নারায়ণগঞ্জে বর্নাঢ্য আয়োজন শিল্পকলা একাডেমির বিশ্ব সঙ্গীত দিবস পালিত
- আপডেট সময়- ০৬:০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩ ১৯৪ বার পড়া হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি।।
শিল্পের যে সকল সর্বজনীন বিষয় রয়েছে, তার মধ্যে সংগীত হচ্ছে অন্যতম। প্রাণী মাত্রই চিত্তকে প্রসন্ন করে এমন স্বরসমূহের বৈশিষ্ট্যপূর্ণ রচনাকে মূলত সংগীত বলে। পণ্ডিত শাঙ্গদেব তাঁর ‘সংগীত রত্নাকর’ গ্রন্থে বলেছেন, ‘গীতং বাদ্যং তথা নৃত্যং ত্রয়ং সংগীত মুচ্যতে’; অর্থাৎ গীত, বাদ্য ও নৃত্য এই তিনটি কলার সমন্বয়কেই সংগীত । এই ত্রয়ীর নির্যাস তথা আবেদনকে সমগ্র পৃথিবীর সংগীতপ্রেমীদের কাছে আরও জোরালো করতে এক অভাবনীয় চিন্তার প্রস্তাব দেন তৎকালীন ফরাসি মন্ত্রী জ্যাক ল্যাং, যেটা ১৯৮২ সালের অব্যবহিত সময়ের ভেতরই ১৯৮৫ সালের ২১ জুন রূপ নেয় এক অনবদ্য আন্দোলনে, যার মূলমন্ত্র ‘গান হতে হবে মুক্ত, সংশয়হীন’!সংগ্রামের প্রাথম পর্যায়ে গোটা ইউরোপ এবং পরবর্তীকালে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে এই চেতনার আন্দোলন। কালের বিবর্তন ও পরিক্রমায় তাই বর্তমানে প্রতিবছর ২১ জুন এতদিনটি পৃথিবীজুড়েই পালিত হয়ে আসছে ‘বিশ্ব সংগীত দিবস’। আন্তর্জাতিক পরিসরে স্বীকৃত এই মহান দিবস উপলক্ষে ফ্রান্সসহ পৃথিবীর অন্য অনেক দেশেই পালিত হয় সংগীতের বৈচিত্র্যময় সব অনুষ্ঠান, যার মূল লক্ষ্য হচ্ছে সংগীতের বিভিন্ন ধারার প্রসার ও ব্যাপকতার উদ্দেশ্যে সর্বস্তরের মানুষকে শিল্পের এই মাধ্যমের আনন্দ ও উদ্দীপনার সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে উৎসাহিত করা এবং সুকুমার বৃত্তির উন্মেষ ঘটানো।
এর ধারাবাহিকতা নারায়ণগঞ্জে বর্নাঢ্য ও জমকালো নানান আয়োজনে উদযাপিত হলো জেলা শিল্পকলা একাডেমির বিশ্ব সঙ্গীত দিবস-২০২৩।
এ উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা শিল্পকলা একাডেমি।
গত বুধবার(২১ জুন) বিকেলে সাড়ে ৪টায় শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তন হলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে এ আলোচনা সভা ও বর্নাঢ্য আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
জেলার সুযোগ্য কালচারাল কর্মকর্তা মিষ্টভাষী রুনা লায়লার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আসন অলংকৃত করেন নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক মোঃ সাকিব আল রাব্বি।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নেজারত সহকারী কমিশনার(এনডিসি) মোহাম্মদ রবিন মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানে নবীন ও প্রবীন শিশু সকল শিল্পীদের দেশাত্মবোধক, আধুনিক, গাঁজল বাংলার লোক ঐতিহ্যের নানান ধরনের গানে গানে মুখরিত ও উজ্জীবিত হয়ে অনুষ্ঠানাস্থল।অনুষ্ঠান শেষে গুনী শিল্পীদের পুরস্কৃত করা হয়।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ