ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দাবদাহ ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩ ৬২ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক।।

সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ । আর সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন মানুষ।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে প্রচুর ঘাম হচ্ছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

দুপুরের দিকে সূর্যের তাপ মারাত্মক বৃদ্ধির ফলে মাগুরা শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। গরমের কারণে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আক্রমণ হচ্ছে ঠান্ডা জ্বর সংক্রান্ত রোগে।

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘেমে ঘুম থেকে উঠতে হয় সকালে।অপরদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের শুরুটাই হয় হাপিত্যেসের মধ্য দিয়ে। গরমের তীব্রতা বাড়ছে সেই সঙ্গে বিদ্যুৎহীনতায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামের বর্তমান চিত্র একই। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনের যেমন অবস্থা, তেমনি রাতের অবস্থা আরও খারাপ। প্রত্যেক রাতেই প্রথম দিকে, মধ্য ভাগে এবং শেষার্ধে বিদ্যুৎ থাকে না উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে লাখো মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। দিনে সূর্যের তেজ আর রাতে ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী। সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রায়পুর বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শাহাদাত হোসেন বলেন, এক দিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ অপরদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় জাতীয় গ্রিড থেকেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে বর্তমানে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। তবে আমরা মানুষের ভোগান্তি দূর করার চেষ্টা করছি।

টেকেরহাট (মাদারীপুর) তীব্র গরম আর রোদে পুড়ছেন মাদারীপুরবাসী। আর ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরেও থাকা যাচ্ছে না। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মাদারীপুর জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতিতে গ্রীষ্ম চলে গেলেও তাপ একটুও কমেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দাবদাহ ও লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছে

আপডেট সময় : ০৪:০৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক।।

সারাদেশে চলছে তীব্র দাবদাহ । আর সেই সাথে বিভিন্ন স্থানে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলা লোডশেডিংয়ের কারণে মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। লোডশেডিংয়ের কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন মানুষ।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকার কারণে প্রচুর ঘাম হচ্ছে এবং গরমের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে।

দুপুরের দিকে সূর্যের তাপ মারাত্মক বৃদ্ধির ফলে মাগুরা শহর অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায়। গরমের কারণে বাড়ির বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকে। গরমে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন আক্রমণ হচ্ছে ঠান্ডা জ্বর সংক্রান্ত রোগে।

শান্তিগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) প্রচণ্ড গরমের কারণে ঘেমে ঘুম থেকে উঠতে হয় সকালে।অপরদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় দিনের শুরুটাই হয় হাপিত্যেসের মধ্য দিয়ে। গরমের তীব্রতা বাড়ছে সেই সঙ্গে বিদ্যুৎহীনতায় বাড়ছে জনদুর্ভোগ। উপজেলার আটটি ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি গ্রামের বর্তমান চিত্র একই। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দিনের যেমন অবস্থা, তেমনি রাতের অবস্থা আরও খারাপ। প্রত্যেক রাতেই প্রথম দিকে, মধ্য ভাগে এবং শেষার্ধে বিদ্যুৎ থাকে না উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়।

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে মাত্রাতিরিক্ত লোডশেডিংয়ের কারণে লাখো মানুষ নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। দিনের চেয়ে রাতে লোডশেডিং বেশি হচ্ছে। দিনে সূর্যের তেজ আর রাতে ভ্যাপসা গরমে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন উপজেলাবাসী। সারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রায়পুর বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম শাহাদাত হোসেন বলেন, এক দিকে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ অপরদিকে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় জাতীয় গ্রিড থেকেও মাঝেমধ্যে বিদ্যুৎ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। এসব কারণে বর্তমানে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে। তবে আমরা মানুষের ভোগান্তি দূর করার চেষ্টা করছি।

টেকেরহাট (মাদারীপুর) তীব্র গরম আর রোদে পুড়ছেন মাদারীপুরবাসী। আর ব্যাপক লোডশেডিংয়ের কারণে ঘরেও থাকা যাচ্ছে না। এতে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। মাদারীপুর জেলা আবহাওয়া অফিস বলছে, বেশ কিছুদিন ধরে তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। প্রকৃতিতে গ্রীষ্ম চলে গেলেও তাপ একটুও কমেনি।