মানবতাবিরোধী অপরাধে ফের ট্রাইব্যুনালে হাজির দুই সেনা কর্মকর্তা
- আপডেট সময়- ০৫:১০:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৫ ১ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন নিউজ ডেস্ক।।
চব্বিশের জুলাই-আগস্টে রাজধানীর রামপুরায় ২৮ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবি কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলামসহ দুই সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। এ মামলায় আসামি হিসেবে রয়েছেন চারজন।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঢাকার সেনানিবাসের বিশেষ কারাগার থেকে বাংলাদেশ জেল-প্রিজন ভ্যান লেখা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত সবুজ রঙের গাড়িতে করে কড়া নিরাপত্তার চাদরে তাদেরকপ আনা হয়।
এদিন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ বিষয়ে শুনানি হবে। এ মামলায় পলাতক দুই আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগসহ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিনও ধার্য হতে পারে আজ।
রেদোয়ানুল ছাড়া অপরজন হলেন- বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা মেজর মো. রাফাত বিন আলম। পলাতকরা হলেন- ডিএমপির খিলগাঁও অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. রাশেদুল ইসলাম ও রামপুরা থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মশিউর রহমান।
সেনা হেফাজতে থাকা রেদোয়ান ও রাফাতকে গত ২২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালে আনা হয়। শুনানি শেষে এ মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠান ট্রাইব্যুনাল-১। একইসঙ্গে পলাতকদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা এরই মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শুনানির জন্য ৫ নভেম্বর দিন ঠিক করা হয়। তবে প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ২৬ অক্টোবর আদেশটি দেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল। অপর সদস্য হলেন- অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এদিকে, দুই সেনা কর্মকর্তাকে হাজির করা উপলক্ষ্যে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। হাইকোর্টের প্রবেশপথসহ ট্রাইব্যুনালের মূল ফটকে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে র্যাব-বিজিবি। সুপ্রিম কোর্ট এলাকার আশপাশে টহল দিচ্ছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরাও।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় দেশজুড়ে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চলেছে। এর মধ্যে রামপুরায় নিহত হয়েছেন ২৮ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। রামপুরায় বিজিবি কর্মকর্তা রেদোয়ানুলকে আন্দোলনকারীদের সরাসরি গুলি ছুড়তে দেখা যায়। এছাড়া অন্যরাও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এ হত্যাযজ্ঞে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাইবুনালে ৪জনের বিরুদ্ধে আলাদা ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। এর আগে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় তদন্ত সংস্থা।
নিউজটি শেয়ার করুন..

-
সর্বশেষ সংবাদ
-
জনপ্রিয় সংবাদ



































































































































































