সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী নারী হত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ বড়লেখায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা কাদির গ্রেপ্তার আতঙ্কে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর এলাকা শ্রীরামপুর নারী-পুরুষশূন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক পুলিশ বাহিনীকে স্বচ্ছ,জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব করতে সংস্কারে ১৩ সুপারিশ পুলিশের এক ডিআইজি’সহ তিন পুলিশ সুপার (এসপি) গ্রেপ্তার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ডিবি হেফাজতে  বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মায়ের আঁচল’ সংগঠনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দৌলতপুরে বাক-প্রতিবন্ধী নারীর ঝুলন্ত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার  মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে  বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিব ইয়াবাসহ আটক  বিএনপির না’গঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণায় রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়া অনাড়ম্বর সংবর্ধিত বন্দরে বেপরোয়া আজমীর ওসমানের টি’বয় সন্ত্রাসী রাসেল কোথায় হাসিনা? কোথায় শামীম ওসমান? পালাব না বলেও পালিয়ে যায়: ডাঃ শফিকুর রহমান   শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ নিশ্চিহ্ন  নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা টেকনাফে বিজিবি-২’র বিশেষ অভিযানে চার লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার মৌলভীবাজারে ভেঙ্গে ফেলা হলো শেখ মুজিবের ম্যুরাল  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না’গঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নির্বাচিত হলেন যারা না’গঞ্জের আদালতপাড়ায় শেখ মুজিব কর্ণার-ম্যুরালসহ ভাস্কর্য ভাঙল বিএনপি আ’লীগের ঘোষিত কর্মসূচি’র প্রতিবাদে না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির  ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির বৈঠক ঈশ্বরদীতে হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ আসামি খালাস শ্রীমঙ্গল বাইপাস সড়কের ৩৫৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন বন্দরে আ’লীগের লিফলেট বিতরনের প্রতিবাদে বিএনপির মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ সীমান্তে ভারতীয়দের দ্বারা খুন হওয়া পরিবারটি আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া বাউফলে ছাত্রদল নেতার হাতে হেনস্তার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা না’গঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের অভিযান না’গঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকের দূর্নীতি তদন্তে দুদকের অভিযান রূপগঞ্জে তারুণ্যর উচ্ছ্বাসের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের না’গঞ্জ কমিটির মুখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন পটুয়াখালী মেডিকেলে চান্স পাওয়া তামান্নার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে বদু প্যানেল বিজয়ী কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে ছুড়িকাঘাতে যুবককে হত্যা  সরস্বতী দেবীকে বিদায়ের মধ্যে দিয়ে পঞ্চমী তিথি পূর্ন হলো না’গঞ্জে আ’লীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে ওয়ার্ড সভাপতিসহ গ্রেপ্তার-৪ কথিত প্রেমিকের প্রতিবেশির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সুবা’সহ প্রেমিককে ঝাউদিয়া থানার দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ টেকনাফে বিজিবি-২’র অভিযানে এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার শরীয়তপুরে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪ সাংবাদিক সিদ্ধিরগঞ্জে ”নীট কনসার্ন” কাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভসূচনা  সিদ্ধিরগঞ্জে বাইক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী বশির ডাকাত গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাসহ ফ্যামিলি স্পোর্টস ডে অনুষ্ঠিত শীতে প্রশান্তিতে ঘুরতে মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মা নদী শুকিয়ে চৌচির হয়ে হারিয়েছে জৌলুস  বক্তাবলীতে ইটের ভাটায় জেলা প্রশাসনের অভিযান; ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বাউফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কুষ্টিয়ায় নিষিদ্ধ সেই চার ইটের ভাটা ফের গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে মামুন মাহমুদকে আহবায়ক করে না’গঞ্জ জেলা বিএনপি’র ৫ সদস্য কমিটি ঘোষণা বিশ্বের বয়স্ক পুরুষ রাম সিং শ্রীমঙ্গলে তারুন্যের পিঠা উৎসবে রকমারি পিঠা গ্রামবাংলা ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দেয়: ডিসি তাদের স্বাভাবিকভাবে বিকশিত হবার সুযোগ করে দিতে হবে: জেলা প্রশাসক  আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হলো ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ধাপ বাউফলে যুবদল নেতার বাধায় ৭২ ঘণ্টা পর লাশ দাফন মধ্যরাতে চট্টগ্রামের নেভি হল ঘেরাও, আওয়ামীলীগ নেতা ফখরুল আটক মাদারীপুরে আওয়ামীলীগ কর্মীর হাত-পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার না’গঞ্জের শীতলক্ষ্যায় বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী নৌকা ডুবি রূপগঞ্জে নব-কিশোলয় স্কুল এন্ড কলেজের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব পালন শ্রীমঙ্গলে রেস্ট হাউসে পুলিশের অভিযান; নগদ অর্থসহ ৯ জুয়াড়ি আটক  শ্রীমঙ্গলে গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজ চাষে বাজিমাত রায়হানের  বাউফলে দেয়ালে দেয়ালে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পর্দা নামলো জুমার নামাজ ঘিরে ইজতেমা ময়দানমুখী লাখো মুসল্লির ঢল কুষ্টিয়ায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় সিএনজিতে থাকা নারীসহ নিহত-২ ধান-বেগুন-ঢেরস ও গমকে পঞ্চব্রীহি জাতের ধানে রুপান্তরিত  শ্রীমঙ্গলে পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার জনস্বার্থে যানজট নিরসনসহ নির্মল চলাচলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের গণবিজ্ঞপ্তি জারি কুষ্টিয়ায় ছাত্রীদের উত্যক্ত করায় তিন বখাটেকে পুলিশে দিল শিক্ষক ঈশ্বরদীতে খাঁজা মঈনুদ্দিন চিশতি আজমেরী(রঃ)এর ৩৯তম বাৎসরিক ওরশ অনুষ্ঠিত কৃষক জনগোষ্ঠীকে সংগঠিত করতে ভালুকায় কৃষকদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত ফের এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের ৯দিন সময় বাড়ালো বোর্ড বাউফলে স্বর্ণ চোরাচালানের অভিযোগে বিধান গ্রেপ্তার কুলাউড়ায় ‘সাঁঝবেলা’ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন গাইবান্ধায় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ পানিশূন্য গঙ্গা-কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্পের খাল না’গঞ্জে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ সন্দেহে পাঁচজনকে পুলিশে দিলো ছাত্র-জনতা সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপি নেতা ইকবালের বহিস্কারাদেশ তুলে নেওয়ার দাবি তৃণমূলের সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যার অভিযোগে ভারতীয়দের বিরুদ্ধে মামলা  মৌলভীবাজারে অবৈধ রিসোর্ট বন্ধ সহ অর্থদন্ড  বন্দর উপজেলা সহকারী কমিশনারের(ভূমি)পরিচয়ে প্রতারণার ফাঁদ ফতুল্লায় প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড এবারের বিশ্ব ইজতেমা তিন পর্বে অনুষ্ঠিত হবে তুচ্ছ ঘটনায় যাত্রাবাড়ীতে কলেজ শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা না’ঞ্জের দুটি স্টেডিয়াম সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে: জেলা প্রশাসক  রূপগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের ভয়াবহ সংঘর্ষে রনক্ষেত্র গুলিবিদ্ধ-৬, আহত-২৫ টেকনাফে বিজিবির অভিযানে ১লক্ষ ২০হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার কুষ্টিয়ায় পুকুরে মিললো নির্মাণ শ্রমিকের ক্ষতবিক্ষত মরদেহ  ঈশ্বরদী জংশনে বগি আছে ইঞ্জিন নেই, ফিরে যাচ্ছেন শতশত যাত্রী  নাসিকের সিইওর সঙ্গে যুবদল নেতার হট্টগোল  সোনারগাঁ’কে আধুনিক স্মার্ট উপজেলায় রূপান্তরিত করা হবে: ডিসি জাহিদুল ইসলাম মিঞা দেশের ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বহাল রাখার নির্দেশ সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ বাউফলে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা  ইসলামে শবে মেরাজের গুরুত্ব ও তাৎপর্য কুষ্টিয়ায় কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার মৌলভীবাজারে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় এক নাগরিক আটক

বাংলার স্বাধীনতা আদায়ে ঋত্বিক ঘটক-উত্তম কুমার পথে প্রান্তরে ভিক্ষা করেছিলেন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ১৫৫ বার পড়া হয়েছে

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
প্রথমে ভাষা আন্দোলন দিয়ে স্বাধীনতার আঁতুড় ঘরের সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশে। তারপর থেকেই বাংলা বিরোধী পাকিস্তানি শাসক আপামর জনসাধারণের ওপর স্টিম রোলার চালাতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন তার আওয়ামী লীগ পার্টি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন বাঙালিদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ব্যাপক হত্যা লীলা শুরু করে। ভারতে তখন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কোটি কোটি বাঙালি পাকিস্তানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এপারে ভারতে চলে এলে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা, অসম সহ সারা ভারতের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। খাদ্য,বাসস্থান ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই কারনে ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদ্ধ যখন মধ্যগগনে তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সারা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছিল উত্তাল। সেটা সকলেই জানেন। কিন্তু বাংলার সিনেমা জগতের অবদান অনস্বীকার্য। জনগণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল চলচ্চিত্র জগতের নায়ক,মহানায়ক,পরিচালক দের উপস্থিতি। মহানায়ক উত্তম কুমার এক ঝাঁক অভিনেতা,অভিনেত্রীদের নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাকে দেখতে ভিড় জমে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃষ্টির মতো টাকা পড়ছিল উত্তম কুমারের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, শুনলে অনেকেই অবাক হবেন, কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লীতে পর্যন্ত উত্তম কুমার হাজির হলে যৌনকর্মীরা ছুটে এসে তাদের কাছে যা কিছু ছিল উদার হস্তে উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। মহানায়ক সেদিন সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলেন। মহানায়ক উত্তম কুমার তার অর্থ সংগ্রহের কাজে দুয়েকবার আমার বাবাকেও ডেকে নিয়ে গেছেন।সেসময় বাবা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত পার্ক সার্কাসে অস্থায়ী বাংলাদেশ মিশনে যেতেন শেখ কামাল, এম এন এ রুবেয়া আখতার ওরফে ডলি আখতার, আওয়ামী লীগের ঝাঁটু সাহার সঙ্গে দেখা করতে। উত্তম কুমার বাবার কাছ থেকে বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর নিতেন। আপনারা অনেকেই জানেন,বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর নিজেও মুম্বাইতে চাঁদা চাইতেই এক কথায় সবাইকে চমকে দিয়ে কোটি টাকার ওপর একটি চেক লিখে দিয়েছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ভারতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখাও করেছেন। ঋত্বিক ঘটক তখন চিত্র পরিচালনায় গগনচুম্বী নামী পরিচালক। তিনি রাস্তায় নেমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধুতি,পাঞ্জাবি পড়ে মানুষের কাছে হাত পেতে কাতর আবেদন করেছেন।সেই কাহিনীও তুলে ধরছি এখানে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে শুরু করে সর্বত্র রাস্তায়, পার্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভিক্ষার হাত পেতে হাজির হয়েছিলেন। ভিক্ষা করতে করতে ঋত্বিক হঠাৎ একটি গাড়িতে চড়ে সুচিত্রা দেবীকে চলতে দেখেন। ঋত্বিক ঘটকের বেশভূষা দেখে চেনা মুস্কিল ছিল। তিনি সুচিত্রা দেবীকে দেখেই বলেন, ” এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’, বলে ঋত্বিক হাত বাড়ালেন। লজ্জায় মাথা নিচু করে সুচিত্রা বললেন ‘ছিঃ দাদা। এমন করে বলছেন কেন ? আমি কি দূরের কেউ ?’। বলেই কড়কড়া কয়েকটা ১০০টাকার নোট দিলেন ঋত্বিকের হাতে …সাদা রংয়ের একটা এ্যাম্বাসেডরের পিছের সিটে হেলান দিয়ে বসে আছেন সুচিত্রা। তীব্র দাবদাহ, পুরা কলকাতা পুড়ছে। এ্যাম্বাসেডর পার্ক স্ট্রিটে ঢুকে একটু আগাতেই ফুটপাতে একজনকে দেখে সোজা হয়ে সিটে বসলেন সুচিত্রা। ড্রাইভারকে গাড়ি সাইড করতে বলে নিজেই নেমে এগিয়ে গেলেন সেই মানুষটার দিকে। এই কাঠফাটা গরমে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন স্বয়ং ঋত্বিক ঘটক।
 হাত জোর করে প্রণাম করতে করতে সুচিত্রা বললেন,
 – আমাকে চিনতে পারছেন না ঋত্বিক দা ? আমি সুচিত্রা, গত বছর শান্তিনিকেতনে দেখা হলো। চশমার উপর দিকে তাকিয়ে ভালো করে মুখটা দেখলেন ঋত্বিক, তারপরে বললেনঃ
– ও হ্যা। তুমি সুচিত্রা রায় তো ? টালিগঞ্জ বাড়ি। অন্নদাশঙ্কর রায় তোমার কী রকম জ্যাঠা হন না ? ঠিক বলেছি তো ?
সুচিত্রা আপ্লুত হলেন। কি সৌভাগ্য! এত বড় মানুষটা সব মনে রেখেছে। সুচিত্রা কলকাতার শিল্পপ্রেমী বনেদি পরিবারের মেয়ে, জন্মের পর থেকেই কলকাতার সব মহিরুহদের সামনে দেখে বড় হয়েছেন; ইদানিং প্রায়ই বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় চলচ্চিত্র বিষয়ে প্রবন্ধনিবন্ধ লেখেন। ঋত্বিক ঘটক এর মূল্য তিনি বোঝেন। ঋত্বিক ঘটক কে মনে মনে গুরু মানেন সুচিত্রা। ঋত্বিকদার পরনে ধুলিমলিন পাজামা-পাঞ্জাবি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। এক মাথা এলোমেলো চুল। মুখে খোঁচা খোঁচা। সে মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম।এই জবুথবু অবস্থাতেও ঋত্বিকের চোখের আগুন একফোটা কমে নি, ঋত্বিক ঘটক মানেই এক আগুনের নাম। মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা-এসব ছবিগুলোয় যে আগুনের ছাপ স্পষ্ট। সুচিত্রা খেয়াল করলেন ঋত্বিকের পিছনে একটা ব্যানারে বড় করে লেখা :
  “বাংলা দেশের শরণার্থীদের জন্য দান করুন।”।
ব্যানারের পাশেই একটা বড় বাক্স, সেখানে রাস্তার মানুষ টাকা ফেলে যাচ্ছে। বাক্সের পাশেই লম্বা একটি টুল। তার ওপর গিটার হাতে এক বিদেশি তরুণ বসে আছে। গায়ের রং তামাটে, হিপিদের মতো লম্বাচুল, চোখে সানগ্লাস আর মুখ ভর্তি লালচে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পরনে ঢোলা বেলবটম প্যান্ট আর রঙ্গিন হাওয়াই শার্ট। মাথায় একটি সাদা রঙের সোলার হ্যাট। গিটার আর মাউথ অর্গান বাজিয়ে নাকি গলায় তরুণটি গাইছে:
“Come senators, congressmen
 Please heed the call
Don’t stand in the doorway
Don’t block up the hall”
গানটা সুচিত্রার পরিচিত, কিংবদন্তি গায়ক বব ডিলানের গান। ঋত্বিক তরুণকে দেখিয়ে বললেন, ও হল স্টিভ টার্নার। গায়ক ও সাংবাদিক। সপ্তাহ খানেক হল আমেরিকা থেকে এসেছে। স্টিভ-এর সঙ্গে কবি অ্যালান গিনসবার্গও কলকাতা এসেছেন। স্টিভকে হ্যালো বলে কৌতুহলী সুচিত্রা জানতে চাইলেন গিনসবার্গ কোথায়। ঋত্বিক বললেন,অ্যালান আজ সকালে শক্তির সঙ্গে বারাসাত শরনার্থী শিবিরে গিয়েছে।
 – শক্তি ? মানে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ?
  – হ্যা। গতকাল অবধি টাকাপয়সা যা জমেছিল তা দিয়ে ওরা ওষুধ আর খাবার কিনে নিয়ে এলো।
  হঠাৎ করে ঋত্বিক সুচিত্রাকে প্রশ্ন করলেনঃ
– সুচিত্রা তুমি একসঙ্গে কত লাশ দেখেছ ? ১০০? ২০০? ৩০০? ৪০০? ৫০০? ৬০০? ৭০০? ৮০০? ৯০০? লাখ লাখ, বিশ লাখ? সুচিত্রা চোখ ছানাবড়া। ঘোরলাগা নিয়ে সুচিত্রা আবার এ্যাম্বাসেডরে চড়ে বসলেন। যে ভূখন্ডের অসহায় মানুষের জন্য এই পাগলাটে মানুষটা তীব্র তাপদাহে পুড়েছেন, কেঁদেছেন,চিৎকার করেছেন সেই ভূখন্ডে তো ঋত্বিকদা আর কখনোই ফিরে যাবেন না জেনেও। ঋত্বিকদারা পরিবারসহ ’৪৭ সালেই এ পাড়ে চলে এসেছেন । তার আসল মাটি ছিল ওপার বাংলায়। তবুও … এত বড় ফিল্ম ডিরেক্টর, ভাবলে আশ্চর্য হতে হয়, যে ঋত্বিক ঘটককে জগদ্বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে তুলনা করা হয় সে মানুষটি কেমন নাওয়াখাওয়া ভুলে জ্বলন্ত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলার শরণার্থীদের জন্য ভিক্ষে করছেন। এমন অনেকেই রয়েছেন। বাবার মুখে শুনেছি টালিগঞ্জে স্টুডিও পাড়ায় তখন আলোচনার বিষয়বস্তুই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনার দুর্বার অভিযান পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধও তখন ছিল আলোচনার বিষয়।ভাবতে পারেন, কলকাতার সোনাগাছির যৌন কর্মীরাও বিনা স্বার্থেই তাদের একেক দিনের সম্বল উজাড় করে মহানায়ক উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। জয় বাংলা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাংলার স্বাধীনতা আদায়ে ঋত্বিক ঘটক-উত্তম কুমার পথে প্রান্তরে ভিক্ষা করেছিলেন

আপডেট সময়- ০৭:১৯:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

 

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়,কলকাতা।।
প্রথমে ভাষা আন্দোলন দিয়ে স্বাধীনতার আঁতুড় ঘরের সৃষ্টি হয়েছিল বাংলাদেশে। তারপর থেকেই বাংলা বিরোধী পাকিস্তানি শাসক আপামর জনসাধারণের ওপর স্টিম রোলার চালাতে শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে যখন তার আওয়ামী লীগ পার্টি নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তখন বাঙালিদের হাতে শাসন ক্ষমতা তুলে দিতে অস্বীকার করেছিল পাকিস্তান। গণতন্ত্রকে পদদলিত করে ব্যাপক হত্যা লীলা শুরু করে। ভারতে তখন প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। কোটি কোটি বাঙালি পাকিস্তানের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে এপারে ভারতে চলে এলে পশ্চিমবঙ্গ,ত্রিপুরা, অসম সহ সারা ভারতের মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। খাদ্য,বাসস্থান ভাগ করে নিয়েছিলেন। সেই কারনে ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। যুদ্ধ যখন মধ্যগগনে তখন বাংলাদেশের স্বাধীনতার দাবিতে সারা পশ্চিমবঙ্গ হয়ে উঠেছিল উত্তাল। সেটা সকলেই জানেন। কিন্তু বাংলার সিনেমা জগতের অবদান অনস্বীকার্য। জনগণের কাছ থেকে চাঁদা সংগ্রহের সবচেয়ে সহজ উপায় ছিল চলচ্চিত্র জগতের নায়ক,মহানায়ক,পরিচালক দের উপস্থিতি। মহানায়ক উত্তম কুমার এক ঝাঁক অভিনেতা,অভিনেত্রীদের নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলেন। তাকে দেখতে ভিড় জমে যাওয়া স্বাভাবিক। বৃষ্টির মতো টাকা পড়ছিল উত্তম কুমারের ঝুলিতে। শুধু তাই নয়, শুনলে অনেকেই অবাক হবেন, কলকাতার নিষিদ্ধ পল্লীতে পর্যন্ত উত্তম কুমার হাজির হলে যৌনকর্মীরা ছুটে এসে তাদের কাছে যা কিছু ছিল উদার হস্তে উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। মহানায়ক সেদিন সত্যিই কেঁদে ফেলেছিলেন। মহানায়ক উত্তম কুমার তার অর্থ সংগ্রহের কাজে দুয়েকবার আমার বাবাকেও ডেকে নিয়ে গেছেন।সেসময় বাবা মানস বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়মিত পার্ক সার্কাসে অস্থায়ী বাংলাদেশ মিশনে যেতেন শেখ কামাল, এম এন এ রুবেয়া আখতার ওরফে ডলি আখতার, আওয়ামী লীগের ঝাঁটু সাহার সঙ্গে দেখা করতে। উত্তম কুমার বাবার কাছ থেকে বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর নিতেন। আপনারা অনেকেই জানেন,বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী লতা মঙ্গেশকর নিজেও মুম্বাইতে চাঁদা চাইতেই এক কথায় সবাইকে চমকে দিয়ে কোটি টাকার ওপর একটি চেক লিখে দিয়েছিলেন। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর ভারতে লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে দেখাও করেছেন। ঋত্বিক ঘটক তখন চিত্র পরিচালনায় গগনচুম্বী নামী পরিচালক। তিনি রাস্তায় নেমে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধুতি,পাঞ্জাবি পড়ে মানুষের কাছে হাত পেতে কাতর আবেদন করেছেন।সেই কাহিনীও তুলে ধরছি এখানে। বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড থেকে শুরু করে সর্বত্র রাস্তায়, পার্কে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভিক্ষার হাত পেতে হাজির হয়েছিলেন। ভিক্ষা করতে করতে ঋত্বিক হঠাৎ একটি গাড়িতে চড়ে সুচিত্রা দেবীকে চলতে দেখেন। ঋত্বিক ঘটকের বেশভূষা দেখে চেনা মুস্কিল ছিল। তিনি সুচিত্রা দেবীকে দেখেই বলেন, ” এলেই যখন, দুটো টাকা দিয়ে যাও’, বলে ঋত্বিক হাত বাড়ালেন। লজ্জায় মাথা নিচু করে সুচিত্রা বললেন ‘ছিঃ দাদা। এমন করে বলছেন কেন ? আমি কি দূরের কেউ ?’। বলেই কড়কড়া কয়েকটা ১০০টাকার নোট দিলেন ঋত্বিকের হাতে …সাদা রংয়ের একটা এ্যাম্বাসেডরের পিছের সিটে হেলান দিয়ে বসে আছেন সুচিত্রা। তীব্র দাবদাহ, পুরা কলকাতা পুড়ছে। এ্যাম্বাসেডর পার্ক স্ট্রিটে ঢুকে একটু আগাতেই ফুটপাতে একজনকে দেখে সোজা হয়ে সিটে বসলেন সুচিত্রা। ড্রাইভারকে গাড়ি সাইড করতে বলে নিজেই নেমে এগিয়ে গেলেন সেই মানুষটার দিকে। এই কাঠফাটা গরমে ফুটপাতে দাঁড়িয়ে ভিক্ষা করছেন স্বয়ং ঋত্বিক ঘটক।
 হাত জোর করে প্রণাম করতে করতে সুচিত্রা বললেন,
 – আমাকে চিনতে পারছেন না ঋত্বিক দা ? আমি সুচিত্রা, গত বছর শান্তিনিকেতনে দেখা হলো। চশমার উপর দিকে তাকিয়ে ভালো করে মুখটা দেখলেন ঋত্বিক, তারপরে বললেনঃ
– ও হ্যা। তুমি সুচিত্রা রায় তো ? টালিগঞ্জ বাড়ি। অন্নদাশঙ্কর রায় তোমার কী রকম জ্যাঠা হন না ? ঠিক বলেছি তো ?
সুচিত্রা আপ্লুত হলেন। কি সৌভাগ্য! এত বড় মানুষটা সব মনে রেখেছে। সুচিত্রা কলকাতার শিল্পপ্রেমী বনেদি পরিবারের মেয়ে, জন্মের পর থেকেই কলকাতার সব মহিরুহদের সামনে দেখে বড় হয়েছেন; ইদানিং প্রায়ই বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায় চলচ্চিত্র বিষয়ে প্রবন্ধনিবন্ধ লেখেন। ঋত্বিক ঘটক এর মূল্য তিনি বোঝেন। ঋত্বিক ঘটক কে মনে মনে গুরু মানেন সুচিত্রা। ঋত্বিকদার পরনে ধুলিমলিন পাজামা-পাঞ্জাবি। চোখে কালো ফ্রেমের চশমা। এক মাথা এলোমেলো চুল। মুখে খোঁচা খোঁচা। সে মুখে বিন্দু বিন্দু ঘাম।এই জবুথবু অবস্থাতেও ঋত্বিকের চোখের আগুন একফোটা কমে নি, ঋত্বিক ঘটক মানেই এক আগুনের নাম। মেঘে ঢাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা-এসব ছবিগুলোয় যে আগুনের ছাপ স্পষ্ট। সুচিত্রা খেয়াল করলেন ঋত্বিকের পিছনে একটা ব্যানারে বড় করে লেখা :
  “বাংলা দেশের শরণার্থীদের জন্য দান করুন।”।
ব্যানারের পাশেই একটা বড় বাক্স, সেখানে রাস্তার মানুষ টাকা ফেলে যাচ্ছে। বাক্সের পাশেই লম্বা একটি টুল। তার ওপর গিটার হাতে এক বিদেশি তরুণ বসে আছে। গায়ের রং তামাটে, হিপিদের মতো লম্বাচুল, চোখে সানগ্লাস আর মুখ ভর্তি লালচে খোঁচা খোঁচা দাড়ি। পরনে ঢোলা বেলবটম প্যান্ট আর রঙ্গিন হাওয়াই শার্ট। মাথায় একটি সাদা রঙের সোলার হ্যাট। গিটার আর মাউথ অর্গান বাজিয়ে নাকি গলায় তরুণটি গাইছে:
“Come senators, congressmen
 Please heed the call
Don’t stand in the doorway
Don’t block up the hall”
গানটা সুচিত্রার পরিচিত, কিংবদন্তি গায়ক বব ডিলানের গান। ঋত্বিক তরুণকে দেখিয়ে বললেন, ও হল স্টিভ টার্নার। গায়ক ও সাংবাদিক। সপ্তাহ খানেক হল আমেরিকা থেকে এসেছে। স্টিভ-এর সঙ্গে কবি অ্যালান গিনসবার্গও কলকাতা এসেছেন। স্টিভকে হ্যালো বলে কৌতুহলী সুচিত্রা জানতে চাইলেন গিনসবার্গ কোথায়। ঋত্বিক বললেন,অ্যালান আজ সকালে শক্তির সঙ্গে বারাসাত শরনার্থী শিবিরে গিয়েছে।
 – শক্তি ? মানে কবি শক্তি চট্টোপাধ্যায় ?
  – হ্যা। গতকাল অবধি টাকাপয়সা যা জমেছিল তা দিয়ে ওরা ওষুধ আর খাবার কিনে নিয়ে এলো।
  হঠাৎ করে ঋত্বিক সুচিত্রাকে প্রশ্ন করলেনঃ
– সুচিত্রা তুমি একসঙ্গে কত লাশ দেখেছ ? ১০০? ২০০? ৩০০? ৪০০? ৫০০? ৬০০? ৭০০? ৮০০? ৯০০? লাখ লাখ, বিশ লাখ? সুচিত্রা চোখ ছানাবড়া। ঘোরলাগা নিয়ে সুচিত্রা আবার এ্যাম্বাসেডরে চড়ে বসলেন। যে ভূখন্ডের অসহায় মানুষের জন্য এই পাগলাটে মানুষটা তীব্র তাপদাহে পুড়েছেন, কেঁদেছেন,চিৎকার করেছেন সেই ভূখন্ডে তো ঋত্বিকদা আর কখনোই ফিরে যাবেন না জেনেও। ঋত্বিকদারা পরিবারসহ ’৪৭ সালেই এ পাড়ে চলে এসেছেন । তার আসল মাটি ছিল ওপার বাংলায়। তবুও … এত বড় ফিল্ম ডিরেক্টর, ভাবলে আশ্চর্য হতে হয়, যে ঋত্বিক ঘটককে জগদ্বিখ্যাত চলচ্চিত্রকারদের সঙ্গে তুলনা করা হয় সে মানুষটি কেমন নাওয়াখাওয়া ভুলে জ্বলন্ত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে তৎকালীন পূর্ব বাংলার শরণার্থীদের জন্য ভিক্ষে করছেন। এমন অনেকেই রয়েছেন। বাবার মুখে শুনেছি টালিগঞ্জে স্টুডিও পাড়ায় তখন আলোচনার বিষয়বস্তুই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য ভারতীয় সেনার দুর্বার অভিযান পাকিস্তানি সেনাদের বিরুদ্ধে। যুদ্ধে মুক্তি যোদ্ধাদের মরণপণ যুদ্ধও তখন ছিল আলোচনার বিষয়।ভাবতে পারেন, কলকাতার সোনাগাছির যৌন কর্মীরাও বিনা স্বার্থেই তাদের একেক দিনের সম্বল উজাড় করে মহানায়ক উত্তম কুমারের হাতে তুলে দিয়েছেন। জয় বাংলা।