মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শহরের মিশনপাড়াস্থ হোসিয়ারি সমিতি প্রাঙ্গনে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আনন্দ র্যালি শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। হামলা ও মামলার শিকার হয়েছেন, জেল খেটেছেন, পরিবার পরিজনদের কাছ থেকে আলাদা থাকতে হয়েছে। আপনাদের আত্মত্যাগের কারণে এদেশ আজ সৈরাচার মুক্ত হয়েছে। আজ আমরা ফ্যাসিবাদ মুক্ত হলেও আমাদের লক্ষ্য এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা ও জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের আধুনিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৩১ দফা কর্মসূচি দিয়েছেন। এ কর্মসূচি সফল করতে আমাদের প্রতিটি নেতা কর্মীকে একত্রে কাজ করতে হবে। আমরা দলীয় কর্মকান্ডের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন আনতে চাই। দলের ভিতরে কোনো ধরনের অপশক্তি ও বিভেদ সৃষ্টি হতে দেয়া যাবে না। সকল নেতাকর্মীকে সম্মান দেখাতে হবে, তবেই আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।
তিনি বলেন, এখন দেশের মানুষ বিএনপিকে বিশ্বাস করছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বৃহত্তম আসন পাবে। নির্বাচন যদি স্বাধীনভাবে হয়, তাহলে ক্ষমতায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। এজন্য আমাদের দলের ভিতরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আগামী কমিটিগুলোকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হতে হবে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নির্বাচিত হওয়ায় জেলা বিএনপির আওতাধীন সকল ইউনিটসহ যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, মৎস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা আনন্দ র্যালিসহ শুভেচ্ছা বিনিময় করে অভিনন্দন জানান।
এর আগে তার নেতৃত্বে শহরে আনন্দ মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সকল নেতাকর্মীরা। হাজার হাজার নেতা কর্মীদের উপস্থিততে মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রানকেন্দ্র চাষাড়া চত্বর ঘুরে মিশন পাড়া হোসিয়ারি সমিতির সামনে এসে শেষ হয়।