ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ দুই শিশু সন্তানকে হত্যা চেষ্টার পর যুবকের আত্মহত্যার চেষ্টা শরণখোলায় লিগ্যাল এইড কমিটির সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় নারী চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন রূপগঞ্জে সাংবাদিক রিয়াজের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে যৌথ বাহিনীর অভিযানে অস্ত্র-গুলি উদ্ধার,আটক-৩ আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ মর্মে: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে যা বলা হয়েছে আইভীকে গ্রেপ্তারে পুলিশকে বাঁধা সৃষ্টিকারী ২’শ জনকে আসামি করে মামলা নতুন সিআইডি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ছিবগাত উল্লাহ বিলুপ্ত এনবিআর, রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ জারি এসএসসি’র খাতা মূল্যায়নে পরীক্ষকদের অনীহা এতোদিন কোথায় লুকিয়ে ছিলেন, কিভাবে গ্রেপ্তার হলেন মমতাজ গজারিয়ায় ট্রান্সফরমার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ চোর আহত ঈদকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ায় ২ লক্ষাধিক কোরবানীর পশু প্রস্তুত গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে র‍্যাব কনস্টেবলের মৃত্যু সাবেক এমপি মমতাজ গ্রেপ্তার নাসিক ‘নগর ভবনে’ ইজিবাইক চালকদের তাণ্ডবে আহত-২১ সড়কে কোনোভাবেই গরুর হাটের অনুমোদন দেয়া হবে না: আইনশৃঙ্খলা মিটিংএ ডিসি নারায়ণগঞ্জে সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নাকচ, ডিভিশনের আবেদন সোনারগাঁ আ’লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান ইন্জিনিয়ার মাসুম আটক প্রচন্ড্র দাবদাহের পরে স্বস্তি, ৬ জেলায় ঝড় ও বৃষ্টির আশঙ্কা কুষ্টিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হতে না পারায় ছাত্রের আত্মহনন কুষ্টিয়ায় চিকিৎসা ব্যয় নিয়ন্ত্রণের দাবিতে মানববন্ধন বিশ্ব ‘মা’ দিবস আজ আজ শুভ বুদ্ধপূর্ণিমা নারী হয়রানির সংবাদ প্রকাশ করায় মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবে ডুকে সাংবাদিকদের হুমকি দেশের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হলো আওয়ামীলীগ বিকেএমইএ’র নির্বাচনে পূর্ণ প্যানেলে বিজয়ী মোহাম্মদ হাতেম কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ভৈরবে মানিকদী গ্রামে বোন জামাইয়ের হাতে প্রাণ গেলো রাকিবের টানা দ্বিতীয় দিনের অবরোধ: গণজমায়েতে আন্দোলনকারীদের ভিড় বাড়ছে মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রাবিরতি কালে প্রকাশ্যে তরুণীদের মারধর দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী আর নেই বাংলাদেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, এদেশ জনগনের: তারেক রহমান ৭১টিভি-যমুনাসহ বাংলাদেশের ৪ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে ব্লকড প্রতিশোধ নয়, আসুন ভালোবাসা দিয়ে সবাই দেশ গড়ি: মির্জা ফখরুল না’গঞ্জে আইভীকে গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে ত্বকীর বাবার ফেসবুক পোস্ট সাবেক মেয়র আইভীকে পাঠানো হলো কাশিমপুর মহিলা কারাগারে সিদ্ধিরগঞ্জে মিনারুল হত্যা মামলায় আইভী কারাগারে গ্রেপ্তারের আগে যে কথা বলছিলেন নাসিক সাবেক মেয়র আইভি রাতভর নাটকীয়তার পর অবশেষে গ্রেপ্তার সাবেক নাসিক মেয়র আইভী লালন-হাসন রাজার জন্মজয়ন্তী জাতীয়ভাবে পালন করা উচিত অনৈতিক দাবি পূরন না হওয়ায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জে ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৩ জনের ফাঁসি ও ৫ জনের যাবজ্জীবন নারায়ণগঞ্জ বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান সুকৌশলে দেশ ছাড়লেন সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ যৌক্তিক দাবির আমরা ব্যবস্থা নিব, রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা কিংবা অফিস ঘেরাও বরদাস্ত করা হবে না: ডিসি মা-বৌকে উদ্দেশ্য করে আবেগতাড়িত চিরকুট লিখে র‍্যাব-৭’র এএসপির আত্মহনন সীমান্তের জেলাগুলোতে পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ আইজিপির পুলিশের উচ্চপদস্থ ১৫ কর্মকর্তার পদে রদবদল কথা রাখলে নারায়ণগঞ্জের মানবিক জেলা প্রশাসক জাহিদুল ইসলাম মিঞা কামাল আহম্মেদ’র মৃত্যুতে না’গঞ্জ শহর ছাত্রদল নেতা রোমেনের শোক দৌলতপুরে অসময়ে পদ্মার ভাঙন আতঙ্কে দিশেহারা অর্ধলক্ষ মানুষ ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজিসহ পুলিশের উচ্চপদস্থ আরও ৬ কর্মকর্তা বদলি না’গঞ্জ সদর উপজেলা প্রশাসনের ‘গ্রিন অ্যান্ড ক্লিন’ বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কে সরকারি জায়গা দখলের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ অভিযান কুষ্টিয়ায় অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার ফরিদপুরে গ্রামপুলিশ বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অবশেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসা শেষে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দৌলতপুরে ভুট্টা ফলনে চাষীদের অভাবনীয় সাফল্য সাতক্ষীরায় ঔষধের দাম‌ বৃদ্ধিতে: জনমনে কষ্ট ব্যবসায়িদের বাঁচার লড়াই মুক্তারপুর-পঞ্চবটি সড়ক নির্মাণকাজে ধীরগতি না’গঞ্জের চিহ্নিত সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানে সশস্ত্র ক্যাডার পিস্তল ও গুলিসহ গ্রেপ্তার ফের কর্মবিরতিতে দেশের সকল সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক ফতুল্লায় অবৈধ দখলদারিত্বের সংবাদ সংগ্রহকালে সংবাদকর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলা এসএসসি পরীক্ষার্থী রাজন হত্যা প্রতিবাদে উত্তাল নরসিংদী স্থায়ী ক্যাম্পাস না থাকায় ১৬ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউজিসি সিদ্ধিরগঞ্জে ছু*রি*কা*ঘা*তে কিশোর খু*ন: পুলিশি হেফাজতে-২ কিশোর ফের পাঁচ হাজার রোহিঙ্গার কক্সবাজারে অনুপ্রবেশ নারায়ণগঞ্জে কাল থেকে পূনরায় চালু পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম পুরানা পল্টনের বহুতল ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৭ ইউনিট কুষ্টিয়ায় আসামি ধরতে গিয়ে দুই পুলিশ হাতুড়িপেটার শিকার খানপুর ৩’শ শয্যা হাসপাতালে দালাল চক্রের ২ সদস্যকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত এখন থেকে স্মার্টকার্ডে টিসিবির পণ্য পাবে প্রকৃত উপকারভোগীরা: খাদ্য উপদেষ্টা সোহরাওয়ার্দীতে চলছে ৪ দাবি আদায়ে হেফাজতের সমাবেশ রায়পুরায় দুই গ্রুপের হামলায় প্রাণ গেল এসএসসি পরীক্ষার্থীর  ‘করিডর’ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে হবে নির্বাচিত সংসদ থেকে: তারেক রহমান মুন্সীগঞ্জে সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে অসহায় নারী রায়পুরায় মহান মে দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত মুন্সীগঞ্জে নানা আয়োজনে মহান মে দিবস পালন কুষ্টিয়ার পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন থেকে অজ্ঞাত মরদেহ উদ্ধার বিভিন্ন কর্মসূচিতে ঈশ্বরদীতে পালিত হলো মহান মে দিবস হাওয়া ভবন থেকে ফাঁকা ঘর: দুদকের চোখে ফুলছড়ির ভূতূরে প্রকল্প  কুষ্টিয়ায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু দেশের শীর্ষস্থানীয় তিন গণমাধ্যমের কর্মীকে চাকরিচ্যুত প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী হবার লড়াই করছি না- ডা.শফিকুর রহমান মুন্সীগঞ্জে ভুয়া মালিক সেজে জাল দলিলের মামলায় দুই আসামীর ১২ বছরের কারাদণ্ড সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কালিঞ্চি খাল পুনরুদ্ধার প্রকল্পের উদ্বোধন মিরপুরে পদ্মায় নিখোঁজ স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার নারায়ণগঞ্জে ১৪ কেজি গাঁজাসহ এক নারী আটক নারায়ণগঞ্জে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় বদনা সজিব গ্রেপ্তার মামলা হলেই গ্রেপ্তার নয়, হয়রানি বা তদন্তে দায়ভার পাওয়া গেলেই ব্যবস্থা: আইজিপি শ্রীমঙ্গলে মাদক সম্রাট মনসুর গাজাসহ গ্রেপ্তার  ক্রিকেটার নাসির-তামিমার মামলায় বিব্রত আদালত,অতঃপর বদলি কমলগঞ্জে ইকবাল হত্যার আসামিদের গ্রেপ্তারসহ বিচারের দাবিতে মানববন্ধন আরও এক পুলিশ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো সরকার না’গঞ্জে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক: রিমান্ড আবেদন শেষে মারধরের শিকার বর্ণাঢ্য আয়োজনে মৌলভীবাজারে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত শিক্ষার্থীদের ‘অযৌক্তিক’ দাবির মুখে, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ইউআইইউ মৌলভীবাজারে বোরো ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে কিষান-কিষানীরা

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ১৪১ বার পড়া হয়েছে

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।