ঢাকা ০৭:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
ছেলে জয়ের আশ্বাসেই দেশ ছাড়তে রাজি হন শেখ হাসিনা অর্থপাচার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন বিএনপির ৮ শীর্ষ নেতা মৌলভীবাজারে নবাগত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেনের যোগদান মৌলভীবাজারে বকেয়া মজুরির দাবিতে চা-শ্রমিকদের মানববন্ধন  না’গঞ্জের পলাতক সাবেক এমপি শামীম ওসমানের দেখা মিললো দিল্লিতে  না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব টিপুর উপর হামলা  রূপগঞ্জে ফের গাজী টায়ার কারখানায় লুটপাট চালিয়ে আগুন দিলো দুর্বৃত্তরা মহাভারতের চিত্রনাট্যের জাদুকরী রূপকার ছিলেন উর্দু কবি রাহী মাসুম রেজা  কুষ্টিয়া সাংস্কৃতিক কর্মীর সমবেত কন্ঠে দশ মিনিটে ৩বার জাতীয় সংগীত সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করায় হামলা মারধরে আহত-১০ জাতীয় শিক্ষক দিবসে ‘গুরু বন্দনা’ সাবেক ভূমিমন্ত্রী পুত্র তমাল অস্ত্র-মাদক সহ র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার কক্সবাজারে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিপুল অস্ত্র-গোলাবারুদ সহ গ্রেপ্তার-৮ নবীজীকে নিয়ে কটূক্তি করা কিশোর সেনাবাহিনীর হেফাজতে: আইএসপিআর পূর্বানুমতি ছাড়া পর্যটকরা সেন্টমার্টিনে যেতে পারবে না..! বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার নিয়োগে হাইকোর্টের রুল স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক শাহীন’র বিশাল সংবর্ধনা ইসলামী যুব আন্দোলন টেকনাফ দক্ষিণ শাখা’র পৌর কমিটি গঠন সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত সালমান এফ রহমান মুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি

মৌলভীবাজারে বন্যার পানি না কমায় চরম ভোগান্তিতে বানভাসি মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪ ৩৮ বার পড়া হয়েছে
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ভারী বর্ষণ ও উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার মনু, ধলই ও জুড়ী নদীর পানিসহ কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি কমতে শুরু হরেছে। এতে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কাটছে বন্যার আতঙ্ক।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) মনুনদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সে.মিটার, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ১৭ সে.মিটার, জুড়ী নদীতে ১৮৭ সে. মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রীজে পানি ২৪০ সে.মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ৪৯টি। পানিবন্দি পরিবার ৬৩২৫০টি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৫১১২২ জন।  আর ঘরবাড়ির সংখ্যা ১৪,৩০৯টি। এ পর্যন্ত ১২শ’ প্যাকেট রান্না করা খাবার ও ৭৫ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। ৭৪টি মেডিকেল টিম ইউনিয়নভিত্তিক বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে। তবে বন্যাকবলিত নদী ও হাওর তীরের অনেকেই অভিযোগ করে বলছেন ত্রাণ ও মেডিকেল টিমের দেখা পাচ্ছেন না তারা।
জেলার বন্যাকবলিত হাওর ও নদী তীরবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, এখনও তারা খানি, পানি, রোগবালাই ও স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
তারা দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু বন্যার পানি হুট করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পানি বাড়ায় এখন আর সে সুযোগ নেই। বাঁধ ভাঙায় শ্রমিকরা কাজ করছে বাঁধ রক্ষায়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, যদি ভারী বর্ষণ না হয় তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে। পাশাপাশি জেলার নদ নদীর পানি প্রবাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মৌলভীবাজারে বন্যার পানি না কমায় চরম ভোগান্তিতে বানভাসি মানুষ

আপডেট সময় : ০৫:৩০:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ জুলাই ২০২৪
তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
গত ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজারে ভারী বর্ষণ ও উজানে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার মনু, ধলই ও জুড়ী নদীর পানিসহ কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে পানি কমতে শুরু হরেছে। এতে মানুষের মনে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। কাটছে বন্যার আতঙ্ক।
বৃহস্পতিবার (৪ঠা জুলাই) মনুনদের চাঁদনীঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০ সে.মিটার, কুশিয়ারা নদীর শেরপুর পয়েন্টে ১৭ সে.মিটার, জুড়ী নদীতে ১৮৭ সে. মিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ধলাই নদী রেলওয়ে ব্রীজে পানি ২৪০ সে.মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়ন ৪৯টি। পানিবন্দি পরিবার ৬৩২৫০টি। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা ৩৫১১২২ জন।  আর ঘরবাড়ির সংখ্যা ১৪,৩০৯টি। এ পর্যন্ত ১২শ’ প্যাকেট রান্না করা খাবার ও ৭৫ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। ৭৪টি মেডিকেল টিম ইউনিয়নভিত্তিক বন্যাকবলিত এলাকায় কাজ করছে। তবে বন্যাকবলিত নদী ও হাওর তীরের অনেকেই অভিযোগ করে বলছেন ত্রাণ ও মেডিকেল টিমের দেখা পাচ্ছেন না তারা।
জেলার বন্যাকবলিত হাওর ও নদী তীরবর্তী এলাকার ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়, এখনও তারা খানি, পানি, রোগবালাই ও স্যানিটেশনসহ নানা সমস্যায় ভুগছেন।
তারা দ্রুত বাড়ি ফিরতে চান। কিন্তু বন্যার পানি হুট করে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে পানি বাড়ায় এখন আর সে সুযোগ নেই। বাঁধ ভাঙায় শ্রমিকরা কাজ করছে বাঁধ রক্ষায়।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল জানান, যদি ভারী বর্ষণ না হয় তাহলে পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে। পাশাপাশি জেলার নদ নদীর পানি প্রবাহের দিকে নজর রাখা হচ্ছে।