সর্বশেষ:-
প্রচ্ছদ /
অর্থ ও বাণিজ্য, আইন আদালত, গজারিয়া, টুঙ্গীবাড়ী, দেশজুড়ে, নারী ও শিশু, মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ, লৌহজং, শ্রীনগর
মুন্সীগঞ্জে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পৌরবাসী
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:১২:৩৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ৬৪ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জে ডাকাত আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে পৌরবাসী।নিজেদের জানমালের নিরাপত্তার জন্য পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ লাঠি, টর্চলাইট,বাঁশি নিয়ে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছে।জানা যায়,গত কয়েক দিন ধরে মুন্সীগঞ্জ শহর ও আশপাশে বিচ্ছিন্নভাবে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বাসিন্দারা রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।এ ছাড়া সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দির ভাঙচুর-লুটপাটের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষ,শিক্ষার্থী ও সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যরা পাহারা দিচ্ছে।তারা রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত জেগে থাকছে।মুন্সীগঞ্জে ডাকাতি রোধে মাঠে কাজ করছে সেনাবাহিনীও।রাত ৮টার পর সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।মুন্সীগঞ্জ শহরসহ সব উপজেলায় সেনা টহল বাড়ানো হয়েছে।উপজেলাভিত্তিক পৃথক দল গঠন করে মাঠে রয়েছে সেনাসদস্যরা।তারা টহল জোরদার করেছে।শুক্রবার রাতে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মানিকপুর,খালইস্ট,রুহিতপুর,শি লমন্দি উত্তরপাড়া ও দক্ষিণপাড়া,কোটগাঁও ও দেওভোগ এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে,যুবকরা তাদের প্রতিবেশীসহ নিজের বাড়ির নিরাপত্তার জন্য রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।তারা জানান,চারদিকে বিচ্ছিন্ন ডাকাতির ঘটনা ঘটছে।তাই নিজেদের বাড়িঘর রক্ষা করতে তারা নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।পাহারা দেওয়ার জন্য তারা গ্রুপ তৈরি করেছেন।একেকটি গ্রুপে রয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন।কোথাও কোনো চিৎকার চেঁচামেচি শুনলে কিংবা এলাকায় অপরিচিত লোক দেখলে তারা সবাই সেদিকে লক্ষ্য রাখছেন।এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন চরাঞ্চল ইউনিয়নগুলোতে ডাকাত আতঙ্কে রাত কাটাচ্ছেন গ্রামবাসী।সদর উপজেলায় বেশ কয়েকজন ডাকাতকে আটকের পর সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে রুহিতপুর গ্রামের যুবক অনুপ সরকার জানান,তাদের এলাকার মন্দির ও বাড়িঘরসহ পরিবারের লোকজনের সুরক্ষার জন্য তারা নিজেরাই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।রাত ১১টার পর এলাকায় অপরিচিত লোক এলে তার পরিচয় নিশ্চিত করে তাকে এলাকায় ঢুকতে বা বের হতে দেওয়া হচ্ছে।মানিকপুর এলাকার বাসিন্দা মাকসুদুল আলম বাবু জানান,যেহেতু নিরাপত্তার জন্য সরকারি সহযোগিতা পাচ্ছেন না তাই এলাকাবাসী একজোট হয়ে পাড়া-মহল্লায় এই পাহারার ব্যবস্থা করেছেন।শিলমন্দি এলাকার বাসিন্দা রাতুল রায় জানান,তাদের এলাকার মন্দির ও বাড়িঘর রক্ষা করার জন্য তারা একটানা চার দিন ধরে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।ডাকাতির চেয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে বেশি।তাই এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক রয়েছে।মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবু সাত্তার মুন্সী জানান, তিনি হিন্দু পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে খোঁজখবর নিয়েছেন।এখন পর্যন্ত তাঁর ওয়ার্ডে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।রাত জেগে পাহারা দেওয়ার জন্য যদি কোনো সাহায্য-সহযোগিতার প্রয়োজন হয় তবে তিনি সর্বোচ্চ সাহায্য করার চেষ্টা করবেন বলে জানান।মুন্সীগঞ্জের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কমান্ডিং অফিসার লে.কর্নেল জুবায়ের মোহাম্মদ খালেদ হোসেন বলেন,মুন্সীগঞ্জ জেলায় বিশেষ নজরদারিসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পেলে সেনাসদস্যরা ছুটে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকটি জায়গায় সেনা সদস্যরা যাওয়ার পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে গেছে।আইন অমান্যকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না।তাদের খুঁজে বের করে আইনের মুখোমুখি করা হবে।
নিউজটি শেয়ার করুন
ট্যাগস:-
-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ