ডিজিটাল ভূমি জরিপে জনসাধারণের ভোগান্তি লাঘব হবে: ভূমি উপদেষ্টা

- আপডেট সময়- ০৫:৪৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ১০৭ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক।।
নারায়ণগঞ্জে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ’ কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ।
শনিবার(২ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বন্দরের নবীগঞ্জে গুদারা ঘাট সংলগ্ন এলাকায়
‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ’ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভূমি উপদেষ্টা ।
এসময় তিনি বলেন, ভূমির জরিপ ও সীমানা নিয়ে নানান ধরনের জটিলতায় দেশে সংঘর্ষ-মারামারি সহ মামলা হচ্ছে। ভূমি জরিপের অস্বচ্ছতার কারনে দিনের পর দিন, যুগের পর যুগ জনসাধারণকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, যা এখনোও চলছে।
এখন থেকে চিরতরে এই ভোগান্তি হতে পরিত্রাণ পেতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপের কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।
ডিজিটাল জরিপের মাধ্যমে একেবারে খুঁটিনাটি, মিলিমিটার পর্যন্ত মাপজোখ করা সম্ভবপর হবে। এ জরিপে ঘরবাড়ি, গাছপালাসহ সব কিছুরই তথ্য আসবে।এবং এটা ডিজিটালিভাবে সংরক্ষণ করা হবে।
আগামী ৫০ বছর এটা সংরক্ষণ থাকবে, প্রয়োজনে তা আরও বেশি সময় পর্যন্ত রাখা যাবে। তখন জরিপের বিষয়টি আরও সহজ হয়ে যাবে।ভূমি জরিপ নিয়ে সমাজের যে অস্থিরতা, অস্বচ্ছতা, সেটা আর থাকবে না।
শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের নবীগঞ্জ এলাকায় খেলার মাঠে ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ’ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ। মূলত ভূমি মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প ও জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার লক্ষ্যে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় আরও উপিস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তপরের মহাপরিচালক মহ. মনিরুজ্জামান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প পরিচালক জিয়াউদ্দীন আহমেদ, নারায়ণগঞ্জের সুযোগ্য জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, জেলা সিভিল সার্জন মশিউর রহমান প্রমুখ।
উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ হলে ভূমির মালিকগন অনলাইনে ঘরে বসে জমির পরচা, খতিয়ান নিতে পারবেন। একইভাবে খাজনাও ঠিক ততটুকুই দিতে পারবেন কোন ধরনের ঘুষ লেনদেনের ছাড়াই। পরিমাণের চেয়ে বেশিও দেওয়া লাগবে না। কোনো অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতি থাকবে না। এখন যে মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে, আমরা অভিযোগ পাচ্ছি, ১০০ টাকার খাজনা দিতে গেলে তাঁর কাছ থেকে ১ হাজার টাকা রাখা হচ্ছে। সেটা আর থাকবে না। ডিজিটাল জরিপের ফলে মামলার সংখ্যা অনেকাংশেই কমে যাবে, ফৌজদারি মামলার সংখ্যাও হ্রাস পাবে।
ভূমি অফিসগুলোতে অস্বচ্ছতা ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উল্লেখ করে ভূমি উপদেষ্টা বলেন, এসকল সমস্যা দূর করতে সরকার কল সেন্টার সেবাও শিগ্রই চালুর করতে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি অভিযোগ দিলে সরকার তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নিউজটি শেয়ার করুন

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ