ঢাকা ০৬:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২৩ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ:-
সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি’: হাসনাত আবদুল্লাহ নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার পর ঘাতক স্বামীর থানায় আত্নসমর্পণ কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে পদ্মা নদীর বালু উত্তোলনের দায়ে জেল-জরিমানা চাঁদপুর শহরে হাসান আলী মাঠে অবৈধ দোকানপাট, খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত শিশুরা শরণখোলায় আনোয়ার হোসেন পঞ্চায়েত’র বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন  বিএনপিতে অপকর্মকারীদের তালিকাসহ শুদ্ধি অভিযান শুরু আজ ১০ই মহরম, পবিত্র আশুরা জুড়িতে চা শ্রমিক দম্পতির বিষপানে আত্মহত্যা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ অসুস্থ জামালউদ্দিন কালুর পাশে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান নারায়ণগঞ্জ পরিদর্শনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহীদ রিয়া গোপের পরিবারের পাশে মাসুদুজ্জামান শরণখোলায় ব্যাটারি চালিত ভ্যান উল্টে কিশোর জিহাদের করুণ মৃত্যু মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নির্মিত হচ্ছে কালেক্টরেট স্কুল তানজিন তিশার সন্তান দাবি করে ছবি প্রকাশ করলেন সাংবাদিক জাওয়াদ নির্ঝর ফের বড়লেখা সীমান্তে আটক-১০ শ্রীমঙ্গলে ডিবির অভিযানে বিদেশী মদসহ আটক-১ বন্দরে মাসুদুজ্জামানের পক্ষ থেকে জুলাই আহত ও শহীদদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত বড়লেখা সীমান্ত এলাকায় বিজিবি’র অভিযানে ভারতীয় পণ্যসহ আটক-২ কুষ্টিয়ায় গোরস্থা‌নে নেয়ার প‌থে গৃহবধূর লাশ আট‌কে দিল পু‌লিশ সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ শিকার: বিপুল পরিমাণ মাছ ও সরঞ্জাম জব্দ মৌলভীবাজারে ডিবির পৃথক অভিযানে ইয়াবা গাঁজাসহ গ্রেপ্তার-২ চাঁদপুরে ধনাগোদা নদীতে অবৈধ ভাসমান রেষ্টুরেন্ট, প্রশাসন রহস্যজনক নিশ্চুপ ফতুল্লায় ১৩ বছরের কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি আজিম গ্রেপ্তার একমাত্র খেলাধুলাই পারে যুবসমাজকে মাদক মুক্ত রাখতে: মোশারফ হোসেন আ’লীগ নেতার বাড়িতে চাঁদাবাজির অভিযোগে পুলিশকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পেটালো জনতা এসএসসির ফল প্রস্তুত: জানা গেল প্রকাশের সম্ভাব্য তারিখ প্রধান উপদেষ্টার ‘কাউন্টডাউন শুরু’ পোস্ট দেয়া সেই ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী চাকরিচ্যুত না’গঞ্জ জেলা পরিষদের সিইও’র বদলিজনিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কুলাউড়ায় স্কুল পড়ুয়া তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু নির্দেশনা পেলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সেনাবাহিনী প্রস্তুত: কর্নেল শফিকুল দৌলতপুরে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত মৌলভীবাজার সীমান্তে শিশুসহ ৭১ বাংলাদেশীকে ফেরত দিলো বিএসএফ শ্রীমঙ্গলে অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে নতুন কারসাজিতে ও ঠিকাদার ব্যর্থ মৌলভীবাজারে জামিনের প্রলোভনে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতারক গ্রেপ্তার জুড়ীর কৃতি সন্তান শরীফ বিসিএস পুলিশ ক্যাডারে প্রথম আ’লীগের সাবেক এমপি নাঈমুর রহমান দুর্জয় গ্রেপ্তার ৩৩ ডেপুটি জেলারকে একযোগে বদলি আমি জনগণের সেবক হতে চাই, কারো প্রতিযোগী না: মাসুদুজ্জামান জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে মর্গ্যান স্কুলের সংকট নিরসন মাদরাসার দুই শিক্ষার্থীর একই সাথে মৃত্যু;  শিক্ষক সমিতির শোক দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণে প্রথমবার কৃত্রিম বৃষ্টি এক নতুন দিগন্ত ভেড়ামারায় পদ্মায় তীব্র ভাঙন, আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে নদীপাড়ের বাসিন্দারা ভৈরবের পূর্বকান্দা সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক’কে অফিসে ডুকে মারধরের অভিযোগ সুন্দরবনে বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারের ফাঁদ জব্দ কুমিল্লায় ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত বিচারের দাবিতে মহিলা পরিষদের মানববন্ধন আজ ব্যাংক হলিডে, ব্যাংক ও শেয়ারবাজারে সব লেনদেন বন্ধ জুলাই অভ্যুত্থানে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের শহীদ হয়েছে ৭৩৪ নওগাঁয় অতিরিক্ত ধান-চাল মজুদ: দুই মিল ম্যানেজারের অর্থদন্ডসহ জেল নারায়ণগঞ্জে র‍্যাবের অভিযানে অস্ত্র-মাদক ও বিদেশি মুদ্রাসহ আটক-২ ফতুল্লায় আবির ফ্যাশনে শ্রমিক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় বিক্ষোভে ৮ কারখানা বন্ধ সুন্দরবনে হরিণের ফাঁদসহ আটক-১ শিকারী  খোলপেটুয়া নদীরচর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার শরণখোলায় ৪নং সাউথখালী ইউপি’র উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা বিমানবন্দরে চেকিংয়ে ম্যাগজিন পাওয়ার বিষয়ে যা বললেন উপদেষ্টা আসিফ না’ঞ্জকে সবুজে ঘেরা পরিচ্ছন্ন ও বাসযোগ্য আধুনিক শহর হিসেবে গড়ে তোলা।”-জেলা প্রশাসক ৫ আগস্টের পর থেকে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৩ পুলিশ কর্মকর্তা বরখাস্ত না’গঞ্জে ‘আ’লীগের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সাবেক বিএনপি নেতাকে ‘মারধর’সহ হেনস্তা না’গঞ্জে যৌথবাহিনীর অভিযানে মাদক-অস্ত্রসহ আটক-২ নারী কারবারি কুষ্টিয়ায় মাদক কারবার নিয়ে বিরোধে যুবককে কুপিয়ে হত্যা কুষ্টিয়ায় বাসচাপায় পুলিশ সদস্য নিহত শরণখোলায় লাগসই প্রযুক্তি বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত আমার শিকড় এই মাটির অনেক গভীরে: মাসুদুজ্জামান মাসুদ ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ আজ না ফেরার দেশে ‘কাঁটা লাগা’ গার্লখ্যাত শেফালি জারিওয়ালা নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে মাসুদ-পন্টি পরিষদ বিজয়ী ধর্ষণচেষ্টা মামলায় শিক্ষক আটক, পাঠানো হলো কারাগারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে চালকদের ডাটাবেজ করছে না’গঞ্জ জেলা প্রশাসন ডিএমপির ৬ ডিসির দায়িত্বে রদবদল কুষ্টিয়ায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতের হানা, লাশের শরীর তল্লাশি গাইবান্ধায় এইচএসসি পরীক্ষার ১ম দিনে ১২ জন বহিষ্কার, ৪২৯ অনুপস্থিত কুষ্টিয়ায় মাদকের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী দিবস পালিত রায়পুরায় ছয় দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি শরণখোলায় পার্টনার স্কুল কংগ্রেস অনুষ্ঠিত সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম সবুজের মায়ের ১ম  মৃত্যুবার্ষিকীতে দোয়া অনুষ্ঠিত আজ থেকে শুরু এইচএসসি পরীক্ষা,পরীক্ষার্থীদের মানতে হবে বিশেষ গাইডলাইন নারায়ণগঞ্জে জোড়া খুন; সাবেক কাউন্সিলর হান্নান ও দুই পুত্রসহ আটক-৪ ডিজিটাল নিরাপত্তা মামলায় খালাস পেলেন কুষ্টিয়ার দুই সাংবাদিক গ্লোবাল টিভির সাংবাদিক মনিরুল আলমকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি ‘মব জাস্টিস’ এক হিংস্র উন্মাদনা: তারেক রহমান দেশের সকল কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা ফতুল্লায় তিতাসের অভিযান: অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নসহ অর্থদন্ড রোটারি ক্লাব অব নারায়ণগঞ্জ মিডটাউনের বর্ষ সমাপ্তি সভা অনুষ্ঠিত ‘মব’ ঠেকাতে কঠোর বার্তা, ব্যর্থ হলেই পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা: ডিএমপি কমিশনার সাবেক সিইসিকে ‘মব’ সৃষ্টি করে হেনস্থাকারী স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মুজাম্মেল আটক স্রোতের তোড়ে ২৮ যাত্রী নিয়ে মেঘনায় ডুবলো স্পিডবোট কর,কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগ‘ কমপ্লিট শাটডাউনের ঘোষণা এনসিপির কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, আহত-৪ প্রধান উপদেষ্টাসহ দুদককে উকিল নোটিশ পাঠালেন টিউলিপ সিদ্দিক বিশ্ব পরিবেশ দিবসে মহিলা পরিষদের বৃক্ষরোপণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে ছদ্মবেশে গ্রেপ্তার করল পুলিশ সোনারগাঁয়ে প্রবাসীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার হুমকিদাতা বিএনপি নেতা গ্রেপ্তার ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে কড়া হুশিয়ারী দিলো সরকার সাবেক এমপি সাবিনা আক্তার তুহিন গ্রেপ্তার সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে ঘিরে ‘মব’ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার সাবেক আরেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার না’গঞ্জের প্রবেশমুখে স্থাপত্যশৈলীর ছোয়ায় নির্মিত হবে ‘গেট অব ড্যান্ডি’ শামীম ওসমানের ২টি প্লট ক্রোকসহ ২৯ ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ সাবেক সিইসি কেএম নুরুল হুদা ডিবি হেফাজতে মুন্সিগঞ্জের সাবেক এমপি ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করবে: মোস্তফা জামান

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪ ১৮৭ বার পড়া হয়েছে

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস:-

বাবাই জীবনের পরম ছায়াসঙ্গী, পিতৃ দিবসে শ্রদ্ধা-ভালোবাসা

আপডেট সময়- ১১:৫২:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪

 

পিতাই ধর্ম,পিতাই স্বর্গ’

ঋতম্ভরা বন্দোপাধ্যায়,কলকাতা।।
“বিশ্ব পিতা তুমি হে প্রভু ,
আমাদের প্রার্থনা এই শুধু ,
তোমারই করুণা,হতে বঞ্চিত না হয় কভু” !
আহা এই গানের পিছনে লুকিয়ে আছে বাবা ও সন্তানের ভালোবাসার ছোঁয়া । পিতৃ দিবস পালন করা হয় এই ১৬ জুনে, কারন এই দিনে সন্তান তাঁর বাবার প্রতি ভালোবাসা আর কৃতজ্ঞতা কে প্রকাশ করে এই সময় টাকে সুযোগ করে দেয় এদিন। যেহেতু বাবারা সবসময়ই সন্তানের লালনপালন করা,পথ প্রদর্শক হয়ে থাকা সে জন্য তাদের ভূমিকা কে তো স্বীকার করতেই হবে। এই পিতৃ দিবস কে ওয়াশিংটনের স্পোকেনের সোনোরো স্মার্ট ডডকে কৃতিত্ব দেয় এই দিবস কে পালন করার জন্য । পৃথিবীর সব বাবার প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা দেওয়ার জন্য এবং তাদের প্রকাশের ইচ্ছা পূরণ করার এই আশা কে সম্পন্ন করাতেই এই পিতৃ দিবস পালন করা হয়। বাবাদের প্রতি ভালোবাসা জানাতে প্রতি বছর এই পিতৃ দিবস পালন করা হয় ১৬ জুনে। মা’রা যেমন সন্তানের ছত্রছায়া হয় , ঠিক তেমন ভাবে বাবারা ও হলো সন্তানের পথছায়া । বাবা’রা দিন রাত পরিশ্রম করে নিজেদের সন্তানের জন্য । মা’রা যেমন ঘরে ও বাইরে কাজ করে সামলায় সব কিছু করে সংসার করে সন্তানের দেখাশোনা করে ঠিক তেমন ভাবে বাবা’রা ঘরে ও বাইরে কাজ করে । সন্তানের সাথে সময় কাটানোর মুহূর্ত এবং চলার পথে প্রদর্শক হয় বাবা। বাবারা সন্তানের সব রকমের আব্দার মেটাতে তাদের জন্য কতকিছু না করে ! আমি যখন খুব পুচকি ও ছোট্ট ছিলাম, আমার বাবা আমার দুটি হাত ধরে হাঁটা শেখাতেন। ” গুটি গুটি পা পা যথায় ইচ্ছা তথায় যা” বলে বাবা এঘর থেকে ওঘরে হাঁটাতেন। একটু বড় হলে যখন হামাগুড়ি ছেড়ে গুটি গুটি পায়ে হাঁটতে লাগলাম তখন বাবা আমাদের সল্ট লেকের ফ্ল্যাটে হাঁটু গেড়ে ঘোড়া হয়ে বসতেন। আমি বাবার পিঠে বসতাম। বাবা চলতে শুরু করতেন, আমি খুব মজা পেতাম। অনেক সময় বাবা ঘোড়া হয়ে বসলে আমি বাবার কাঁধের দুপাশে চেপে বসতাম। বাবা দাঁড়িয়ে উঠে আমার দুটি হাত ধরে গান গাইতে গাইতে সারা ঘর ঘুরতেন। খুব মনে পড়ে শ্যামল মিত্রর সেই বিখ্যাত গানটি। বাবার সেই গান,” ঐ ঝিরি ঝিরি পিয়ালের কুঞ্জে ,গুনগুন মৌমাছি গুঞ্জে, ওই যে বনছায় পাখিরা গান গায়, মন যে চায় সেথা হাসিতে””। বাবা তখন খুব ভালো গাইতেন। বেশ কিছু অনুষ্ঠানেও গাইতেন। বাবা হারমোনিয়াম নিয়ে গাইতে বসলে গানের মাঝেই আমি হারমোনিয়ামের রিডে দুম করে চাপ দিতাম। বেসুরো হয়ে যেতো গান। বাবাকে দেখলেই আমি বলতাম,” বাব ওই ঝিলিঝলি পিয়াল ” গানটি করো না। আমার তখন মাত্র ৩ বছর বয়স। মা সারাদিন যেমন আঁচল দিয়ে আগলে রাখেন,বাবা তখন ব্যস্ত আমার জন্য কী কী জিনিস আনা যায়। বাবা দিল্লিতে সাংবাদিকতা করতেন। পুরো বছর দিল্লিতে থাকতেন। একবছর পর যখন মাত্র দুসপ্তাহের জন্য বাড়িতে আসতেন ছোট্ট আমি দরজার পিছনে লুকিয়ে উঁকি দিতাম। বাবা ঘরে ঢুকেই আমাকে খুঁজতেন। লুকোচুরির পর আমাকে ধরে আবার কোলে নিতেন। আমি মাকে বলতাম,” মা ,আমাদের বাড়িতে বাবা কতদিন থাকবে?” সবাই হেসে উঠতো। দিল্লিতে খুব ভালো জামাকাপড় পাওয়া যায়। বাবা আমার জন্য বাছা বাছা পোশাক আনতেন। কখনো সাইজে অনেক বড়,নয়তো এতো ছোট যে পরাই যেত না । সেই দিনগুলি স্বপ্নের মতো মনে পড়ে। মা আমার স্কুল থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি পড়ার সময় পর্যন্ত আমাকে প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাওয়া,নিয়ে আসার সব কাজ করতেন। স্নান করিয়ে রান্নার কাজ শেষ করে খাইয়ে পড়াতে বসতেন। বাবা দিল্লিতে নিয়ে যেতেন সকলকে বছরে একবার। পার্লামেন্টে এমন কোন সাংসদ,মন্ত্রী ছিলেন না,যাদের সঙ্গে বাবা আমাকে পরিচয় করিয়ে না দিতেন। বাবার সুরক্ষিত অফিসে যেতাম। কার্ড জোগাড় করতেন বাবা। কংগ্রেস,বিজেপি , সিপিএম ছাড়াও সব দলের নেতাদের কাছে যেতাম বাবার সঙ্গে। এআই ইউ ডি এফ নেতা বদরউদ্দিন আজমল, আসনের মুখ্য মন্ত্রী তরুণ গগৈ, সর্বানন্দ সোনোয়াল,হিমন্ত বিশ্ব শর্মা, রেলমন্ত্রী রাজেন গোহাই, তখনকার সর্বেসর্বা কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, অম্বিকা সোনি, পি সি জোশি, সন্তোষ মোহন দেব,বিজেপির কবীন্দ্র পুরকায়স্থ, অসম গন পরিষদ নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন বৈশ্য সহ অসংখ্য নেতা, মহানেতা, অভিনেতার সান্নিধ্যে এসেছি বাবার জন্য। আমার জন্য বাবা আপ্রাণ পরিশ্রম করতেন। আজকের দিনে তাই বাবাকে অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই। মা ও খুব সহযোগিতা করতেন বাবার সঙ্গে। বাবার জন্যই আমি আজ এতোটা এগিয়ে যেতে পেরেছি। বাবাকে যেদিন বললাম,আমি কিন্তু কারও সুপারিশে কোন চাকরি করবো না। বাবা খুব অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। আমি শুধু বাবার পেশাকেই পছন্দ করেছি। এটা নিয়েই থাকতে চাই। বাবা আমার জীবনের ধ্রুবতারা তাই বাবার নাম কে আমি জীবনে স্মরণীয় ও বরণীয় করে রাখতে চাই। বাবারা সন্তানের জন্ম দেয় যাতে গুটিগুটি পায়ে সন্তান চলতে শুরু করা থেকে জীবন যুদ্ধে যেন পুরোদমে ছুটতে পারে। ভবিষ্যত প্রজন্মের উজ্জ্বল আলোর সঙ্গে এগিয়ে চলার জন্য। বাবারা চাইলে সন্তানের জন্য সব কিছু উজাড় করে দেয় তাদের কলিজা দিয়ে যাতে সন্তান ভালো ভাবে থাকতে পারে(সুস্থ থাকে)। বাবারা সন্তানের ছোট ছোট হাত ধরে নিয়ে যায় সব জায়গায় ঘোরাতে। খেলনা কিনতে চাইলে বা কোনও কিছু সাজগোজ জিনিস বা খাবার কিনতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে কিনে দেয় এই হয় বাবাদের ভালোবাসা । বাবারা বাইরে থেকে সব কাজ সেরে এসে নিয়ে তারপর রাতে সময় কাটায় সন্তানদের সাথে যখন ঘরে থাকে। বাবার কাছে একটা না অনেক ,অনেক আব্দার পায় সন্তানরা ঘরে থাকলে । বেশ মজা হয় যখন বাবার পিঠের পিছনে চড়ে বাবার হাতটি ধরে দোলনার মতো দোল খাওয়া হয়। বাবার হাতটি ধরে সন্তানের ছোট্ট হাত যাতে পড়ে না যায়। আনন্দ লাগে বাবাকে ঘোড়া বানাতে পেছন পিঠে পুরো বসে টগবগ টগবগ করে দৌড় করানো হয়। সত্যিই চমৎকার সেসব সময় কাটানোর মুহূর্ত আড্ডা দেওয়া বাবার সাথে কত কিছু খেলা খুব ভালো লাগতো। একটু যদি কোনও ভুল কাজ করা হয় তাহলে একমাত্র পিতাই সন্তানকে বোঝায় যে কোনটা ভুল কোনটা ঠিক! তবে হ্যাঁ সন্তানের জন্য বাবারা প্রচুর খাটে যাতে সন্তান কষ্ট না পায় কোনও কিছু তে। কারণ সন্তানরা চায় বাবার সাথে সময় কাটাবে আনন্দ করবে। বাবা ছাড়া এই আব্দার গুলো কেউ পূরণ করতে পারবে না এটা সন্তানরা বোঝে,তাই তো সবসময়ই সন্তানরা এসব এর জন্য বাবা কে সবসময় চায়।