সর্বশেষঃ
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক, কলকাতা, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, ফিচার, বাংলাদেশ, ভারত
পেটের চর্বি কমানোর চমৎকার উপায়
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৫৬:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ অগাস্ট ২০২৪ ৩৫ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
ডঃ বিধান চন্দ্র রায় সবসময় বলতেন, ” মুড়ি আর ভুঁড়ি একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল”। ভুঁড়ি যদি বেশামাল হয় তার প্রভাব পড়বে মুড়ির (মাথা) ওপরে। শরীরে যদি অতিরিক্ত চর্বি হয় তাতে নানা রোগের শিকার হতে হয়। এখনো পর্যন্ত দেখা যায় মানুষের মধ্যে অনেক মানুষ স্বাস্থ্য সচেতন হতে শুরু করেছে। স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য সুস্থ ভাবে থাকতে হবে মানুষদের। ভালো ভাবে জীবনযাপন করার জন্য কিছু মানুষরা মানছে আর নয়তো আবার কেউ মানছে না। সুস্থ থাকার জন্য আর পেট কমানোর জন্য সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হলো যোগাসন আর যোগব্যায়াম। এই দুটোই করলে আমাদের শরীরের রক্ত চলাচল ঠিক ভাবে কাজ করবে আর মেদ কমাতেও সাহায্য করবে।পেটের মেদ কমাতে গেলে অনেক কিছু নিয়ম মানলে তবেই সেটি ঠিক থাকবে। নিয়মিত পার্কে গিয়ে দৌড়ানো ও যোগব্যায়াম করে শরীর কে সন্তুলন রাখুন। ঘরে ব্যায়াম করার চেয়ে খোলামেলা আকাশের নীচে কোনও জায়গাতে হাওয়ার মধ্যে যোগব্যায়াম করলে নিঃশ্বাসের যে ধরনের সমস্যা গুলো হয় মানুষদের সে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। সে চার টি যোগ হলো:
১) অনুলোম বিলোম ,
২) কপালভাতি,
৩) ওঁ, আর
৪) লাফিং ক্লাব।
পেটের মেদ আমাদের কাছে যেন একটা বিশাল ব্যাপার । নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া , ঘুম, জল খাওয়া খুব জরুরি সত্যিই মেদ কমানোর জন্য যেটি কিছু মানুষ মানে আর কিছু মানুষ মানে না। যারা মানে না তাদের সমস্যা বাড়বে আর আরো অসুস্থ হতে থাকবে। জাঙ্ক ফুড কম খেলে ভালো হবে তাহলেই শরীর ঠিক থাকবে আর পেটের মেদ কমতে বাধ্য হবে। পেট কমানোর জন্য ব্যায়ামের দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। এই গতিশীল বিশ্বে চটজলদি চর্বি কমানোর জন্য নিয়মিত জিমে যাওয়ার সময় বের করা বিবেচনা সাপেক্ষ। স্বাস্থ্যের উপযোগী নিয়মানুবর্তিতা মেনে চললে অনায়াসে পেটের চর্বি কে জব্দ করা যায়। সময় সূচি মেনে যোগ ও ব্যায়ামের সাহায্য নিলে শরীর থেকে মেদ কে বিয়োগ করা যাবে। প্রতিদিন দশ মিনিটে মাত্র পাঁচ টা ব্যায়াম করলে পেটের চর্বি কমতে পারে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে পেশীর ভর কমতে থাকে চর্বির ভর বৃদ্ধি পায়। পেটের চর্বি কমে গেলে ব্যক্তিত্ব ম্লান হয়ে যায়। রকমারি সাজ পোশাক ও শরীরে মানানসই হয় না। খারাপ খাওয়ার অভ্যাস নিষ্ক্রিয় জীবনযাপন এবং ল্যাপটপ,কম্পিউটার বা মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা পেটের চর্বি জমা পক্ষে সহায়ক। অবাঞ্ছিত পেটের চর্বি কমানোর জন্য কম ক্যালোরি যুক্ত খাবার খেতে হবে। দৈনিক শারীরিক কার্যকলাপ করতে হবে। চর্বি দু ধরনের হয়– সাবকুটেনিয়াস এবং ভিসারাল। সাবকুটেনিয়াস ফ্যাট হলো ত্বকের নিচের চর্বি যা একটি নরম স্তর তৈরি করে। চলতি কথায় এটি “ডাংলি বিটস” নামে পরিচিত। এই ধরনের চর্বি নিরীহ কিন্তু ব্যাথা হতে পারে। ভিসারাল ফ্যাট হলো এক ধরনের চর্বি যা পেটের গহ্বরের গভীরে অবস্থিত এবং অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি কে ঘিরে রাখে। অতিরিক্ত ভিসারাল ফ্যাট এই ধরনের চর্বি থেকে উদ্ভুত গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ায়। মানুষ হৃদরোগ,ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট ধরণের ক্যান্সারের শিকার হয়। সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকার জন্য এই ধরনের চর্বি কমানো খুবই জরুরী। এই দুই ধরনের পেটের চর্বির সাথে মোকাবিলা করার জন্য ফোকাসড ওয়ার্কআউট এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন গুরুত্বপূর্ণ।
পেটের চর্বি কমানোর জন্য এগারোটি ব্যায়াম গুলো খুবই উপকারী :
১) স্কিপিং
২) মর্নিং ওয়াক
৩) অ্যারোবিক ব্যায়াম
৪) জুম্বা ডান্স
৫) ট্রেডমিল
৬) সাইক্লিং
৭) সাঁতার
৮) ফ্লোর টাচ
৯) সিট আপ
১০) দৌড়ানো।
১১) সিঁড়ি ওঠা নামা।
অতিরিক্ত পেটের চর্বি রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি তৈরি করে। অধিকন্তু ইন্সুলিনের প্রতিরোধে এর ভূমিকার কারণে এটি টাইপ টু ডায়াবেটিসে শিকার করে। স্তন ক্যান্সার এবং কোলন ক্যান্সারের সাথে সম্পর্কিত। স্লিপ অ্যাপনিয়া এবং অন্যান্য শ্বাসকষ্টের রোগের কারণ হয়। ভিসারাল ফ্যাট অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলি কে ঘিরে থাকার ফলে প্রদাহজনক পদার্থ গুলি প্রকাশ করে স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও নিয়মিত ব্যায়াম এই ঝুঁকি গুলো কমিয়ে দেয়।
হাই – ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং সংক্ষিপ্ত বিশ্রামের সাথে তীব্র ব্যায়ামের সংমিশ্রণ, বিপাক বৃদ্ধি এবং চর্বি পোড়ানোর মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি পেটের চর্বি পোড়ায়। পেটের চর্বি কমাতে গেলে সুষম খাদ্য খেতে হবে। প্রোটিন এবং ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কার্বোহাইড্রেট ও চিনি যুক্ত খাবার এড়িয়ে যেতে হবে। গ্রিন টি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডো স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ যা পেটের চর্বি কমায়। ব্লুবেরির মতো বেরিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে,যা চর্বি হ্রাস কে উৎসাহিত করে। ডিম, তাদের উচ্চ প্রোটিন সামগ্রী সহ, বিপাক বৃদ্ধি করে। গ্রীক দই, উচ্চ প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিক, হজমে এবং চর্বি হ্রাসে সহায়তা করে।