ঢাকা ০৮:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজীপুরের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি মাইল ফলক : জায়েদা খাতুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ১০২ বার পড়া হয়েছে

এ জয় প্রধানমন্ত্রী ও গাজীপুরবাসীকে উপহার দিলেন জায়েদা

অনলাইন ডেস্ক

 

ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের মাতা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রথম নারী মেয়র দেশে দ্বিতীয় মেয়র।

পেশায় গৃহিণী জায়েদা খাতুনের দীর্ঘ এই পথটা পাড়ি দেওয়া একটুও সহজতর ছিল না। কিন্তু সর্বক্ষনিক ছায়ার মতো মায়ের পাশে থেকে জটিল এ সমীকরণটাই যেন সহজ করে তুলে নজির স্থাপন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আর তাতে করেই আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদা খাতুন।

এর পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি গাজীপুরের নবাগত নগরমাতা। মা-ছেলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই জয়কে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মানবতার মা কে উৎসর্গ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় গাজীপুরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন জায়েদা খাতুন। তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন বঙ্গতাজ মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। গভীর রাতে জাহাঙ্গীর বাড়ি ফিরলেই দেখা মেলে গাজীপুরের নবনির্বাচিত মেয়রের।

এ সময় সাংবাদিকদের দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন বলেন,গাজীপুরে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে,যা শেখ হাসিনা সরকারের একটি মাইলফলক। আমি খুব খুশি। এ জয় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও গাজীপুরের সকল জনগণকে উপহার দিলাম।
জায়েদা খতুন আরও বলেন, গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের অসমাপ্ত কাজগুলো তাকে নিয়েই শেষ করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা অতীব জরুরী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করার দায়ে ২০২১ সালে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হন জাহাঙ্গীর আলম। এরপর আওয়ামী লীগ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার হন তিনি। চলতি বছরেই সাধারণ ক্ষমায় দলে ফেরেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন। পরে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দায়ে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন জাহাঙ্গীর। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়।
জাহাঙ্গীর এজন্য মা জায়েদা খাতুনকেও প্রার্থী করেন তিনি। জাহাঙ্গীরের সেই ছায়া বা ড্যামি প্রার্থীই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে দিলেন।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ৪৮০ ভোটকেন্দ্র মিলিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। দু’জনের ভোটের পার্থক্য ১৬ হাজার ১৯৭।সে হিসেবে জায়েদ খাতুন বিজয়ী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গাজীপুরের অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি মাইল ফলক : জায়েদা খাতুন

আপডেট সময় : ১০:৫০:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

এ জয় প্রধানমন্ত্রী ও গাজীপুরবাসীকে উপহার দিলেন জায়েদা

অনলাইন ডেস্ক

 

ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের মাতা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে প্রথম নারী মেয়র দেশে দ্বিতীয় মেয়র।

পেশায় গৃহিণী জায়েদা খাতুনের দীর্ঘ এই পথটা পাড়ি দেওয়া একটুও সহজতর ছিল না। কিন্তু সর্বক্ষনিক ছায়ার মতো মায়ের পাশে থেকে জটিল এ সমীকরণটাই যেন সহজ করে তুলে নজির স্থাপন করেছেন জাহাঙ্গীর আলম। আর তাতে করেই আওয়ামী লীগ কর্তৃক মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে ১৬ হাজার ১৯৭ ভোটে পরাজিত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা জায়েদা খাতুন।

এর পরেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে ভুলেননি গাজীপুরের নবাগত নগরমাতা। মা-ছেলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই জয়কে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী মানবতার মা কে উৎসর্গ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার সময় গাজীপুরের ছয়দানা এলাকার নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন জায়েদা খাতুন। তার ছেলে সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন বঙ্গতাজ মিলনায়তনে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে। গভীর রাতে জাহাঙ্গীর বাড়ি ফিরলেই দেখা মেলে গাজীপুরের নবনির্বাচিত মেয়রের।

এ সময় সাংবাদিকদের দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জায়েদা খাতুন বলেন,গাজীপুরে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে,যা শেখ হাসিনা সরকারের একটি মাইলফলক। আমি খুব খুশি। এ জয় আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও গাজীপুরের সকল জনগণকে উপহার দিলাম।
জায়েদা খতুন আরও বলেন, গাজীপুরের সর্বস্তরের জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমের অসমাপ্ত কাজগুলো তাকে নিয়েই শেষ করতে চাই। এজন্য সকলের সহযোগিতা অতীব জরুরী।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, জাতির পিতা  বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করার দায়ে ২০২১ সালে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত হন জাহাঙ্গীর আলম। এরপর আওয়ামী লীগ থেকেও সাময়িক বহিষ্কার হন তিনি। চলতি বছরেই সাধারণ ক্ষমায় দলে ফেরেন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন। পরে মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় দায়ে দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হন জাহাঙ্গীর। যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে তার প্রার্থিতাও বাতিল করা হয়।
জাহাঙ্গীর এজন্য মা জায়েদা খাতুনকেও প্রার্থী করেন তিনি। জাহাঙ্গীরের সেই ছায়া বা ড্যামি প্রার্থীই আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানকে হারিয়ে দিলেন।

বৃহস্পতিবার রাত দেড়টায় ঘোষিত বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী, ৪৮০ ভোটকেন্দ্র মিলিয়ে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে জায়েদা খাতুন ২ লাখ ৩৮ হাজার ৯৩৪ ভোট পেয়েছেন।তার নিকটতম প্রতিদন্দ্বী নৌকার প্রার্থী আজমত উল্লা পেয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ৭৩৭ ভোট। দু’জনের ভোটের পার্থক্য ১৬ হাজার ১৯৭।সে হিসেবে জায়েদ খাতুন বিজয়ী।