সর্বশেষ:-
২০২৫ সালের এসএসসি পরিক্ষার রুটিন প্রকাশ,পরিক্ষা ১০ এপ্রিল বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত না’গঞ্জে অপহৃত দুই সহোদরকে উদ্ধারের পর পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিলো পিবিআই সালাউদ্দিন চৌধুরীসহ পরিবারের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রচারে থানায় অভিযোগ টেকনাফের হোয়াইক্যং বিজিবি চেকপোষ্টে বিপুল পরিমাণে ইয়াবাসহ আটক-১ দেবহাটায় সাংবাদিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাসহ অপহরণের চেষ্টা শ্রীমঙ্গলে চাঞ্চল্যকর বিশ্বমনি হত্যা রহস্য উন্মোচন  মুন্সীগঞ্জে যথাযথ মর্যাদায় হানাদার মুক্ত দিবস পালিত এবার ১২ জেলার পুলিশ সুপার মর্যাদার কর্মকর্তা পরিবর্তন বর্ণাঢ্য আয়োজনে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত আগরতলায় বাংলাদেশ মিশনে হামলা প্রসঙ্গে যা বললেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ঢাকা টু আগরতলা লংমার্চ শুরু প্রতিমাসে অনলাইনে ৪ লাখ নামজারি মামলা নিষ্পত্তি হচ্ছে: ভূমি উপদেষ্টা কুলিয়ারচরে সিএনজি-মাইক্রোবাস মুখোমুখি সংঘর্ষ: নিহত-২ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ‘সি ইউ নট ফর মাইন্ড’ বলা ভাইরাল শ্যামল চন্দ্র  চরভদ্রাসনে ক্ষতিগ্রস্ত পেঁয়াজ চাষীদের মাঝে ফের বীজ বিতরণ গজারিয়ায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার গফরগাঁওয়ে ৭৬তম বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত ১৫ বছরের আমলনামায় নেতিবাচক পুলিশ সদস্যদের তালিকা চেয়েছে  এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের সময় বাড়লো আরও পাঁচ দিন সিদ্ধিরগঞ্জে পরিবারের আপত্তিতে কবর থেকে উত্তোলন হয়নি সোলাইমানের লাশ নগরকান্দায় আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় পুলিশ সদস্যকে মারধর করা সেই দুই নারী আটক  চরভদ্রাসনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ও রোকেয়া দিবস পালিত মুন্সীগঞ্জে বর্ণাঢ্য আয়োজনে আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস পালিত সাতক্ষীরায় জামায়াতের সাত উপজেলা আমীরগণের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত টেকনাফে নবাগত ইউএনও’র সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত  সোনারগাঁ আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম গ্রেপ্তার  বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ঢাকায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি সাবেক ৩০ ডিসি-ইউএনও’কে নির্বাচন সংস্কার কমিশনে তলব মিথ্যা মামলা করলে বাদীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হবে: ডিএমপি কমিশনার ঈশ্বরদীতে চাঞ্চল্যকর তপু হত্যার অন্যতম আসামি সোহেল গ্রেপ্তার মৌলভীবাজার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে ২জনের মৃত্যু ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত শেখ হাসিনার মতোই দেশ ছেড়ে পালালেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে পালালেন প্রেসিডেন্ট আসাদ মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় বালুমহাল বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন নারায়ণগঞ্জে একটি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকান্ড, চারটি দোকান ভস্মীভূত আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবক দিবসে শ্রেষ্ঠ অ্যাওয়ার্ড পেলেন মৌলভীবাজারের ফাতেমা সাতক্ষীরায় পুলিশের অভিযানে জাল টাকাসহ মেশিন জব্দ: আটক-২ নগরকান্দায় ড্রেজার দিয়ে সাদ্দামের অবৈধ বালু উত্তোলন: প্রশাসন নিরব ভুমিকায়   উদ্বোধনের তিন বছরেও চালু হয়নি ভেড়ামারা পৌর ভূমি অফিস হাইকমিশনে হামলার প্রতিবাদে ‘জুলাই হিন্দু আল্যায়েন্সে’এর বিক্ষোভ ভালুকার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুন্নীর বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ  দিঘীরপাড়ের ৩/৯নং ওয়ার্ডে নেই কোন সরকারি প্রাথমিক স্কুল টেকনাফে অপহরণের শিকার দুই যুবক উদ্ধারসহ আটক-২ বিমান বাহিনীর ৫২তম বিমানসেনার ট্রেনিং সমাপনী অনুষ্ঠিত মহান বিজয় দিবসে ১৬ কারাবন্দীর সাজা মওকুফ করলেন রাষ্ট্রপতি মুসলিম উম্মাহ্’র জন্য সপ্তাহের শ্রেষ্ঠতম দিন জুমাবার কুলাউড়া থানার ওসির বদলি  শ্রীমঙ্গলে দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সিদ্ধিরগঞ্জে এসএসসির ফরম ফিলাপে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কুষ্টিয়ায় চোখে মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে ৫ গরু ডাকাতি ঈশ্বরদী পৌর এলাকায় ট্রাক-এ্যাম্বুলেন্স মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত-৪ টংঙ্গীবাড়ী জেবি হাই স্কুলের মালামাল লুটের অভিযোগ মামলায় নাম থাকলেই পাইকারিভাবে গ্রেপ্তার নয়: স্পষ্ট জানিয়েছেন আইজিপি প্রধান উপদেষ্টা সঙ্গে প্রধান বিচারপতির প্রথম সাক্ষাৎ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে কী করছে দানব আকৃতির ভয়ংকর রোবট চট্টগ্রামে প্রকাশ্যে আইনজীবী হত্যার প্রধান আসামি চন্দন গ্রেপ্তার ব্যাংকে ১’শ ৩৪ কোটি টাকা’ নিয়ে মুখ খুললেন সাংবাদিক মুন্নী সাহা সোনারগাঁয়ে নিখোঁজের ৫ দিন পর যুবলীগ কর্মীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার বাজারে শীতকালীন সবজির সয়লাব: দাম ক্রেতার নাগালের বাইরে সিদ্ধিরগঞ্জে প্রতিপক্ষের হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে থানা ঘেরাও  মৌলভীবাজার আদালত প্রাঙ্গণে ভিডিও করার দায়ে অর্থদন্ডসহ ৭ দিনের কারাবাস ঈশ্বরদীতে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা সংস্কার প্রস্তাব অবহিতকরণ আলোচনা সভা আগামী ১৬-১৮ ফেব্রুয়ারী জেলা প্রশাসক সম্মেলন হেফাজত নেতা মামুনুল হককে দেখতে হাসপাতালে জামায়াত আমির ফরিদপুরে ‌বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত  শ্রীমঙ্গলে শ্রমকল্যাণ কেন্দ্র বন্ধ রেখেও দেদারসে তুলছেন বেতন-ভাতা কুলাউড়ায় প্রতিবন্ধীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ সাবেক মসিক সিইওসহ ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মিথ্যা মামলার অভিযোগ ভালুকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে মানববন্ধনসহ প্রতিবাদ সভা  পরিবর্তন হতে পারে জেলা প্রশাসক ও ক্যাডার শব্দগুলো মমতার বক্তব্য দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকি স্বরূপ: মির্জা ফখরুল মৌলভীবাজারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত-২ মিথ্যা তথ্যের বিরুদ্ধে সত্য প্রচারই প্রতিবাদ: মৌলভীবাজার এসপি গজারিয়ায় বালু মহালে অভিযান: ৩টি বাল্কহেডসহ আটক-১৪ গাইবান্ধায় বিএনপির কার্যালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ  ২১ আগস্ট মামলায় তারেক রহমানসহ সকলকে খালাশ দেওয়ায় নগরকান্দায় আনন্দ মিছিল নগরকান্দায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় নিহত-১ সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় নারীর মৃত্যু, আহত-৫ ফের পুলিশের আরও ৯ কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর নারায়ণগঞ্জে বিদ্যুৎ অফিসে দূর্ধর্ষ ডাকাতি: পরিদর্শনে পুলিশ সুপার সিদ্ধিরগঞ্জে পরিচ্ছন্নকর্মীদের কাছে চাঁদা দাবি: প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর ও কুমারখালী থানার ওসি ক্লোজ ভালুকায় পারিবারিক বিরোধের জেরে গৃহবধুকে মারধরের অভিযোগ  কুলাউড়ায় এক যুগ পরে বিএনপির দুটি অংশের কোন্দলের অবসান শ্রীমঙ্গলে নৃ-গোষ্ঠীর ‘ওয়ানগালা’ উৎসব উদযাপন গ্রেনেড হামলার মামলায় তারেক রহমানের খালাসে শ্রমিকদলের আনন্দ মিছিল  রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও প্রতিশোধ বন্ধের আহ্বান তারেক রহমানের বিচারপতিকে নিয়ে বিশেষ সভা ডেকেছেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে ইতিবাচক পরিবর্তন: দুরত্ব কমিয়ে জনগণের দোরগোড়ায় কুষ্টিয়ায় খেলনা পিস্তলসহ ভুয়া মেজর আটক সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ থাকা ছাড়া  বিকল্প পথ নেই: বিটু শিবপুরে স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন  দেশের ক্রান্তিকালে ও শান্তি রক্ষায় সেনাবাহিনী পাশে দাঁড়িয়েছে: সেনাপ্রধান বড়লেখার সাবেক যুবলীগ সম্পাদক গ্রেপ্তার  ঈশ্বরদীতে পরিত্যক্ত অবস্থায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার শর্ত সাপেক্ষে মুচলেকা দিয়ে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্ত সাংবাদিক মুন্নী সাহা দেশকে যারা ভালোবাসে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালায় না: সাতক্ষীরায় জামায়াতের আমির

শাহ্জাহানের তাজমহলের বড় চ্যালেঞ্জ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল 

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের পর দিল্লির তাজমহল দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল। অসামান্য সেই স্মৃতি সৌধ দেখে তাদের মনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ও স্থাপত্য কে টিকিয়ে রাখতে সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্ট তাজমহলের অনুকরণে স্মৃতি সৌধ নির্মাণে অগ্রাহ্য জেগে উঠেছিল।
শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন বেগম মুমতাজ মহলের স্মৃতি রক্ষার স্বার্থে। এজন্য ২০ হাজার শ্রমিক ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করে এটি নির্মাণ করেছিল। কিন্তু ইতিহাস বলে, তাজমহল দেখে সম্রাট এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে, এমন সৌধ যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ বানাতে না পারে সেজন্য এই সৌধ নির্মানের কাজে জড়িত ২০ হাজার শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাবার পর তৎকালীন ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ইংল্যান্ডের রাজাকে খুশি করতে তাজমহলের মতো একটি উপযুক্ত স্মৃতি সৌধ নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তারপর ১৯০৬ সালে ১ জানুয়ারি প্রিন্স অফ ওয়েলস এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটি নির্মাণেও ১৫ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু কোন কারিগর বা শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কাটতে হয় নি। এখানেই মুঘল ও ব্রিটিশদের মানষিকতার পার্থক্য।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল বা ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত রাণী ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ। উল্লেখ্য, ভিক্টোরিয়া ভারতসম্রাজ্ঞী উপাধির অধিকারী ছিলেন। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডেশ্বরী মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় প্রদর্শনীশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। প্রথমে তাকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করতে বলা হলেও, তিনি শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগের বিরোধিতা করেন এবং ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল উপাদান যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন। ভিনসেন্ট এসচ ছিলেন এই সৌধের অধীক্ষক স্থপতি। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি সংস্থার ওপর নির্মাণকার্যের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল । ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের উত্তর দিকে অবস্থিত কুইন্স ওয়ে, ডান্সিং ফাউন্টেন, তারপর বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান; দক্ষিণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড এবং তারপর সেঠ সুখলাল কারণানি ওরফে পিজি হাসপাতাল; পূর্বে কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল গির্জা, বিড়লা তারামণ্ডল, আকাদেমি অব ফাইন আর্টস্ এবং রবীন্দ্র সদন; আর পশ্চিমে কলকাতা রেসকোর্স ময়দান। স্মৃতিসোধ ভবনের উত্তর এবং দক্ষিণ দু-দিকেই বিশাল ফটক। উত্তর ফটক থেকে ভবন পর্যন্ত চওড়া রাস্তার দু-দিকে দুই প্রকাণ্ড জলাধার একাধারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শনের মনোরম শোভা বর্ধন করে। যে দৃশ্য চাক্ষুষ করে অথবা লেন্সবন্দি করে সব বয়সের প্রেমিকপ্রেমিকা-ই রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে যায়! সুরম্য উদ্যান পরিবেষ্টিত বড়ো বড়ো গাছের কাণ্ডের খোপে খোপে অসংখ্য নবীন প্রেমীযুগলের অবস্থানে গোধূলিতে মৌনমুখরতার আবেশ পাওয়া যায় আজো! শ্বেতপাথরে নির্মিত সুবৃহৎ ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধের সর্বোচ্চ গম্বুজে বিউগল ধারিনী বিজয়দুতীর একটি কালো ব্রোঞ্জমূর্তি রয়েছে। বায়ুপ্রবাহ শক্তিশালী হলে বল-বিয়ারিং যুক্ত একটি পাদপীঠের উপর স্থাপিত মূর্তিটি হাওয়া মোরগের কাজ করে। আই আই ই এস টি-প্রাক্তনী এ সি মিত্র ভিক্টোরিয়ার নির্মাণপ্রকল্পের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার। এক উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীমহলের অভিমত হল, কলকাতার দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে মলিনতার ছোঁয়া লাগছে। এই দূষণ থেকে শতাব্দীপ্রাচীন সৌধকে রক্ষা করাটা খুবই জরুরি; কেননা, ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ কলকাতার গর্বের প্রতীকরূপে বিশ্বের অঙ্গনে প্রতিভাত!
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার একটি নিদর্শন। বিপুল মার্বেল কাঠামো ১৯০৬ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল। এটি সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কোথায়?
কলকাতার ময়দানে কুইন্স ওয়েতে এই স্মৃতিসৌধটি শহরের সবচেয়ে বড় সবুজের উপর অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্কের জন্য সঠিক মূল্য অনুমান করা অসম্ভব। লর্ড কার্জন একটি আশ্চর্যজনক এবং নিখুঁত কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা সম্পূর্ণ বাগান এবং কোম্পানির জন্য একটি যাদুঘর দিয়ে সম্পন্ন হবে। কার্জনের নিজের বক্তব্য অনুসারে, তিনি একটি ভবন করার প্রস্তাব করেছিলেন যা রাজকীয়, প্রশস্ত, স্মৃতিসৌধ এবং মহৎ হবে, যেখানে কলকাতার প্রতিটি আগন্তুক, আবাসিক জনগোষ্ঠী, ইউরোপীয়রা এবং অন্যান্যরা ভিড় করবে, যেখানে সমস্ত শ্রেণী ইতিহাসের পাঠ শিখবে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রস্থে ৫০০ ফুট, উচ্চতায় ২৮৯ ফুট। প্রিন্স অব ওয়েলস ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯২১ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি সাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লি স্থানান্তর করা হলেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি শেষ পর্যন্ত দেশের প্রাক্তন রাজধানী কলকাতাতেই নির্মিত হয়েছিল। স্মৃতিসৌধটি প্রধানত বেশ কিছু ভারতীয় ব্যক্তি এবং ব্রিটিশ অফিসার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। লর্ড কার্জনের তহবিল সংগ্রহের আবেদনটি বেশ কয়েকজন রাজনীতিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল। এটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় এক কোটি, পাঁচ লক্ষ টাকা । অধিকাংশই এসেছে স্বেচ্ছাসেবী অনুদান থেকে। ১৯০৫ সালে ভারত থেকে লর্ডকার্জনের প্রস্থানের পর স্মৃতিস্তম্ভ বিলম্বিত হতে শুরু করে। অবশেষে ১ ৯২১ সালে ভবনটি খোলা হয়। এই সুপারস্ট্রাকচারের জন্য ১৯১০ সালে কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালের পরে এই সুন্দর স্মৃতিসৌধে কিছু সংযোজন করা হয়েছিল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

শাহ্জাহানের তাজমহলের বড় চ্যালেঞ্জ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল 

আপডেট সময়- ০৭:৩০:৫৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জুলাই ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের পর দিল্লির তাজমহল দেখে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছিল। অসামান্য সেই স্মৃতি সৌধ দেখে তাদের মনে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব ও স্থাপত্য কে টিকিয়ে রাখতে সম্রাট শাহজাহানের সৃষ্ট তাজমহলের অনুকরণে স্মৃতি সৌধ নির্মাণে অগ্রাহ্য জেগে উঠেছিল।
শাহজাহান তাজমহল নির্মাণ করেছিলেন বেগম মুমতাজ মহলের স্মৃতি রক্ষার স্বার্থে। এজন্য ২০ হাজার শ্রমিক ২০ বছর ধরে পরিশ্রম করে এটি নির্মাণ করেছিল। কিন্তু ইতিহাস বলে, তাজমহল দেখে সম্রাট এতই অভিভূত হয়েছিলেন যে, এমন সৌধ যাতে ভবিষ্যতে অন্য কেউ বানাতে না পারে সেজন্য এই সৌধ নির্মানের কাজে জড়িত ২০ হাজার শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছিল। ১৯০১ সালে ইংল্যান্ডের মহারানী ভিক্টোরিয়া মারা যাবার পর তৎকালীন ভারতের ব্রিটিশ গভর্নর জেনারেল লর্ড কার্জন ইংল্যান্ডের রাজাকে খুশি করতে তাজমহলের মতো একটি উপযুক্ত স্মৃতি সৌধ নির্মাণের প্রস্তাব দেন। তারপর ১৯০৬ সালে ১ জানুয়ারি প্রিন্স অফ ওয়েলস এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছিলেন। এটি নির্মাণেও ১৫ বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু কোন কারিগর বা শ্রমিকের বুড়ো আঙুল কাটতে হয় নি। এখানেই মুঘল ও ব্রিটিশদের মানষিকতার পার্থক্য।ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল হল বা ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় অবস্থিত রাণী ভিক্টোরিয়ার একটি স্মৃতিসৌধ। উল্লেখ্য, ভিক্টোরিয়া ভারতসম্রাজ্ঞী উপাধির অধিকারী ছিলেন। আগাগোড়া শ্বেত পাথরের তৈরি ইংল্যান্ডেশ্বরী মহারানি ভিক্টোরিয়ার নামাঙ্কিত এই স্মৃতিসৌধটি বর্তমানে একটি জাতীয় প্রদর্শনীশালা জাদুঘর এবং কলকাতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ।বেলফাস্ট সিটি হলের স্থাপত্যশৈলীর আদলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করেন স্যার উইলিয়াম এমারসন। প্রথমে তাকে ইতালীয় রেনেসাঁ স্থাপত্যশৈলীতে স্মৃতিসৌধের নকশা প্রস্তুত করতে বলা হলেও, তিনি শুধুমাত্র ইউরোপীয় স্থাপত্যশৈলীর প্রয়োগের বিরোধিতা করেন এবং ইন্দো-সারাসেনিক শৈলীর সঙ্গে মুঘল উপাদান যুক্ত করে মূল সৌধের নকশা প্রস্তুত করেন। ভিনসেন্ট এসচ ছিলেন এই সৌধের অধীক্ষক স্থপতি। সৌধ-সংলগ্ন বাগানটির নকশা প্রস্তুত করেছিলেন লর্ড রেডেসডেল ও স্যার জন প্রেইন। কলকাতার মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি সংস্থার ওপর নির্মাণকার্যের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছিল । ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের উত্তর দিকে অবস্থিত কুইন্স ওয়ে, ডান্সিং ফাউন্টেন, তারপর বিস্তীর্ণ ব্রিগেড প্যারেড ময়দান; দক্ষিণে আচার্য জগদীশচন্দ্র বোস রোড এবং তারপর সেঠ সুখলাল কারণানি ওরফে পিজি হাসপাতাল; পূর্বে কলকাতার বিখ্যাত সেন্ট পলস্ ক্যাথিড্রাল গির্জা, বিড়লা তারামণ্ডল, আকাদেমি অব ফাইন আর্টস্ এবং রবীন্দ্র সদন; আর পশ্চিমে কলকাতা রেসকোর্স ময়দান। স্মৃতিসোধ ভবনের উত্তর এবং দক্ষিণ দু-দিকেই বিশাল ফটক। উত্তর ফটক থেকে ভবন পর্যন্ত চওড়া রাস্তার দু-দিকে দুই প্রকাণ্ড জলাধার একাধারে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং সঙ্গে সঙ্গে প্রদর্শনের মনোরম শোভা বর্ধন করে। যে দৃশ্য চাক্ষুষ করে অথবা লেন্সবন্দি করে সব বয়সের প্রেমিকপ্রেমিকা-ই রীতিমতো নস্টালজিক হয়ে যায়! সুরম্য উদ্যান পরিবেষ্টিত বড়ো বড়ো গাছের কাণ্ডের খোপে খোপে অসংখ্য নবীন প্রেমীযুগলের অবস্থানে গোধূলিতে মৌনমুখরতার আবেশ পাওয়া যায় আজো! শ্বেতপাথরে নির্মিত সুবৃহৎ ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের নির্মাণকার্য শুরু হয় ১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধটির উদ্বোধন হয় ১৯২১ খ্রিষ্টাব্দে। সৌধের সর্বোচ্চ গম্বুজে বিউগল ধারিনী বিজয়দুতীর একটি কালো ব্রোঞ্জমূর্তি রয়েছে। বায়ুপ্রবাহ শক্তিশালী হলে বল-বিয়ারিং যুক্ত একটি পাদপীঠের উপর স্থাপিত মূর্তিটি হাওয়া মোরগের কাজ করে। আই আই ই এস টি-প্রাক্তনী এ সি মিত্র ভিক্টোরিয়ার নির্মাণপ্রকল্পের কার্যনির্বাহী বাস্তুকার। এক উচ্চ পর্যায়ের পরিবেশ বিজ্ঞানীমহলের অভিমত হল, কলকাতার দূষণের ফলে ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধের সাদা পাথরে মলিনতার ছোঁয়া লাগছে। এই দূষণ থেকে শতাব্দীপ্রাচীন সৌধকে রক্ষা করাটা খুবই জরুরি; কেননা, ভিক্টোরিয়া স্মৃতিসৌধ কলকাতার গর্বের প্রতীকরূপে বিশ্বের অঙ্গনে প্রতিভাত!
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কলকাতার একটি নিদর্শন। বিপুল মার্বেল কাঠামো ১৯০৬ সাল থেকে ১৯২১ সালের মধ্যে বিকশিত হয়েছিল। এটি সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়ার স্মৃতির প্রতি উৎসর্গীকৃত এবং সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এটি একটি যাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে।
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কোথায়?
কলকাতার ময়দানে কুইন্স ওয়েতে এই স্মৃতিসৌধটি শহরের সবচেয়ে বড় সবুজের উপর অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক ল্যান্ডমার্কের জন্য সঠিক মূল্য অনুমান করা অসম্ভব। লর্ড কার্জন একটি আশ্চর্যজনক এবং নিখুঁত কাঠামো তৈরির প্রস্তাব করেছিলেন, যা সম্পূর্ণ বাগান এবং কোম্পানির জন্য একটি যাদুঘর দিয়ে সম্পন্ন হবে। কার্জনের নিজের বক্তব্য অনুসারে, তিনি একটি ভবন করার প্রস্তাব করেছিলেন যা রাজকীয়, প্রশস্ত, স্মৃতিসৌধ এবং মহৎ হবে, যেখানে কলকাতার প্রতিটি আগন্তুক, আবাসিক জনগোষ্ঠী, ইউরোপীয়রা এবং অন্যান্যরা ভিড় করবে, যেখানে সমস্ত শ্রেণী ইতিহাসের পাঠ শিখবে। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল প্রস্থে ৫০০ ফুট, উচ্চতায় ২৮৯ ফুট। প্রিন্স অব ওয়েলস ২০০৬ সালের ১ জানুয়ারি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং ১৯২১ সালে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি সাধারণের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে খুলে দেওয়া হয়। কলকাতা থেকে রাজধানী নয়াদিল্লি স্থানান্তর করা হলেও ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালটি শেষ পর্যন্ত দেশের প্রাক্তন রাজধানী কলকাতাতেই নির্মিত হয়েছিল। স্মৃতিসৌধটি প্রধানত বেশ কিছু ভারতীয় ব্যক্তি এবং ব্রিটিশ অফিসার দ্বারা অর্থায়ন করা হয়েছিল। লর্ড কার্জনের তহবিল সংগ্রহের আবেদনটি বেশ কয়েকজন রাজনীতিক এবং ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে সাড়া জাগিয়েছিল। এটি নির্মাণে মোট খরচ হয়েছিল প্রায় এক কোটি, পাঁচ লক্ষ টাকা । অধিকাংশই এসেছে স্বেচ্ছাসেবী অনুদান থেকে। ১৯০৫ সালে ভারত থেকে লর্ডকার্জনের প্রস্থানের পর স্মৃতিস্তম্ভ বিলম্বিত হতে শুরু করে। অবশেষে ১ ৯২১ সালে ভবনটি খোলা হয়। এই সুপারস্ট্রাকচারের জন্য ১৯১০ সালে কাজ শুরু হয়েছিল এবং ১৯৪৭ সালের পরে এই সুন্দর স্মৃতিসৌধে কিছু সংযোজন করা হয়েছিল।