সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, আন্তর্জাতিক, ইসলাম ও জীবন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, দূর্নীতি দমন কমিশন(দুদক), দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ পুলিশ, মৌলভীবাজার, সিলেট
বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে বিধবা নারীর অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৮:৩০:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৫০ বার পড়া হয়েছে

তিমির বনিক,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি।।
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে সিরাই বেগম (৫০) নামক এক বিধবা থেকে তার ছেলেকে সৌদি আরব পাঠানোর নামে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক আব্দুন নূর। বিধবা নারীর বাড়ি জুড়ী উপজেলার দক্ষিণ বড়ডহর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত আব্দুল মফিদের স্ত্রী। আর প্রকারক আব্দুন নূরের বাড়ি একই উপজেলার উত্তর বড়ডহর গ্রামে। সে ওই গ্রামের মৃত হায়দার আলীর পুত্র।
এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে সিরাই বেগম বাদী হয়ে গত ৩রা ফেব্রুয়ারী প্রতারক আব্দুন নূর এর বিরুদ্ধে জুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে জানা গেছে, সিরাই বেগমের পাশের গ্রামের বাসিন্দা আব্দুন নূর তার ছেলে মনির (২০) কে সৌদি আরব পাঠানোর নামে বিগত ২০২৪ সালের আগস্ট মাসে প্রস্তাব দেয়।
সে অনুযায়ী আব্দুন নূরের সাথে সিরাই বেগমের কথাবার্তা ও ষ্ট্যাম্প মূলে লিখিত চুক্তি সম্পাদিত হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৪০০০০০ (চার লক্ষ সত্তর হাজার টাকা মাত্র) আব্দুন নূরকে প্রদান করলে সে আমার ছেলেকে সৌদি আরব পাঠাবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়। সে অনুযায়ী আমি বিগত ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর আব্দুন নূর’কে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা প্রদান করি।
ওই সময় কথা ছিল সৌদি আরবের ভিসা আসার পর ফ্লাইট দেয়ার পূর্বে ৬০ হাজার টাকা এবং ওই দেশে পৌঁছার ৩ মাস পরে বাকী টাকা দেয়ার কথা হয়। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হচ্ছে দীর্ঘ ৪ মাস অতীত হলেও অদ্যাবধি আমার ছেলের ভিসা আসে নাই।
এ ব্যাপারে সিরাই বেগম আব্দুন নূরকে জিজ্ঞাসা করলে, সে বিভিন্ন টালবাহানা করে যাচ্ছে। উক্ত বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবগত করা হলে তারা এ ব্যাপারে ব্যর্থ হন। এর পর আমি নিরুপায় হয়ে গত ২রা ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং সোমবার রাত আনুমানিক ৮টার সময় আব্দুন নূরের বাড়িতে গিয়ে উক্ত টাকা ফেরত চাইলে, সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে। সিরাই বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে আরো বলেন, প্রতারক আব্দুন নূর সুকৌশলে আমার নিকট হতে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা করছে। শেষ পর্যন্ত আমার আত্মীয় স্বজন উক্ত টাকা উদ্ধারের চেষ্টায় ব্যর্থ হন। এবিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুন নূরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জুড়ী থানার এসআই তুহিন মুন্সি অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ