সর্বশেষ:-
জন্মাষ্টমীতে কলকাতা মাতিয়ে গেলেন ওড়িশার উৎকল যাদব
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৬:১৭:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ২৪১ বার পড়া হয়েছে
ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন জন্মাষ্টমী হিন্দুদের অন্যতম মহাউৎসব। এই উৎসব উপলক্ষে গত দুদিন ব্যাপী এক বর্ণাঢ্য পুজা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে পালন করলো কলকাতার ওড়িয়া সমাজের প্রতিষ্ঠিত উৎকল যাদব মহাসভা। উৎসবের শুরু হয়েছিল গত ২৬ আগস্ট।
কলকাতার উৎকল যাদব মহাসভার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯২৫ সালে।
কলকাতার পুলিশের সদর দফতর লালবাজারের পিছনে ২২ রবীন্দ্র সরণিতে। পুজা পর্ব চলাকালীন কলকাতার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক অবদানের জন্য বিশেষ ভাবে সম্মানিত করা হয়। একের পর এক বক্তা তাদের অভিজ্ঞতা থেকে কৃষ্ণ জন্মোৎসব নিয়ে বিভিন্ন আধ্যাত্মিক, পৌরাণিক কাহিনীর অবতারণা করেন। এরপর শুরু হয় বিভিন্ন শিল্পীদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠানটির উদ্যোক্তা ওড়িশা সরকারের সংস্কৃতির বিভাগ।
এই অনুষ্ঠানে দিল্লির হসখাস শারীরিক দিক থেকে আংশিক অক্ষম শিশু শিল্পীরাও অংশ গ্রহণ করে। ভজন,কীর্তন, গান, নৃত্য সকল শিল্পী মাতিয়ে তোলে এদিনের আসর।
বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি এবং ইউটিউবার হিসাবে আমাকে আমন্ত্রন জানানো হয়েছিল প্রতিষ্ঠানের ১০০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে উপস্থিত থাকার জন্য।
পরিচয় হলো জন্মাষ্টমী মহোৎসবের অন্যতম আয়োজক হরে কৃষ্ণ পালাই এর সঙ্গে। তিনি একে একে পরিচয় করিয়ে দিলেন ওড়িয়া সমাজের মুম্বাই তথা মহারাষ্ট্রের সংস্থার চেয়ারম্যান ড: বিপিন বিহারী মিশ্রর সঙ্গে। মুম্বাইতে সূর্যক্ষেত্র ফাউন্ডেশন এরও তিনি সভাপতি।
তিনি তার ভাষণে ভগবান কৃষ্ণের বিভিন্ন মাহাত্ম্য চর্চাকালে কৃষ্ণের বাণী ভাগবত গীতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। তিনি বলেন, যেই কৃষ্ণ,সেই জগন্নাথ।
আমেরিকার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৃষ্ণ ভক্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ট্রাম্প একজন শীর্ষ স্থানীয় ধনী ব্যক্তি। আমেরিকার ওড়িয়া সমাজের পক্ষ থেকে তাকে একটি জগন্নাথ মূর্তিসহ মন্দির নির্মাণের জন্য জমি ও অন্যান্য সাহায্যের আবেদন করে।
প্রথমদিকে গুরুত্ব না দিলেও পরে তিনি প্রয়োজনীয় জমি দিয়ে সেখানে মন্দির নির্মাণ করে দেন। তারপরই তার ব্যবসায় প্রচণ্ড উন্নতি হয় এবং তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হন। তারপর বিভিন্ন সময় জগন্নাথ মন্দিরে তিনি যাওয়া আসা শুরু করেন।
বিপিন বাবু বলেন,বিশ্বের প্রায় সবকটি দেশে ওড়িয়া সংগঠন রয়েছে।
বাংলাদেশেও জগন্নাথ মহাপ্রভুর বহু ভক্ত রয়েছেন। সেখানে জগন্নাথ দেবের নামানুসারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস প্রটেকশন অর্গানাইজেশন এর রাষ্ট্রীয় সভাপতি ড: অভিন্ন হোতা বক্তব্য রাখেন।
তিনিও কৃষ্ণের বিভিন্ন শক্তি , দুষ্ট এর দমন,যেমন কালিয়া দমন তথা কৃষ্ণের মাথার ওপর নাগরাজের নৃত্য,এবং কৃষ্ণের জন্ম পর্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন তথ্য পরিবেশন করেন।উল্লেখযোগ্য ,অত্যাচারী রাজা কৃষ্ণের মামা কংসের মদতে কালিয়া বারবার কৃষ্ণের সঙ্গে লড়াইতে অবতীর্ণ হয়েছেন।তাকে বধ করেছিলেন শ্রী কৃষ্ণ।
এছাড়াও বিশিষ্ট প্রবীন ওড়িয়া সাংবাদিক ও আন্তর্জাতিক ওড়িয়া সংগঠনের সভাপতি কিশোর দ্বিবেদিও জ্ঞানগর্ভ আলোচনায় অংশ গ্রহন করেছেন।
বাংলাদেশের পত্রিকার পক্ষ থেকে এই প্রতিবেদক অনেকের ভিডিও সাক্ষাৎকার নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, এবং বিশিষ্ট অতিথি বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতার অস্বস্তিকর রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য জরুরি মিটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেন নি।
অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সকলকে প্রসাদ বিতরণ করা হয়।