নারায়ণগঞ্জে গরুর হাট পরিদর্শনে এসপি জিএম রাসেল
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ০৬:৩১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ জুন ২০২৩ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বিশেষ প্রতিনিধি।।
নারায়ণগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল পিপিএম (বার) বলেছেন, এক হাটের জন্য নিয়ে আসা গরু পেশি শক্তি খাটিয়ে কেউ যাতে অন্য হাটে নিতে না পারে, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা রেখেছি। এরপরেও কেউ যদি এমন কিছু করার চেষ্টা করে তাহলে ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে বলেছি,তারা যাতে আমাদেরকে দ্রুততম সময়ে মধ্যে জানায় আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। ইতিমধ্যে আমরা ইজারাদারদের নিয়ে একটি মত বিনিময় সভার আয়োজন করেছি। আর ওই সভায় আমি বলেছি, যদি এরকম কেউ করে তাহলে তার বিরুদ্ধে গরু ডাকাতির মামলা সহ কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পুলিশ সুপার বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি হাটে নিরাপত্তার জন্য আমরা পুলিশ সদস্য রয়েছে। এখানে গরু নিয়ে আসা বিক্রেতা ও ক্রেতাদের জন্য আমাদের নির্দেশনা মুলক একটি ব্যানার কিন্তু সব জায়গাতেই দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি যে কোন সমস্যায় এই ব্যানারে দেয়া নাম্বারে আমাদের সার্কেল অফিসারদের সাথে দ্রুততম সময়ে যোগাযোগ করতে পারবেন।
বিক্রেতা ও ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এখানে যারা গরু বিক্রি করে টাকা জমা দিতে ব্যাংকে যাবে, তাদেরকে আমরা বলেছি যে পুলিশকে সাথে নিয়ে যাতে টাকা জমা দিতে যায়। ইজারাদারদের বলেছি যে, বিক্রেতাদের সমসময় সাহায্য করতে। যাতে কোন অজ্ঞান পার্টি বা মলম পার্টির খপ্পরে পরে সর্বশ্য খোয়াতে না হয়।
সোমবার (২৬ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টায় সদর থানাধীন সৈয়দপুর কয়লারঘাট গরুর হাট পরিদর্শন শেষে জেলার পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল এসকল কথা বলেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মো. আমির খসরু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সোহান সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ডিবি) মো.তরিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) রুহুল আমিন সাগর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আনিচুর রহমান মোল্লা সহ পুলিশের অন্যান্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পুলিশ সুপার বলেন, আমরা প্রত্যেকটি হাটে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করেছি।হাটে কি করনীয় এবং বর্জনীয় তা ব্যানারের মাধ্যমে পাইকার, গরু ক্রেতা ও বিক্রেতাদের জন্য উপদেশমূলক দিকনির্দেশনা পুলিশের পক্ষ থেকে করা হয়েছে।
এছাড়াও জরুরি প্রয়োজনে ৯৯৯ এ আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল, সহকারী পুলিশ সুপার ও অফিসার তিনজন দেওয়া আছে। যেকোন প্রয়োজনে আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে বলেছি।
গরু পাইকার ও ইজারাদারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন,প্রত্যেকটি হাটে আমাদের পুলিশ কন্ট্রোল রুম থাকবে তারপরও গরুর পাইকার ও ইজারাদারদের সতর্ক থাকতে হবে।