ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫, ২২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
দৃষ্টিহীন আলভীর পাশে মানবতার হাত বাড়ালেন: মানবিক ডিসি কানের দুল ছিনিয়ে নিতে ৪ বছরের শিশু হত্যা, দুই আসামির আদালতে স্বীকারোক্তি গাইবান্ধায় অ্যানথ্রাক্সে নারীর মৃত্যু: স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি এটা গুজব সিদ্ধিরগঞ্জে মাদকবিরোধী অভিযানে ইয়াবা ও হেরোইনসহ ৪ মাদক কারবারি আটক শুধু নিজের ভালো চিন্তা করলেই হবে না, রাষ্ট্রের ভালোও চিন্তা করতে হবে: বসতি দিবসে ডিসি নারায়ণগঞ্জে মৌমিতা বাসের ধাক্কায় অটোরিকশা চালক নিহত, আহত-২ ঈশ্বরদী জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপক কোটি টাকা নিয়ে উধাও নগরবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ৪টি ফগার মেশিনসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম প্রদানের আস্বাস মাসুদুজ্জামানের টেকনাফে নিখোঁজের ২২ ঘণ্টা পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার টেকনাফে রাজমিস্ত্রির ছদ্মবেশে রোহিঙ্গা দম্পতির ইয়াবা বাণিজ্য, আটক-২ রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বাস্তবায়নে দাশুড়িয়া পথসভা জনসমুদ্রে পরিনত টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৬ মানবপাচারকারী আটক: নস্যাৎ হলো বড় পাচারের ছক মাসুদুজ্জামানের মনোনয়ন ঠেকাতে মিশন: মামলায় ফাঁসাতে বড় অংকের চুক্তি ক্লাব সংগঠকদের দেশের ক্রিকেট বয়কটের হুমকি কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করে দলের স্বার্থে’ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান মাসুদুজ্জামানের বন্দর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সানুর ভাই যুবলীগ কর্মী ফকির উল্ল্যাহ গ্রেপ্তার সাত শতাধিক দৌড়বিদের অংশগ্রহণে রায়পুরা ম্যারাথন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত ভাষাসৈনিক আহমদ রফিক আর নেই.!  গাইবান্ধায় দুই শতাধিক শ্রমিকদলের নেতাকর্মীর জামায়াতে ইসলামীতে যোগদান নারায়ণগঞ্জে প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনে ডিসি-এসপি সিদ্ধিরগঞ্জে সাত কেজি গাঁজাসহ এক কারবারি গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক নিহত  মহেশখালীতে অস্ত্র-গোলাবারুদসহ তিন সন্ত্রাসী আটক টেকনাফে গহীন পাহাড়ে নারী ও শিশুসহ ২১ জন উদ্ধার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর সেতুতে অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় ২ট্রাক চালক নিহত এনসিপি নেতাকর্মী কর্তৃক সাংবাদিক লাঞ্ছনা, বয়কট সংবাদ সম্মেলন আজ বিজয়া দশমী, দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব উত্তাল সাগর, দুপুরের মধ্যে ৮ অঞ্চলে ঝড়ের আভাস কক্সবাজারে ১৬ হাজার ৪০০ ইয়াবাসহ তিন তৃতীয় লিঙ্গের হিজরা আটক আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পুলিশকে কামড়ে পালানো সেই আসামি র‍্যাবের জালে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট ১৯ কি: মি: মহাসড়কে ভয়াবহ যানজট না’গঞ্জে র‍্যাবের হাতে আটক আসামীকে ছিনিয়ে নিল সহযোগীরা, র‍্যাব সদস্যসহ আহত-৪ শারদীয় দুর্গাপূজার মহানবমী আজ মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি পেতে যে নিয়মের কথা জানালেন পুলিশ প্রধান আমরা কোনো ধরণের দলীয় পদ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে চাই না: মাসুদুজ্জামান টেকনাফে ২৪ হাজার ইয়াবা ও সিএনজিসহ পাচারকারী আটক  আ’লীগের কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা যেকোনো সময় তুলে নেওয়া হতে পারে আজ শারদীয় দুর্গাপুজার মহাঅষ্টমী ও কুমারী পূজা টিসিবির পণ্য তালিকায় নতুন যুক্ত হচ্ছে চা-লবণ-ডিটারজেন্ট ও সাবান রাজধানীতে অনাবিল বাসে নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানি, চালক-হেলপার আটক উখিয়ায় সাংবাদিক তানভীর শাহরিয়ার গ্রেপ্তার, সংবাদকর্মীদের কণ্ঠরোধের অভিযোগ পর্যটনবান্ধব নগরী গড়তে সবার ঐক্য চাই : কক্সবাজারের নতুন জেলা প্রশাসক গাইবান্ধার স্বাস্থ্যসেবায় অন্ধকার: ফুলছড়িতে সিজার বন্ধ, জনবল সংকট চরমে না’গঞ্জের আরএস কম্পোজিটে বিশ্বমানের কমপ্লায়েন্সের ভূয়সী প্রশংসা করেন শিল্প পুলিশ প্রধান প্রতিহিংসা ও বিভক্তি বর্জন করে সুশৃঙ্খল রাজনীতি করতে মাসুদুজ্জামানের আহবান দুর্গোৎসব সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ: বন্দরে জেলা প্রশাসক শীর্ষস্থানীয় ব্রান্ড আড়ং’র শপিং ব্যাগের মূল্য নেয়া বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ না’গঞ্জে ওভারপাস থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যাওয়া ট্রাকের চাপায় রিকশা চালকের মৃত্যু আড়াইহাজারের সাবেক এমপি বাবুর অনুসারী ইউপি সদস্য গণপিটুনিতে নিহত নরসিংদীতে হাসপাতালে ভাংচুর ডাক্তার-নার্স ও কর্মচারীদের লাঞ্ছিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন থমথমে খাগড়াছড়ি: অনিদিৃষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা, ৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আজ শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাষষ্ঠী সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে অটুট রাখতে ২২৪টি পূজামণ্ডপে অনুদান: ডিসি  আজ বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ বোধন’র মধ্যে দিয়ে শুরু হচ্ছে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরীকে বিদায় সংবর্ধনা না’গঞ্জে কিশোরী অপহরণে মূল হোতা আট বছর পর পিবিআই’র জালে উৎসবমুখর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মেলবন্ধনে দুর্গোৎসব উদযাপিত হবে: জেলা প্রশাসক উখিয়ার তুমব্রু সীমান্তে ৮০ হাজার ইয়াবাসহ রোহিঙ্গা যুবক আটক দুর্গোৎসব উপলক্ষে সারাদেশে র‍্যাবের ২৮১ টহল দল মোতায়েন দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে ২ প্লাটুন র‍্যাব সদস্য নিয়োজিত থাকবে: সিইও ষড়যন্ত্র হলে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে জবাব দেবো, বিভক্ত হবো না;  মাসুদুজ্জামান আড়াইহাজারের নান্দনিক ইকোপার্ক প্রকৃতির সৌন্দর্যের লীলাভূমিতে পরিনত হবে শ্যালিকার সঙ্গে পরকিয়ার জেরে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা দুর্গোৎসব উপলক্ষে ফতুল্লার পুজামন্ডপসহ প্রতিমা বিসর্জন ঘাট পরিদর্শনে ইউএনও নারায়ণগঞ্জে শারদীয় দুর্গোৎসবকে নির্বিঘ্ন করতে মণ্ডপ পরিদর্শনে র‍্যাব-১১ টেকনাফে মানব পাচারকারী আটক, তিন ভুক্তভোগী উদ্ধার না’গঞ্জে এবারের দুর্গোৎসবে ৭০টি পূজামণ্ডপে আর্থিক অনুদান দিবেন মাসুদুজ্জামান না’গঞ্জে ফের মাদকবিরোধী ব্লক রেইড, শীর্ষ কারবারি আলম চানসহ আটক-২৪ টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ৩৯ হাজার ২’শ ইয়াবা উদ্ধার গাইবান্ধায় সাঁওতাল শিশুদের স্কুল ও মাঠ দখলের চেষ্টা: তীব্র প্রতিবাদ গাইবান্ধায় স্কুল শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠ দখল করে ধান ও মাছের চাষ ভাঙ্গায় ২ ইউনিয়নকে পূর্নবহালের দাবিতে মানববন্ধন, নিরীহ জনগণকে হয়রানি না করার আহ্বান শ্রীমঙ্গলে ৯দিন ব্যাপী নবদুর্গা পূজা শুরু কমলগঞ্জে দুর্গাপূজা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে টাইগার সিমেন্ট কারখানায় ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট শ্রীমঙ্গলে শেভরনে ভয়াবহ আগুনের লেলিহান শিখা নারায়ণগঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী একাধিক মামলার আসামী আপেল গ্রেপ্তার  জলাবদ্ধতা নিরসনে ইউএনও তাসলিমা শিরিনের কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস না’গঞ্জে ডিপিডিসি ভবনে শ্রমিক ছব্দবেশে ডাকাতি ঘটনায় ৯ সদস র‍্যাবের জালে শ্রীমঙ্গলে ২৫ কেজি ওজনের ১৪ফুট অজগর সাপ উদ্ধার  গাইবান্ধায় একদিনে দুই যুবকের রহস্যজনক মৃ*ত্যু রায়পুরায় রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত কিশোরের লাশ উদ্ধার সংসদীয় আসন বিচ্ছিন্নের প্রতিবাদে ভাঙ্গায় শান্তিপূর্ন মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  নারায়ণগঞ্জে ডিপিডিসির নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা না’গঞ্জে মিশনপাড়া পঞ্চায়েত পরিষদ কার্যালয়ের শুভ উদ্বোধন গাইবান্ধা কারাগারে আ’লীগ নেতার মৃত্যু, পরিবারের দাবি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড টেকনাফে যৌথ অভিযানে অস্ত্রসহ তিন মানব পাচারকারী আটক, উদ্ধার-৮৪ নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের বিএনপিতে আনুষ্ঠানিক যোগদান না’গঞ্জে ইন্টার্নি ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ: চিকিৎসক’কে মারধর কমলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানান অসংগতি; জেলা প্রশাসক  আসন্ন দুর্গাপূজা উদযাপনে নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জে নির্বাচনী সরঞ্জামসহ বিপুলসংখ্যক এনআইডি কার্ড উদ্ধার রাষ্ট্রদূত হলেন সেনাবাহিনীর দুই কর্মকর্তা ‘মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ’ মুকুট বিজয়ী কে এই তানজিয়া মিথিলা? গাইবান্ধায় দেশের সর্বোচ্চ ও বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম শিবমূর্তি দূর্গোৎসবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নির্বাহী অফিসারগন পরিদর্শনে থাকবেন পুলিশের ৯ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বদলি কক্সবাজারের ঈদগাঁও থানার প্রথম নারী ওসি হিসেবে ফরিদা ইয়াসমিন’র যোগদান সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি

অসমের ‘মায়াং’ কালো জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্রের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৯:০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ২৮৪ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,
কলকাতা প্রতিনিধি।।
অসম উত্তর পূর্বের এক পূর্ণ রাজ্য। ছোট পাহাড় এবং ব্রহ্মপুত্র নদে ঘেরা এই রাজ্যের রাজধানী ডিসপুর গুয়াহাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র। গুয়াহাটি থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ মায়াং।
অসমের মায়াং গ্রাম, কালো জাদু ও তন্ত্র মন্ত্রের এক আকর্ষণীয় জায়গা ।
ভারতবর্ষের উত্তরপূর্বে রাজ্য অসমের মায়ং গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দারা যুগের পর যুগ ধরে তন্ত্র-মন্ত্র, কালা জাদু, ঝাড়ফুঁক নিয়েই বেঁচে আছেন। আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপার উন্নতির যুগেও মায়ং গ্রামের মানুষগুলো এখনও অলৌকিকতা এবং কুসংস্কারের দুনিয়ায় বাস করেন। যদিও বিজ্ঞান তথা আমাদের কাছে এগুলি কুসংস্কার কিন্তু তাঁদের কাছে অবশ্য সে সবই সংস্কার। রহস্যময় এই গ্রামকে ঘিরে শুধুমাত্র ভারতবর্ষই নয় সারা বিশ্ববাসীরও আগ্রহের শেষ নেই।
কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি যে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক মায়ং গ্রামের কালো জাদুর আকর্ষণে হাজির হন সেখানে। স্বচক্ষে উপলব্ধি করতে আসেন এই মায়াংগ্রামের কালো জাদুর প্রকৃতি। কালো জাদুর ভূমি নামে পরিচিত মায়ং গ্রামটি অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। অসমের মরিগাঁও জেলার ছোট্টো গ্রাম এটি।
গ্রামের নাম মায়ং হওয়ার পিছনে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে। কারও মতে ’মায়ং’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘মায়া’ থেকে। ইতিহাস বলে এই গ্রামে মহাভারতের আমলে নাকি জাদুবিদ্যা চর্চা করতেন ভীমের ছেলে মায়া বিদ্যার সম্রাট ঘটোৎকচ। তথ্য অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের বরে ঘটোৎকচ ছিলেন মায়া বিদ্যার একচ্ছত্র সম্রাট। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ঘটোৎকচের মায়াবিদ্যার কারণেই তৎকালীন দিনে গ্রামটির নাম হয়েছিল মায়ং।
এই অঞ্চলের স্থানীয় জনগণ একথা বলে থাকেন ভীম এবং হিড়িম্বার ছেলে ঘটোৎকচই ছিলেন এই প্রদেশের রাজা। তৎকালীন দিনে ঐন্দ্রজালিক ও মায়াবী রাজার অধীনে বসবাস শুরু করেন বিভিন্ন বয়সের একাধিক জাদুকর, তান্ত্রিক, মায়াবিনীরা। তাঁদেরই বংশধরেরাই নাকি এখানে আজ বসবাস করেন। শুধুমাত্র বসবাস করেন একথা বললে ভুল হবে তারা সেই পূর্বপুরুষের প্রথা, সেই পুরাতন পেশা আজও বজায় দেখেছেন ভালোভাবেই। গ্রামের রাস্তা ঘাটে, অরণ্যে, নদীর পাড়ে তাঁদের সকলকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
তবে এ কথা ঠিক এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ওপরে তারা সরাসরি কোন কিছু জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেন না। একান্ত তাদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেই তবেই তারা এর নমুনা মানুষের সামনে তুলে ধরে। তারা বেশিরভাগ সময়ে এই সমস্ত যাদুবিদ্যা ও তন্ত্র মন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে আধুনিক প্রজন্মের কিছু সদস্য এই প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলেও জানা যায়।
ডিমাসা সম্প্রদায়ের কাছে এই মায়াং অত্যন্ত প্রিয়। ডিমাসারা দাবি করেন তারা মহাভারতের ভিম ও হিড়িম্বার বংশধর। অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ আসাম সহ উত্তর পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রাজত্ব ছিল ডিমাসা রাজাদের। শেষ রাজা ছিলেন গোবিন্দ চন্দ্র হাসনুসা। প্রায় ৮শ বছর আগে চিন এবং থাইল্যান্ড থেকে আহমরা অরণ্য পেরিয়ে প্রায় দেড়শ ঘোড়ায় চড়ে আসামে প্রবেশ করে আচমকা আক্রমণ চালায় রাজ প্রাসাদে।রাজা অপ্রস্তুত ছিলেন। তিনি পালিয়ে গভীর জঙ্গলে উধাও হয়ে যান।
এরপর আহম সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। ডিমাসারা বিভিন্ন নামে ছড়িয়ে পড়ে। ডিমাসা,কাছারি, বড়ো, সনোয়াল ইত্যাদি নামে ভাগ হয়ে যায়। তাদের হিড়িম্বা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ডিমাপুর। আসাম ভাগের পর এটি নাগাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
শুধু আসাম নয়, পশ্চিমবঙ্গের, এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য,এমনকি বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক এই মায়াং তান্ত্রিক শহরে আসেন। সারা অঞ্চল জুড়েই তান্ত্রিকদের আশ্রম দেখা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

ট্যাগস:-

অসমের ‘মায়াং’ কালো জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্রের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র 

আপডেট সময়- ০৯:০৪:৪৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,
কলকাতা প্রতিনিধি।।
অসম উত্তর পূর্বের এক পূর্ণ রাজ্য। ছোট পাহাড় এবং ব্রহ্মপুত্র নদে ঘেরা এই রাজ্যের রাজধানী ডিসপুর গুয়াহাটি শহরের প্রাণকেন্দ্র। গুয়াহাটি থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার পথ মায়াং।
অসমের মায়াং গ্রাম, কালো জাদু ও তন্ত্র মন্ত্রের এক আকর্ষণীয় জায়গা ।
ভারতবর্ষের উত্তরপূর্বে রাজ্য অসমের মায়ং গ্রামের বেশিরভাগ বাসিন্দারা যুগের পর যুগ ধরে তন্ত্র-মন্ত্র, কালা জাদু, ঝাড়ফুঁক নিয়েই বেঁচে আছেন। আজকের আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অপার উন্নতির যুগেও মায়ং গ্রামের মানুষগুলো এখনও অলৌকিকতা এবং কুসংস্কারের দুনিয়ায় বাস করেন। যদিও বিজ্ঞান তথা আমাদের কাছে এগুলি কুসংস্কার কিন্তু তাঁদের কাছে অবশ্য সে সবই সংস্কার। রহস্যময় এই গ্রামকে ঘিরে শুধুমাত্র ভারতবর্ষই নয় সারা বিশ্ববাসীরও আগ্রহের শেষ নেই।
কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এটাই সত্যি যে প্রতি বছর হাজার হাজার দেশী বিদেশী পর্যটক মায়ং গ্রামের কালো জাদুর আকর্ষণে হাজির হন সেখানে। স্বচক্ষে উপলব্ধি করতে আসেন এই মায়াংগ্রামের কালো জাদুর প্রকৃতি। কালো জাদুর ভূমি নামে পরিচিত মায়ং গ্রামটি অসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত। অসমের মরিগাঁও জেলার ছোট্টো গ্রাম এটি।
গ্রামের নাম মায়ং হওয়ার পিছনে স্থানীয় গ্রামবাসীদের মধ্যে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য তথ্য রয়েছে। কারও মতে ’মায়ং’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ ‘মায়া’ থেকে। ইতিহাস বলে এই গ্রামে মহাভারতের আমলে নাকি জাদুবিদ্যা চর্চা করতেন ভীমের ছেলে মায়া বিদ্যার সম্রাট ঘটোৎকচ। তথ্য অনুসারে শ্রীকৃষ্ণের বরে ঘটোৎকচ ছিলেন মায়া বিদ্যার একচ্ছত্র সম্রাট। বিশেষজ্ঞদের ধারণা ঘটোৎকচের মায়াবিদ্যার কারণেই তৎকালীন দিনে গ্রামটির নাম হয়েছিল মায়ং।
এই অঞ্চলের স্থানীয় জনগণ একথা বলে থাকেন ভীম এবং হিড়িম্বার ছেলে ঘটোৎকচই ছিলেন এই প্রদেশের রাজা। তৎকালীন দিনে ঐন্দ্রজালিক ও মায়াবী রাজার অধীনে বসবাস শুরু করেন বিভিন্ন বয়সের একাধিক জাদুকর, তান্ত্রিক, মায়াবিনীরা। তাঁদেরই বংশধরেরাই নাকি এখানে আজ বসবাস করেন। শুধুমাত্র বসবাস করেন একথা বললে ভুল হবে তারা সেই পূর্বপুরুষের প্রথা, সেই পুরাতন পেশা আজও বজায় দেখেছেন ভালোভাবেই। গ্রামের রাস্তা ঘাটে, অরণ্যে, নদীর পাড়ে তাঁদের সকলকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
তবে এ কথা ঠিক এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের ওপরে তারা সরাসরি কোন কিছু জাদুবিদ্যা প্রয়োগ করেন না। একান্ত তাদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলেই তবেই তারা এর নমুনা মানুষের সামনে তুলে ধরে। তারা বেশিরভাগ সময়ে এই সমস্ত যাদুবিদ্যা ও তন্ত্র মন্ত্র নিয়ে ব্যস্ত থাকে। তবে বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির যুগে আধুনিক প্রজন্মের কিছু সদস্য এই প্রথা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন বলেও জানা যায়।
ডিমাসা সম্প্রদায়ের কাছে এই মায়াং অত্যন্ত প্রিয়। ডিমাসারা দাবি করেন তারা মহাভারতের ভিম ও হিড়িম্বার বংশধর। অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ আসাম সহ উত্তর পূর্বের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে রাজত্ব ছিল ডিমাসা রাজাদের। শেষ রাজা ছিলেন গোবিন্দ চন্দ্র হাসনুসা। প্রায় ৮শ বছর আগে চিন এবং থাইল্যান্ড থেকে আহমরা অরণ্য পেরিয়ে প্রায় দেড়শ ঘোড়ায় চড়ে আসামে প্রবেশ করে আচমকা আক্রমণ চালায় রাজ প্রাসাদে।রাজা অপ্রস্তুত ছিলেন। তিনি পালিয়ে গভীর জঙ্গলে উধাও হয়ে যান।
এরপর আহম সাম্রাজ্যের সূচনা হয়। ডিমাসারা বিভিন্ন নামে ছড়িয়ে পড়ে। ডিমাসা,কাছারি, বড়ো, সনোয়াল ইত্যাদি নামে ভাগ হয়ে যায়। তাদের হিড়িম্বা সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল ডিমাপুর। আসাম ভাগের পর এটি নাগাল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।
শুধু আসাম নয়, পশ্চিমবঙ্গের, এবং ভারতের বিভিন্ন রাজ্য,এমনকি বাংলাদেশ থেকে বহু পর্যটক এই মায়াং তান্ত্রিক শহরে আসেন। সারা অঞ্চল জুড়েই তান্ত্রিকদের আশ্রম দেখা যাবে।