সর্বশেষ:-
মুন্সীগঞ্জে আমনের বাম্পার ফলন,লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ফলন
প্রতিনিধির নাম
- আপডেট সময়- ০৫:৫২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৯ বার পড়া হয়েছে
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি।।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার ১৪ টি ইউনিয়নে আমন ধানের সোনালী শীষে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত।বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ।চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২ হাজার ৪৮০ হেক্টরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ২ হাজার ৬৯৩ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছে।নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অতিরিক্ত(২১৩)হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ বেশী হয়েছে।মাঠের যেদিকেই চোখ মেলে দেখা যায় আমন ধানের সবুজের মাঝে সোনালী ঢেউ।যা দেখে আমন ধান চাষিদের প্রাণেও আনন্দের ঢেউয়ের মতো খেলে যাচ্ছে।আর মাত্র কয়েক সপ্তাহের প্রতীক্ষা,প্রকৃতি অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলন হবে বলে কৃষকরা নিশ্চিত।সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ৬০ ভাগ ধানগাছ সোনালী শীষ নিয়ে মাটির জমিনে দাঁড়িয়ে আছে।এ ধান কদিন পরেই কৃষকের বাড়িতে গেলে, ভরে উঠবে কৃষকের শূন্য গোলা। রাত জেগে গৃহিণীরা ধান সিদ্ধ করে সকাল থেকে মাঠে ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করবেন।
কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে,যারা একটু আগাম আমন ধান চাষ করেছেন তাদের ধানে পাক ধরেছে।বেশ কিছু এলাকায় ধান কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে।তবে কদিন পরেই শুরু হবে পুরোদমে ধান কাটা।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় এবারে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় বাম্পার আমন ধান ফলন অর্জিত হয়েছে।বাংলা চলতি কার্তিক মাসের শেষের দিকে আমন ধান কাটাই-মাড়াই শুরু হবে।গত বছরের মতো এ বছর আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় উপজেলা জুড়ে কৃষকের মুখে হাসির জোয়ার বইছে।ইছাপুরা ইউনিয়নের মধ্যম শিয়ালদী গ্রামের কৃষক ভবন চন্দ্র দাস হ্যালো বিক্রমপুরকে জানান,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় ধানের ফলন ভালো হয়েছে।গত বছরও আমার ধানের ফলন ভালো হয়েছিল এজন্য আমি খুশি হয়ে আমার জমিনের ধান কাটা শ্রমিকদের মাঝে ছাতা বিতরণ করেছিলাম।এবারও ফলন ভালো হয়েছে।
চাইনপাড়া গ্রামের কৃষক ইসলাম শেখ বলেন, এবছর আমি ৮৫০ শতাংশ জমিতে ধান রোপণ করেছি আমার ধান ভালো হয়েছে।ফসলের ক্ষেতে রোগ কিংবা পোকার কোন আক্রমণ ছিল না। ফলনে আমি খুশি।খেতে গেলে ফলন দেখে প্রাণ জুড়িয়ে যায়।জৈনসার চম্পকদি গ্রামের কৃষক জানান,তিনি দুই বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছেন ফসলের ক্ষেতে রোগ কিংবা পোকার কোন আক্রমণ ছিল না তাই ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু সাঈদ শুভ্র হ্যালো বিক্রমপুর জানান,এ বছর ইনশাআল্লাহ সুন্দর আবাদ হয়েছে।আমরা যেভাবে বলেছি সেভাবেই কৃষক ধানের আবাদ করেছে।আশা করছি,আমরা যা ধারনা করছি তার চাইতে বেশি ফসল পাবো।শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে প্রতি হেক্টরে কৃষকরা ধান পাবে ৪.০ মেট্রিক টন।