Deprecated: Creation of dynamic property ReduxFramework::$core_instance is deprecated in /home/samakal1/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/lib/redux/redux-core/inc/classes/class-redux-args.php on line 210 Deprecated: Creation of dynamic property ReduxFramework::$core_thread is deprecated in /home/samakal1/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/lib/redux/redux-core/inc/classes/class-redux-args.php on line 211 অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম - Daily Samakalin Kagoj Deprecated: Creation of dynamic property ReduxFramework::$google_array is deprecated in /home/samakal1/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/lib/redux/redux-core/inc/fields/typography/class-redux-typography.php on line 1370 Deprecated: Creation of dynamic property Redux_Import_Export::$is_field is deprecated in /home/samakal1/public_html/wp-content/themes/newspaper-pro/lib/redux/redux-core/inc/extensions/import_export/import_export/class-redux-import-export.php on line 35
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় অবৈধ যানবাহন নিষিদ্ধের দাবিতে মহাসড়কে মানববন্ধন ইডেনে সার্টিফিকেট নিতে এসে আটক হলেন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেত্রী বৈশাখী স্বাধীন মত প্রকাশে বস্তুনিষ্টতা বিচারের দায়ভার আপনাদের ওপর দিচ্ছি: সেনা সদর উত্তরায় প্রকাশ্যে দম্পতিকে রামদা দিয়ে কোপালো কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী পরকিয়ার জেরে স্বামীকে শ্বাসরোধে হত্যা: স্ত্রীসহ ছোট ভাই আটক কুষ্টিয়ায় বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বৃদ্ধকে কুপিয়ে হত্যা বিছানায় মলত্যাগের কারনে ৭ বছরের শিশুকে পিটিয়ে মেরে ফেললেন পিতা না’গঞ্জে বহুজাতিক রপ্তানিমূখী প্রতিষ্ঠান ইউরোটেক্সের শ্রমিক অসন্তোষ চাষাড়া শহীদ মিনার চত্বরে জেলা প্রশাসনের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান নির্বাচনের আগেই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন: ফখরুল ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়া পার্বতীপুরের ইউএনওকে অবশেষে বদলি না’গঞ্জ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষের বদলি আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দাদীর সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে ট্রলীর ধাক্কায় প্রান গেল শিশু ইব্রাহিমের শেষরক্ষা হলো না! অবশেষে গ্রেপ্তার কলাগাছিয়ার দেলোয়ার চেয়ারম্যান কুষ্টিয়ায় গড়াই নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার না ফেরার দেশে কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায় কারওয়ান বাজারে একুশে টিভি ভবনে আগুন কুমারখালী প্রেস ক্লাবের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত গফরগাঁওয়ে মারপিটের ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদীর পরিবার রূপগঞ্জে প্রাইভেটকারের ভিতরে পুড়ে শিশু জিসানের মর্মান্তিক মৃত্যু ডিসি সম্মেলন শুরু ১৬ ফেব্রুয়ারি, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা বিদেশে পাঠানোর প্রলোভনে বিধবা নারীর অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগ ‘বসন্ত উৎসব’ শ্রীমঙ্গলে মিলন মেলায় পরিণত ‘যত দ্রুততম সম্ভব, এমনকি ডিসেম্বরেও হতে পারে নির্বাচন’- ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঈদের পর দেশে ফিরবেন বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া না’গঞ্জে জমি দখলকে কেন্দ্র করে পত্রিকা অফিসে হামলাসহ ভাঙচুরের অভিযোগ বিক্ষুদ্ধ ছাত্র-জনতার তোপের মুখে অফিস ছাড়লেন পার্বতীপুরের ইউএনও রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়ার সাথে বিএনপি নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা বিনিময় রূপগঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্ট সহ পুলিশি অভিযান গ্রেপ্তার-৬ নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারী সমিতির নির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের শপথ গ্রহন সম্পন্ন  পটুয়াখালীতে জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের ওপর হামলার অভিযোগ মিরপুরে ট্রেনের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু  ঈশ্বরদীতে খোকনকে হারিয়ে গভীর ভাবে শোকাহত; জানাজায় জাকারিয়া পিন্টু মেহেরপুরে ভ্রাম্যমাণ অভিযানে তিনটি ইটভাটায় ৫ লাখ টাকা জরিমানা না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত,জরিমানাসহ মোটরসাইকেল জব্দ সিদ্ধিরগঞ্জে তিতাসের অভিযানে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ রাইজার জব্দ নারায়ণগঞ্জে হোসিয়ারি সমিতির নির্বাচনে বদিউজ্জামান বদু প্যানেল বিজয়ী আমাদের লক্ষ্য এখন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাসহ স্বতঃস্ফূর্ত ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা: রাজীব না’গঞ্জে অপারেশন ডেভিল হান্টসহ পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার-৪০ ভেড়ামারায় ৪ দিনব্যাপী তারুণ্যের উৎসব মেলা শুরু  কুষ্টিয়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে তরুণ নিহত জুড়ীর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুন নূর গ্রেপ্তার  না’গঞ্জে কারাবন্দীদের সুস্থ বিনোদনে ব্যতিক্রমী আয়োজন  না’গঞ্জে ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’র প্রকল্প পরিচালকের গলাকাটা লাশ উদ্ধার  না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযান ভেড়ামারায় লালন শাহ সেতুর ওপর ভয়াবহ ট্রাক দূর্ঘটনায় নিহত-১ সিদ্ধিরগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় আ’লীগ নেতা নূর কামালের সহযোগীসহ গ্রেপ্তার-২ না’গঞ্জ শহরের যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের অভিযান অব্যাহত  না’গঞ্জ শহরের মীরজুমলা সড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচল নিশ্চিত করতে হবে: এ্যাড. সাখাওয়াত কুষ্টিয়ায় বাকপ্রতিবন্ধী নারী হত্যা: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ বড়লেখায় প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা কাদির গ্রেপ্তার আতঙ্কে সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রীর এলাকা শ্রীরামপুর নারী-পুরুষশূন্য অপারেশন ডেভিল হান্ট: গাজীপুরে আওয়ামী লীগের ৪০ নেতাকর্মী আটক পুলিশ বাহিনীকে স্বচ্ছ,জবাবদিহিমূলক ও জনবান্ধব করতে সংস্কারে ১৩ সুপারিশ পুলিশের এক ডিআইজি’সহ তিন পুলিশ সুপার (এসপি) গ্রেপ্তার ডিআইজি মোল্যা নজরুল ডিবি হেফাজতে  বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘মায়ের আঁচল’ সংগঠনের ১৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত দৌলতপুরে বাক-প্রতিবন্ধী নারীর ঝুলন্ত বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার  মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে  বাউফলে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ সেন্টমার্টিনের ইউপি চেয়ারম্যান মুজিব ইয়াবাসহ আটক  বিএনপির না’গঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণায় রূপগঞ্জে দিপু ভুঁইয়া অনাড়ম্বর সংবর্ধিত বন্দরে বেপরোয়া আজমীর ওসমানের টি’বয় সন্ত্রাসী রাসেল কোথায় হাসিনা? কোথায় শামীম ওসমান? পালাব না বলেও পালিয়ে যায়: ডাঃ শফিকুর রহমান   শামীম ওসমানের পৈতৃক বাড়ি ‘বায়তুল আমান’ নিশ্চিহ্ন  নারায়ণগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে গুলি করে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা টেকনাফে বিজিবি-২’র বিশেষ অভিযানে চার লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার মৌলভীবাজারে ভেঙ্গে ফেলা হলো শেখ মুজিবের ম্যুরাল  বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না’গঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক নির্বাচিত হলেন যারা না’গঞ্জের আদালতপাড়ায় শেখ মুজিব কর্ণার-ম্যুরালসহ ভাস্কর্য ভাঙল বিএনপি আ’লীগের ঘোষিত কর্মসূচি’র প্রতিবাদে না’গঞ্জ মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির  ৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটির বৈঠক ঈশ্বরদীতে হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলা: জাকারিয়া পিন্টুসহ ৯ আসামি খালাস শ্রীমঙ্গল বাইপাস সড়কের ৩৫৫ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন বন্দরে আ’লীগের লিফলেট বিতরনের প্রতিবাদে বিএনপির মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ সীমান্তে ভারতীয়দের দ্বারা খুন হওয়া পরিবারটি আতঙ্কে বাড়ি ছাড়া বাউফলে ছাত্রদল নেতার হাতে হেনস্তার শিকার তরুণীর আত্মহত্যা না’গঞ্জ শহরের ফুটপাত দখলমুক্ত ও যানজট নিরসনে জেলা প্রশাসনের অভিযান না’গঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকের দূর্নীতি তদন্তে দুদকের অভিযান রূপগঞ্জে তারুণ্যর উচ্ছ্বাসের উদ্যোগে মেধাবী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের না’গঞ্জ কমিটির মুখ্য সংগঠক জাহিদুল হক বাঁধন পটুয়াখালী মেডিকেলে চান্স পাওয়া তামান্নার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান বাংলাদেশ হোসিয়ারী এসোসিয়েশন নির্বাচনে বদু প্যানেল বিজয়ী কমলগঞ্জে পূর্ব বিরোধের জেরে ছুড়িকাঘাতে যুবককে হত্যা  সরস্বতী দেবীকে বিদায়ের মধ্যে দিয়ে পঞ্চমী তিথি পূর্ন হলো না’গঞ্জে আ’লীগের লিফলেট বিতরণের অভিযোগে ওয়ার্ড সভাপতিসহ গ্রেপ্তার-৪ কথিত প্রেমিকের প্রতিবেশির বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় সুবা’সহ প্রেমিককে ঝাউদিয়া থানার দাবিতে কুষ্টিয়ায় মহাসড়ক অবরোধ টেকনাফে বিজিবি-২’র অভিযানে এক লক্ষ পিস ইয়াবা উদ্ধার শরীয়তপুরে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী হামলায় আহত ৪ সাংবাদিক সিদ্ধিরগঞ্জে ”নীট কনসার্ন” কাপ অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভসূচনা  সিদ্ধিরগঞ্জে বাইক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু র‍্যাব পরিচয়ে ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী বশির ডাকাত গ্রেপ্তার ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনাসহ ফ্যামিলি স্পোর্টস ডে অনুষ্ঠিত শীতে প্রশান্তিতে ঘুরতে মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থান হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচে পদ্মা নদী শুকিয়ে চৌচির হয়ে হারিয়েছে জৌলুস  বক্তাবলীতে ইটের ভাটায় জেলা প্রশাসনের অভিযান; ২ লক্ষ টাকা অর্থদন্ড বাউফলে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কুষ্টিয়ায় নিষিদ্ধ সেই চার ইটের ভাটা ফের গুঁড়িয়ে দিলো প্রশাসন

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ৮৯ বার পড়া হয়েছে

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে তাদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম

আপডেট সময়- ০৭:১৮:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

ডাকাতেরা যখন ভ্রাতার ভূমিকায়..!

ঋতম্ভরা বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতা :
ডাকাত কথাটি শুনলেই ভয়ে আতকে উঠতে হয়। আজও বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানোর সময় ডাকাতদের গল্প শোনান হয়। কিন্তু ১৯৪৭ সালের অবিভক্ত ভারতের স্বাধীনতার আগে ডাকাতদের অনেকের ভূমিকা ছিল মুক্তি যোদ্ধাদের মতো।
অতীতে ডাকাতরা অনেকেই দেশের কাজে অথবা সমাজের কাজে ডাকাতি করতেন। অন্যান্য ডাকাতদের থেকে তাদের বৈশিষ্ট্য ছিল সম্পূর্ন আলাদা। তারা কেউ ডাকাতি করতেন ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য, আবার অনেকে জমিদারি অত্যাচারের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে উদ্ধার করে তাদের আর্থিক সাহায্য দেবার জন্য। এমন বহু ঘটনা রয়েছে যেখানে ডাকাতরা ডাকাতির পর গভীর জঙ্গলে গিয়ে তাদের আরাধ্য মা কালীর কাছে অত্যাচারী ব্যক্তিকে বলিও চড়াতেন।
এমনই একটি বিখ্যাত কালী মন্দিরের কথা বলছি। জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
জলপাইগুড়ি শহরের শেষ প্রান্তে মাসকলাই বাড়ি ছাড়িয়ে জাতীয় সড়কের পাশে গোশালা মোড়ে মাড়োয়ারি শ্মশানের গায়ে অবস্থিত শ্মশানকালী মন্দির। স্থানীয়দের দ্বারাই মূলত পরিচালিত হয়ে আসছে এই মন্দিরের কালী পুজো। এবারও হচ্ছে সেই আয়োজন। জানালেন মন্দিরের পুরোহিত সুভাষ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘বাম আমলে কিছু সাহায্যে পেলেও এই আমলেও কোনো সাহায্যই পাইনি। অথচ হঠাৎ এক সাধু এসে বসে থাকায় ভামরি দেবী মন্দির বিখ্যাত হয়ে গেল!’ ২৭৫ বছরের এই মায়ের মন্দিরের সংস্কারও হল না। আক্ষেপ মন্দির কমিটিরও।
তবে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এই কালী মন্দির হলো ডাকাত কালী মন্দির তথা দেবী চৌধুরানী শ্মশান কালী মন্দির।
শতাব্দীপ্রাচীন জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানী শ্মশানকালী মন্দিরের ঐতিহাসিক পেক্ষাপট গুরুত্বপূর্ণ। এবার প্রায় ৩০০ vবছরে পদার্পণ করতে চলেছে এই মন্দিরের পূজা। এই পুজো হয় শ্যামা পূজার দিন। সেজন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্দির পরিষ্কার করার কাজ চলছে। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তগণ আসেন এখানে। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমান মন্দিরে।কালী পূজার পাশাপাশি এখানে শিবের আরাধনাও হয়। পূজার দিন মায়ের জন্য ভোগ নিবেদন হয়। দেবীকে তিস্তার মহাশোল মাছ ও বোয়াল মাছ দেওয়া হয়। সুরা দিয়ে মাকে স্নান করানো হয়। মায়ের এক হাতে সুরার পাত্র‌, অন্য হাতে নরমুন্ডু। রাতভর চলে পুজো।
বঙ্কিমচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস ‘দেবী চৌধুরানী’তে এই অঞ্চলের কাহিনি বর্ণিত। এখনও এ অঞ্চলে দেবী চৌধুরানী ও ভবানী পাঠকের নামে নানা মিথ প্রচলিত। সাধারণ মানুষের মধ্যে এঁদের জনপ্রিয়তাও দেখার মতো। যদিও অনেকেই বলেন, প্রকৃত ঘটনা যা, বঙ্কিম তাঁর উপন্যাসে সেভাবে সেটা অনুসরণ করেননি। তবুও মূলত বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের সূত্রেই এই মন্দিরটি পরবর্তী সময়ে বিখ্যাত হয়। আজও মানুষের আগ্রহ রয়েছে।
তারই মাঝে, জলপাইগুড়ির গোশালা মোড়ে জাতীয় সড়কের ধারে প্রায় তিনশো বছরের পুরনো এই মন্দির। স্থানীয়দের দাবি, শক্তির উপসানার পর ডাকাতি করতে বেরোতেন দেবী চৌধুরানি। কথিত আছে, একসময় করোলা নদীর ঘাট থেকে মন্দিরের গর্ভগৃহ পর্যন্ত মাটির নীচে সুড়ঙ্গ ছিল।
দেবী চৌধুরানীর সময় থেকেই এই বিগ্রহের আরাধনা হয়ে আসছে। এখানে, দেবীর দুটি হাত। প্রত্যেক অমাবস্যাতেই এখানে শ্মশানকালীর পুজো হয়। কালীপুজোয় এখানে আগে বলি প্রথার প্রচলন ছিল। কিন্তু বর্তমানে আইনের নিষেধাজ্ঞায় সেটি বন্ধ রয়েছে।
এখানে ভোগে থাকে, সাদা ভাত, পাঁচ রকম ভাজা, শাক ভাজা, শোল মাছ, পায়েস চাটনি ও মিষ্টি!!
করোনাকালে, এবারও পাঁচ জনের বেশি ভক্তকে মন্দিরের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। বিলি করা হতনা ভোগও!
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে কালী মন্দিরে!
 প্রায় তিনশো বছরের পুরনো, জলপাইগুড়ির দেবী চৌধুরানির এই শ্মশানকালীর মন্দির হলেও অনেকে মনে করেন তার অনেক বছর আগে মন্দিরটি নির্মিত হয়েছিল। পুরনো রীতি মেনেই কালীপুজো হয় এখানে।
দেবী চৌধুরানী বজরা করে এখানে এসে সুড়ঙ্গপথে সোজা মন্দিরে প্রবেশ করতেন। মন্দিরের গর্ভগৃহেই রাখা হত লুঠ করে আনা সামগ্রী। জলপাইগুড়ির এই মন্দির ঘিরে নানা ইতিহাস আর জনশ্রুতি রয়েছে।
ব্রিটিশ সরকারের গোয়েন্দা ও পুলিশ তক্কে তক্কে থাকতো রানী দেবী চৌধুরানী গ্রেপ্তার করার জন্য। পুরো এলাকা জুড়ে তার জন্য তল্লাশি চালনো হতো। বৃটিশের চোখে ধুলো দিতেই দেবী চৌধুরানী করলা নদীর পার্শ্ববর্তী জঙ্গলের ধার দিয়ে বজরা নিয়ে মন্দিরের কাছাকাছি এসে সুড়ঙ্গ পথ দিয়ে মন্দিরে ঢুকতেন। তার এবং ভবানী পাঠকের ডাকাতির টাকা ও সোনা মন্দিরে জমা রাখা হতো এবং গোপনে বিপ্লবীদের হাতে তুলে দেওয়া হতো।।
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপন্যাস আনন্দমঠে ভবানী পাঠক এবং দেবী চৌধুরানীর যে উল্লেখ রয়েছে, স্থানীয় মানুষরা মনে করেন, এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেই ভবানী পাঠক! দেবী চৌধুরানির শ্মশানকালীর মন্দির! চা বাগান ঘেরা ছোট্ট গ্রাম! গ্রামের একপাশ দিয়ে বয়ে চলেছে করোলা নদী।
এছাড়াও জলপাইগুড়ি শহরের উপকণ্ঠে যোগমায়া কালী মন্দির এবং রায়কত পড়ার কালী পুজো দেখতে দূর দূরান্ত থেকে মানুষ হাজির হয়ে থাকেন।