সর্বশেষঃ
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, কুলাউড়া, ক্যাম্পাস নিউজ, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, মৌলভীবাজার, শিক্ষাঙ্গন, সিলেট
শিক্ষক-জনপ্রতিনিধি পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল কুলাউড়ায়
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৪৭:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৪ ৩৭ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদ, হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বকস্ ও তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদের পদত্যাগের দাবিতে পৃথক পৃথক স্থানে অবস্থান কর্মসূচি, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মারকলিপি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। রোববার (১৮ আগস্ট) এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। জানা যায়, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র সিপার উদ্দিন আহমদের পদত্যাগের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা পৌরসভার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে তারা স্মারকলিপি জমা দেন। হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ বকস্ গত ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়ে এলাকায় নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেন। এতদিন তার ভয়ে সাধারণ জনগণ মুখ না খুললেও সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থেকে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে চলে যান। এতে ইউনিয়নের জনগণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রেক্ষিতে স্থানীয় কটারকোনা বাজারে শতশত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র ও বিক্ষুদ্ধ জনতা চেয়ারম্যান ওয়াদুদ বকসের পদত্যাগ চেয়ে মানববন্ধন এবং প্রতিবাদ সভা করেন। এতে বক্তব্য রাখেন শিক্ষার্থী তারেক আহমদ, জয়নুল ইসলাম, রহিম রহমান, রায়হান আহমদ, ফাহমিদা ইয়াছমিন, সুমাইয়া আক্তার, সিমলা আক্তার ও এলাকাবাসীর পক্ষে হারুনুর রশীদ। এদিকে উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিশাল মানববন্ধন এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। অবিলম্বে তারা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা ভারত-বাংলাদেশের ট্রানজিট সড়ক(শমশেরনগর-চাতলাপুর) কয়েক ঘন্টা অবরোধ করে রাখে। বিক্ষুব্ধরা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করে। এতে সড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থী হাসান, শাহজাহান খান, মিছবাহ, জনি ও লিপি, এলাকাবাসীর পক্ষে সাবেক শিক্ষার্থী মইনুল ইসলাম, আলী এম আক্তার, প্রবাসী ব্যবসায়ী আবু রুকিয়ান বক্তব্য দেন। আন্দোলনকারীরা একদফা দাবি জানিয়ে বলেন দীর্ঘদিন থেকে এই প্রতিষ্ঠানে দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক নোমান আহমদ অনিয়মকে রীতিমত নিয়মে পরিণত করে আসছেন। উনারা প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকে ভয়ে মুখ খুলত না। উনার বিরুদ্ধে স্কুলেরই এনটিআরসিএ কর্তৃক সুপারিশকৃত এক শিক্ষিকাকে নানাভাবে হয়রানির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকি ওই শিক্ষিকাকে তিনি কুপ্রস্তাবও দেন। একপর্যায়ে ওই শিক্ষিকা বাধ্য হয়ে পরবর্তী গণ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে প্রতিষ্ঠান বদল করেন। তিনি অনুগতদের দিয়ে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করে নানাভাবে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও জানা গেছে। উনার নিকটআত্নীয়, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা ও ইউপি সদস্য মখদ্দস আলী, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রেনু, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিসবাউর রহমানের ঘনিষ্ঠজন দাবি করে দীর্ঘ ১৫ বছর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানকে লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে আন্দোলনকারীদের সুত্রগুলো ও স্থানীয়রা জানান। তেলিবিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নবুওয়ত আলী জানান, প্রধান শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। আমি বর্তমানে ঢাকায় আছি। এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন জানান, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তবে প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির কাউকে উপস্থিত পাইনি। শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চাচ্ছে। বিষয়টি ২-৩ দিনের মধ্যে সুরাহা হবে। তিনি আরও জানান কুলাউড়া পৌর মেয়রের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি দিয়েছে। হাজীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে । এসব ব্যাপারে আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার মাধ্যমে পরামর্শক্রমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।