চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী সেলিম গ্রেফতার
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪ ১২৯ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট।।
চেক জালিয়াতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ব্রিক ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এনামুল হক চৌধুরী সেলিমকে সোনাগাজী মুহুরি প্রজেক্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত (২০ মে)ঢাকার একটি সি/আর মামলায় (নং ৩১৫৭/১৭ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট ৩৫) পুলিশ গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। এরপর ২৩ মে,২০২৪ ইং ফেনী জেলা কারাগারে থাকাবস্থায় কুমিল্লার অপর আরেকটি সিআর মামলায় গত তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
জানা গেছে, আসামী এনামূল হক বন্দুয়া দৌলতপুর গ্রামের মৃত ওবায়দুল হক চৌধুরীর ছেলে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, গত ২০১৮ সালের ১১ই এপ্রিল তারিখে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের অন্তর্গত পদুয়া অগ্রণী অটোব্রীকস ফিল্ডের স্বত্বাধিকারী হিসাবে আসামী এনামুল হক চৌধুরী সেলিম ২লাখ ইট বিক্রয় করেন আলকরা ইউনিয়নের নারায়ণকুরী গ্রামের দারুল কুরআন ইসলামিয়া মাদ্রাসার নিকট এবং ইটের মূল্য বাবদ (১২,১৫০০০) বারো লক্ষ পনেরো হাজার টাকা অগ্রীম গ্রহণ করে ডকুমেন্টস প্রদান করেন।
২০১৯ সালের মার্চ মাসের মধ্যে উক্ত ইটা ডেলিভারি দেয়ার চুক্তি হয়েছিল। পরবর্তীতে আসামী সেলিম চৌধুরী উক্ত ইট ডেলিভারি না দিয়ে উল্টো উক্ত অগ্রিম অর্থ ফেরৎ দানে অস্বীকৃতি জানান। এক পর্যায়ে তিনি ইট ক্রেতা থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।
মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ বহু চেষ্টা করে আসামী সেলিম চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করতে সক্ষম হন। অত:পর অনেক দেন দরবারের পর সেলিম চৌধুরী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের হাতে তার সাক্ষর করা একটি চেক প্রদান করেন উক্ত টাকা নগদায়নের জন্য। চেকটি যথাসময়ে ব্যাংকে জমা দিলে একাউন্টে টাকা না থাকার কারণে ব্যাংক থেকে চেকটি ডিজওনার করা হয়। সেলিম চৌধুরীকে চেক ডিজওনারের খবরটি তাৎক্ষণিকভাবে জানানো হলেও তিনি কোন সাড়া দেননি। পরবর্তীতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আসামীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার আত্নীয় স্বজনদের দ্বারস্থ হয়ে বিষয়টি তাদেরকে অবগত করেন। কিন্তু আসামীর আত্নীয়স্বজনরাও উক্ত বিষয় কিছু জানেন না বলে পরিস্কার জানিয়ে দেন। কোনো দিক থেকে কোনো প্রকার সমাধান না পেয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আসামীকে উকিল নোটিশ পাঠান এবং পরবর্তীতে মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি দীর্ঘ ৪ বছর চলমান থাকার পর গত ২২মে ২০২৪ই তাং রায় ঘোষণা করা হয়।
কুমিল্লা জজকোর্টের সিআর ৪৯/২১ (ST-2720/22) মামলার রায়ের আদেশে বিজ্ঞ আদালত বলেন,
(“অত্র মামলার আসামি এনামুল হক চৌধুরী সেলিম এর বিরুদ্ধে The negotiable instruments Act 1881 এর ১৩৮ ধারার অভিযোগে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে উক্ত অভিযোগে দোষী সাব্যস্তপূর্বক ১ (এক) বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং (১৫,০০০,০০) পনেরো লক্ষ টাকা অর্থ দন্ডে দন্ডিত করা হল।
আসামী পলাতক থাকায় যেদিন আদালতে আত্নসমর্পণ করবেন বা পুলিশ কর্তৃক ধৃত হবেন সেদিন হতে তার সাজার মেয়াদ গণনা শুরু হবে”)।
বর্তমানে আসামী এনামুল হক চৌধুরী সেলিম ফেনী জেলা কারাগারে আছেন।