ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষঃ
নারায়ণগঞ্জে সেনাসদস্য হত্যার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম,অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ কর্মীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা কুলাউড়ায় সরকারি খাস টিলা কাঁটার অপরাধে অর্ধলাখ টাকা জরিমানা সাতক্ষীরায় অস্ত্রগুলিসহ ৪ সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী সদরপুর প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কুলাউড়ায় সাবেক সচিবের ফার্ম থেকে কেয়ারটেকারের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার  ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের সময় নারী কিশোরীসহ ৬ বাংলাদেশী আটক রাষ্ট্রদূত হলেন আলোচিত সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারী রাজধানীর নীলক্ষেত অবরোধে উত্তাল ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক কোনো প্রমাণ নেই রাষ্ট্রপতির কাছে গজারিয়ায় ব্রীজের রেলিং নির্মাণে পাথরের বদলে উচ্ছিষ্ট ব্যবহার বিশ কোটি বছর আগের গান্ডোয়ানার অস্তিত্ব এখনো ভারতে ঘুরছে শ্রীমঙ্গলে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ গ্রেপ্তার-৯ কুলাউড়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৯ ব্যবসায়ীকে জরিমানা শিল্পকলা একাডেমির সাবেক ডিজি লাকীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা অটোপাসের আন্দোলনের মুখে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের ঘোষণা মায়ের জানাজায় অংশ নিতে পরেননি এস আলমসহ ছয় ভাইয়ের কেউই  বদ্দারহাটে গুলজার হোটেল থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার,স্বামী উধাও তালায় লোকনাথ নাসিংহোমের ভুল চিকিৎসায় ২ প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়াবহ গ্যাস বিস্ফোরণে আহত-১ বাহারছড়া আইসির বিরুদ্ধে ভূমিদস্যুর মিথ্যা অভিযোগ: জনসাধারণের মানববন্ধন টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ২’শ ৪০ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার-১ ফরিদপুরে ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মসূচি পালন ভালুকায় পুত্রবধূর নির্যাতনের শিকার শশুর গুরুতর আহত,থানায় অভিযোগ সরকারকে অস্থিতিশীল করতে বাজারে কৃত্তিম সংকট তৈরী করা হচ্ছে: ফরিদা আক্তার নিষেধাজ্ঞা সত্বেও দেদারে চলছে মা ইলিশ নিধন, নেই প্রশাসনের তৎপরতা ঈশ্বরদীতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’র আয়োজনে গন সমাবেশ দৌলতপুরে রাস্তা সংস্কার কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদার: দুর্ভোগে এলাকাবাসী লৌহজংয়ে কৃষিজমি ভরাট করছে সার্থান্বেসী প্রভাবশালীর মহল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্র গুলিসহ যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার  ‘ক্রাইম-তালাশ অনুসন্ধান’ নামে ভূয়া আইডি খুলে অশ্লীল ও মিথ্যাচারের অভিযোগ বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা ফিরলো সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত মামলার রিভিউ শুনানি আজ টানা ছুটির পর আজ খুলেছে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ থেকে বিচারিক কার্যক্রমে ফিরছে সুপ্রিম কোর্ট টাঙ্গাইলে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ছাড়াই দাফন হলো মুক্তিযোদ্ধার মরদেহ লালন সাঁই’র ১৩৪তম তিরোধান মেলার আজ ছিলো শেষ দিন ফের রেকর্ড দামে স্বর্ণ, ভরি ১ লাখ ৪০ হাজারে ছাড়ালো মৌলভীবাজার সরকারি কলেজ শিক্ষার্থী নাঈম হত্যায় জড়িত ২ নারী আটক  কুলাউড়ায় দুই ভারতীয় নাগরিক অবৈধ অনুপ্রবেশকালে বিজিবির হাতে আটক মৌলভীবাজারে ডিবির অভিযানে ৪’শ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ আজ চতুর্থ দফায় ফের সংলাপে বসছেন প্রধান উপদেষ্টা বড়লেখায় ছাত্রাবাস থেকে শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার শ্রীমঙ্গলে ডাকাত দলের সক্রিয় দুই সদস্য আটক সিদ্ধিরগঞ্জে নিজ বসতঘর থেকে বৃদ্ধ দম্পতির মরদেহ উদ্ধার  কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপককে মারধর অসমের ‘মায়াং’ কালো জাদু ও তন্ত্র-মন্ত্রের আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র  মৌলভীবাজার কৃষকলীগ সভাপতি সাদেকুল গ্রেপ্তার সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীরকে দুদকে তলব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-এমপিদের পিএস-এপিএসরাও বানিয়েছেন অঢেল সম্পদসহ অর্থের পাহাড় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন ভারতের পররাষ্ট্র মুখপাত্র পুলিশের আরও ৪ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিলো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় টেকনাফে চাচার যোগসাজশে ভাতিজা অপহরণ: অস্ত্রসহ গ্রেফতার-৩ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক বেলাল শ্রীঘরে কুলাউড়া ছাত্রলীগ সভাপতি নিয়াজুল তায়েফ গ্রেপ্তার বিয়ের পরে একসঙ্গে এইচএসসি পাস করলেন নাঈম-শারমিন দম্পতি মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আজ বাদ জোহর আওয়ামী জোট নেতা মেননের ২৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে দুদক জাতীয় দিবস হিসেবে ৭ই মার্চ বাতিল করায় ক্ষুব্ধ শাওন সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা আজ নুনের আবিষ্কার ও অসাধারণ গুনাগুন নীরবেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন অগ্নিকন্যা মতিয়া চৌধুরী রূপগঞ্জের কায়েতপাড়া ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান জায়েদ আলী গ্রেপ্তার ডিএনসিসির সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম গ্রেপ্তার সিআইডি প্রধানের দায়িত্ব নিলেন অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান ২৪ ঘন্টার মধ্যে টমটম চালক হত্যার আসামি জসিম গ্রেপ্তার  সোনারগাঁয়ে বিএনপি নেতা মান্নানের দুঃশাসনের স্বর্গরাজ্য জাতীয় ৮ দিবস বাতিলের প্রতিবাদ জানিয়ে আ’লীগের বিবৃতি আজ থেকে ৩দিন ব্যাপী লালন স্মরণোৎসব শুরু ৮ জাতীয় দিবস বাতিলের আদেশ জারি গণহত্যায় জড়িত সাংবাদিকরাও ছাড় পাবে না: আইন উপদেষ্টা  অবকাশকালীন বেঞ্চ ভেঙে দিলেন প্রধান বিচারপতি এবার এইচএসসিতে ৬৫টি কলেজের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেনি এইচএসসিতে এইবছর শতভাগ পাস করেছে ১৩৮৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিনতাইয়ের অভিযোগে সিদ্ধিরগঞ্জে কৃষকদলের ৪ নেতা আটক ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ শ্রীমঙ্গলে পৃথক স্থান থেকে দুইটি মরদেহ উদ্ধার কুষ্টিয়ায় চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার মায়ানমারে অপহৃত ১৬ জেলেকে ফেরত আনলো বিজিবি নালার পানিতে ডুবে এক শিশুর মৃত্যু মৌলভীবাজারে মাছ ধরা নিয়ে ঝগড়ার জেরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ: নিহত-১  মুন্সীগঞ্জের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এমিলির অর্থের যোগানদাতা জামাতা তারেক  সাতক্ষীরায় নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লাপাত্তা গৃহবধূ   ময়মনসিংহে বিএসটিআই’র আয়োজনে ‘বিশ্ব মান দিবস-২০২৪’ অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় পূজামণ্ডপে শিশুদের মারধরের ঘটনায় এক তরুণী আটক ডিজিএফআই’র নতুন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম খোকন দাসের সর্বজনীন পূজা এককথায় দরিদ্রদের সেবা মুন্সীগঞ্জের চরাঞ্চলে আ’লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ: ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা সাতক্ষীরার বাংলাদেশ-ভারত সীমানায় ইছামতীতে প্রতিমা বিসর্জনে শেষ হলো দূর্গাপূজা পাকশীতে রেলের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত কুতুবদিয়ায় এখনো জ্বলছে এলপিজিবাহী জাহাজের আগুন, নিয়ন্ত্রণে আসেনি রাউজানে বিএনপির দু’গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ-২ দূর্গোৎসবে পুজামন্ডপ কেন পাহারা দিতে হবে প্রশ্ন❓মুন্সীগঞ্জে রিজভী বকশীগঞ্জে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস’ পালিত দৌলতপুরে মসজিদ-কবরস্থানের টাকা নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপ সংঘর্ষে আহত-৮ দূর্গোৎসবকে ঘিরে সারাদেশে ৩১৩ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন শ্রীমঙ্গলে লাইন মেরামত করতে গিয়ে বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হয়ে যুবকের মৃত্যু চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিএনপিতে স্থান নেই: ইকবাল হোসেন  সাবেক এমপি জিল্লুর রহমানের ছোট ভাই আতাউর গ্রেপ্তার

শাহ্জাহানের তাজমহলের বড় চ্যালেঞ্জ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের পর দিল্লির তাজমহল দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল। অসামান্য সেই স্মৃতি সৌধ দেখে তাদের মনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ও স্থাপত্য কে টিকিয়ে রাখতে সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্ট তাজমহলের অনুকরণে স্মৃতি সৌধ নির্মাণে অগ্রাহ্য জেগে উঠেছিল।
শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন বেগম মুমতাজ মহলের স্মৃতি রক্ষার স্বার্থে। এজন্য ২০ হাজার শ্রমিক ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করে এটি নির্মাণ করেছিল। কিন্তু ইতিহাস বলে, তাজমহল দেখে সম্রাট এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে, এমন সৌধ যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ বানাতে না পারে সেজন্য এই সৌধ নির্মানের কাজে জড়িত ২০ হাজার শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাবার পর তৎকালীন ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ইংল্যান্ডের রাজাকে খুশি করতে তাজমহলের মতো একটি উপযুক্ত স্মৃতি সৌধ নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তারপর ১৯০৬ সালে ১ জানুয়ারি প্রিন্স অফ ওয়েলস এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটি নির্মাণেও ১৫ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু কোন কারিগর বা শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কাটতে হয় নি। এখানেই মুঘল ও ব্রিটিশদের মানষিকতার পার্থক্য।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল বা ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত রাণী ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ। উল্লেখ্য, ভিক্টোরিয়া ভারতসম্রাজ্ঞী উপাধির অধিকারী ছিলেন। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডেশ্বরী মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় প্রদর্শনীশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। প্রথমে তাকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করতে বলা হলেও, তিনি শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগের বিরোধিতা করেন এবং ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল উপাদান যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন। ভিনসেন্ট এসচ ছিলেন এই সৌধের অধীক্ষক স্থপতি। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি সংস্থার ওপর নির্মাণকার্যের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল । ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের উত্তর দিকে অবস্থিত কুইন্স ওয়ে, ডান্সিং ফাউন্টেন, তারপর বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান; দক্ষিণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড এবং তারপর সেঠ সুখলাল কারণানি ওরফে পিজি হাসপাতাল; পূর্বে কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল গির্জা, বিড়লা তারামণ্ডল, আকাদেমি অব ফাইন আর্টস্ এবং রবীন্দ্র সদন; আর পশ্চিমে কলকাতা রেসকোর্স ময়দান। স্মৃতিসোধ ভবনের উত্তর এবং দক্ষিণ দু-দিকেই বিশাল ফটক। উত্তর ফটক থেকে ভবন পর্যন্ত চওড়া রাস্তার দু-দিকে দুই প্রকাণ্ড জলাধার একাধারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শনের মনোরম শোভা বর্ধন করে। যে দৃশ্য চাক্ষুষ করে অথবা লেন্সবন্দি করে সব বয়সের প্রেমিকপ্রেমিকা-ই রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে যায়! সুরম্য উদ্যান পরিবেষ্টিত বড়ো বড়ো গাছের কাণ্ডের খোপে খোপে অসংখ্য নবীন প্রেমীযুগলের অবস্থানে গোধূলিতে মৌনমুখরতার আবেশ পাওয়া যায় আজো! শ্বেতপাথরে নির্মিত সুবৃহৎ ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধের সর্বোচ্চ গম্বুজে বিউগল ধারিনী বিজয়দুতীর একটি কালো ব্রোঞ্জমূর্তি রয়েছে। বায়ুপ্রবাহ শক্তিশালী হলে বল-বিয়ারিং যুক্ত একটি পাদপীঠের উপর স্থাপিত মূর্তিটি হাওয়া মোরগের কাজ করে। আই আই ই এস টি-প্রাক্তনী এ সি মিত্র ভিক্টোরিয়ার নির্মাণপ্রকল্পের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার। এক উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীমহলের অভিমত হল, কলকাতার দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে মলিনতার ছোঁয়া লাগছে। এই দূষণ থেকে শতাব্দীপ্রাচীন সৌধকে রক্ষা করাটা খুবই জরুরি; কেননা, ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ কলকাতার গর্বের প্রতীকরূপে বিশ্বের অঙ্গনে প্রতিভাত!
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার একটি নিদর্শন। বিপুল মার্বেল কাঠামো ১৯০৬ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল। এটি সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কোথায়?
কলকাতার ময়দানে কুইন্স ওয়েতে এই স্মৃতিসৌধটি শহরের সবচেয়ে বড় সবুজের উপর অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্কের জন্য সঠিক মূল্য অনুমান করা অসম্ভব। লর্ড কার্জন একটি আশ্চর্যজনক এবং নিখুঁত কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা সম্পূর্ণ বাগান এবং কোম্পানির জন্য একটি যাদুঘর দিয়ে সম্পন্ন হবে। কার্জনের নিজের বক্তব্য অনুসারে, তিনি একটি ভবন করার প্রস্তাব করেছিলেন যা রাজকীয়, প্রশস্ত, স্মৃতিসৌধ এবং মহৎ হবে, যেখানে কলকাতার প্রতিটি আগন্তুক, আবাসিক জনগোষ্ঠী, ইউরোপীয়রা এবং অন্যান্যরা ভিড় করবে, যেখানে সমস্ত শ্রেণী ইতিহাসের পাঠ শিখবে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রস্থে ৫০০ ফুট, উচ্চতায় ২৮৯ ফুট। প্রিন্স অব ওয়েলস ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯২১ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি সাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লি স্থানান্তর করা হলেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি শেষ পর্যন্ত দেশের প্রাক্তন রাজধানী কলকাতাতেই নির্মিত হয়েছিল। স্মৃতিসৌধটি প্রধানত বেশ কিছু ভারতীয় ব্যক্তি এবং ব্রিটিশ অফিসার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। লর্ড কার্জনের তহবিল সংগ্রহের আবেদনটি বেশ কয়েকজন রাজনীতিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল। এটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় এক কোটি, পাঁচ লক্ষ টাকা । অধিকাংশই এসেছে স্বেচ্ছাসেবী অনুদান থেকে। ১৯০৫ সালে ভারত থেকে লর্ডকার্জনের প্রস্থানের পর স্মৃতিস্তম্ভ বিলম্বিত হতে শুরু করে। অবশেষে ১ ৯২১ সালে ভবনটি খোলা হয়। এই সুপারস্ট্রাকচারের জন্য ১৯১০ সালে কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালের পরে এই সুন্দর স্মৃতিসৌধে কিছু সংযোজন করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

শাহ্জাহানের তাজমহলের বড় চ্যালেঞ্জ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল 

আপডেট সময়- ০৭:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের পর দিল্লির তাজমহল দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল। অসামান্য সেই স্মৃতি সৌধ দেখে তাদের মনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ও স্থাপত্য কে টিকিয়ে রাখতে সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্ট তাজমহলের অনুকরণে স্মৃতি সৌধ নির্মাণে অগ্রাহ্য জেগে উঠেছিল।
শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন বেগম মুমতাজ মহলের স্মৃতি রক্ষার স্বার্থে। এজন্য ২০ হাজার শ্রমিক ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করে এটি নির্মাণ করেছিল। কিন্তু ইতিহাস বলে, তাজমহল দেখে সম্রাট এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে, এমন সৌধ যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ বানাতে না পারে সেজন্য এই সৌধ নির্মানের কাজে জড়িত ২০ হাজার শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাবার পর তৎকালীন ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ইংল্যান্ডের রাজাকে খুশি করতে তাজমহলের মতো একটি উপযুক্ত স্মৃতি সৌধ নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তারপর ১৯০৬ সালে ১ জানুয়ারি প্রিন্স অফ ওয়েলস এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটি নির্মাণেও ১৫ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু কোন কারিগর বা শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কাটতে হয় নি। এখানেই মুঘল ও ব্রিটিশদের মানষিকতার পার্থক্য।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল বা ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত রাণী ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ। উল্লেখ্য, ভিক্টোরিয়া ভারতসম্রাজ্ঞী উপাধির অধিকারী ছিলেন। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডেশ্বরী মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় প্রদর্শনীশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। প্রথমে তাকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করতে বলা হলেও, তিনি শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগের বিরোধিতা করেন এবং ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল উপাদান যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন। ভিনসেন্ট এসচ ছিলেন এই সৌধের অধীক্ষক স্থপতি। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি সংস্থার ওপর নির্মাণকার্যের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল । ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের উত্তর দিকে অবস্থিত কুইন্স ওয়ে, ডান্সিং ফাউন্টেন, তারপর বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান; দক্ষিণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড এবং তারপর সেঠ সুখলাল কারণানি ওরফে পিজি হাসপাতাল; পূর্বে কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল গির্জা, বিড়লা তারামণ্ডল, আকাদেমি অব ফাইন আর্টস্ এবং রবীন্দ্র সদন; আর পশ্চিমে কলকাতা রেসকোর্স ময়দান। স্মৃতিসোধ ভবনের উত্তর এবং দক্ষিণ দু-দিকেই বিশাল ফটক। উত্তর ফটক থেকে ভবন পর্যন্ত চওড়া রাস্তার দু-দিকে দুই প্রকাণ্ড জলাধার একাধারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শনের মনোরম শোভা বর্ধন করে। যে দৃশ্য চাক্ষুষ করে অথবা লেন্সবন্দি করে সব বয়সের প্রেমিকপ্রেমিকা-ই রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে যায়! সুরম্য উদ্যান পরিবেষ্টিত বড়ো বড়ো গাছের কাণ্ডের খোপে খোপে অসংখ্য নবীন প্রেমীযুগলের অবস্থানে গোধূলিতে মৌনমুখরতার আবেশ পাওয়া যায় আজো! শ্বেতপাথরে নির্মিত সুবৃহৎ ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধের সর্বোচ্চ গম্বুজে বিউগল ধারিনী বিজয়দুতীর একটি কালো ব্রোঞ্জমূর্তি রয়েছে। বায়ুপ্রবাহ শক্তিশালী হলে বল-বিয়ারিং যুক্ত একটি পাদপীঠের উপর স্থাপিত মূর্তিটি হাওয়া মোরগের কাজ করে। আই আই ই এস টি-প্রাক্তনী এ সি মিত্র ভিক্টোরিয়ার নির্মাণপ্রকল্পের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার। এক উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীমহলের অভিমত হল, কলকাতার দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে মলিনতার ছোঁয়া লাগছে। এই দূষণ থেকে শতাব্দীপ্রাচীন সৌধকে রক্ষা করাটা খুবই জরুরি; কেননা, ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ কলকাতার গর্বের প্রতীকরূপে বিশ্বের অঙ্গনে প্রতিভাত!
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার একটি নিদর্শন। বিপুল মার্বেল কাঠামো ১৯০৬ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল। এটি সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কোথায়?
কলকাতার ময়দানে কুইন্স ওয়েতে এই স্মৃতিসৌধটি শহরের সবচেয়ে বড় সবুজের উপর অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্কের জন্য সঠিক মূল্য অনুমান করা অসম্ভব। লর্ড কার্জন একটি আশ্চর্যজনক এবং নিখুঁত কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা সম্পূর্ণ বাগান এবং কোম্পানির জন্য একটি যাদুঘর দিয়ে সম্পন্ন হবে। কার্জনের নিজের বক্তব্য অনুসারে, তিনি একটি ভবন করার প্রস্তাব করেছিলেন যা রাজকীয়, প্রশস্ত, স্মৃতিসৌধ এবং মহৎ হবে, যেখানে কলকাতার প্রতিটি আগন্তুক, আবাসিক জনগোষ্ঠী, ইউরোপীয়রা এবং অন্যান্যরা ভিড় করবে, যেখানে সমস্ত শ্রেণী ইতিহাসের পাঠ শিখবে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রস্থে ৫০০ ফুট, উচ্চতায় ২৮৯ ফুট। প্রিন্স অব ওয়েলস ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯২১ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি সাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লি স্থানান্তর করা হলেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি শেষ পর্যন্ত দেশের প্রাক্তন রাজধানী কলকাতাতেই নির্মিত হয়েছিল। স্মৃতিসৌধটি প্রধানত বেশ কিছু ভারতীয় ব্যক্তি এবং ব্রিটিশ অফিসার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। লর্ড কার্জনের তহবিল সংগ্রহের আবেদনটি বেশ কয়েকজন রাজনীতিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল। এটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় এক কোটি, পাঁচ লক্ষ টাকা । অধিকাংশই এসেছে স্বেচ্ছাসেবী অনুদান থেকে। ১৯০৫ সালে ভারত থেকে লর্ডকার্জনের প্রস্থানের পর স্মৃতিস্তম্ভ বিলম্বিত হতে শুরু করে। অবশেষে ১ ৯২১ সালে ভবনটি খোলা হয়। এই সুপারস্ট্রাকচারের জন্য ১৯১০ সালে কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালের পরে এই সুন্দর স্মৃতিসৌধে কিছু সংযোজন করা হয়েছিল।