ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় আব্দুল করিম কলেজের খেলার মাঠ দখল করে ব্লক তৈরি না’গঞ্জে ট্রাফিক পুলিশের মাঝে ছাতা, স্যালাইন, মাক্সসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ উলামা পরিষদ ও খতমে নবুওয়ত সংরক্ষণ কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত না’গঞ্জকে স্বাস্থ্যসম্মত ও মানবিক শহরে রূপান্তর হবে-৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শনে ডিসি জাহিদুল বাংলাদেশ ক্লথ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশ’র সভাপতি হলেন প্রবীর কুমার সাহা ইয়ার্ন মার্চেন্ট নির্বাচনে মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে এসোসিয়েট গ্রুপে ৬ প্রার্থীর মনোনয়ন জমা মুন্সীগঞ্জের আড়িয়াল বিলে ধান কাটলেন দুই উপদেষ্টা গজারিয়ায় ১৫ হাজার লিটার চোরাই তেলসহ লরি জব্দ করল জনতা সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন ২০০১ সালের পর আর দেশে দেখা মিলেনি-নাসের রহমান  শ্রীমঙ্গলে অপহরণ মামলার আসামী রাজু বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার  না’গঞ্জ ৩’শ শয্যা হাসপাতাল পরিদর্শন; সেবার মানোন্নয়নে ৫টি হুইল চেয়ার প্রদান করেন ডিসি আশুলিয়া থেকে মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১ কলারোয়ায় মায়ের হাতে দেড় বছরের শিশু কন্যা খুন কুষ্টিয়ায় দলিল লেখক ঘুষ দাবি করায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া সৈনিক দলের  পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা অবশেষে ফরিদপুরে বদলি আড়াইহাজারের বিতর্কিত ওসি এনায়েত হোসেন শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকের ওপর হামলা: যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক-৩ শ্রীমঙ্গলে পর্নোগ্রাফি মামলার আসামি হুমায়ুন গ্রেপ্তার কাস্মীরে হা*মলা; ভারত-পাকিস্তান ‘যু*দ্ধের’ শঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে দৌলতপুরে এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত, প্রধান শিক্ষককে নোটিশ পটুয়াখালীতে হিজাব না খোলায় ৪ পরীক্ষার্থীর উত্তরপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পারভেজ হত্যা মামলার প্রধান আসামি মেহেরাজ গাইবান্ধায় গ্রেপ্তার মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন থেকে পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগদান  সোনারগাঁয়ে নারকোটিসের অভিযানে ১৮ হাজার ৫’শ ইয়াবাসহ আটক-২ রূপগঞ্জে রায়হান হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার উত্তরার খিলখেতে স্থানীয় দোকানপাটে নিয়মিত চাঁদাবাজির অভিযোগে গ্রেপ্তার-২ মুহাম্মদ ফাউন্ডেশন’র পক্ষ থেকে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে হুইল চেয়ার বিতরণ  সংস্কারের নামে নাটক মঞ্চস্থ না করে দ্রুত নির্বাচন দিন: রুমিন ফারহানা সিলেট রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আমিনুল  রায়পুরায় শারীরিক প্রতিবন্ধীকে হুইল চেয়ার উপহার দিলেন মানবিক ইউএনও  ৩৬ দিনে নয়, বিএনপির ১৬ বছরের সংগ্রাম ও গণবিস্ফোরণের ফল: রুমিন ফারহানা জুড়ীতে ডিবির বিশেষ অভিযানে ৪’শ ১০পিস ইয়াবাসহ আটক-১ মুন্সীগঞ্জে অটোরিক্সা ছিনতাইকালে অস্ত্র ও বোমাসহ যুবদল কর্মী গ্রেপ্তার কুমারখালী পৌরসভায় ৪৩ মাসের বেতন বকেয়া: ফটকে তালা মুন্সীগঞ্জে ৬ টন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করতে না পেরে বিপাকে কৃষক ছাত্রদলের পারভেজ হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বড়লেখায় মানববন্ধন  মৌলভীবাজারে A One ব্রেড এন্ড বিস্কুট ফ্যাক্টরিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা টিকটকে পরিচয়ে প্রেম-বিয়ে, স্ত্রী’র মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে  গজারিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় দুই দল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ,আহত- ৪ বিএনপি নেতার রাস্তা উদ্ধোধনে আওয়ামী লীগ নারায়ণগঞ্জে চাঞ্চল্যকর সোহান হত্যা মামলার প্রধাম আসামি কাজল গ্রেপ্তার সংবাদপত্র হকার্স সমিতির সাবেক পরিচালক আর নেই ভিক্টোরিয়া হাসপাতালকে আধুনিকতায় নতুন রূপে গড়ে তোলা হবে: ডিসি শেরপুর থানার বিশেষ অভিযানে দুই’শ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ পটুয়াখালীর দুমকীতে ৮০ বছরের বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় সোন্দাহ স্কুলের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ কমলগঞ্জে ১’শ ষাট পিস ইয়াবাসহ পুলিশের জালে মাদক কারবারী গাইবান্ধায় ৬ দফা দাবি আদায়ে ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষকদের মানববন্ধন শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক মতবিনিময় সভা মৌলভীবাজারের কৃষকরা ধান কেটে চোঁখে মুখে হাসির ঝিলিক আজ থেকে আপিল বিভাগের আরও দুটি বেঞ্চে চলবে বিচারকার্য নারায়ণগঞ্জে পাভেল হত্যার প্রধান আসামি ‘কবুতর বাবু’ বরিশালে গ্রেপ্তার  ঈশ্বরদীতে উপজেলা হ্যান্ডেলিং শ্রমিক ইউনিয়নের তৃণমূল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত বড়লেখায় যুবলীগ নেতা মিলাদ শ্রীঘরে  গাজীপুরে ২ শিশুকে হত্যার ঘটনায় মা জড়িত: পুলিশ বাউফলে ইয়াবাসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা গ্রেপ্তার অস্থিতিশীল কাঁচা বাজার: বাজারে সবজি প্রচুর থাকলেও ৮০ টাকার নিচে মিলছেই না টঙ্গীতে ২ শিশুর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার গাইবান্ধায় প্রেমের টানে ভাগ্নের হাত ধরে মামী উধাও  শ্রীমঙ্গলে নিষিদ্ধ কোডিন সহ আটক-১ ভৈরবের গজারিয়া ইউনিয়নে মাদক’ বিরোধী র‍্যালী ও পথসভা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলকে জেলার শ্রেষ্ঠ থানা ঘোষণা  সুন্দরগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা: জাপা নেতা ও কলেজ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা মুন্সীগঞ্জের টংঙ্গীবাড়ীতে চেয়ারম্যানকে গুলি করে মারার হুমকি পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা বন্ধ পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা.শামীম আল আজাদকে ‘ওএসডি কুলাউড়ায় দখলকৃত ২ কোটি টাকা সমমূল্যের সরকারি জমি উদ্ধার  শ্রীমঙ্গলে বজ্রপাতে মারাত্মকভাবে আহত পিতা-পুত্র  ফরিদপুরে হজ্ব যাত্রীদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত গাজায় ইসরাইলী বর্বর গনহত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ সমাবেশ কলাপাড়ায় বিএনপি কার্যালয়সহ চার দোকান পুড়ে ছাই টেকনাফে বিজিবির অভিযানে এক লক্ষ পিস ইয়াবাসহ আটক-১ ২৪’এ ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের মাঝে জেলা পরিষদের আর্থিক অনুদান প্রদান নারায়ণগঞ্জে মুরাদ হত্যার পলাতক আসামি ২১ বছর পর র‍্যাবের জালে জিলাপি খেতে চাওয়া ইটনা থানার সেই ওসি মনোয়ার প্রত্যাহার বাউফলে দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে  বিশেষ সুবিধা দেওয়ার অভিযোগ সাংবাদিক ও কবি সৌমিত্র দেব আর নেই গাইবান্ধা-২ আসনের সাবেক এমপি সারোয়ার কবীর গ্রেপ্তার গাইবান্ধায় এসএসসি পরীক্ষায় নকলের মহোৎসব: ১ শিক্ষকসহ ১০ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার কুষ্টিয়ায় ট্রাকের ধাক্কায় বৃদ্ধ নিহত গাজাবাসীর প্রতি সংহতির বার্তা নিয়ে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসকের বর্ণীল পহেলা বৈশাখ পালন নির্দেশ না মানায় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুদান স্থগিত করলেন ট্রাম্প প্রশাসন চট্টগ্রামে আ’লীগ একাধিক নেতাকর্মীদের বাড়িতে দিনভর লুটপাট-হামলা-ভাঙচুর দেশবাসীকে নববর্ষ সম্প্রীতিসহ জাতীয় ঐক্যের বার্তা দিলেন সেনাপ্রধান দীর্ঘদিন কারাভোগের পর অবশেষে মুক্ত সাবেক ছাত্রদল নেতা জাকির খান “মার্চ ফর গাজা” শক্তিশালী বার্তা হিসেবে বিশ্বজুড়ে প্রতিধ্বনিত হবে কুষ্টিয়ায় র‍্যাবের অভিযানে অপহরণকারী গ্রেপ্তার ও অপহৃত ভিকটিম উদ্ধার গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে বলায় সামরিক কর্মকর্তাদের বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেতানিয়াহুর গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা বন্ধে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, না’গঞ্জে বিক্ষোভ কিছু উপদেষ্টার পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার খায়েশ জন্মেছে: মুন্সীগঞ্জে ড.আসাদুজ্জামান গাজায় গণহত্যা বন্ধে দাবিতে সাতক্ষীরা শিবিরের বিক্ষোভ শ্রীমঙ্গলের জাগছড়া চা বাগান থেকে ১৫ ফুট লম্বা অজগর উদ্ধার  কমলগঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে লাখ টাকা জরিমানা ও কারাদণ্ড নারায়ণগঞ্জে বস্তাবন্দি দুই নারীসহ এক শিশুর অর্ধগলিত খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার জাকির খানের মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই,রোববার মুক্ত মৌলভীবাজারে আইনজীবী সুজন মিসকিলিং’র শিকার; চাঞ্চল্যকর তথ্য; গ্রেপ্তার ৫ প্রতারণার অভিযোগে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী দিলশাদ পুলিশি হেফাজতে কুষ্টিয়ায় চুরির অভিযোগে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উত্তরায় মেট্রোরেল চোরাই পণ্যের অনুসন্ধানের সময় তিন সাংবাদিকদের উপর হামলা গ্রেপ্তার-১

‘বদর দিবস’ ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৫:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫ ৪৫ বার পড়া হয়েছে

 

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি শুধু একটি যুদ্ধই নয়, বরং সত্য ও মিথ্যার মধ্যে প্রথম সরাসরি সংঘাত এবং আল্লাহর সাহায্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ২ হিজরির ১৭ রমজান, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য এক গৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন। বদরের যুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ঘটনাবলি এবং এর শিক্ষা আজও আমাদের জন্য অমূল্য পাথেয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর মুসলিম সম্প্রদায় একটি নতুন সমাজ গঠনের প্রক্রিয়ায় ছিল। কিন্তু মক্কার কুরাইশ নেতৃবৃন্দ ইসলামের প্রচার ও প্রসার রোধ করতে সদা সচেষ্ট ছিল। তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করে। এ সময় কুরাইশদের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা সিরিয়া থেকে ফিরছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন আবু সুফিয়ান। এই কাফেলায় কুরাইশদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ছিল। নবীজি (সা.) এই কাফেলা সম্পর্কে জানতে পেরে মুসলিমদেরকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিতে বলেন। উদ্দেশ্য ছিল কুরাইশদের অর্থনৈতিক শক্তি দুর্বল করা এবং তাদের অহংকার চূর্ণ করা।
যুদ্ধের প্রস্তুতি:
নবীজি (সা.) ৩১৩ জন সাহাবি নিয়ে বদর নামক স্থানে পৌঁছান। এই দলে ছিলেন মুহাজির ও আনসার উভয় গোত্রের লোক। অন্যদিকে, কুরাইশরা তাদের কাফেলাকে রক্ষা করতে প্রায় ১০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী পাঠায়, যারা সুসজ্জিত ও সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। মুসলিম বাহিনীর তুলনায় কুরাইশ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্র অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মুসলিমদের মধ্যে ছিল আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস।
যুদ্ধের ঘটনাবলি:
১৭ রমজান, ২ হিজরি সনে বদরের প্রান্তরে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয়। নবীজি (সা.) আল্লাহর দরবারে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি বলেছিলেন, “হে আল্লাহ! যদি আজ এই ছোট দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে তোমার ইবাদত করার কেউ থাকবে না।” আল্লাহ তাআলা নবীজির এই দোয়া কবুল করেন এবং ফেরেশতাদের মাধ্যমে মুসলিমদের সাহায্য করেন। কুরআনে এই ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে:
যখন তুমি মুমিনদের বলছিলে, ‘তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তিন হাজার ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের সাহায্য করা কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয়?’ হ্যাঁ, যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, আর তারা যদি হঠাৎ তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের প্রতিপালক পাঁচ হাজার চিহ্নিত ফেরেশতা দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১২৫)
যুদ্ধে মুসলিমরা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে লড়াই করে। নবীজি (সা.) নিজেও যুদ্ধে অংশ নেন এবং সাহাবিদের উৎসাহিত করেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্যে মুসলিমরা বিজয় লাভ করে। কুরাইশ বাহিনীর ৭০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিও ছিলেন। অন্যদিকে, মুসলিমদের ১৪ জন শাহাদাত বরণ করেন।
যুদ্ধের ফলাফল ও তাৎপর্য:
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলিমদের আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় এবং ইসলামের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিক্ষা:
বদরের যুদ্ধ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি:
১. আল্লাহর উপর ভরসা: মুসলিমরা সংখ্যা ও অস্ত্রে কম ছিল, কিন্তু আল্লাহর উপর তাদের অগাধ বিশ্বাস ছিল। আল্লাহর সাহায্যেই তারা বিজয়ী হয়েছিল।
২. ঐক্য ও শৃঙ্খলা: মুসলিম বাহিনী ছিল অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং তাদের মধ্যে ছিল গভীর ঐক্য। এটি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিল।
৩. নেতৃত্বের গুরুত্ব: নবীজি (সা.)-এর নেতৃত্ব ছিল এই যুদ্ধের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাঁর নির্দেশনা ও পরামর্শ মুসলিমদেরকে বিজয়ের পথ দেখিয়েছিল।
বদরের যুদ্ধ শুধু একটি যুদ্ধই নয়, বরং এটি ছিল সত্য ও ন্যায়ের বিজয়। এটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে এবং সঠিক পথে অটল থাকলে বিজয় অবশ্যম্ভাবী। আজও বদরের যুদ্ধের ঘটনা আমাদেরকে সাহস, ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসা করার শিক্ষা দেয়। এই দিনটি আমাদের জন্য এক গৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন, যা আমাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা যোগায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

‘বদর দিবস’ ইসলামের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়

আপডেট সময়- ০৫:৫৩:৩৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

 

ফেরদৌস আলম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এটি শুধু একটি যুদ্ধই নয়, বরং সত্য ও মিথ্যার মধ্যে প্রথম সরাসরি সংঘাত এবং আল্লাহর সাহায্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন। এই যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল ২ হিজরির ১৭ রমজান, যা আজও মুসলিম উম্মাহর জন্য এক গৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন। বদরের যুদ্ধের প্রেক্ষাপট, ঘটনাবলি এবং এর শিক্ষা আজও আমাদের জন্য অমূল্য পাথেয়।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট:
মক্কা থেকে মদিনায় হিজরতের পর মুসলিম সম্প্রদায় একটি নতুন সমাজ গঠনের প্রক্রিয়ায় ছিল। কিন্তু মক্কার কুরাইশ নেতৃবৃন্দ ইসলামের প্রচার ও প্রসার রোধ করতে সদা সচেষ্ট ছিল। তারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং তাদের অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে চাপে রাখার চেষ্টা করে। এ সময় কুরাইশদের একটি বাণিজ্যিক কাফেলা সিরিয়া থেকে ফিরছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন আবু সুফিয়ান। এই কাফেলায় কুরাইশদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ ছিল। নবীজি (সা.) এই কাফেলা সম্পর্কে জানতে পেরে মুসলিমদেরকে তাদের বিরুদ্ধে অভিযানের প্রস্তুতি নিতে বলেন। উদ্দেশ্য ছিল কুরাইশদের অর্থনৈতিক শক্তি দুর্বল করা এবং তাদের অহংকার চূর্ণ করা।
যুদ্ধের প্রস্তুতি:
নবীজি (সা.) ৩১৩ জন সাহাবি নিয়ে বদর নামক স্থানে পৌঁছান। এই দলে ছিলেন মুহাজির ও আনসার উভয় গোত্রের লোক। অন্যদিকে, কুরাইশরা তাদের কাফেলাকে রক্ষা করতে প্রায় ১০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী পাঠায়, যারা সুসজ্জিত ও সংখ্যায় অনেক বেশি ছিল। মুসলিম বাহিনীর তুলনায় কুরাইশ বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ও অস্ত্রশস্ত্র অনেক বেশি ছিল। কিন্তু মুসলিমদের মধ্যে ছিল আল্লাহর উপর অগাধ বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস।
যুদ্ধের ঘটনাবলি:
১৭ রমজান, ২ হিজরি সনে বদরের প্রান্তরে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হয়। নবীজি (সা.) আল্লাহর দরবারে সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি বলেছিলেন, “হে আল্লাহ! যদি আজ এই ছোট দলটি ধ্বংস হয়ে যায়, তাহলে পৃথিবীতে তোমার ইবাদত করার কেউ থাকবে না।” আল্লাহ তাআলা নবীজির এই দোয়া কবুল করেন এবং ফেরেশতাদের মাধ্যমে মুসলিমদের সাহায্য করেন। কুরআনে এই ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে:
যখন তুমি মুমিনদের বলছিলে, ‘তোমাদের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে তিন হাজার ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে তোমাদের সাহায্য করা কি তোমাদের জন্য যথেষ্ট নয়?’ হ্যাঁ, যদি তোমরা ধৈর্য ধারণ কর এবং আল্লাহকে ভয় কর, আর তারা যদি হঠাৎ তোমাদের উপর চড়াও হয়, তাহলে তোমাদের প্রতিপালক পাঁচ হাজার চিহ্নিত ফেরেশতা দিয়ে তোমাদের সাহায্য করবেন।” (সূরা আল-ইমরান, আয়াত ১২৫)
যুদ্ধে মুসলিমরা অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে লড়াই করে। নবীজি (সা.) নিজেও যুদ্ধে অংশ নেন এবং সাহাবিদের উৎসাহিত করেন। শেষ পর্যন্ত আল্লাহর সাহায্যে মুসলিমরা বিজয় লাভ করে। কুরাইশ বাহিনীর ৭০ জন নিহত হয়, যাদের মধ্যে অনেক নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিও ছিলেন। অন্যদিকে, মুসলিমদের ১৪ জন শাহাদাত বরণ করেন।
যুদ্ধের ফলাফল ও তাৎপর্য:
বদরের যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এই যুদ্ধের মাধ্যমে মুসলিমদের আত্মবিশ্বাস ও বিশ্বাস আরও দৃঢ় হয়। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য একটি ঐতিহাসিক বিজয় এবং ইসলামের প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
শিক্ষা:
বদরের যুদ্ধ থেকে আমরা অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি:
১. আল্লাহর উপর ভরসা: মুসলিমরা সংখ্যা ও অস্ত্রে কম ছিল, কিন্তু আল্লাহর উপর তাদের অগাধ বিশ্বাস ছিল। আল্লাহর সাহায্যেই তারা বিজয়ী হয়েছিল।
২. ঐক্য ও শৃঙ্খলা: মুসলিম বাহিনী ছিল অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং তাদের মধ্যে ছিল গভীর ঐক্য। এটি তাদেরকে শক্তিশালী করেছিল।
৩. নেতৃত্বের গুরুত্ব: নবীজি (সা.)-এর নেতৃত্ব ছিল এই যুদ্ধের সাফল্যের মূল চাবিকাঠি। তাঁর নির্দেশনা ও পরামর্শ মুসলিমদেরকে বিজয়ের পথ দেখিয়েছিল।
বদরের যুদ্ধ শুধু একটি যুদ্ধই নয়, বরং এটি ছিল সত্য ও ন্যায়ের বিজয়। এটি আমাদেরকে শিক্ষা দেয় যে, আল্লাহর উপর ভরসা করলে এবং সঠিক পথে অটল থাকলে বিজয় অবশ্যম্ভাবী। আজও বদরের যুদ্ধের ঘটনা আমাদেরকে সাহস, ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসা করার শিক্ষা দেয়। এই দিনটি আমাদের জন্য এক গৌরবময় স্মৃতিচিহ্ন, যা আমাদেরকে সত্য ও ন্যায়ের পথে চলার প্রেরণা যোগায়।