সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আবহাওয়া ও জলবায়ু, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, পূর্বাভাস, বাংলাদেশ, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ড্রেনে জলবদ্ধতা
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩৬ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের ড্রেনে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।আর তাতে এখানে মশার উপদ্রব দেখা দিয়েছে অনেকটাই।ড্রেনের পানি এখানে অনেক দিন জমা থাকলে দেখা দিতে পারে ডেঙ্গু মশাসহ অন্যান্য মশাও।তাতে এখানে মশার উপদ্রব বাড়ার আশংকা করছেন অনেকেই।এ ধরণের পরিস্থিতিতে এখানকার রোগিরা এখন এখানে পড়েছেন মহাবিপাকে।ড্রেনের জলবদ্ধতার উপচে পড়া পানি এখন চলে যাচ্ছে হাসপাতালের নিকটতম পুকুরে। তাতে পুকুরের বিশুদ্ধ পানিও নস্ট হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।এ পুকুরের পানি অনেকেই আবার অযুর কাজেও ব্যবহার করে থাকেন।এ পরিস্থিতি উত্তরণ আশা করছেন এখানকার রোগিসহ অনেকে।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চরিদিকে রয়েছে একাধিক ড্রেন। কিন্তু ড্রেনের জমাট ধরা পানি নিস্কাশন করার কোন ব্যবস্থা নেই।যখন এ হাসপাতালটি তৈরি হয় তখন পরিকল্পনা অনুযায়ি ড্রেনের পানি নিস্কাশনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।আর তাতেই এখানে দেখা দিয়েছে বিড়ম্বনা।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের তৈরির সময় এখানে ধানি ক্ষেত ছিল।তখন এখানকার ড্রেনের পানি চলে যেতো আশপাশের জমি কিংবা পুকুরসহ ডোবাতে।কিন্তু সেইসব জায়গাতে এখন অনেক বসতি গড়ে উঠেছে।তাতে এখন এখানকার পানি আর কোথাও সরে যেতে পারছে না।ড্রেনের পানি বর্তমানে ড্রেনেই থেকে যাচ্ছে।কখনো কখনো ড্রেনে অতিরিক্ত পানি জমাট বাঁধে তবে সেই পানি চলে যাচ্ছে হাসপাতালের ভেতরের পুকুরে।পুকুরে চলে যাওয়া বিষাক্ত ড্রেনের পানি পুকুরের ভালো পানিকেও করছে নস্ট। হাসপাতালের ভেতরে রয়েছে একটি মসজিদ।এ মসজিদের নামাজ পড়ুয়ারা কখনো কখনো অযুর কাজে এ পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকেন।তাতে এ কাজে অনেকেই বিপদে পড়তে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের নতুন ভবন তৈরির সময় এখানকার ড্রেনের পানি বের করার সিস্টেম রাখা হয়ে ছিল বলে দাবি করা হচ্ছে।কিন্তু ঠিকাদারের সাথে বনিবনা না হওয়ার কারণে মুন্সীগঞ্জ পৌর কর্তৃপক্ষ সেই ড্রেনের পানি কিংবা মুলধারার ড্রেন সংযুক্ত করতে দেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।আর তাতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে পড়েছেন সমস্যার মধ্যে।এখন জেলার গণপূর্ত বিভাগ এখানকার ড্রেন নির্মাণে টেন্ডার আহবান করলেই এ যাত্রা থেকে কর্তৃপক্ষ মুক্তি পেতে পারে।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের অফিস সহকারী মো: ফারুক বলেন,ড্রেনের পানি মাঝে মাঝে সরিয়ে দেয়া হয়।মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক ডা: আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল বলেন,ড্রেনের পানি সরিয়ে নেয়ার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।আর এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে ড্রেন নির্মাণের জন্য পত্র প্রেরণ করা হবে।এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগে যোগাযোগ করা হয়।কিন্তু গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এখান থেকে অন্যত্র বদলী হয়ে চলে যাওয়ার কারণে তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।