রূপগঞ্জে জমি সংক্রান্ত মামলায় ঘুষের বিনিময়ে পাল্টে গেল সিআইডির তদন্ত রিপোর্ট
- আপডেট সময়- ০২:৫৩:৪৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচলে জমি সংক্রান্ত মামলায় সিআইডি কর্মকর্তা ঘুষের বিনিময়ে উল্টো তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে বলে তদন্তকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একই বিষয়ে অপর মামলায় বিবাদীদের পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন একই কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা।
জানা গেছে, উপজেলার বাগবেড় এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি সিদ্দিকুর রহমান লায়লা গ্রুপের নামে সাধারণ মানুষের জায়গা জমি দখল করে। এ ঘটনায় এলাকাবাসী প্রতিবাদ করলে সিদ্দিকুর রহমানের পক্ষে লায়লা গ্রুপের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বাদি হয়ে ১১ জনের নামে নারায়ণগঞ্জ কোর্টে মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলার তদন্তভার দেয়া হয় সিআইডিকে(মামলা নং ৩২৬/২৪)। ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মামলার বিবাদী রুহুল আমিন ও ইমরানকে জানায়, বাদিপক্ষ ১০ লাখ টাকা দিতে চাইছে। এতে বিবাদীপক্ষ অতিরিক্ত টাকা দিতে রাজি না হয়ে অস্বীকৃতি জানালে বাদির পক্ষে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন ওই সিআইডি কর্মকর্তা।
উপজেলার বাগবেড় এলাকার বাসিন্দা ও বিবাদী রুহুল আমিন জানান, পূর্বেও একই বিষয়ে অপর একটি মামলা হয়। যার নং ৬১/২৪। উভয় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির গোলাম মোস্তফা। অথচ ৬১ নং মামলায় বিবাদীদের পক্ষে রিপোর্ট দেন। সেখানে বলা হয়েছে বিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনো জাল জালিয়াতির তথ্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু ৩২৬ নং মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সিআইডি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, বিবাদীদের পক্ষে জাল-জালিয়াতির তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে সিআইডি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সখ্যতায় ও যোগসাজস রয়েছে। ১০ লাখ টাকার বিনিময়ে তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছেন। এলাকার ভুক্তভোগী রুহুল আমিন, জয়নাল আবেদীন, বিউটি আক্তার বাদি হয়ে হত্যা মামলার আসামি ও আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ আদালত ও রূপগঞ্জ থানায় একাধিক মামলা দায়ের করেছেন।গত ৫ আগষ্টের পর থেকে সিদ্দিকুর রহমান পলাতক রয়েছেন। সিদ্দিকুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করে মেহেদী হাসান পৃথক দুটি মামলা করেন। এসব মামলার স্বাক্ষর চ্যালেন্স করে এলাকাবাসী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। যার মামলা নং ৬০১। মামলাটি সিআইডির তদন্তাধীন রয়েছে।
এদিকে বিবাদী রুহুল আমিন, জহিরুল ইসলাম পলাশ, ইমরান হোসেন, জয়নাল আবেদীন, মাসুদা, বিউটি জমির দলিল গ্রহিতা। ৩২৬ নং মামলা থেকে সিআইডি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা টাকার বিনিময়ে দলিল গ্রহিতা ইমরান হোসেনকে বাদ দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। রূপগঞ্জে বেশ কিছু মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে টাকার বিনিময়ে সিআইডি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা উল্টো রিপোর্ট দিয়ে থাকেন বলেও অভিযোগ ওঠেছে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সিআইডি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে কল দেয়া হলে তাকে পাওয়া যায়নি,তিনি কল রিসিভ করেননি।
নিউজটি শেয়ার করুন
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ