী আটক  আ’লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে আজ শারদীয় দুর্গাপুজার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-ডিটারজেন্ট ও সাবান রাজধানীতে অনাবিল বাসে নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি, চালক-হেলপার আটক উখিয়ায় সাংবাদিক তানভীর শাহরিয়ার গ্রেপ্তার, সংবাদকর্মীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ পর্যটনবান্ধব নগরী গড়তে সবার ঐক্য চাই : কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক গাইবান্ধার স্বাস্থ্যসেবায় অন্ধকার: ফুলছড়িতে সিজার বন্ধ, জনবল সংকট চরমে না’গঞ্জের আরএস কম্পোজিটে বিশ্বমানের কমপ্লায়েন্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্প পুলিশ প্রধান প্রতিহিংসা ও বিভক্তি বর্জন করে সুশৃঙ্খল রাজনীতি করতে মাসুদুজ্জামানের আহবান দুর্গোৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ: বন্দরে জেলা প্রশাসক শীর্ষস্থানীয় ব্রান্ড আড়ং’র শপিং ব্যাগের মূল্য নেয়া বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ না’গঞ্জে ওভারপাস থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়া ট্রাকের চাপায় রিকশা চালকের মৃত্যু আড়াইহাজারের সাবেক এমপি বাবুর অনুসারী ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত নরসিংদীতে হাসপাতালে ভাংচুর ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন থমথমে খাগড়াছড়ি: অনিদিৃষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা, ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠী সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে ২২৪টি পূজামণ্ডপে অনুদান: ডিসি  আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ বোধন’র মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা না’গঞ্জে কিশোরী অপহরণে মূল হোতা আট বছর পর পিবিআই’র জালে উৎসবমুখর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে: জেলা প্রশাসক উখিয়ার তুমব্রু সীমান্তে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক দুর্গোৎসব উপলক্ষে সারাদেশে র‍্যাবের ২৮১ টহল দল মোতায়েন দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ২ প্লাটুন র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত থাকবে: সিইও ষড়যন্ত্র হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবো, বিভক্ত হবো না;  মাসুদুজ্জামান আড়াইহাজারের নান্দনিক ইকোপার্ক প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিনত হবে শ্যালিকার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফতুল্লার পুজামন্ডপসহ প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শনে ইউএনও নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ টেকনাফে মানব পাচারকারী আটক, তিন ভুক্তভোগী উদ্ধার না’গঞ্জে এবারের দুর্গোৎসবে ৭০টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান দিবেন মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে ফের মাদকবিরোধী ব্লক রেইড, শীর্ষ কারবারি আলম চানসহ আটক-২৪ টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৩৯ হাজার ২’শ ইয়াবা উদ্ধার গাইবান্ধায় সাঁওতাল শিশুদের স্কুল ও মাঠ দখলের চেষ্টা: তীব্র প্রতিবাদ গাইবান্ধায় স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে ধান ও মাছের চাষ ভাঙ্গায় ২ ইউনিয়নকে পূর্নবহালের দাবিতে মানববন্ধন, নিরীহ জনগণকে হয়রানি না করার আহ্বান শ্রীমঙ্গলে ৯দিন ব্যাপী নবদুর্গা পূজা শুরু কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে টাইগার সিমেন্ট কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শ্রীমঙ্গলে শেভরনে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী আপেল গ্রেপ্তার  জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও তাসলিমা শিরিনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস না’গঞ্জে ডিপিডিসি ভবনে শ্রমিক ছব্দবেশে ডাকাতি ঘটনায় ৯ সদস র‍্যাবের জালে শ্রীমঙ্গলে ২৫ কেজি ওজনের ১৪ফুট অজগর সাপ উদ্ধার  গাইবান্ধায় একদিনে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃ*ত্যু রায়পুরায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার সংসদীয় আসন বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে ভাঙ্গায় শান্তিপূর্ন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে ডিপিডিসির নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা না’গঞ্জে মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদ কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন গাইবান্ধা কারাগারে আ’লীগ নেতার মৃত্যু, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড টেকনাফে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারী আটক, উদ্ধার-৮৪ নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান না’গঞ্জে ইন্টার্নি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ: চিকিৎসক’কে মারধর কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানান অসংগতি; জেলা প্রশাসক  আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ বিপুলসংখ্যক এনআইডি কার্ড উদ্ধার রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ মুকুট বিজয়ী কে এই তানজিয়া মিথিলা? গাইবান্ধায় দেশের সর্বোচ্চ ও বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবমূর্তি দূর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী অফিসারগন পরিদর্শনে থাকবেন পুলিশের ৯ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বদলি কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার প্রথম নারী ওসি হিসেবে ফরিদা ইয়াসমিন’র যোগদান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি এবার জনপ্রশাসন সচিব মোখলেস উর রহমানকে সরিয়ে দেওয়া হলো চট্টগ্রামসহ ৩ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক শেখ হাসিনা ৫ আগষ্ট পদত্যাগ করেননি : দাবি স্টেট ডিফেন্সের জরাজীর্ণ সাঁকো, ২-যুগেও রাস্তা নির্মান হয়নি বৈদ্যের বাজার জেলে পল্লীতে লাগামহীন সবজির বাজার, বেশির ভাগ সবজিই ৮০ টাকার উপরে বিশ্বমানের ফুড রেস্টুরেন্ট ‘রেড চপস্টিক’-কে’স ক্যাফে এখন নারায়ণগঞ্জে ডিজিটাল সাংবাদিকতার দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ দিল মিডিয়া ট্রেনিং ইনস্টিটিউট গাইবান্ধায় ৫’শ ৮৭ মণ্ডপে দুর্গোৎসবের আগমনী বার্তা, সর্বাত্মক প্রস্তুতি সম্পন্ন  গাইবান্ধায় বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব: মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন না’গঞ্জে উদ্ধারকৃত ২৩ একর জমিতে তৈরি করা হবে দৃষ্টিনন্দন ইকোপার্ক: ডিসি সোনারগাঁয়ে ১৫’শ ইয়াবাসহ এক মাদক কারবারি গ্রেপ্তার মিয়ানমারগামী বোটে বিপুল খাদ্যপণ্য পাচারকালে আটক-১০ রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে এসি বিস্ফোরণ; একই পরিবারের দগ্ধ-৪ হতদরিদ্র মানুষের পাশে মানবতার ফেরিওয়ালা কাজী রুবায়েত হাসান।  বিএনপি নেতা এ্যাড. টিপুর পথশিশুদের নিয়ে ব্যতিক্রমী আয়োজন নারায়ণগঞ্জে সৎ বাবা কর্তৃক কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ: আটক-২ সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনায় ভাইয়ের ‘দাঁ’ এর কোপে ভাই খু*ন

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ ১৯৫ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

হাফলং ভারতের সুইজারল্যান্ড মৃত্যুকূপের সন্ধানে সারা বিশ্বের পরিযায়ী পাখি

আপডেট সময়- ০৬:৪৫:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।

 

পাখিরা কি জানতে পারে মৃত্যুর দিনক্ষণ ? নিজের এলাকায় স্বাভাবিক ভাবে কোন পাখিকে মরতে দেখেছেন কখনো ? নিশ্চয় নয়।জানেন তো পাখিরা বংশ বিস্তারের জন্য কোথায় যায় । কিন্তু পাখিরা মৃত্যুর উদ্দেশ্যে কোথায় যায়?তারা কি জানতে পারে তাদের মৃত্যুর দিনক্ষণ? পাখিদের মধ্যেও কি শক্তিশালী জ্যোতিষী রয়েছে? ডিমসাদের ভূমি হাফলঙ্গের থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে জটিঙ্গা।
আমার বাবা সেখানে গিয়ে দেখে এসেছেন সুদূর জার্মানী, রাশিয়ার সাইবেরিয়া ,চীন,কোরিয়া ,অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, কানাডা সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের পাখিরা জটিঙ্গাকে বেছে নিয়েছে না ফেরার দেশে যাওয়ার কেন্দ্র। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে নবেম্বর পর্যন্ত হাজার হাজার রঙ বেরঙের পাখি ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসে সুউচ্চ পাহাড়ের কোণে জটিঙ্গায়। তাদের কিচির মিচির গানে মুখরিত হয়ে ওঠে এই সুদৃশ্য জনপদ। ফুলে ফুলে ভাড়া জটিঙ্গার গাছে গাছে তাদের ছোটাছুটি দেখার মতো। তারপর এক সময় তারা ঝাপিয়ে পড়ে ভারত –বাংলাদেশের দুই পাহাড়ের মাঝখানে এক কিলোমিটার নিচে বয়ে যাওয়া খর শ্রোতা নদীতে। তারপর বিলীন হয়ে যায় নদী গর্ভে।
জটিঙ্গা পাহাড়ের একেবারে শীর্ষে অবস্থিত। দীর্ঘ তিন মাস ধরে চলে তাদের মৃত্যু বরণ। সারা বিশ্বের ৪০০ বিজ্ঞানী এদের নিয়ে কয়েক যুগ থেকে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এখানো কোন সমাধান সুত্র খুঁজে পান নি। জটিঙ্গা পাহাড়ের বুকে অসংখ্য স্থায়ী তাঁবু খাটিয়ে বিজ্ঞানীরা দিনরাত গবেষণা করে চলেছেন এখনো।দূর দূর থেকে আসা পর্যটকদের জন্য অসম সরকার একটি সুদৃশ্য পর্যবেক্ষন বাংলো তথা গেস্ট হাউস নির্মাণ করেছে পাহাড়ের অনেকটা উঁচু অবস্থানে। গেস্ট হাউসের নিচে একটি ফলক শোভা পাচ্ছে। তাতে লেখা রয়েছে, “ বিশ্বের পরিযায়ী পাখিরা এখানে ছুটে আসে ,এবং আত্মহত্যা করে” ।
এখানে এলে যেমন দুচোখের শান্তি পাওয়া যাবে,তেমনি তাদের মৃত্যুতে গভীর শোকের ছায়াও নেমে আসবে। তবে অনেক স্থানীয উপজাতিরা এই পাখিদের আগমনের সুযোগ নিয়ে পাখিদের শিকারও করে থাকেন। এটা নির্মম ও জঘন্য। সরকার ও স্থানীয ডিমসা শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের এগিয়ে এসেছেন এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে।
গুয়াহাটি থেকে সড়কপথে ১২ ঘণ্টা। ট্রেনে মাত্র ৫ ঘন্টার পথ হাফলং। সডাক পথে যেতে যেতে চোখে পড়বে দীর্ঘ ঘন অরণ্য। লঙ্কায় পৌছনের পর শুরু হবে পাহাড়ের পথ। হাফলং এর কাছাকাছি এলেই চোখে পড়বে ফুলে ফলে ভরা ভারতের দ্বিতীয় সুইজারল্যন্ড। লাল ,সাদা ,হলুদের পাহাড়। অনেক উঁচুতে শীতের সময় বরফ পড়তে দেখা যায়। ঘন মেঘের কুয়াশার আস্তরণ ভেদ করে জটিঙ্গায় যেতে হয়। হাফলং এর স্থায়ী বাসিন্দাদের ৩৫ শতাংশ বাঙালি। বাকিরা ডিমসা সম্প্রদায়ের। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এই অঞ্চলটি ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন ছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন ডিমা হালম ড়াউগা {ডি এচডি নুনিসা} , ব্ল্যাক উইডো {ডি এচ ডি গড়লোসা],পৃথক রাজ্যের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রামের ডাক দিয়ে মারাত্মক অস্ত্র একে ৪৭, মর্টার, মেশিনগান, রকেট লঞ্চার নিয়ে দীর্ঘ লড়াই করেছিল। সুরক্ষা কর্মী ,নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর গোলাগুলিতে ৫ হাজারের বেশি মনুস প্রাণ হরিয়েছিলেন। অনেক ঝুঁকি নিয়ে আমার বাবা সাংবাদিক মানস বন্দ্যোপাধ্যায় অজ্ঞাত স্থানে মাটির নিচে দেখা করেন ডি এচ ডির সর্বাধিনায়ক দিলীপ নুনিসার সঙ্গে। সে এক বিশাল কাহিনী। তারপর মানস বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের মূল স্রোতে ফিরে আস্তে রাজি করান। দিলীপ নুনিসা যুদ্ধ বিরতিতে রাজি হন। এরপর দিল্লিতে নর্থ ব্লকে গোপন আড্ডার বাইরের বেশ কয়েকজনকে নিয়ে প্রথমে স্বরাষ্ট্র সচিব {নর্থ ইস্ট} আর এ সি জৈনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিতীয় দফায় দেখা করেন উপ প্রধানমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাল কৃষ্ণ আদবানির সঙ্গে। এই ব্যপারে সহযোগিতা করেছিলেন সেই সময়ের বিজেপি সভাপতি এম বেংকাইয়াহ নাইডু ও সুষমা স্বরাজ।
তারপর এসেছিল ২০০৩ সালের ১ জানুয়ারী। দিলীপ নুনিসা ৬ মাসের জন্য যুদ্ধ বিরতি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এরপর একে একে ব্ল্যাক উইডো তথা ডি এচ ডি গড়লসা ,বেঙ্গলি টাইগার ফোর্স ,এন এফ টি ত্রিপুরার নয়নবাসি ওরফে এস নকবার বরক মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মূল স্রোতে ফিরে আসেন। শান্তি ফিরে আসে পুরো অঞ্চলে।