বাক স্বাধীনতার নামে কোরআন পোড়ানো, সমর্থন জানানোরই সামিল: তুরস্ক
- আপডেট সময়- ০১:২৩:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ জুন ২০২৩ ১২৩ বার পড়া হয়েছে
কোরআন পোড়ানোয় সুইডেনের উপর চরম ক্ষুব্ধ তুরস্ক!
অনলাইন ডেস্ক।।
মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ পোড়ানো, পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বিক্ষোভের নামে এক ব্যক্তিকে কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সুইডেন। আর এ ঘটনায় মুসলিম দেশ তুরস্ক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। দেশটি ইঙ্গিত দিয়েছে, এমন ‘হীন’ কাজ করায় সুইডেনকপ ন্যাটো সদস্যপদের অনুমোদন দেবে না বলে স্পষ্ট হুশিয়ারি দিয়েছে তুরস্ক।
বুধবার (২৮ জুন) রাজধানী স্টকহামের একটি মসজিদের সামনে এক উগ্রবাদীকে কোরআন পুড়িয়ে বিক্ষোভ করার অনুমতি দেয় সুইডেনের পুলিশ এসময় তার সাথে আরো একজনকে দেখা গেছে। এদিন দেশটিতে ঈদুল আজহা উদযাপিত হয়।
এই কথিত বিক্ষোভে মাত্র একজনই অংশ নেন। একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ওই ব্যক্তি নিজে কোরআন পোড়াচ্ছেন।
সুইডেনের পুলিশ দাবি করেছে, কোরআন পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে বাক স্বাধীনতার বিষয়টি বিবেচনা করে।এছাড়া এ ঘটনায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি হবে বলে দাবি করেছে তারা।
এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তুরস্ক হুমকি দিয়েছে তারা সুইডেনের ন্যাটো সদস্যপদের অনুমোদন দিবে না।
তুরস্কের সরকারের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক ফারেত্তিন আলতুন এ ঘটনায় এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘ইউরোপিয়ান কর্তৃপক্ষ, বিশেষ করে সুইডেনে অব্যাহত ইসলাম বিরোধীতা এবং ধর্মের প্রতি বিদ্বেষে, আমরা ক্লান্ত ও পরিশ্রান্ত। যেসকল দেশ ন্যাটোতে আমাদের মিত্র হতে চায়, তারা ইসলাম বিরোধী অথবা ইসলাম বিদ্বেষ এবং ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম হতে দিতে পারে না।
মুসলিম রাস্ট্র তুরস্কের প্রতিরক্ষামন্ত্রীও এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলেছেন, এটি একটি হীন ও ঘৃণিত জগন্নতম কাজ। বাক স্বাধীনতার নামে এ ধরনের ইসলাম বিরোধী কার্যক্রম হতে দেওয়া এবং এসব হীন কাজের প্রতি চোখ বন্ধ রাখা, এগুলোকে সমর্থন জানানোরই সামিল মনে করছে তারা।
এদিকে জুলাইয়ে লিথুয়ানিয়ার ভিলনিয়াসে হবে ন্যাটোর বার্ষিক সম্মেলন। এর আগেই সুইডেন তুরস্কের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু কোরআন অবমাননার অনুমোদন দেওয়ায় দেশটির ন্যাটো সদস্যপদ এখন শঙ্কায় পড়ে গেল।তারা কোনভাবে সমর্থন দিবে না বলে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ