প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন জেলেনস্কি ও নরেন্দ্র মোদী
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/themes/newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- আপডেট সময় : ১২:৩৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
![](https://samakalinkagoj.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক।।
এবারই প্রথমবারের মতো সাক্ষাৎ করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার (২০ মে) জাপানের হিরোশায় জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে তারা দুজন একত্রে প্রথমবারের মতো সাক্ষাত করেন।
এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আকস্মিক হামলার পর এই দুই নেতা প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করলেন। এর আগে তাদের মধ্যে ভার্চ্যুয়ালি আলাপ হয়েছে।
এদিকে নরেন্দ্র মোদির কার্যালয় থেকে তাদের দুজনের বৈঠকের একত্রে ছবি শেয়ার করা হয়েছে। ওই বৈঠকে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও উপস্থিত ছিলেন। এর আগে জি-৭ সম্মেলনে যোগ দিতে
শনিবার সকালে জাপানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জাপান সফর শেষে তিনি পাপুয়া নিউ গিনি এবং অস্ট্রেলিয়ায় সফর করার কথা আছে।
চলতি বছর জি-৭ সম্মেলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে জাপান। এই সম্মেলনে যোগ দিতে টোকিংওর আমন্ত্রণে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা বর্তমানে জাপানে অবস্থান করছেন। গত মাসে ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমিন দাপারোভা ভারত সফর করেন। দেশটিতে সংঘাত শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো ইউক্রেনের কোনো শীর্ষ কর্মকর্তার এটাই প্রথমবারের মতো ভারত সফর ছিল। সে সময় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি চিঠি মোদীর কাছে পৌঁছে দেন দাপারোভা।
জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যকার সংঘাত একমাত্র আলোচনা এবং কূটনৈতিক উপায়েই সমাধান করা সম্ভব। এক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যে কোনো প্রচেষ্টার জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জাপান, ফ্রান্স, ইতালি ও জার্মানিকে নিয়ে গঠিত জি-৭ জোটের অন্যান্য নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন জেলেনস্কি। ‘দখলদার’ রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পাল্টা আক্রমণ চালানোর জন্য এসব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের কাছে আরও অস্ত্র সহায়তা চাইবেন তিনি।
এর আগে জি-৭ জোটের দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। রাশিয়ার ‘ওয়ার মেশিন’, লাভজনক হীরা বাণিজ্য ও ইউক্রেনে পরিচালিত সামরিক অভিযানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কয়েকটি সংস্থা এ সংস্থার নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে। শুক্রবার (১৯ মে) জাপানে জোটের সম্মেলনে এসব নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্রদেশগুলো রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এখন পর্যন্ত রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, বিভিন্ন আর্থিক খাত, ব্যবসায়ীসহ হাজারো ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন।